পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি।
যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের মহান প্রভু আল্লাহ’র জন্য। যিনি নিজে মহাপবিত্র, আর পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া তিনি গ্রহণও করেন না। [সাহীহ মুসলিম, হা/১০১৫; যাকাত অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ১৯]
অজস্র দয়া ও শান্তি অবতীর্ণ হোক প্রাণপ্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর প্রতি। যিনি বলেছেন, “যা তোমাকে দেয়া হয়নি, তা দেয়া হয়েছে বলা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারণার জন্য দু’প্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধান করেছে।”
[সাহীহ বুখারী, হা/৫২১৯; সাহীহ মুসলিম, হা/২১৩০]
[সাহীহ বুখারী, হা/৫২১৯; সাহীহ মুসলিম, হা/২১৩০]
·
প্রারম্ভিকা:
লেখা, ভাব, ভাষা, চিন্তা, গবেষণা প্রভৃতি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি), যা অনুমতি ছাড়া নিজের নামে চালানো সম্পূর্ণরূপে ক্রাইম এবং অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ ও চুরি করার শামিল। এটাও এক ধরণের চৌর্যবৃত্তি বা তস্করবৃত্তি, যা শরী’আহর দৃষ্টিতে হারাম। অথচ বর্তমানে অনেকেই নির্দ্বিধায় এই গর্হিত কাজটি করে যাচ্ছেন। এমনকি অনেকে নিতান্তই অজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে এটাকে বৈধ পর্যন্ত মনে করছেন।
মনে পড়ে, এক সালাফী দাবিদার ভাই বলেছিলেন, ফেসবুকে অন্যের গবেষণালব্ধ পোস্ট অনুমতি ছাড়া কপি করা বৈধ, যেহেতু এতে দা’ওয়াতী কাজ হচ্ছে! লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ইসলামী দা’ওয়াহ কি তবে নিকৃষ্ট চৌর্যবৃত্তির মুখাপেক্ষী?! আল ‘ইয়াযু বিল্লাহ। অনেক সালাফী ভাইয়ের দ্বারাও জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে এহেন অন্যায় কাজ সঙ্ঘটিত হচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু এটা একটা আমানাত, ‘ইলমী আমানাত। প্রিয় পাঠক, বক্ষমান ছোট্ট আর্টিকেলটিতে আমরা উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ‘আলিমদের ক্বওল উল্লেখপূর্বক এই বিষয়ে কিঞ্চিত আলোচনা করার প্রয়াস পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন, পুরো বিষয়টি আপনার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনার উপর দয়া বর্ষণ করুন।
·
লেখাচুরি কী:
অন্যের লেখা বা রচনা নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার অপরাধকর্মটি আমাদের কাছে “লেখাচুরি” বা “রচনাচুরি” নামে পরিচিত। তথাপি বাংলায় একে কুম্ভিলকবৃত্তি বলা হয়। ‘আরবীতে একে “ইনতিহাল (ﺍلإﻧﺘﺤﺎﻝ)” ও ইংরেজিতে “প্লেজারিজম (Plagiarism)” বলে।
আভিধানিক অর্থে,
اِنْتِحالُ الكاتِبِ لأَفْكارِ غَيْرِهِ : أَخْذُها والادِّعاءُ بِأَنَّهُ صاحِبُها.
“কোন লেখক কর্তৃক অন্যের গবেষণা ইনতিহাল করা মানে, অন্যের চিন্তাভাবনা বা গবেষণা গ্রহণ করে এ দাবি করা যে, সে নিজেই এর প্রণেতা।” (আল মু‘জামুল গনী)
ﺍﻧﺘﺤَﻞَ ﺍﻟﺸﻲﺀ : ﺍﺩَّﻋﺎﻩ ﻟﻨﻔﺴﻪ ﻭﻫﻮ ﻟﻐﻴﺮﻩ .
ﻳﻘﺎﻝ : ﺍﻧﺘﺤﻞ ﻓﻼﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺸﻌﺮ ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺮﺃﻱ.
ﻳﻘﺎﻝ : ﺍﻧﺘﺤﻞ ﻓﻼﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺸﻌﺮ ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﺮﺃﻱ.
“সে এটা ইনতিহাল করেছে। অর্থাৎ, সে তা নিজের বলে দাবি করেছে, অথচ তা অন্যের। যেমন বলা হয়, অমুক এই কবিতাটি চুরি (ইনতিহাল) করেছে, অমুক এই মতটি চুরি (ইনতিহাল) করেছে।” (আল মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)
[দ্র.: www.almaany.com/ar/dict/ar-ar/انتحال/.]
[দ্র.: www.almaany.com/ar/dict/ar-ar/انتحال/.]
আর যে ব্যক্তি অন্যের রচনার ভাব বা ভাষা নিজের নামে চালায়, তাকে কুম্ভিল বা কুম্ভিলক বলে।
[বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; পৃষ্ঠা: ৩১৭; বাংলা একাডেমি, ঢাকা- ১০০০, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৯শে মাঘ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ/১লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ (১ম প্রকাশ)]
[বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; পৃষ্ঠা: ৩১৭; বাংলা একাডেমি, ঢাকা- ১০০০, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৯শে মাঘ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ/১লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ (১ম প্রকাশ)]
·
পারিভাষিক অর্থে,
পারিভাষিক অর্থে,
ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﺍﻟﻔﻜﺮﻳﺔ ﺃﻭ ﺍﻷﺩﺑﻴﺔ ﺃﻭ ﺍﻟﻌﻠﻤﻴﺔ ﻫﻲ ﺇﺩﻋﺎﺀ ﺷﺨﺺ ﺻﺮﺍﺣﺔ ﺃﻭ ﺿﻤﻨﻴﺎ ﺑﻜﺘﺎﺑﺔ ﻣﺎ ﻛﺘﺒﻪ ﺁﺧﺮ ﺃﻭ ﺍﻟﻨﻘﻞ ﻣﻤﺎ ﻛﺘﺒﻪ ﺁﺧﺮﻭﻥ ﻛﻠﻴﺎً ﺃﻭ ﺟﺰﺋﻴﺎً ﺑﺪﻭﻥ ﻋﺰﻭ ﺃﻭ ﺍﻋﺘﺮﺍﻑ ﻣﻨﺎﺳﺐ؛ ﺃﻱ ﺑﺎﺧﺘﺼﺎﺭ ﺍﻟﻌﺰﻭ ﺍﻟﻤﺰﻭﺭ ﺃﻭ ﺇﻋﻄﺎﺀ ﺍﻻﻧﻄﺒﺎﻉ ﺑﺄﻧﻚ ﻛﺘﺒﺖ ﻣﺎ ﻛﺘﺒﻪ ﻏﻴﺮﻙ.
ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﺍﻷﺩﺑﻴﺔ ﺃﻭ ﺍﻻﻧﺘﺤﺎﻝ ﻫﻲ "ﺗﻤﻠﻚ ﻏﻴﺮ ﺷﺮﻋﻲ" ﻭ "ﺳﺮﻗﺔ ﻭﻧﺸﺮ" ﻟﻠﻐﺔ ﺃﻭ ﺃﻓﻜﺎﺭ ﺃﻭ ﻋﺒﺎﺭﺍﺕ ﻣﺆﻟﻒ ﺁﺧﺮ، ﻭﺍﺩﻋﺎﺀ ﺑﺄﻧﻬﺎ ﻫﻲ ﻋﻤﻠﻪ ﺍﻷﺻﻠﻲ.
ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﺍﻷﺩﺑﻴﺔ ﺃﻭ ﺍﻻﻧﺘﺤﺎﻝ ﻫﻲ "ﺗﻤﻠﻚ ﻏﻴﺮ ﺷﺮﻋﻲ" ﻭ "ﺳﺮﻗﺔ ﻭﻧﺸﺮ" ﻟﻠﻐﺔ ﺃﻭ ﺃﻓﻜﺎﺭ ﺃﻭ ﻋﺒﺎﺭﺍﺕ ﻣﺆﻟﻒ ﺁﺧﺮ، ﻭﺍﺩﻋﺎﺀ ﺑﺄﻧﻬﺎ ﻫﻲ ﻋﻤﻠﻪ ﺍﻷﺻﻠﻲ.
“বুদ্ধিবৃত্তিক বা সাহিত্য-বিষয়ক বা জ্ঞানগত চৌর্যবৃত্তি হচ্ছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যের লেখা নিয়ে ব্যক্তির নিজের বলে দাবি করা। অথবা যোগসূত্র বা উপযুক্ত পরিচিতি উল্লেখ না করেই অন্যদের লেখা থেকে পূর্ণ বা আংশিকভাবে বর্ণনা করা। অথবা বানোয়াট যোগসূত্র সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা বা সে লেখা মুদ্রণের জন্য দিয়ে দেওয়া, যেন অন্য কেউ না স্বয়ং তুমিই এর লেখক।
অন্য লেখকের ভাব, ভাষা, চিন্তা বা গবেষণা অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ ও চুরি করে প্রকাশ করা এবং সেগুলোকে নিজের মৌলিক কাজ হিসেবে দাবি করার নাম হল সাহিত্যচুরি বা কুম্ভিলকবৃত্তি।”
[দ্র.: ar.m.wikipedia.org/wiki/سرقة_فكرية.]
[দ্র.: ar.m.wikipedia.org/wiki/سرقة_فكرية.]
প্লেজারিজম (Plagiarism) তথা কুম্ভিলকবৃত্তির সংঙ্গা দিতে গিয়ে উইকিপিডিয়াতে বলা হয়েছে,
“Plagiarism is the “wrongful appropriation” and “stealing and publication” of another author’s “language, thoughts, ideas, or expressions” and the representation of them as one’s own original work.”
“অন্য লেখকের ভাষা, চিন্তা, ধারণা অথবা অভিব্যক্তি অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ ও চুরি করে প্রকাশ করা এবং সেগুলোকে নিজের মৌলিক কাজ হিসেবে উপস্থাপন করার নাম হল কুম্ভিলকবৃত্তি।”
[দ্র.: en.m.wikipedia.org/wiki/Plagiarism.]
[দ্র.: en.m.wikipedia.org/wiki/Plagiarism.]
এক কথায়, অন্যের রচনা ও গবেষণার আংশিক বা পূর্ণ অংশ গ্রহণ করে তা নিজের নামে চালানোর নামই হল লেখাচুরি বা রচনাচুরি।
·
‘আলিমদের বক্তব্য:
১. আল ইমামুল ‘আল্লামাহ আবু ‘উমার ইউসুফ ইবনু ‘আব্দিল বার (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৪৬৩ হি.] বলেছেন,
«ﻳﻘﺎﻝ : ﺇﻥ ﻣﻦ ﺑﺮﻛﺔ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﺗﻀﻴﻒ ﺍﻟﺸﻲﺀ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻪ».
“বলা হয়ে থাকে, ‘ইলমের বারাকাহ (বরকত) হচ্ছে, প্রতিটি কথা তুমি তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত করবে।”
[ইমাম ইবনু ‘আব্দিল বার (রাহিমাহুল্লাহ), জামি‘উ বায়ানিল ‘ইলমি ওয়া ফাযলিহ, বাবু যিকরিদ দালীলি মিন আক্বওয়ালিস সালাফ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৮৯; অথবা দুই খণ্ড একত্রে- ৯২২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।]
[ইমাম ইবনু ‘আব্দিল বার (রাহিমাহুল্লাহ), জামি‘উ বায়ানিল ‘ইলমি ওয়া ফাযলিহ, বাবু যিকরিদ দালীলি মিন আক্বওয়ালিস সালাফ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৮৯; অথবা দুই খণ্ড একত্রে- ৯২২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।]
·
২. ইমাম আবু ‘আব্দুল্লা-হ্ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল ক্বুরত্বুবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭১ হি.] তাঁর তাফসীর গ্রন্থের ভূমিকায় বলেছেন,
২. ইমাম আবু ‘আব্দুল্লা-হ্ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল ক্বুরত্বুবী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭১ হি.] তাঁর তাফসীর গ্রন্থের ভূমিকায় বলেছেন,
«ﻭﺷﺮﻃﻲ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ : ﺇﺿﺎﻓﺔ ﺍﻷﻗﻮﺍﻝ ﺍﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻴﻬﺎ، ﻭﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻰ ﻣﺼﻨﻔﻴﻬﺎ، ﻓﺈﻧﻪ ﻳﻘﺎﻝ : ﻣﻦ ﺑﺮﻛﺔ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﻀﺎﻑ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻪ!»
“এই গ্রন্থের মধ্যে আমার অনুসৃত নীতি হল, সকল কথাকে তার কথকের দিকে এবং সকল হাদীছকে তার সঙ্কলকের দিকে সম্পৃক্ত করা। কেননা বলা হয়ে থাকে, প্রতিটি কথা তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত করাই হচ্ছে ‘ইলমের বারাকাহ (বরকত)।”
[ইমাম ক্বুরত্বুবী (রাহিমাহুল্লাহ), আর জামি‘উ লি আহ্কামিল ক্বুরআন (তাফসীরে ক্বুরত্বুবী); খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৮; মুআসসাসাতুর রিসালাহ, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪২৭ হি./২০০৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
[ইমাম ক্বুরত্বুবী (রাহিমাহুল্লাহ), আর জামি‘উ লি আহ্কামিল ক্বুরআন (তাফসীরে ক্বুরত্বুবী); খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৮; মুআসসাসাতুর রিসালাহ, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪২৭ হি./২০০৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
·
৩. ইমাম আবু যাকারিয়্যা ইয়াহ্ইয়া বিন শারফ আন নাওয়াউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেন,
৩. ইমাম আবু যাকারিয়্যা ইয়াহ্ইয়া বিন শারফ আন নাওয়াউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেন,
«ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻨﺼﻴﺤﺔ : ﺃﻥ ﺗﻀﺎﻑ ﺍﻟﻔﺎﺋﺪﺓ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﺴﺘﻐﺮﺏ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻬﺎ، ﻓﻤﻦ ﻓﻌﻞ ﺫﻟﻚ ﺑﻮﺭﻙ ﻟﻪ ﻓﻲ ﻋﻠﻤﻪ ﻭﺣﺎﻟﻪ، ﻭﻣﻦ ﺃﻭﻫﻢ ﺫﻟﻚ ﻭﺃﻭﻫﻢ ﻓﻴﻤﺎ ﻳﺄﺧﺬﻩ ﻣﻦ ﻛﻼﻡ ﻏﻴﺮﻩ ﺃﻧﻪ ﻟﻪ : ﻓﻬﻮ ﺟﺪﻳﺮ ﺃﻥ ﻻ ﻳﻨﺘﻔﻊ ﺑﻌﻠﻤﻪ، ﻭﻻ ﻳﺒﺎﺭﻙ ﻟﻪ ﻓﻲ ﺣﺎﻟﻪ، ﻭ ﻟﻢ ﻳﺰﻝ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﺍﻟﻔﻀﻞ ﻋﻠﻰ ﺇﺿﺎﻓﺔ ﺍﻟﻔﻮﺍﺋﺪ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻴﻬﺎ، نسأل الله تعالي التوفيق لذلك دائما».
“একটি গুরুত্বপূর্ণ নাসীহাহ হচ্ছে, সকল অভিনব ভাল কথাকে তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যে ব্যক্তি তা করবে, তার ‘ইলম ও অবস্থানে বারাকাহ (বরকত) দেওয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তা অস্পষ্ট ও সন্দেহপূর্ণ করবে, আর অন্যের যে কথা সে গ্রহণ করেছে সে ব্যাপারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বুঝাবে যে, এটা তারই কথা। তবে সে এ বিষয়ের উপযুক্ত হবে যে, স্বীয় ‘ইলমের দ্বারা সে উপকৃত হতে পারবে না এবং তার অবস্থানেও বারাকাহ (বরকত) দেওয়া হবে না। সম্মানিত ‘আলিমগণ সর্বদা কথাকে তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত করার (এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানের) উপরই ছিলেন। আমরা সর্বদা আল্লাহ’র কাছে এর (এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানের) তাওফীক্ব প্রার্থনা করব।”
[ইমাম নাওয়াউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ), বুসতানুল ‘আরিফীন; পৃষ্ঠা: ৪৭-৪৮; দারুল বাশাইরিল ইসলামিয়্যাহ, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪২৭ হি./২০০৬ খ্রি. (৬ষ্ঠ প্রকাশ)]
[ইমাম নাওয়াউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ), বুসতানুল ‘আরিফীন; পৃষ্ঠা: ৪৭-৪৮; দারুল বাশাইরিল ইসলামিয়্যাহ, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪২৭ হি./২০০৬ খ্রি. (৬ষ্ঠ প্রকাশ)]
·
৪. শাইখুল ইসলাম ইমাম আবুল ‘আব্বাস তাক্বিউদ্দীন আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন,
৪. শাইখুল ইসলাম ইমাম আবুল ‘আব্বাস তাক্বিউদ্দীন আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন,
«ﻭﻣﻦ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﻨﻘﻞ ﻣﻘﺎﻟﺔً ﻋﻦ ﻃﺎﺋﻔﺔ ﻓﻠﻴُﺴﻢِّ ﺍﻟﻘﺎﺋﻞ ﻭ ﺍﻟﻨﺎﻗﻞ ﻭﺇﻻ ﻓﻜﻞ ﺃﺣﺪ ﻳﻘﺪﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻜﺬﺏ».
“যে ব্যক্তি কোন গোষ্ঠীর কাছ থেকে কোন কথা বর্ণনা করে, সে যেন সেই কথার মূল কথক ও বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ করে। নতুবা পরবর্তী সকল বর্ণনাকারীই মিথ্যাবাদী হিসেবে বিবেচিত হবে।”
[ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাউয়িয়্যাহ; ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রকাশিত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫১৮; সন: ১৪০৬ হি./১৯৮৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
[ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাউয়িয়্যাহ; ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রকাশিত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫১৮; সন: ১৪০৬ হি./১৯৮৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
·
৫. ইমাম শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুর রহমান আস সাখাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৯০২ হি.] বলেন,
৫. ইমাম শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুর রহমান আস সাখাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৯০২ হি.] বলেন,
« ﺻﺢ ﻋﻦ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺍﻟﺜﻮﺭﻱ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﻣﻌﻨﺎﻩ : ﻧﺴﺒﺔ ﺍﻟﻔﺎﺋﺪﺓ ﺇﻟﻰ ﻣُﻔﻴﺪﻫﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻗﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﺷﻜﺮﻩ، ﻭﺃﻥ ﺍﻟﺴﻜﻮﺕ ﻋﻦ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻛﻔﺮﻩ ».
“সুফইয়ান আছ ছাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, কথাকে তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত করা ‘ইলমের নিপুণতা এবং কথকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে এ ব্যাপারে নীরব থাকা (তথা কথাকে তার কথকের দিকে সম্পৃক্ত না করা) ‘ইলমের ব্যাপারে মিথ্যাচারিতা এবং কথকের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্তর্ভুক্ত।”
[ইমাম সাখাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ), আল জাওয়াহিরু ওয়াদ দুরার ফী তারজামাতি শাইখিল ইসলাম ইবনি হাজার; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১৮১; দারু ইবনি হাযম, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪১৯ হি./১৯৯৯ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
[ইমাম সাখাউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ), আল জাওয়াহিরু ওয়াদ দুরার ফী তারজামাতি শাইখিল ইসলাম ইবনি হাজার; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১৮১; দারু ইবনি হাযম, বৈরুত ছাপা; সন: ১৪১৯ হি./১৯৯৯ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
→ বি.দ্র.: উপরিউক্ত ৫ টি ক্বওল “আত তাস্বফিয়াতু ওয়াত তারবিয়াতুস সালাফিয়্যাহ্” ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। দ্র.: www.tasfiatarbia.org/vb/showthread.php?t=18924। তবে রেফারেন্সগুলো আমরা মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে নিজে অ্যাড করেছি।
·
৬. যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল-ইমামুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] এর ফাতওয়া।
৬. যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল-ইমামুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] এর ফাতওয়া।
ﺍﻟﺴﺎﺋﻞ:
«ﻣﺎ ﺣﻜﻢ ﻣﻦ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﺆﻟﻔﺎﺕ ﻏﻴﺮﻩ ﻭﻳﻀﻴﻔﻬﺎ ﻟﻨﻔﺴﻪ؟»
ﺍﻟﺸﻴﺦ:
«ﻫﺬﻩ ﺃﻭ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻨﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﻧﻮﻉ ﺟﺪﻳﺪ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻟﻠﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﺍﻟﻤﺎﺿﻴﻦ ﻋﻬﺪ ﺑﻪ ، ﻭﻟﺬﻟﻚ ﻓﻴﺤﺴﻦ ﻟﻄﺎﻟﺐ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﺴﺘﻨﺒﻂ ﺣﻜﻤﻪ ، ﺣﻜﻢ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻨﻮﻉ ﻣﻦ ﻧﺼﻮﺹ ﻋﺎﻣﺔ ﻭﻗﺪ ﻳﻮﺟﺪ ﻫﻨﺎﻙ ﻧﺺ ﺃﺧﺺ ﻭﺃﻟﺼﻖ ﺑﺎﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻨﺼﻮﺹ ﺍﻟﻌﺎﻣﺔ ، ﻓﻬﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻨﻬﻰ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﻋﻠﻰ ﺃﺧﻴﻪ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ، ﻛﻤﺜﻞ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ((ﻭﻻ ﺗﻌﺘﺪﻭﺍ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻤﻌﺘﺪﻳﻦ))، ﻓﺎﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﻧﺺ ﻋﺎﻡ ﻳﺸﻤﻞ ﺃﻱ ﻧﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﺳﻮﺍﺀ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺎﻝ ، ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺮﺽ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻟﺨﻠﻖ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺃﻱ ﺷﺄﻥ ﻣﻦ ﺷﺆﻭﻥ ﺍﻟﺤﻴﺎﺓ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻤﺲ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ، ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻨﺺ ﺍﻷﻟﺼﻖ ﺑﻤﻮﺿﻮﻋﻨﺎ ﻋﻨﻴﺖ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﺑﻤﻮﻃﺄ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ ، ﻭﻓﻲ ﻏﻴﺮﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺄﻝ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻣﻦ ﻫﻮ؟ ﻓﺄﺟﺎﺑﻮﺍ ﺑﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﻌﻠﻮﻡ ﻣﻦ ﺃﻥ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﺎﻝ ﻏﻴﺮﻩ ، ﻓﺄﺟﺎﺑﻬﻢ ( ﺃﻥ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻪ ) - ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ _ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻭﻛﻴﻒ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻪ ، ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ، ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﺘﻢ ﺭﻛﻮﻋﻬﺎ ﻭﺳﺠﻮﺩﻫﺎ ،
«ﻣﺎ ﺣﻜﻢ ﻣﻦ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﺆﻟﻔﺎﺕ ﻏﻴﺮﻩ ﻭﻳﻀﻴﻔﻬﺎ ﻟﻨﻔﺴﻪ؟»
ﺍﻟﺸﻴﺦ:
«ﻫﺬﻩ ﺃﻭ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻨﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﻧﻮﻉ ﺟﺪﻳﺪ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻟﻠﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﺍﻟﻤﺎﺿﻴﻦ ﻋﻬﺪ ﺑﻪ ، ﻭﻟﺬﻟﻚ ﻓﻴﺤﺴﻦ ﻟﻄﺎﻟﺐ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﺴﺘﻨﺒﻂ ﺣﻜﻤﻪ ، ﺣﻜﻢ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻨﻮﻉ ﻣﻦ ﻧﺼﻮﺹ ﻋﺎﻣﺔ ﻭﻗﺪ ﻳﻮﺟﺪ ﻫﻨﺎﻙ ﻧﺺ ﺃﺧﺺ ﻭﺃﻟﺼﻖ ﺑﺎﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻨﺼﻮﺹ ﺍﻟﻌﺎﻣﺔ ، ﻓﻬﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻨﻬﻰ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﻋﻠﻰ ﺃﺧﻴﻪ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ، ﻛﻤﺜﻞ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ((ﻭﻻ ﺗﻌﺘﺪﻭﺍ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻤﻌﺘﺪﻳﻦ))، ﻓﺎﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﻧﺺ ﻋﺎﻡ ﻳﺸﻤﻞ ﺃﻱ ﻧﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻻﻋﺘﺪﺍﺀ ﺳﻮﺍﺀ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺎﻝ ، ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺮﺽ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺍﻟﺨﻠﻖ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺃﻱ ﺷﺄﻥ ﻣﻦ ﺷﺆﻭﻥ ﺍﻟﺤﻴﺎﺓ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻤﺲ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ، ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻨﺺ ﺍﻷﻟﺼﻖ ﺑﻤﻮﺿﻮﻋﻨﺎ ﻋﻨﻴﺖ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﺑﻤﻮﻃﺄ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ ، ﻭﻓﻲ ﻏﻴﺮﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺄﻝ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻣﻦ ﻫﻮ؟ ﻓﺄﺟﺎﺑﻮﺍ ﺑﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﻌﻠﻮﻡ ﻣﻦ ﺃﻥ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﺎﻝ ﻏﻴﺮﻩ ، ﻓﺄﺟﺎﺑﻬﻢ ( ﺃﻥ ﺍﻟﺴﺎﺭﻕ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻪ ) - ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ _ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻭﻛﻴﻒ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻪ ، ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ، ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﺘﻢ ﺭﻛﻮﻋﻬﺎ ﻭﺳﺠﻮﺩﻫﺎ ،
ﻓﻨﺄﺧﺬ ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺳّﻊ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ، ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ، ﻧﺄﺧﺬ ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺳﻊ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ، ﺍﻟﻤﻌﻨﻰ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﻣﺤﺪﻭﺩﺍ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ، ﻭﻣﺤﺼﻮﺭﺍ ﻓﻲ ﺳﺮﻗﺔ ﺍﻷﻣﻮﺭ ﺍﻟﻤﺎﺩﻳﺔ ، ﻛﺎﻷﻣﻮﺍﻝ ﻭﺍﻟﻌﻘﺎﺭﺍﺕ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ، ﻓﻠﻔﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻧﻈﺮ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﺑﺄﻥ ﻫﻨﺎﻙ ﺳﺮﻗﺔ ﺃﺧﺮﻯ ﻭﻫﻲ ﺃﺳﻮﺀ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻓﺔ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺟﻤﻴﻌﺎ ، ﺃﻻ ﻭﻫﻲ ﺳﺮﻗﺔ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﺃﺭﻛﺎﻥ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻣﻦ ﻭﺍﺟﺒﺎﺗﻬﺎ ، ﺣﻴﺚ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺭﻭﺍﻳﺎﺕ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺃﻥ ﺃﺳﻮﺃ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺴﺮﻕ ﻣﻦ ﺻﻼﺗﻪ ، ﻻ ﻳﺘﻢ ﺭﻛﻮﻋﻬﺎ ﻭﻻ ﺳﺠﻮﺩﻫﺎ ، ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻧﺴﺘﻄﻴﻊ ﺃﻥ ﻧﻔﻬﻢ ﺃﻥ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺔ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺔ ﻫﻮ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ ﻣﻦ ﺃﻥ ﻳﺄﺧﺬ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻋﻠﻢ ﻏﻴﺮﻩ ﺛﻢ ﻳﻨﺴﺒﻪ ﻟﻨﻔﺴﻪ ، ﻭﺣﺴﺒﻪ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻭﻋﻴﺪﺍ ﻗﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ( ... ﺍﻟﻤﺘﺸﺒﻊ ﺑﻤﺎ ﻟﻢ ﻳﻌﻂ ﻛﻼﺑﺲ ﺛﻮﺑﻲ ﺯﻭﺭ ) ، ﺃﻱ ﺇﻥ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺘﻈﺎﻫﺮ ﻣﺜﻼ ﺑﺄﻧﻪ ﻏﻨﻲ ، ﻛﻴﻒ ﻳﺘﻈﺎﻫﺮ ؟ ﻳﺄﺧﺬ ﺛﻮﺏ ﺍﻟﻐﻨﻲ ﺃﻭ ﺯﻳﻨﺘﻪ ﻓﻴﻠﺒﺴﻪ ﻭﻳﺘﻈﺎﻫﺮ ﺃﻣﺎﻡ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺄﻥ ﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﻛﺴﺒﻪ ﻭﻣﻦ ﻣﺎﻟﻪ ﻭﻭﺍﻗﻊ ﺍﻷﻣﺮ ﻟﻴﺲ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻬﻮ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻳﻘﻮﻝ ( ﺍﻟﻤﺘﺸﺒﻊ ﺑﻤﺎ ﻟﻢ ﻳﻌﻂ ) ﺍﻟﻤﺘﻈﺎﻫﺮ ﺑﻤﺎ ﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﻓﻬﻮ ﻛﻼﺑﺲ ﺛﻮﺑﻲ ﺯﻭﺭ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻛﻼﺑﺲ ﺛﻮﺑﻲ ﺯﻭﺭ، ﻟﻢ ﻳﻘﻞ ﻛﻼﺑﺲ ﺛﻮﺏ ﺯﻭﺭ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻛﻼﺑﺲ ﺛﻮﺑﻲ ﺯﻭﺭ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ ﺍﻟﻤﺒﺎﻟﻐﺔ ﻓﻲ ﺯﺟﺮ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺘﻌﺎﻃﻰ ﺑﻤﺎ ﻟﻴﺲ ﻟﻪ، ﻣﻦ ﺃﺟﻞ ﻫﺬﺍ ﻭﺫﺍﻙ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﻟﻠﻤﺴﻠﻢ ﺃﻥ ﻳﺄﺧﺬ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﻭﺃﻥ ﻳﻨﺴﺒﻪ ﺇﻟﻴﻪ ، ﻫﺬﺍ ﻭﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺑﺤﺜﺎ ﺃﻭ ﺗﺤﻘﻴﻘﺎ ، ﻓﻜﻴﻒ ﺑﻨﺎ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻛﺘﺎﺑﺎ ﻳﺄﺧﺬﻩ ﺑﺮﻣﺘﻪ ﺛﻢ ﻳﻨﺴﺒﻪ ﻟﻨﻔﺴﻪ، ... ﺭﺣﻤﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻣﻦ ﺑﺮﻛﺔ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻋﺰﻭ ﻛﻞ ﻗﻮﻝ ﺇﻟﻰ ﻗﺎﺋﻠﻪ ، ﻟﻬﺬﺍ ﻳﺤﺮﻡ ﺃﻥ ﻳﺴﺮﻕ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻛﺘﺎﺑﺎ ﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﺛﻢ ﻳﻌﺰﻭﻩ ﻟﻨﻔﺴﻪ ، ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻳﺤﻀﺮﻧﻲ ﺟﻮﺍﺑﺎ ﻋﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ».
প্রশ্ন: “যে ব্যক্তি অন্যের লেখা চুরি করে তা নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তার বিধান কী?”
শাইখ: “এটা চৌর্যবৃত্তির এক নব্য স্টাইল, নতুন প্রকার। বিগত মুসলিমদের মধ্যে এই বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। এ কারণে ত্বালিবুল ‘ইলমের উচিত, এর বিধান ইস্তিম্বাত্ব (উদঘাটন, উদ্ভাবন) করা। এই ধরনের চুরির বিধান ‘আম (ব্যাপক) দলিল থেকে গ্রহণ করতে হবে। বিষয়টির সাথে অধিক সংশ্লিষ্ট ও সঙ্গতিপূর্ণ দলিল রয়েছে। আর ব্যাপক দলিল তো সেগুলো, যেগুলো মুসলিমকে তার অপর মুসলিম ভাইয়ের প্রতি সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত রাখে। যেমন, আল্লাহ তা’আলা-র বাণী,
وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ.
“কিন্তু সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীকে ভালোবাসেন না।” [সূরাহ বাক্বারাহ: ১৯০]
সীমালঙ্ঘন একটি ব্যাপক দলিল, যেটা সীমালঙ্ঘন তথা বাড়াবাড়ির যে কোন প্রকারকে শামিল (অন্তর্ভুক্ত) করে। চাই তা ধনসম্পদের ক্ষেত্রে হোক, বা মানমর্যাদার ক্ষেত্রে হোক, অথবা নীতির ক্ষেত্রে হোক, বা মানবজীবনের অন্য যে কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে হোক।
আমি আমাদের বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট মুয়াত্বত্বা ইমাম মালিক ও অন্যান্য গ্রন্থে বর্ণিত একটি সুপরিচিত হাদীস বের করেছি। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন যে, চোর কে? তাঁরা (তাঁদের) জ্ঞাত বিষয়ের দ্বারাই উত্তর দিলেন যে, সে ব্যক্তিই চোর, যে অন্যের সম্পদ চুরি করে। তিনি তাঁদেরকে উত্তরে বললেন, প্রকৃত চোর তো সেই, যে কিনা তার সালাতের মধ্যে চুরি করে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহ’র রাসূল, কিভাবে সে তার সালাতে চুরি করে? তিনি বললেন, রুকূ’ সিজদাহ পূর্ণরূপে আদায় না করে (সে এ চুরি করে থাকে)।
[হাদীসটি সরাসরি এই ধরনের শব্দে বর্ণিত হয়নি। শাইখ এখানে রিওয়াইয়াত বিল মা’না (হাদীছের মূল ভাব বর্ণনা) করেছেন। মূল হাদীছটির রেফারেন্স: মুওয়াত্বত্বা ইমাম মালিক, হা/৪০৩; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) সাহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/৫৩৪; মিশকাত, হা/৮৮৬; সনদ: সাহীহ লি গাইরিহী। - অনুবাদক।]
[হাদীসটি সরাসরি এই ধরনের শব্দে বর্ণিত হয়নি। শাইখ এখানে রিওয়াইয়াত বিল মা’না (হাদীছের মূল ভাব বর্ণনা) করেছেন। মূল হাদীছটির রেফারেন্স: মুওয়াত্বত্বা ইমাম মালিক, হা/৪০৩; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) সাহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/৫৩৪; মিশকাত, হা/৮৮৬; সনদ: সাহীহ লি গাইরিহী। - অনুবাদক।]
আমরা এই হাদীছ থেকে এ বিষয়টি গ্রহণ করেছি যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুরির অর্থকে ব্যাপক ও প্রশস্ত করেছেন। (অর্থাৎ,) মানুষের নিকটে চুরির যে অর্থটি প্রসিদ্ধ এবং বস্তু জাতীয় বিষয়াদি চুরি করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ (সে অর্থটি তিনি প্রশস্ত করেছেন)। যেমনঃ ধনসম্পদ, আসবাবপত্র প্রভৃতি।
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই হাদীসে মুসলিমদের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়ে দেখিয়েছেন যে, আরো এক ধরনের চুরি আছে। এটা সমস্ত মানুষের নিকটে পরিচিত চুরির চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট ধরনের চুরি। জেনে রেখো, এটা হল স্বলাতের রুকন ও ওয়াজিবসমূহের কোন অংশ চুরি করা।
এমনকি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী এরূপ বলেছেন যে, “সবচেয়ে বড় ও নিকৃষ্ট চোর তো সেই, যে কিনা তার সালাতের মধ্যে চুরি করে। রুকূ’ সিজদাহ পূর্ণভাবে আদায় না করে (সে এ চুরি করে থাকে)।”
[মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৩৬; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সাহীহুল জামি’, হা/৯৮৬; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সাহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/৫২৪-৫২৫; মিশকাত, হা/৮৮৫; সনদ: সাহীহ]
[মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৩৬; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সাহীহুল জামি’, হা/৯৮৬; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সাহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হা/৫২৪-৫২৫; মিশকাত, হা/৮৮৫; সনদ: সাহীহ]
অত্র হাদীস থেকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে, প্রশ্নোল্লিখিত বিষয়, ‘একজন মুসলিম কর্তৃক অন্যের ‘ইলম নিয়ে তা নিজের দিকে সম্পৃক্তকরণ হারাম চুরির অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে তার জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এই কথাটিই হুঁশিয়ারি হিসেবে যথেষ্ট। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যা তোমাকে দেয়া হয়নি, তা দেয়া হয়েছে বলা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারণার জন্য দু’প্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধান করেছে।”
[সাহীহ বুখারী, হা/৫২১৯; সাহীহ মুসলিম, হা/২১৩০]
[সাহীহ বুখারী, হা/৫২১৯; সাহীহ মুসলিম, হা/২১৩০]
(অর্থাৎ,) উদাহরণস্বরূপ, কেউ ধনী হওয়ার ভান করবে। সে এটা কিভাবে করবে ? সে ধনাঢ্যতার পোশাক তথা চাকচিক্যময় পোশাক পরিধান করবে এবং লোকদের সামনে ভান করবে, যেন এটা তার স্বীয় উপার্জন ও সম্পদেরই পোশাক। বাস্তবে বিষয়টি তা নয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (যা তোমাকে দেয়া হয়নি, তা দেয়া হয়েছে বলা) যা তোমার নয়, তা দিয়ে ভান করা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারনার জন্য দু’প্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধান করেছে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘দুইপ্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধানকারীর ন্যায়’। তিনি বলেননি, ‘একপ্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধানকারীর ন্যায়’। অন্যের জিনিস দিয়ে ভানকারীকে কঠিনভাবে তিরস্কার করার জন্য ‘দুইপ্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরিধানকারীর ন্যায়’ তিনি কথাটি বলেছেন।
এ কারণে মুসলিমের জন্য কোন গ্রন্থ থেকে ‘ইলম নিয়ে তা নিজের দিকে সম্পৃক্ত করা জায়িয নয়। যদিও তা একটিমাত্র আলোচনা বা তাহক্বীক্ব হয়ে থাকে (তবুও তা নাজায়িয!)। তাহলে পুরো একটা গ্রন্থ নিয়ে তা নিজের দিকে সম্পৃক্ত করাটা কেমন হবে? সালাফগণ (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেছেন, “’ইলমের বারাকাহ (বারাকাত) হল প্রত্যেক কথার যোগসূত্র তার কথকের দিকে আরোপ করা”। এ কারণে মুসলিমের জন্য অন্যের গ্রন্থ চুরি করে তা নিজের দিকে সম্পৃক্ত করা হারাম। প্রশ্নের এই জবাবটাই আমার কাছে বিদ্যমান আছে।”
[ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ১৬ নং অডিও ক্লিপ, ১ নং প্রশ্নোত্তর; ফাতওয়াটির লেখ্যরূপ সংগৃহীত হয়েছে সাহাব ডট নেট থেকে। দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php….]
[ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ১৬ নং অডিও ক্লিপ, ১ নং প্রশ্নোত্তর; ফাতওয়াটির লেখ্যরূপ সংগৃহীত হয়েছে সাহাব ডট নেট থেকে। দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php….]
·
৭. আশ শাইখুল ‘আল্লামাহ যাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদী আল মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪৩৫ হি./২০১৪ খ্রি.] এর ফাতওয়া।
৭. আশ শাইখুল ‘আল্লামাহ যাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদী আল মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪৩৫ হি./২০১৪ খ্রি.] এর ফাতওয়া।
السؤال:
«ﺃﺣﺴﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻴﻜﻢ ﻣﺎ ﺣﻜﻢ ﻣﻦ ﻳﺄﺧﺬ ﺃﺑﺤﺎﺛﺎً ﻟﻐﻴﺮﻩ - ﻭﻗﺪ ﻳﺘﺼﺮﻑ ﻓﻴﻬﺎ ﺗﺼﺮﻓﺎً ﻳﺴﻴﺮﺍً - ﻭﻳﻨﺸﺮﻫﺎ ﺑﺎﺳﻤﻪ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻬﺎ ﻣﻦ ﺗﺄﻟﻴف ﻭﻳﺰﻋﻢ ﺃﻥ ﻫﺬﺍ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺎﺕ ﺍﻟﻌﻠﻤﻴﺔ ﻓﻜﻴﻒ ﻧﺮﺩ ﻋﻠﻴﻪ؟»
«ﺃﺣﺴﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻴﻜﻢ ﻣﺎ ﺣﻜﻢ ﻣﻦ ﻳﺄﺧﺬ ﺃﺑﺤﺎﺛﺎً ﻟﻐﻴﺮﻩ - ﻭﻗﺪ ﻳﺘﺼﺮﻑ ﻓﻴﻬﺎ ﺗﺼﺮﻓﺎً ﻳﺴﻴﺮﺍً - ﻭﻳﻨﺸﺮﻫﺎ ﺑﺎﺳﻤﻪ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻬﺎ ﻣﻦ ﺗﺄﻟﻴف ﻭﻳﺰﻋﻢ ﺃﻥ ﻫﺬﺍ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﻗﺎﺕ ﺍﻟﻌﻠﻤﻴﺔ ﻓﻜﻴﻒ ﻧﺮﺩ ﻋﻠﻴﻪ؟»
ﺍﻟﺠﻮﺍﺏ:
«ﺍﻟﺤﻘﻴﻘﺔ ﻫﺬﺍ ﺃﻣﺮ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ؛ ﻭﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻴﺎﻧﺔ ؛ ﻭﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﻨﺸﺮ ﻋﻠﻤﺎً ﺃﻭ ﻳﺮﻯ ﺑﺄﻥ ﻓﻴﻪ ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻓﻠﻴﺮﺍﺳﻞ ﻣﺆﻟﻔﻪ ﻭﻳﺴﺘﺄﺫﻥ ﻣﻨﻪ ﻭﻳﻨﺸﺮﻩ ﺑﺎﺳﻢ ﺍﻟﻤﺆﻟﻒ ﻻ ﺑﺎﺳﻤﻪ ﻫﻮ ، ﻓﻬﺬﺍ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ».
«ﺍﻟﺤﻘﻴﻘﺔ ﻫﺬﺍ ﺃﻣﺮ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ؛ ﻭﻫﺬﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻴﺎﻧﺔ ؛ ﻭﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﻨﺸﺮ ﻋﻠﻤﺎً ﺃﻭ ﻳﺮﻯ ﺑﺄﻥ ﻓﻴﻪ ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻓﻠﻴﺮﺍﺳﻞ ﻣﺆﻟﻔﻪ ﻭﻳﺴﺘﺄﺫﻥ ﻣﻨﻪ ﻭﻳﻨﺸﺮﻩ ﺑﺎﺳﻢ ﺍﻟﻤﺆﻟﻒ ﻻ ﺑﺎﺳﻤﻪ ﻫﻮ ، ﻓﻬﺬﺍ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ».
প্রশ্ন: “(হে শাইখ,) আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন। যে ব্যক্তি অন্যের লেখা নিয়ে তাতে সামান্য পরিবর্তন করে এবং তা নিজের নাম দিয়ে প্রকাশ করে, যেন সেই এর প্রণেতা। আর ধারণা করে যে, এটা ‘ইলম চুরির অন্তর্ভুক্ত না। এই ব্যক্তির বিধান কী? আর কিভাবে আমরা তাকে রদ খণ্ডন) করব?”
উত্তর: “আসলে এটা নাজায়িয বিষয়। এটা খিয়ানাহ'র (প্রতারণা) অন্তর্ভুক্ত। সে যদি কোন ‘ইলমী বিষয় প্রকাশ করার ইচ্ছা করে, যে বিষয়ের মধ্যে সে ফাইদাহ (উপকার) আছে বলে মনে করছে। তবে সে যেন লেখকের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার কাছ থেকে অনুমতি নেয়। তারপর সে যেন সেই লেখা লেখকের নামেই প্রকাশ করে, তার নিজের নামে নয়; কেননা তা নাজায়িয।”
[দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php… (শেষের দিকে দ্রষ্টব্য)]
[দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php… (শেষের দিকে দ্রষ্টব্য)]
.
শেষকথা:
লেখাচুরি ঘৃণ্য চৌর্যবৃত্তিরই একটি প্রকার। এহেন জঘন্য অপরাধকর্ম থেকে বিরত থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক। নতুবা প্রতিফল দিবসে মহান আল্লাহ আমাদের পাকড়াও করবেন। যে ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “আজ আমি তাদের মুখে সীল মোহর লাগিয়ে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে। আর তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে”। [সূরাহ ইয়াসীন: ৬৫] আল্লাহ আমাদের সকলকে এই হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকার এবং সতর্ক করার মাধ্যমে অন্যকেও বাঁচানোর তাওফীক্ব দান করুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল ‘আলামীন।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
fb.com/SunniSalafiAthari
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothecholi.in , comming soon my best world websaitefb.com/SunniSalafiAthari
0 Comments