🔴মোদিকে সর্বোচ্চ সন্মাননা অারব-অামিরাতের ও মিডিয়ার প্রোপাগাণ্ডাঃ

🔴মোদিকে সর্বোচ্চ সন্মাননা অারব-অামিরাতের ও মিডিয়ার প্রোপাগাণ্ডাঃ মুসলমানদের অাবেগকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে এন্টি-অারব প্রতিহিংসাকে নতুন করে নতুন রুূপে প্রজ্বলিত করার একটি পায়তারা মাত্র ....!

⭕সংযুক্ত অারব-অামিরাত সরকার বিগত শনিবার গনপ্রজাতন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব "অর্ডার অব জায়েদ" এ ভূষিত করেছে।

এবং অারব-অামিরাত ও ভারতের মধ্যকার এই সুসম্পর্ক বিনির্মানে কাতারের অাল জাজিরা বরাবরের মতোই বেজায় নাখোশ! সুতরাং বরাবরের মতোই একটি নিউজ এখন বেশ চড়াও এবং তা হলো " রক্তাক্ত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের নরেন্দ্র মোদি অারব-অামিরতে সর্বচ্চ সন্মাননায় ভূষিত..!"

🚫যা মুসলমানদের অাবেগকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে এন্টি-অারব প্রতিহিংসাকে নতুন করে নতুন রুূপে প্রজ্বলিত করার একটি পায়তারা মাত্র ....!

অতঃপর মোবাইল ও কম্পিউটার স্ক্রিন অারব বিদ্বেষি পোস্টে সয়লাব! মানুষ উন্মাদের মতো এসব হিংসা গিলে খাচ্ছে বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনা ছারাই যে কিভাবে অারব ও এশিয়ান দেশগুলোর মাঝে কৌশলগত ও কুটনৈতিক এসব সম্পর্কগুলো মুসলমানদের জন্য কল্যান বয়ে অানছে!

❓মোদিকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সন্মাননা কি অার্টিকেল ৩৭০ বাতিল করার জন্য দেয়া হয়েছে?❓❓

মনে রাখবেন সর্বোচ্চ বেসামরিক সন্মাননা সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রিপ্রেজেন্ন্টেটিভদের দেয়া হয় যেসব দেশের নাগরিকরা সন্মাননা প্রদানকারী দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এটা মোদি হতে পারে কিংবা রাষ্ট্রের প্রধান পদে বহাল থাকা যেকেউ হতে পারে!

এর অাগে ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে "অর্ডার অব জায়েদ" সন্মাননা জাপানের ক্রাউন প্রিন্স নারোহিতোকে প্রদান করা হয়, ফেব্রুয়ারি ২০০৫ এ বাহারাইনের বাদশা শেখ হামাদ অাল খালিফাকে,
২০০৭ এ পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফকে,একি সালে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনকে,নভেম্বর ২০১০ এ ইংল্যান্ড এর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে,২০১৫ তে মরক্কোর বাদশাহ পঞ্চম মোহাম্মদকে, সৌদি অারবের বাদশাহ সালমানকে ২০১৬ সালে, এবং অারো অনেককে অারব-অামিরাত এই সন্মানায় ভুষিত করেছে!

২০০৭ এ জাকির নায়েক ও ১৯৮৯ এ মাওলানা অাবুল হাসান নাদভিকেও সন্মাননা দেয় অারব-অামিরাত। এবং সন্মাননা দেওয়ার সময় ইসলামের জন্য তাদের অবদানের প্রেক্ষিতে সন্মানিত করা হচ্ছে উল্লেখ করা হয়! সন্মাননার সাথে সাথে এর কারনও জানিয়ে দেয়া হয়! সুতরাং কাকে কোন কারনে সন্মাননা দেওয়া হচ্ছে তা ত ইচ্ছেমতো বানিয়ে নিলে তা অাপনাদের দোষ, অামিরাতের নয়!

এই সন্মামনা শুধুমাত্র কুটনৈতিক কারনে সফরকালিন দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করার কৌশল মাত্র। এর সাথে অন্য কোনো ইস্যুর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই!
এবং মোদিকে সন্মাননা দেওয়ার সাথে কাশ্মির ইস্যুরও কোনো সম্পর্ক নেই যেমনটা মিডিয়া ট্যাগ লাগাচ্ছে! কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন এই সন্মাননা কেনো এখনই দিতে হবে? তাহলে অাপনাকে জানতে হবে এসব রাষ্ট্রিয় সফর বহু পুর্বে এমনকি বছরখানেক আগে থেকে নির্ধারিত থাকে সাথে সফরকালিন এজেন্ডা ও কর্মপন্থাও! এবং নির্দিষ্ট সময়ে এসব কুটনৈতিক সফর হোস্টকারি বা স্বাগতিক দেশ বাতিল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়! বিশেষত বড় দুইটি দেশের মাঝে!

◾ভারত ও অারব-অামিরাত সম্পর্কঃ

ভারতের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিজেপি এবং পুর্বের শাসকগোষ্ঠী কংগ্রেসের সাথে অারব-অামিরাত বরাবর সমান্তরালভাবে সুসম্পর্ক রেখে অাসছে। ভারত ও অারব-অামিরাত প্রায় শতাব্দী ব্যপি তাদের মাঝে কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিনিয়গ,সাইবার ক্রাইম,কারেন্সি এক্সচেঞ্জ সহ অনেক লেনদেনের মাঝে তাদের সম্পর্ককে সচেজ রেখেছে।

◾ভারত-অারব অামিরাত বনাম ভারত-ইরান সম্পর্কঃ

ইয়েমেনে ইরান মদদপুষ্ট হুথি শিয়া সন্ত্রাসী দমনে সৌদি কোয়ালিশনে অারব-অামিরাত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। সিরিয়া,ইরাক,লিবিয়া,ইয়েমেন সহ মিডলইস্টের অন্যান্য জায়গায় ইরানি শিয়া মিলিশিয়া এবং এর মদদপুষ্টরা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে রেখেছে তা বন্ধ/হ্রাস করতে ইরানের উপর অান্তর্যাতিক অবরোধ বহাল রাখতে সর্বোচ্চ লবিং চালিয়েছে অারব-অামিরাত!

ভারত পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ সামরিক শক্তি এবং ভারত- পাকিস্তান দন্দে ভারতের পক্ষে থাকবে ইরান! যেহেতু পাকিস্তান সৌদি অারবের অন্যতম অকৃত্রিম বন্ধু স্বাভাবিকভাবেই ইরান ভারতের হয়ে ইন্ধন যোগাবে!

তবে কুটনৈতিক ও কৌশলগত কারনে এসব পরিবর্তনও হয়.....!

বিগত মে মাসে ভারত (তুর্কির পর) সর্বশেষ দেশ হিসেবে ইরান হতে ⛽ তেল অামদানি বন্ধ করেছিলো এবং যার ফলে ৩২% বেশি তেল অামদানি বেড়িয়েছে সৌদি অারব হতে!

প্রকৃতপক্ষে সম্প্রতি ইরানের উপর নতুন এই অান্তর্যাতিক নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ইরান যখন হরমুজ প্রণালীতে অারব-অামিরাতের তেলবাহী জাহাজে অাক্রমণ করে অবরোধ দিয়ে রেখেছিলো তখন ভারত ইরানের অাগ্রাসনের বীরুদ্ধে তাদের নৌজাহাজ প্রেরন করে অারব তেলবাহী জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দেয়!

কুটনৈতিক সুসম্পর্ক এবং সৌদি-অামিরাত এর দৈত শক্তি চাপে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে ভারত ইরানকে সম্ভাব্য সহোযোগি জেনেও অারব তথা মুসলমানদের সাহায্যে এগিয়ে অাসে!
যদিও এতে ভারতের স্বার্থ শতভাগ ছিলো। এসব সাহায্যের জন্য ভারত তেলের অভাবে ভুগবেনা,এই অাশা!

◾অারব-অামিরাত এবং কাশ্মীরঃ

সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা অালোচিত হয়েছে তা হলো অারব-অামিরাত কেনো মোদিকে কাশ্মির ইস্যু চলাকালীন সময়েই সন্মাননা দিলো(যার উত্তর উপরে দেয়া হয়েছে) এবং কেনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারতকে চাপে ফেলছে না!

এই কথাগুলো অাসলে মুখরোচক কিন্তু ফলপ্রসূ নয় কখনও! মোদিকে কাশ্মির ইস্যুর জন্য সন্মাননা দেয়া হয়নি এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন মুসলমানদের উপর নতুন করে অারো জোরালো জুলুমের কারন হবে! 
কিন্তু এতো গভির চিন্তার দায় পরেছে কার! কারোর ঘারে দোষ চাপাতে পারলেই পুলসিরাত পার! বোকার স্বর্গে বসবাস করে বুদ্ধিজীবীর মতো কথা বলা বড়ই বেমানান!

অারব-অামিরাত অনেক অাগে থেকেই তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাশ্মীরিদের জন্য চেষ্টা করে অাসছে!

ফেব্রুয়ারিতে ওঅাইসিতে স্বাগত প্রথম কোনো অমুসলিম দেশ ছিলো ভারত যাকে " guest of honour" দিয়ে সম্মেলনে ডাকা হয়!(এটার বীরুদ্ধেও প্রোপাগাণ্ডা করা হয়েছে) 
ভারতকে ওঅাইসিতে ডাকার মূল কারন ছিলো ভারত যেনো কাশ্মীর সংকটকে সামনে রেখে একটি প্রতিবেদন পেশ করে এবং কাশ্মীর সংকট নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহন করে!

যাইহোক ভারতের ততকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ "সম্পুর্ন অভ্যন্তরিন বিষয়" অাখ্যায়িত করে ওঅাইসির এই অাহ্বান প্রত্যাক্ষান করে!

যখন একটি দেশ তাদের ভুখন্ডের কোনো ইস্যুকে "সম্পুর্ন অভ্যন্তরিন" বলে ঘোষনা দেয় এবং যেকোনো ধরনের অালোচনা প্রত্যাক্ষান করে তখন তাদের বীরুদ্ধে কোনোধরনের বেহিসেবী পদক্ষেপ মুসলমানদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ও কঠোর পরিস্থিতির অবতারণা করতে পারে! অার মুসলিম শাষকরা অান্তর্যাতিক অাইন ও বাউন্ডারি দিয়েও বাধিত!

কাশ্মীরিদের জন্য এখন বয়ানবাজি দিয়ে মাঠময়দান কে বা কারা গড়ম করে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে ঘরে বসে মজা নিচ্ছে অার সত্যিকার অর্থে কাশ্মীরিদের সহ মুসলিম বিশ্বকে কে বা কারা সাহায্য করবে এবং করছে তা সময়ই বলে দিবে! সেপর্যন্ত এসব এন্টি-অারব তথা এন্টি-মুসলমান প্রোপাগান্ডা চলতেই থাকবে!

◼ইশতিয়াক অাহমেদ

আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)<> -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothecholi.in , comming soon my best world websaite