তাফসীরঃ ফাতহুল মাজীদ
ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এই. ই.
আর. এফ)
অনুবাদ ও গবেষণা বিভাগ কর্তৃক সংকলিত।ও সম্পাদিত
সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ-আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
সম্পাদনা পরিষদঃ-
প্রফেসর এ.কে.এম শামসুল আলম
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুযযাম্মিল আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ লাকমান হুসেন
অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী |
অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ আল-মাদানী
শায়খ মুস্তফা বিন বাহারুদ্দীন সালাফী
শায়খ ড. হাফিয় রফিকুল আল-মাদানী
শায়খ মাসউদুল আলম উমরী
শায়খ মুফায়যাল হুসাইন আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ঈসা মিয়া আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ইরফান আলী আব্বাস আল-মাদানী
শায়খ হাবিবুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী |
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
পরিবেশনায়ঃ আল খাইর পাবলিকেশন্ম, নাজির বাজার, | ঢাকা।
সাম্প্রতিককালে সংকলিত অন্যতম কিছু তাফসীরের মধ্যে
তাফসীর ফাতহুল মাজীদ উল্লেখযোগ্য। এই তাফসীরটি শাইখ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান
মাদানীর তত্ত্বাবধানে সংকলন করা হয়েছে।
খণ্ড সংখ্যাঃ ৩
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৯৮ (৮২৪ + ৯৬০ + ৮১৪)
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫০ (৯০০ + ৮৫০ + ৮০০)
তাফসীর ফাতহুল মাজীদ-এর উল্লেখযোগ্য
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
০১. আরবী আয়াতের পাশাপাশি অতি সহজ - সরল বাংলা
অনুবাদ।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
সুরার নাম-আল
ইমরান_( ইমরানের পরিবার)
সুরার ধরনঃ- মাদানী। মোট আয়াত-২০০..
3:84
قُلۡ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ عَلَیۡنَا وَ مَاۤ
اُنۡزِلَ عَلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ وَ
الۡاَسۡبَاطِ وَ مَاۤ اُوۡتِیَ مُوۡسٰی وَ عِیۡسٰی وَ النَّبِیُّوۡنَ مِنۡ
رَّبِّہِمۡ ۪ لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡہُمۡ ۫ وَ نَحۡنُ لَہٗ
مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۸۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৪-৮৫ নং আয়াতের তাফসীর:
৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সকল নাবীর নিকট থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাদের কাছে যখনই কোন নাবী আগমন করবে তারা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বীকৃতি নিচ্ছেন যে, বল, আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমার প্রতি ও পূর্ববর্তী সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনলাম এবং এ ঈমানে কোন পার্থক্য করিনি। অতএব সকল নাবী ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর কোনরূপ পার্থক্য ছাড়াই ঈমান আনতে হবে।
যে দীনসহ নাবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, সে দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন অন্বেষণকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে তথা আত্মসমর্পণ করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায় (মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন)।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّالْمَلٰ۬ئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ)
“আল্লাহকেই সিজদাহ করে যত জীবজন্তু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং পৃথিবীতে, অনুরূপ ফেরেশতাগণও, তারা অহংকার করে না।” (সূরা নাহল ১৬:৪৯)
সুতরাং তোমরা মানব জাতি কেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না? বরং তোমাদের সকলের উচিত সবকিছুর মত আমার কাছে আত্মসমর্পণ করা।
الْأَسْبٰطِ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের বারটি গোত্র যারা ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ছিল। এরা ছিল ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বারোটি পুত্রের সন্তান।
উল্লেখ্য যে, আয়াতে ইসমাঈল (আঃ)-এর পরে ইসহাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসহাক (আঃ) ইসমাঈল (আঃ) থেকে বয়সে ছোট, সূরা সফফাতে বর্ণিত কুরবানীর ঘটনা ইসমাঈল (আঃ)-এর সাথে জড়িত, ইসহাকের সাথে নয়।
দীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম মেনে চললে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা গৃহীত হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামতের দিন আমলনামা আগমন করবে। সালাত এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমি সালাত। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল জিনিস। সাদাকা এসে বলবে, হে প্রভু আমি সাদাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর সিয়াম এসে বলবে: হে প্রভু! আমি সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। এভাবে সব আমল আসবে। প্রত্যেকের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর ইসলাম আসবে এবং বলবে, হে প্রভু তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তুমি ভাল। আজ তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই পুরস্কৃত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْھُﺆ وَھُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে তার কিছুই কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫) (মুসনাদ আহমাদ হা: ৮৭২৭, সহীহ)
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মেনে চলার সাথে সাথে অন্যান্য সকল ধর্ম অস্বীকার করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে একজন প্রকৃত আত্মসমর্পণকারী হওয়া সম্ভব এবং এতেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ও মতবাদ আল্লাহ তা‘আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
২. আকাশ-জমিন ও তার মাঝে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী।
৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সকল নাবীর নিকট থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাদের কাছে যখনই কোন নাবী আগমন করবে তারা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বীকৃতি নিচ্ছেন যে, বল, আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমার প্রতি ও পূর্ববর্তী সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনলাম এবং এ ঈমানে কোন পার্থক্য করিনি। অতএব সকল নাবী ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর কোনরূপ পার্থক্য ছাড়াই ঈমান আনতে হবে।
যে দীনসহ নাবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, সে দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন অন্বেষণকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে তথা আত্মসমর্পণ করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায় (মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন)।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّالْمَلٰ۬ئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ)
“আল্লাহকেই সিজদাহ করে যত জীবজন্তু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং পৃথিবীতে, অনুরূপ ফেরেশতাগণও, তারা অহংকার করে না।” (সূরা নাহল ১৬:৪৯)
সুতরাং তোমরা মানব জাতি কেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না? বরং তোমাদের সকলের উচিত সবকিছুর মত আমার কাছে আত্মসমর্পণ করা।
الْأَسْبٰطِ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের বারটি গোত্র যারা ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ছিল। এরা ছিল ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বারোটি পুত্রের সন্তান।
উল্লেখ্য যে, আয়াতে ইসমাঈল (আঃ)-এর পরে ইসহাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসহাক (আঃ) ইসমাঈল (আঃ) থেকে বয়সে ছোট, সূরা সফফাতে বর্ণিত কুরবানীর ঘটনা ইসমাঈল (আঃ)-এর সাথে জড়িত, ইসহাকের সাথে নয়।
দীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম মেনে চললে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা গৃহীত হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামতের দিন আমলনামা আগমন করবে। সালাত এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমি সালাত। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল জিনিস। সাদাকা এসে বলবে, হে প্রভু আমি সাদাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর সিয়াম এসে বলবে: হে প্রভু! আমি সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। এভাবে সব আমল আসবে। প্রত্যেকের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর ইসলাম আসবে এবং বলবে, হে প্রভু তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তুমি ভাল। আজ তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই পুরস্কৃত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْھُﺆ وَھُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে তার কিছুই কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫) (মুসনাদ আহমাদ হা: ৮৭২৭, সহীহ)
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মেনে চলার সাথে সাথে অন্যান্য সকল ধর্ম অস্বীকার করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে একজন প্রকৃত আত্মসমর্পণকারী হওয়া সম্ভব এবং এতেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ও মতবাদ আল্লাহ তা‘আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
২. আকাশ-জমিন ও তার মাঝে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী।
3:85
وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ
مِنۡہُ ۚ وَ ہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۸۵﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৪-৮৫ নং আয়াতের তাফসীর:
৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সকল নাবীর নিকট থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাদের কাছে যখনই কোন নাবী আগমন করবে তারা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বীকৃতি নিচ্ছেন যে, বল, আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমার প্রতি ও পূর্ববর্তী সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনলাম এবং এ ঈমানে কোন পার্থক্য করিনি। অতএব সকল নাবী ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর কোনরূপ পার্থক্য ছাড়াই ঈমান আনতে হবে।
যে দীনসহ নাবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, সে দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন অন্বেষণকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে তথা আত্মসমর্পণ করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায় (মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন)।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّالْمَلٰ۬ئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ)
“আল্লাহকেই সিজদাহ করে যত জীবজন্তু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং পৃথিবীতে, অনুরূপ ফেরেশতাগণও, তারা অহংকার করে না।” (সূরা নাহল ১৬:৪৯)
সুতরাং তোমরা মানব জাতি কেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না? বরং তোমাদের সকলের উচিত সবকিছুর মত আমার কাছে আত্মসমর্পণ করা।
الْأَسْبٰطِ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের বারটি গোত্র যারা ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ছিল। এরা ছিল ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বারোটি পুত্রের সন্তান।
উল্লেখ্য যে, আয়াতে ইসমাঈল (আঃ)-এর পরে ইসহাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসহাক (আঃ) ইসমাঈল (আঃ) থেকে বয়সে ছোট, সূরা সফফাতে বর্ণিত কুরবানীর ঘটনা ইসমাঈল (আঃ)-এর সাথে জড়িত, ইসহাকের সাথে নয়।
দীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম মেনে চললে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা গৃহীত হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামতের দিন আমলনামা আগমন করবে। সালাত এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমি সালাত। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল জিনিস। সাদাকা এসে বলবে, হে প্রভু আমি সাদাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর সিয়াম এসে বলবে: হে প্রভু! আমি সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। এভাবে সব আমল আসবে। প্রত্যেকের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর ইসলাম আসবে এবং বলবে, হে প্রভু তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তুমি ভাল। আজ তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই পুরস্কৃত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْھُﺆ وَھُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে তার কিছুই কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫) (মুসনাদ আহমাদ হা: ৮৭২৭, সহীহ)
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মেনে চলার সাথে সাথে অন্যান্য সকল ধর্ম অস্বীকার করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে একজন প্রকৃত আত্মসমর্পণকারী হওয়া সম্ভব এবং এতেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ও মতবাদ আল্লাহ তা‘আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
২. আকাশ-জমিন ও তার মাঝে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী।
৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সকল নাবীর নিকট থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাদের কাছে যখনই কোন নাবী আগমন করবে তারা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বীকৃতি নিচ্ছেন যে, বল, আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমার প্রতি ও পূর্ববর্তী সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনলাম এবং এ ঈমানে কোন পার্থক্য করিনি। অতএব সকল নাবী ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর কোনরূপ পার্থক্য ছাড়াই ঈমান আনতে হবে।
যে দীনসহ নাবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, সে দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন অন্বেষণকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে তথা আত্মসমর্পণ করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায় (মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন)।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّالْمَلٰ۬ئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ)
“আল্লাহকেই সিজদাহ করে যত জীবজন্তু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং পৃথিবীতে, অনুরূপ ফেরেশতাগণও, তারা অহংকার করে না।” (সূরা নাহল ১৬:৪৯)
সুতরাং তোমরা মানব জাতি কেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না? বরং তোমাদের সকলের উচিত সবকিছুর মত আমার কাছে আত্মসমর্পণ করা।
الْأَسْبٰطِ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের বারটি গোত্র যারা ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ছিল। এরা ছিল ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বারোটি পুত্রের সন্তান।
উল্লেখ্য যে, আয়াতে ইসমাঈল (আঃ)-এর পরে ইসহাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসহাক (আঃ) ইসমাঈল (আঃ) থেকে বয়সে ছোট, সূরা সফফাতে বর্ণিত কুরবানীর ঘটনা ইসমাঈল (আঃ)-এর সাথে জড়িত, ইসহাকের সাথে নয়।
দীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম মেনে চললে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা গৃহীত হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামতের দিন আমলনামা আগমন করবে। সালাত এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমি সালাত। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল জিনিস। সাদাকা এসে বলবে, হে প্রভু আমি সাদাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর সিয়াম এসে বলবে: হে প্রভু! আমি সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। এভাবে সব আমল আসবে। প্রত্যেকের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর ইসলাম আসবে এবং বলবে, হে প্রভু তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তুমি ভাল। আজ তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই পুরস্কৃত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْھُﺆ وَھُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে তার কিছুই কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫) (মুসনাদ আহমাদ হা: ৮৭২৭, সহীহ)
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মেনে চলার সাথে সাথে অন্যান্য সকল ধর্ম অস্বীকার করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে একজন প্রকৃত আত্মসমর্পণকারী হওয়া সম্ভব এবং এতেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ও মতবাদ আল্লাহ তা‘আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
২. আকাশ-জমিন ও তার মাঝে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী।
3:86
کَیۡفَ یَہۡدِی اللّٰہُ قَوۡمًا کَفَرُوۡا بَعۡدَ اِیۡمَانِہِمۡ وَ
شَہِدُوۡۤا اَنَّ الرَّسُوۡلَ حَقٌّ وَّ جَآءَہُمُ الۡبَیِّنٰتُ ؕ وَ اللّٰہُ لَا
یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۸۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৬-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
3:87
اُولٰٓئِکَ جَزَآؤُہُمۡ اَنَّ عَلَیۡہِمۡ لَعۡنَۃَ اللّٰہِ وَ
الۡمَلٰٓئِکَۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۸۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৬-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
3:88
خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ لَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمُ الۡعَذَابُ وَ لَا
ہُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿ۙ۸۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৬-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
3:89
اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ وَ اَصۡلَحُوۡا ۟
فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۸۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮৬-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন আনসার ধর্ম ত্যাগ করে মুশরিকদের সাথে মিলিত হয়ে যায়। অতঃপর অনুশোচনা করে স্বগোত্রীয় লোকেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রেরণ করে, যাতে তারা জিজ্ঞাসা করে তার জন্য কোন তাওবার সুযোগ আছে কিনা? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(كَيْفَ يَهْدِي اللّٰهُ قَوْمًا كَفَرُوْا بَعْدَ إِيْمَانِهِمْ.... )
(নাসাঈ হা: ৪০৬৮, সহীহ)
আলোচ্য আয়াতগুলোতে ধর্মত্যাগী মুরতাদের পরকালীন বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করার পর স্বজ্ঞানে সেচ্ছায় ইসলাম ত্যাগ করে তারাই মুরতাদ, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দেন না। তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তারা জাহান্নামে যাবে, তথায় তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না। কারণ তারা উত্তম জিনিস গ্রহণ করার পর তা বর্জন করেছে।
তবে যারা সঠিক তাওবাহ করে নিজের আমল সংশোধন করে নেবে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুরতাদদের দুনিয়ার শাস্তি ছাড়াও আখিরাতে তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
২. মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর তাকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে বলা হবেন যদি ফিরে আসে তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।
৩. পাপের গভীরে চলে গেলে মানুষ তাওবাহ করতে পারে না।
3:90
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بَعۡدَ اِیۡمَانِہِمۡ ثُمَّ
ازۡدَادُوۡا کُفۡرًا لَّنۡ تُقۡبَلَ تَوۡبَتُہُمۡ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ
الضَّآلُّوۡنَ ﴿۹۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯০-৯১ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হবার পর তাওবাহ করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর ওপর মারা গেছে।
(لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ)
“তাদের তাওবাহ কখনো কবূল করা হবে না” এটা হল সেই তাওবাহ যা মৃত্যু উপস্থিত হলে করা হয়। মৃত্যুর সময় তাওবাহ করলে তা কবূল করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِﺆ حثج اِذَا حَضَرَ اَحَدَھُمُ الْمَوْتُ)
“আর তাদের জন্য কোন তাওবাহ কবূল করা হয় না যারা পাপ কাজ করতেই থাকে এমনকি তাদের কারো নিকট যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়।” (সূরা নিসা ৪:১৮)
আর যারা কাফের অবস্থায় মারা যাবে তাদের থেকে কোন প্রকার বিনিময় গ্রহণ করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হবে না, বিনিময় যত বড়ই হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ اَنَّ لَھُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّمِثْلَھ۫ مَعَھ۫ لِیَفْتَدُوْا بِھ۪ مِنْ عَذَابِ یَوْمِ الْقِیٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْھُمْﺆ وَلَھُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থাকে এবং তার সাথে আর সমপরিমাণ থাকে আর এগুলোর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন শাস্তি থেকে রেহাই পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবূল করা হবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩৬)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলা একজন জাহান্নামীকে বলবেন: যদি তোমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার বিনিময়ে সে সমস্ত স্বর্ণ কি তুমি দিতে পছন্দ করবে? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি তো দুনিয়ায় এর থেকেও সহজ জিনিস তোমার কাছে চেয়েছিলাম। তা হল একমাত্র আমার ইবাদত করবে আর আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি শির্ক থেকে বিরত থাকনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৩৪)
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, কাফিরদেরকে জাহান্নামে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে হবে। সে দুনিয়াতে কোন ভাল কাজ করে থাকলেও কুফরীর কারণে সে ভাল কাজ বরবাদ হয়ে যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুমূর্ষু অবস্থায় তাওবাহ কবূল করা হবে না।
২. কিয়ামতের দিন পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েও জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
এ আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হবার পর তাওবাহ করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর ওপর মারা গেছে।
(لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ)
“তাদের তাওবাহ কখনো কবূল করা হবে না” এটা হল সেই তাওবাহ যা মৃত্যু উপস্থিত হলে করা হয়। মৃত্যুর সময় তাওবাহ করলে তা কবূল করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِﺆ حثج اِذَا حَضَرَ اَحَدَھُمُ الْمَوْتُ)
“আর তাদের জন্য কোন তাওবাহ কবূল করা হয় না যারা পাপ কাজ করতেই থাকে এমনকি তাদের কারো নিকট যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়।” (সূরা নিসা ৪:১৮)
আর যারা কাফের অবস্থায় মারা যাবে তাদের থেকে কোন প্রকার বিনিময় গ্রহণ করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হবে না, বিনিময় যত বড়ই হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ اَنَّ لَھُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّمِثْلَھ۫ مَعَھ۫ لِیَفْتَدُوْا بِھ۪ مِنْ عَذَابِ یَوْمِ الْقِیٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْھُمْﺆ وَلَھُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থাকে এবং তার সাথে আর সমপরিমাণ থাকে আর এগুলোর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন শাস্তি থেকে রেহাই পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবূল করা হবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩৬)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলা একজন জাহান্নামীকে বলবেন: যদি তোমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার বিনিময়ে সে সমস্ত স্বর্ণ কি তুমি দিতে পছন্দ করবে? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি তো দুনিয়ায় এর থেকেও সহজ জিনিস তোমার কাছে চেয়েছিলাম। তা হল একমাত্র আমার ইবাদত করবে আর আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি শির্ক থেকে বিরত থাকনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৩৪)
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, কাফিরদেরকে জাহান্নামে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে হবে। সে দুনিয়াতে কোন ভাল কাজ করে থাকলেও কুফরীর কারণে সে ভাল কাজ বরবাদ হয়ে যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুমূর্ষু অবস্থায় তাওবাহ কবূল করা হবে না।
২. কিয়ামতের দিন পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েও জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
3:91
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ مَاتُوۡا وَ ہُمۡ کُفَّارٌ فَلَنۡ
یُّقۡبَلَ مِنۡ اَحَدِہِمۡ مِّلۡءُ الۡاَرۡضِ ذَہَبًا وَّلَوِ افۡتَدٰی بِہٖ ؕ
اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ وَّ مَا لَہُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ﴿٪۹۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯০-৯১ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হবার পর তাওবাহ করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর ওপর মারা গেছে।
(لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ)
“তাদের তাওবাহ কখনো কবূল করা হবে না” এটা হল সেই তাওবাহ যা মৃত্যু উপস্থিত হলে করা হয়। মৃত্যুর সময় তাওবাহ করলে তা কবূল করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِﺆ حثج اِذَا حَضَرَ اَحَدَھُمُ الْمَوْتُ)
“আর তাদের জন্য কোন তাওবাহ কবূল করা হয় না যারা পাপ কাজ করতেই থাকে এমনকি তাদের কারো নিকট যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়।” (সূরা নিসা ৪:১৮)
আর যারা কাফের অবস্থায় মারা যাবে তাদের থেকে কোন প্রকার বিনিময় গ্রহণ করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হবে না, বিনিময় যত বড়ই হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ اَنَّ لَھُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّمِثْلَھ۫ مَعَھ۫ لِیَفْتَدُوْا بِھ۪ مِنْ عَذَابِ یَوْمِ الْقِیٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْھُمْﺆ وَلَھُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থাকে এবং তার সাথে আর সমপরিমাণ থাকে আর এগুলোর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন শাস্তি থেকে রেহাই পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবূল করা হবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩৬)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলা একজন জাহান্নামীকে বলবেন: যদি তোমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার বিনিময়ে সে সমস্ত স্বর্ণ কি তুমি দিতে পছন্দ করবে? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি তো দুনিয়ায় এর থেকেও সহজ জিনিস তোমার কাছে চেয়েছিলাম। তা হল একমাত্র আমার ইবাদত করবে আর আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি শির্ক থেকে বিরত থাকনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৩৪)
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, কাফিরদেরকে জাহান্নামে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে হবে। সে দুনিয়াতে কোন ভাল কাজ করে থাকলেও কুফরীর কারণে সে ভাল কাজ বরবাদ হয়ে যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুমূর্ষু অবস্থায় তাওবাহ কবূল করা হবে না।
২. কিয়ামতের দিন পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েও জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
এ আয়াতে তাদের শাস্তির কথা বলা হচ্ছে, যারা মুরতাদ হবার পর তাওবাহ করার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কুফরীর ওপর মারা গেছে।
(لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ)
“তাদের তাওবাহ কখনো কবূল করা হবে না” এটা হল সেই তাওবাহ যা মৃত্যু উপস্থিত হলে করা হয়। মৃত্যুর সময় তাওবাহ করলে তা কবূল করা হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِﺆ حثج اِذَا حَضَرَ اَحَدَھُمُ الْمَوْتُ)
“আর তাদের জন্য কোন তাওবাহ কবূল করা হয় না যারা পাপ কাজ করতেই থাকে এমনকি তাদের কারো নিকট যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়।” (সূরা নিসা ৪:১৮)
আর যারা কাফের অবস্থায় মারা যাবে তাদের থেকে কোন প্রকার বিনিময় গ্রহণ করে শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হবে না, বিনিময় যত বড়ই হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اِنَّ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لَوْ اَنَّ لَھُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا وَّمِثْلَھ۫ مَعَھ۫ لِیَفْتَدُوْا بِھ۪ مِنْ عَذَابِ یَوْمِ الْقِیٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْھُمْﺆ وَلَھُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ)
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থাকে এবং তার সাথে আর সমপরিমাণ থাকে আর এগুলোর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন শাস্তি থেকে রেহাই পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবূল করা হবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৩৬)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলা একজন জাহান্নামীকে বলবেন: যদি তোমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ থাকে, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার বিনিময়ে সে সমস্ত স্বর্ণ কি তুমি দিতে পছন্দ করবে? সে বলবে, হ্যাঁ। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: আমি তো দুনিয়ায় এর থেকেও সহজ জিনিস তোমার কাছে চেয়েছিলাম। তা হল একমাত্র আমার ইবাদত করবে আর আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি শির্ক থেকে বিরত থাকনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৩৪)
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, কাফিরদেরকে জাহান্নামে চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে হবে। সে দুনিয়াতে কোন ভাল কাজ করে থাকলেও কুফরীর কারণে সে ভাল কাজ বরবাদ হয়ে যাবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুমূর্ষু অবস্থায় তাওবাহ কবূল করা হবে না।
২. কিয়ামতের দিন পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েও জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
3:92
لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ ۬ؕ
وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ عَلِیۡمٌ ﴿۹۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯২ নং আয়াতের তাফসীর:
الْبِرَّ ‘নেকী’ এখানে নেকী বলতে প্রতিদান বা জান্নাত বুঝানো হয়েছে। হাদীসে এসেছে যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন সাহাবী আবূ তালহা আনসারী (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “তোমরা কোনই নেকী পাবে না যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে খরচ কর।” ‘বাইরুহা’ বাগানটি হল আমার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় বস্তু। সেটাকে আমি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সদাকা করলাম, আপনি যেখানে ইচ্ছা তা ব্যয় করুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: সে তো বড়ই উপকারী সম্পদ, এ কথা দু’বার বললেন। আমার মনে হয় ওটাকে তুমি তোমার আত্মীয়দের মাঝে বণ্টন করে দাও। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সেটাকে স্বীয় আত্মীয়-স্বজন এবং চাচাতো ভাইদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। (সহীহ বুখারী হা: ১৪৬১
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার পথে পছন্দনীয় ও প্রিয় জিনিস ব্যয় করতে হবে। তাই বলে সব সম্পদ ব্যয় করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি; বরং তা থেকে কিয়দাংশ ব্যয় করতে বলা হয়েছে। সদাকা করলে ভাল জিনিসই করা উচিত। কারণ আমি নিজের জন্য যা পছন্দ করি তা অপরের জন্যও পছন্দ করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْآ أَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّآ أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْأَرْضِ ص وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ وَلَسْتُمْ بِاٰخِذِيْهِ إِلَّآ أَنْ تُغْمِضُوْا فِيْهِ)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন করেছ এবং আমি জমিন থেকে যা উৎপন্ন করি তার মধ্য হতে পবিত্র জিনিস দান কর। আর তোমরা খারাপ জিনিস দান করার ইচ্ছা কর না। কেননা চোখ বন্ধ না করে তোমরা নিজেরাই তো সেটা গ্রহণ করবে না।” (সূরা বাকারাহ ২:২৬৭)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের কেউ নিজের জন্য যা পছন্দ করে তা অপর ভাইয়ের জন্য পছন্দ না করা পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না। (সহীহ বুখারী হা: ১৩, সহীহ মুসলিম হা: ৪৫)
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ২৬৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার পথে ভাল জিনিস দান করতে হবে। নিজের যা অপছন্দ তা দান করা উচিত নয়।
২. নিজের জন্য যা পছন্দনীয় তা অপরের জন্যও পছন্দ করা ঈমানের অঙ্গ।
الْبِرَّ ‘নেকী’ এখানে নেকী বলতে প্রতিদান বা জান্নাত বুঝানো হয়েছে। হাদীসে এসেছে যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন সাহাবী আবূ তালহা আনসারী (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “তোমরা কোনই নেকী পাবে না যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে খরচ কর।” ‘বাইরুহা’ বাগানটি হল আমার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় বস্তু। সেটাকে আমি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সদাকা করলাম, আপনি যেখানে ইচ্ছা তা ব্যয় করুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: সে তো বড়ই উপকারী সম্পদ, এ কথা দু’বার বললেন। আমার মনে হয় ওটাকে তুমি তোমার আত্মীয়দের মাঝে বণ্টন করে দাও। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সেটাকে স্বীয় আত্মীয়-স্বজন এবং চাচাতো ভাইদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। (সহীহ বুখারী হা: ১৪৬১
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার পথে পছন্দনীয় ও প্রিয় জিনিস ব্যয় করতে হবে। তাই বলে সব সম্পদ ব্যয় করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি; বরং তা থেকে কিয়দাংশ ব্যয় করতে বলা হয়েছে। সদাকা করলে ভাল জিনিসই করা উচিত। কারণ আমি নিজের জন্য যা পছন্দ করি তা অপরের জন্যও পছন্দ করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْآ أَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّآ أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْأَرْضِ ص وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ وَلَسْتُمْ بِاٰخِذِيْهِ إِلَّآ أَنْ تُغْمِضُوْا فِيْهِ)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন করেছ এবং আমি জমিন থেকে যা উৎপন্ন করি তার মধ্য হতে পবিত্র জিনিস দান কর। আর তোমরা খারাপ জিনিস দান করার ইচ্ছা কর না। কেননা চোখ বন্ধ না করে তোমরা নিজেরাই তো সেটা গ্রহণ করবে না।” (সূরা বাকারাহ ২:২৬৭)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের কেউ নিজের জন্য যা পছন্দ করে তা অপর ভাইয়ের জন্য পছন্দ না করা পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না। (সহীহ বুখারী হা: ১৩, সহীহ মুসলিম হা: ৪৫)
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ২৬৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার পথে ভাল জিনিস দান করতে হবে। নিজের যা অপছন্দ তা দান করা উচিত নয়।
২. নিজের জন্য যা পছন্দনীয় তা অপরের জন্যও পছন্দ করা ঈমানের অঙ্গ।
3:93
کُلُّ الطَّعَامِ کَانَ حِلًّا لِّبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِلَّا
مَا حَرَّمَ اِسۡرَآءِیۡلُ عَلٰی نَفۡسِہٖ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ تُنَزَّلَ
التَّوۡرٰىۃُ ؕ قُلۡ فَاۡتُوۡا بِالتَّوۡرٰىۃِ فَاتۡلُوۡہَاۤ اِنۡ کُنۡتُمۡ
صٰدِقِیۡنَ ﴿۹۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৩-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
3:94
فَمَنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ
فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۹۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৩-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
3:95
قُلۡ صَدَقَ اللّٰہُ ۟ فَاتَّبِعُوۡا مِلَّۃَ اِبۡرٰہِیۡمَ
حَنِیۡفًا ؕ وَ مَا کَانَ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۹۵﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৩-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
আলোচ্য আয়াতগুলো ইয়াহূদীদের অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য অবতীর্ণ হয়। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আপনি ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করেন আর উটের গোশত খান, অথচ ইবরাহীমের দীনে উটের গোশত এবং তার দুধ হারাম ছিল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ইয়াহূদীদের এ অভিযোগ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। কারণ ইবরাহীমের দীনে এ জিনিসগুলো হারাম ছিল না। তবে ইয়া‘কূব (আঃ) নিজের ওপর কিছু জিনিস হারাম করে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের গোশত ও দুধ ছিল। এটা ছিল তার মানত বা রোগের কারণে। ইয়া‘কূব (আঃ)-এর এ কাজ ছিল তাওরাত নাযিলের পূর্বে। তাওরাত ইবরাহীম ও ইয়া‘কূবের অনেক পরে অবতীর্ণ হয়। তাছাড়া তাওরাতে কিছু জিনিস হারাম করা হয়েছে তাদের জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে। (দ্রষ্টব্য: সূরা আনআম ৬:৪৬ এবং সূরা নিসা ৪:১৬০)
(قُلْ فَأْتُوْا بِالتَّوْرٰةِ)
“তোমরা তাওরাত নিয়ে আস” ইমাম বুখারী (রহঃ) এ আয়াতের তাফসীরে একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, ইয়াহূদীরা তাদের মধ্য থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আসল যারা ব্যভিচার করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যারা তোমাদের মধ্যে ব্যভিচার করত তাদেরকে কী করতে? তারা বলল, আমরা ব্যভিচারী দু’জনকে প্রহার করতাম অতঃপর কালি মাখিয়ে ছেড়ে দিতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমরা কি তাওরাতে রজমের কথা পাওনি? তারা বলল: আমরা এরূপ কিছুই পাইনি। আবদুল্লাহ বিন সালাম বললেন: তোমরা মিথ্যা বলছ। তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো এবং তেলাওয়াত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৬)
ইয়াহূদীরা তাদের ধর্মের বিধি-বিধান বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত কতকগুলো বিধান তৈরি করে নিয়েছিল। প্রকৃত বিধান জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করত আর নিজেদের তৈরি করা বিধান আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যারোপ করে তারা যালিম।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের দাবি মিথ্যা। ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য উটের গোশত ও দুধ হারাম ছিল না।
২. ইয়াহূদীরা হিংসুক-বিদ্বেষী, যার কারণে তারা বারবার এরূপ অভিযোগ এনেছে।
৩. না জেনে আল্লাহ তা‘আলার দিকে কোন কথার সম্পর্ক করা হারাম।
3:96
اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ
مُبٰرَکًا وَّ ہُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۚ۹۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৬-৯৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এটা হল ইয়াহূদীদের দ্বিতীয় অভিযোগের উত্তর। তারা বলত, বায়তুল মুকাদ্দাস প্রথম নির্মিত ইবাদতখানা। দীর্ঘ ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করে এখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর অনুসারীরা নিজেদের কেবলা কেন পরিবর্তন করে নিল? এর উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা দিচ্ছেন- তাদের এ দাবি ভুল। ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। তাতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ ১. মাকামে ইবরাহীম, যে পাথরে দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আঃ) কাবা নির্মাণ করেছিলেন। ২. যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ থাকবে অর্থাৎ জান ও মালের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার নিরাপত্তা পাবে ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ)
“তারা কি দেখে না আমি ‘হারাম'কে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ তার চতুষ্পার্শ্বে যেসব মানুষ আছে, তাদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয় (হামলা করা হয়)।” (আনকাবুত ২৯:৬৭) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلْیَعْبُدُوْا رَبَّ ھٰذَا الْبَیْتِﭒﺫ الَّذِیْٓ اَطْعَمَھُمْ مِّنْ جُوْعٍﺃ وَّاٰمَنَھُمْ مِّنْ خَوْفٍ)
“অতএব তাদেরকে এ ঘরের প্রতিপালকেরই ইবাদত করা উচিত। যিনি ক্ষুধায় তাদের খাবার দান করেছেন এবং তাদেরকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।” (সূরা কুরাইশ ১০৬:৩-৪)
(وَلِلّٰهِ عَلَي النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ)
এ আয়াত দ্বারা হাজ্জ ফরয হয়। আর হাজ্জ জীবনে একবার মাত্র ফরয। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জ কি প্রতি বছর করতে হবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি বলতাম হ্যাঁ, তা হলে ওয়াজিব হয়ে যেত। আর যদি ওয়াজিব হয়ে যেত তাহলে তোমরা আদায় করতে সক্ষম হতে না। আর যদি আদায় করতে সক্ষম না হতে তাহলে তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হত। (ইবনে মাযাহ হা: ২৮৮৫, সহীহ)
سبيل যাতায়াতের পথ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! سبيل কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
“الزاد و الراحلة”
পাথেয় ও বাহন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৮, হাকিম: ১/৪৪২, সহীহ)
وَمَنْ كَفَرَ
যে ব্যক্তি হাজ্জ ফরয হওয়াকে অস্বীকার করবে সে যেন জেনে রাখে আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি একজন অধিক আল্লাহভীরু বান্দার অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি সবচেয়ে নিকৃষ্ট একজন পাপী ব্যক্তির অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭৭)
সুতরাং আমরা সবাই ভাল হয়ে গেলে আল্লাহ তা‘আলার কোন উপকার হবে তা নয় এবং সবাই খারাপ হয়ে গেলেও আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে তা নয়; বরং আমরা ভাল হলে আমাদেরই ভাল হবে আর আমরা খারাপ হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীতে ইবাদতের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। এটা বরকতময় ও নিদর্শনসম্বলিত।
২. যে ব্যক্তির ওপর হাজ্জ ফরয হয়েছে তার ওপর তাড়াতাড়ি হাজ্জ পালন করা উচিত, কারণ কারো জানা নেই কখন মৃত্যু আসবে।
৩. যারা হাজ্জ অস্বীকার করবে তারা কাফির হয়ে যাবে, আর যারা অবহেলাবশত আদায় করবে না তারা শাস্তি ভোগ করবে।
এটা হল ইয়াহূদীদের দ্বিতীয় অভিযোগের উত্তর। তারা বলত, বায়তুল মুকাদ্দাস প্রথম নির্মিত ইবাদতখানা। দীর্ঘ ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করে এখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর অনুসারীরা নিজেদের কেবলা কেন পরিবর্তন করে নিল? এর উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা দিচ্ছেন- তাদের এ দাবি ভুল। ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। তাতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ ১. মাকামে ইবরাহীম, যে পাথরে দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আঃ) কাবা নির্মাণ করেছিলেন। ২. যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ থাকবে অর্থাৎ জান ও মালের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার নিরাপত্তা পাবে ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ)
“তারা কি দেখে না আমি ‘হারাম'কে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ তার চতুষ্পার্শ্বে যেসব মানুষ আছে, তাদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয় (হামলা করা হয়)।” (আনকাবুত ২৯:৬৭) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلْیَعْبُدُوْا رَبَّ ھٰذَا الْبَیْتِﭒﺫ الَّذِیْٓ اَطْعَمَھُمْ مِّنْ جُوْعٍﺃ وَّاٰمَنَھُمْ مِّنْ خَوْفٍ)
“অতএব তাদেরকে এ ঘরের প্রতিপালকেরই ইবাদত করা উচিত। যিনি ক্ষুধায় তাদের খাবার দান করেছেন এবং তাদেরকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।” (সূরা কুরাইশ ১০৬:৩-৪)
(وَلِلّٰهِ عَلَي النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ)
এ আয়াত দ্বারা হাজ্জ ফরয হয়। আর হাজ্জ জীবনে একবার মাত্র ফরয। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জ কি প্রতি বছর করতে হবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি বলতাম হ্যাঁ, তা হলে ওয়াজিব হয়ে যেত। আর যদি ওয়াজিব হয়ে যেত তাহলে তোমরা আদায় করতে সক্ষম হতে না। আর যদি আদায় করতে সক্ষম না হতে তাহলে তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হত। (ইবনে মাযাহ হা: ২৮৮৫, সহীহ)
سبيل যাতায়াতের পথ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! سبيل কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
“الزاد و الراحلة”
পাথেয় ও বাহন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৮, হাকিম: ১/৪৪২, সহীহ)
وَمَنْ كَفَرَ
যে ব্যক্তি হাজ্জ ফরয হওয়াকে অস্বীকার করবে সে যেন জেনে রাখে আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি একজন অধিক আল্লাহভীরু বান্দার অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি সবচেয়ে নিকৃষ্ট একজন পাপী ব্যক্তির অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭৭)
সুতরাং আমরা সবাই ভাল হয়ে গেলে আল্লাহ তা‘আলার কোন উপকার হবে তা নয় এবং সবাই খারাপ হয়ে গেলেও আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে তা নয়; বরং আমরা ভাল হলে আমাদেরই ভাল হবে আর আমরা খারাপ হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীতে ইবাদতের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। এটা বরকতময় ও নিদর্শনসম্বলিত।
২. যে ব্যক্তির ওপর হাজ্জ ফরয হয়েছে তার ওপর তাড়াতাড়ি হাজ্জ পালন করা উচিত, কারণ কারো জানা নেই কখন মৃত্যু আসবে।
৩. যারা হাজ্জ অস্বীকার করবে তারা কাফির হয়ে যাবে, আর যারা অবহেলাবশত আদায় করবে না তারা শাস্তি ভোগ করবে।
3:97
فِیۡہِ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ مَّقَامُ اِبۡرٰہِیۡمَ ۬ۚ وَ مَنۡ
دَخَلَہٗ کَانَ اٰمِنًا ؕ وَ لِلّٰہِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ
اسۡتَطَاعَ اِلَیۡہِ سَبِیۡلًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنِ
الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۹۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৬-৯৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এটা হল ইয়াহূদীদের দ্বিতীয় অভিযোগের উত্তর। তারা বলত, বায়তুল মুকাদ্দাস প্রথম নির্মিত ইবাদতখানা। দীর্ঘ ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করে এখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর অনুসারীরা নিজেদের কেবলা কেন পরিবর্তন করে নিল? এর উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা দিচ্ছেন- তাদের এ দাবি ভুল। ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। তাতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ ১. মাকামে ইবরাহীম, যে পাথরে দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আঃ) কাবা নির্মাণ করেছিলেন। ২. যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ থাকবে অর্থাৎ জান ও মালের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার নিরাপত্তা পাবে ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ)
“তারা কি দেখে না আমি ‘হারাম'কে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ তার চতুষ্পার্শ্বে যেসব মানুষ আছে, তাদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয় (হামলা করা হয়)।” (আনকাবুত ২৯:৬৭) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلْیَعْبُدُوْا رَبَّ ھٰذَا الْبَیْتِﭒﺫ الَّذِیْٓ اَطْعَمَھُمْ مِّنْ جُوْعٍﺃ وَّاٰمَنَھُمْ مِّنْ خَوْفٍ)
“অতএব তাদেরকে এ ঘরের প্রতিপালকেরই ইবাদত করা উচিত। যিনি ক্ষুধায় তাদের খাবার দান করেছেন এবং তাদেরকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।” (সূরা কুরাইশ ১০৬:৩-৪)
(وَلِلّٰهِ عَلَي النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ)
এ আয়াত দ্বারা হাজ্জ ফরয হয়। আর হাজ্জ জীবনে একবার মাত্র ফরয। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জ কি প্রতি বছর করতে হবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি বলতাম হ্যাঁ, তা হলে ওয়াজিব হয়ে যেত। আর যদি ওয়াজিব হয়ে যেত তাহলে তোমরা আদায় করতে সক্ষম হতে না। আর যদি আদায় করতে সক্ষম না হতে তাহলে তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হত। (ইবনে মাযাহ হা: ২৮৮৫, সহীহ)
سبيل যাতায়াতের পথ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! سبيل কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
“الزاد و الراحلة”
পাথেয় ও বাহন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৮, হাকিম: ১/৪৪২, সহীহ)
وَمَنْ كَفَرَ
যে ব্যক্তি হাজ্জ ফরয হওয়াকে অস্বীকার করবে সে যেন জেনে রাখে আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি একজন অধিক আল্লাহভীরু বান্দার অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি সবচেয়ে নিকৃষ্ট একজন পাপী ব্যক্তির অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭৭)
সুতরাং আমরা সবাই ভাল হয়ে গেলে আল্লাহ তা‘আলার কোন উপকার হবে তা নয় এবং সবাই খারাপ হয়ে গেলেও আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে তা নয়; বরং আমরা ভাল হলে আমাদেরই ভাল হবে আর আমরা খারাপ হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীতে ইবাদতের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। এটা বরকতময় ও নিদর্শনসম্বলিত।
২. যে ব্যক্তির ওপর হাজ্জ ফরয হয়েছে তার ওপর তাড়াতাড়ি হাজ্জ পালন করা উচিত, কারণ কারো জানা নেই কখন মৃত্যু আসবে।
৩. যারা হাজ্জ অস্বীকার করবে তারা কাফির হয়ে যাবে, আর যারা অবহেলাবশত আদায় করবে না তারা শাস্তি ভোগ করবে।
এটা হল ইয়াহূদীদের দ্বিতীয় অভিযোগের উত্তর। তারা বলত, বায়তুল মুকাদ্দাস প্রথম নির্মিত ইবাদতখানা। দীর্ঘ ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করে এখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর অনুসারীরা নিজেদের কেবলা কেন পরিবর্তন করে নিল? এর উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা দিচ্ছেন- তাদের এ দাবি ভুল। ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। তাতে অনেক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ ১. মাকামে ইবরাহীম, যে পাথরে দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আঃ) কাবা নির্মাণ করেছিলেন। ২. যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ থাকবে অর্থাৎ জান ও মালের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার নিরাপত্তা পাবে ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا اٰمِنًا وَّيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ)
“তারা কি দেখে না আমি ‘হারাম'কে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ তার চতুষ্পার্শ্বে যেসব মানুষ আছে, তাদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয় (হামলা করা হয়)।” (আনকাবুত ২৯:৬৭) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَلْیَعْبُدُوْا رَبَّ ھٰذَا الْبَیْتِﭒﺫ الَّذِیْٓ اَطْعَمَھُمْ مِّنْ جُوْعٍﺃ وَّاٰمَنَھُمْ مِّنْ خَوْفٍ)
“অতএব তাদেরকে এ ঘরের প্রতিপালকেরই ইবাদত করা উচিত। যিনি ক্ষুধায় তাদের খাবার দান করেছেন এবং তাদেরকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।” (সূরা কুরাইশ ১০৬:৩-৪)
(وَلِلّٰهِ عَلَي النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ)
এ আয়াত দ্বারা হাজ্জ ফরয হয়। আর হাজ্জ জীবনে একবার মাত্র ফরয। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! হাজ্জ কি প্রতি বছর করতে হবে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি বলতাম হ্যাঁ, তা হলে ওয়াজিব হয়ে যেত। আর যদি ওয়াজিব হয়ে যেত তাহলে তোমরা আদায় করতে সক্ষম হতে না। আর যদি আদায় করতে সক্ষম না হতে তাহলে তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করা হত। (ইবনে মাযাহ হা: ২৮৮৫, সহীহ)
سبيل যাতায়াতের পথ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! سبيل কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,
“الزاد و الراحلة”
পাথেয় ও বাহন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৮, হাকিম: ১/৪৪২, সহীহ)
وَمَنْ كَفَرَ
যে ব্যক্তি হাজ্জ ফরয হওয়াকে অস্বীকার করবে সে যেন জেনে রাখে আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি একজন অধিক আল্লাহভীরু বান্দার অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষ ও জিন যদি সবচেয়ে নিকৃষ্ট একজন পাপী ব্যক্তির অন্তরে পরিণত হয়ে যায় তা হলে আমার রাজত্বের কিছুই কমবে না। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭৭)
সুতরাং আমরা সবাই ভাল হয়ে গেলে আল্লাহ তা‘আলার কোন উপকার হবে তা নয় এবং সবাই খারাপ হয়ে গেলেও আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে তা নয়; বরং আমরা ভাল হলে আমাদেরই ভাল হবে আর আমরা খারাপ হলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীতে ইবাদতের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম ঘর হল বাইতুল্লাহ। এটা বরকতময় ও নিদর্শনসম্বলিত।
২. যে ব্যক্তির ওপর হাজ্জ ফরয হয়েছে তার ওপর তাড়াতাড়ি হাজ্জ পালন করা উচিত, কারণ কারো জানা নেই কখন মৃত্যু আসবে।
৩. যারা হাজ্জ অস্বীকার করবে তারা কাফির হয়ে যাবে, আর যারা অবহেলাবশত আদায় করবে না তারা শাস্তি ভোগ করবে।
3:98
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ ٭ۖ
وَ اللّٰہُ شَہِیۡدٌ عَلٰی مَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৮-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবকে তাদের কর্মের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন। আহলে কিতাবরা জানে যে, ইসলাম সত্য দীন। এ দীনের প্রতি আহ্বানকারী আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী। কারণ এ কথাগুলো সেই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ ছিল যা তাদের নাবীর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে সত্যবিমুখ করা হারাম।
২. বান্দার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন।
আলোচ্য আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবকে তাদের কর্মের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন। আহলে কিতাবরা জানে যে, ইসলাম সত্য দীন। এ দীনের প্রতি আহ্বানকারী আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী। কারণ এ কথাগুলো সেই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ ছিল যা তাদের নাবীর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে সত্যবিমুখ করা হারাম।
২. বান্দার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন।
3:99
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ تَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ
مَنۡ اٰمَنَ تَبۡغُوۡنَہَا عِوَجًا وَّ اَنۡتُمۡ شُہَدَآءُ ؕ وَ مَا اللّٰہُ
بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৯৮-৯৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আলোচ্য আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবকে তাদের কর্মের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন। আহলে কিতাবরা জানে যে, ইসলাম সত্য দীন। এ দীনের প্রতি আহ্বানকারী আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী। কারণ এ কথাগুলো সেই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ ছিল যা তাদের নাবীর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে সত্যবিমুখ করা হারাম।
২. বান্দার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন।
আলোচ্য আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবকে তাদের কর্মের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন। আহলে কিতাবরা জানে যে, ইসলাম সত্য দীন। এ দীনের প্রতি আহ্বানকারী আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী। কারণ এ কথাগুলো সেই কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ ছিল যা তাদের নাবীর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষকে সত্যবিমুখ করা হারাম।
২. বান্দার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব আমল সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা অবগত রয়েছেন।
3:100
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تُطِیۡعُوۡا فَرِیۡقًا
مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ یَرُدُّوۡکُمۡ بَعۡدَ اِیۡمَانِکُمۡ
کٰفِرِیۡنَ ﴿۱۰۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০০-১০১ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে আহলে কিতাবদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ মু’মিনদের ওপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক এটা তারা চায় না; বরং তারা চায় মুসলিমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুক, নিজেদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদে লেগেই থাকুক, তারা মুরতাদ হয়ে যাক। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَدَّ کَثِیْرٌ مِّنْ اَھْلِ الْکِتٰبِ لَوْ یَرُدُّوْنَکُمْ مِّنْۭ بَعْدِ اِیْمَانِکُمْ کُفَّارًاﺊ حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ اَنْفُسِھِمْ)
“আহলে কিতাবের অনেকে তাদের প্রতি সত্য প্রকাশিত হবার পর তারা তাদের অন্তর্নিহিত বিদ্বেষবশত তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে মুরতাদ বানাতে ইচ্ছা করে;” (সূরা বাকারাহ ২:১০৯)
ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ কত জঘন্য তা সুস্পষ্ট হয়ে যায় এ ঘটনা থেকে- একদা আউস এবং খাযরাজ নামক দু’টি আনসার গোত্র কোন এক মাজলিসে এক সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করছিল। ইত্যবসরে শাস বিন কাইস নামক একজন ইয়াহূদী তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পারস্পরিক এ সৌহার্দ দেখে হিংসায় জ্বলে উঠল। এটা সে সহ্য করতে পারল না। যারা একে অপরের চিরশত্র“ ছিল, সর্বদা বিবাদে লিপ্ত থাকত তারা আজ ইসলামের বরকতে দুধে চিনির মত পরস্পর অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। সে একজন যুবককে দায়িত্ব দিল যে, তুমি তাদের মাঝে গিয়ে সেই ‘বুআস’ যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দাও, যা হিজরতের পূর্বে তাদের মাঝে সংঘটিত হয়েছিল এবং সে যুদ্ধে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যে বীরত্ব প্রকাশক কবিতাগুলো পড়েছিল, তা ওদেরকে শুনাও। সে যুবক গিয়ে তা-ই করল। ফলে উভয় গোত্রের পূর্বের আক্রোশ-আগুন পুনরায় জ্বলে উঠলো এবং পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। এমন কি অস্ত্র ধারণের জন্য একে অপরকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। তারা আপোষে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বললেন: আমি তোমাদের মাঝে থাকতেই এমন শুরু করে দিয়েছ? তখন তারা ভুল বুঝতে পেরে অস্ত্র-সস্ত্র ছেড়ে পরস্পর গলাগলি ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। বলা হয় এ প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী কর অথচ তোমাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার আয়াত তেলাওয়াত করা হয় এবং তোমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ ج وَالرَّسُوْلُ يَدْعُوْكُمْ لِتُؤْمِنُوْا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيْثَاقَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ)
“তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনতে আহ্বান করছে এবং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, তোমরা যদি বিশ্বাস করতে।” (সূরা হাদীদ ৫৭:৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সাহাবীদেরকে বললেন, কোন্ মু’মিনের ঈমান তোমাদের কাছে আশ্চর্য মনে হয়? তারা বলল: ফেরেশতা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তারা ঈমানদার হবে না অথচ তারা তাদের রবের নিকট থাকে। তারপর তারা নাবীদের কথা উল্লেখ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের কাছে ওয়াহী আসে, তাদের ঈমানে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। তারপর তারা বলল, তাহলে আমরা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের কাছে রয়েছি, অতএব তোমাদের ঈমানও কোন আশ্চর্য নয়। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তারা হল এমন সম্প্রদায় যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা কিতাব পাবে আর তাতে ঈমান আনবে। (সনদটি ইবনে মাসউদ পর্যন্ত সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/৯৪)
সুতরাং ইয়াহূদীদের চক্রান্ত থেকে সাবধান, তাদের কাজ মুসলিমদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের মাঝেই হানাহানি সৃষ্টি করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদী-খ্রিস্টানদের অনুসরণ করলে আমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাব।
২. মুসলিমদের প্রতি ইয়াহূদীদের বিদ্বেষ কিভাবে তাদেরকে উস্কানি দিয়ে পরস্পরের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে ধ্বংস করা যায়।
৩. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরলে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকা যাবে, তাই আকীদা ও আমল সকল ক্ষেত্রে একমাত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য কোন মত ও পথ নয়।
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে আহলে কিতাবদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ মু’মিনদের ওপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক এটা তারা চায় না; বরং তারা চায় মুসলিমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুক, নিজেদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদে লেগেই থাকুক, তারা মুরতাদ হয়ে যাক। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَدَّ کَثِیْرٌ مِّنْ اَھْلِ الْکِتٰبِ لَوْ یَرُدُّوْنَکُمْ مِّنْۭ بَعْدِ اِیْمَانِکُمْ کُفَّارًاﺊ حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ اَنْفُسِھِمْ)
“আহলে কিতাবের অনেকে তাদের প্রতি সত্য প্রকাশিত হবার পর তারা তাদের অন্তর্নিহিত বিদ্বেষবশত তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে মুরতাদ বানাতে ইচ্ছা করে;” (সূরা বাকারাহ ২:১০৯)
ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ কত জঘন্য তা সুস্পষ্ট হয়ে যায় এ ঘটনা থেকে- একদা আউস এবং খাযরাজ নামক দু’টি আনসার গোত্র কোন এক মাজলিসে এক সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করছিল। ইত্যবসরে শাস বিন কাইস নামক একজন ইয়াহূদী তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পারস্পরিক এ সৌহার্দ দেখে হিংসায় জ্বলে উঠল। এটা সে সহ্য করতে পারল না। যারা একে অপরের চিরশত্র“ ছিল, সর্বদা বিবাদে লিপ্ত থাকত তারা আজ ইসলামের বরকতে দুধে চিনির মত পরস্পর অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। সে একজন যুবককে দায়িত্ব দিল যে, তুমি তাদের মাঝে গিয়ে সেই ‘বুআস’ যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দাও, যা হিজরতের পূর্বে তাদের মাঝে সংঘটিত হয়েছিল এবং সে যুদ্ধে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যে বীরত্ব প্রকাশক কবিতাগুলো পড়েছিল, তা ওদেরকে শুনাও। সে যুবক গিয়ে তা-ই করল। ফলে উভয় গোত্রের পূর্বের আক্রোশ-আগুন পুনরায় জ্বলে উঠলো এবং পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। এমন কি অস্ত্র ধারণের জন্য একে অপরকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। তারা আপোষে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বললেন: আমি তোমাদের মাঝে থাকতেই এমন শুরু করে দিয়েছ? তখন তারা ভুল বুঝতে পেরে অস্ত্র-সস্ত্র ছেড়ে পরস্পর গলাগলি ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। বলা হয় এ প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী কর অথচ তোমাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার আয়াত তেলাওয়াত করা হয় এবং তোমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ ج وَالرَّسُوْلُ يَدْعُوْكُمْ لِتُؤْمِنُوْا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيْثَاقَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ)
“তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনতে আহ্বান করছে এবং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, তোমরা যদি বিশ্বাস করতে।” (সূরা হাদীদ ৫৭:৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সাহাবীদেরকে বললেন, কোন্ মু’মিনের ঈমান তোমাদের কাছে আশ্চর্য মনে হয়? তারা বলল: ফেরেশতা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তারা ঈমানদার হবে না অথচ তারা তাদের রবের নিকট থাকে। তারপর তারা নাবীদের কথা উল্লেখ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের কাছে ওয়াহী আসে, তাদের ঈমানে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। তারপর তারা বলল, তাহলে আমরা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের কাছে রয়েছি, অতএব তোমাদের ঈমানও কোন আশ্চর্য নয়। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তারা হল এমন সম্প্রদায় যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা কিতাব পাবে আর তাতে ঈমান আনবে। (সনদটি ইবনে মাসউদ পর্যন্ত সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/৯৪)
সুতরাং ইয়াহূদীদের চক্রান্ত থেকে সাবধান, তাদের কাজ মুসলিমদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের মাঝেই হানাহানি সৃষ্টি করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদী-খ্রিস্টানদের অনুসরণ করলে আমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাব।
২. মুসলিমদের প্রতি ইয়াহূদীদের বিদ্বেষ কিভাবে তাদেরকে উস্কানি দিয়ে পরস্পরের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে ধ্বংস করা যায়।
৩. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরলে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকা যাবে, তাই আকীদা ও আমল সকল ক্ষেত্রে একমাত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য কোন মত ও পথ নয়।
3:101
وَ کَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ وَ اَنۡتُمۡ تُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتُ
اللّٰہِ وَ فِیۡکُمۡ رَسُوۡلُہٗ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡتَصِمۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ ہُدِیَ
اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۱۰۱﴾٪
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০০-১০১ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে আহলে কিতাবদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ মু’মিনদের ওপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক এটা তারা চায় না; বরং তারা চায় মুসলিমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুক, নিজেদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদে লেগেই থাকুক, তারা মুরতাদ হয়ে যাক। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَدَّ کَثِیْرٌ مِّنْ اَھْلِ الْکِتٰبِ لَوْ یَرُدُّوْنَکُمْ مِّنْۭ بَعْدِ اِیْمَانِکُمْ کُفَّارًاﺊ حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ اَنْفُسِھِمْ)
“আহলে কিতাবের অনেকে তাদের প্রতি সত্য প্রকাশিত হবার পর তারা তাদের অন্তর্নিহিত বিদ্বেষবশত তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে মুরতাদ বানাতে ইচ্ছা করে;” (সূরা বাকারাহ ২:১০৯)
ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ কত জঘন্য তা সুস্পষ্ট হয়ে যায় এ ঘটনা থেকে- একদা আউস এবং খাযরাজ নামক দু’টি আনসার গোত্র কোন এক মাজলিসে এক সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করছিল। ইত্যবসরে শাস বিন কাইস নামক একজন ইয়াহূদী তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পারস্পরিক এ সৌহার্দ দেখে হিংসায় জ্বলে উঠল। এটা সে সহ্য করতে পারল না। যারা একে অপরের চিরশত্র“ ছিল, সর্বদা বিবাদে লিপ্ত থাকত তারা আজ ইসলামের বরকতে দুধে চিনির মত পরস্পর অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। সে একজন যুবককে দায়িত্ব দিল যে, তুমি তাদের মাঝে গিয়ে সেই ‘বুআস’ যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দাও, যা হিজরতের পূর্বে তাদের মাঝে সংঘটিত হয়েছিল এবং সে যুদ্ধে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যে বীরত্ব প্রকাশক কবিতাগুলো পড়েছিল, তা ওদেরকে শুনাও। সে যুবক গিয়ে তা-ই করল। ফলে উভয় গোত্রের পূর্বের আক্রোশ-আগুন পুনরায় জ্বলে উঠলো এবং পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। এমন কি অস্ত্র ধারণের জন্য একে অপরকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। তারা আপোষে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বললেন: আমি তোমাদের মাঝে থাকতেই এমন শুরু করে দিয়েছ? তখন তারা ভুল বুঝতে পেরে অস্ত্র-সস্ত্র ছেড়ে পরস্পর গলাগলি ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। বলা হয় এ প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী কর অথচ তোমাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার আয়াত তেলাওয়াত করা হয় এবং তোমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ ج وَالرَّسُوْلُ يَدْعُوْكُمْ لِتُؤْمِنُوْا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيْثَاقَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ)
“তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনতে আহ্বান করছে এবং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, তোমরা যদি বিশ্বাস করতে।” (সূরা হাদীদ ৫৭:৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সাহাবীদেরকে বললেন, কোন্ মু’মিনের ঈমান তোমাদের কাছে আশ্চর্য মনে হয়? তারা বলল: ফেরেশতা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তারা ঈমানদার হবে না অথচ তারা তাদের রবের নিকট থাকে। তারপর তারা নাবীদের কথা উল্লেখ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের কাছে ওয়াহী আসে, তাদের ঈমানে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। তারপর তারা বলল, তাহলে আমরা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের কাছে রয়েছি, অতএব তোমাদের ঈমানও কোন আশ্চর্য নয়। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তারা হল এমন সম্প্রদায় যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা কিতাব পাবে আর তাতে ঈমান আনবে। (সনদটি ইবনে মাসউদ পর্যন্ত সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/৯৪)
সুতরাং ইয়াহূদীদের চক্রান্ত থেকে সাবধান, তাদের কাজ মুসলিমদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের মাঝেই হানাহানি সৃষ্টি করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদী-খ্রিস্টানদের অনুসরণ করলে আমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাব।
২. মুসলিমদের প্রতি ইয়াহূদীদের বিদ্বেষ কিভাবে তাদেরকে উস্কানি দিয়ে পরস্পরের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে ধ্বংস করা যায়।
৩. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরলে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকা যাবে, তাই আকীদা ও আমল সকল ক্ষেত্রে একমাত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য কোন মত ও পথ নয়।
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে আহলে কিতাবদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ মু’মিনদের ওপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক এটা তারা চায় না; বরং তারা চায় মুসলিমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুক, নিজেদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদে লেগেই থাকুক, তারা মুরতাদ হয়ে যাক। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَدَّ کَثِیْرٌ مِّنْ اَھْلِ الْکِتٰبِ لَوْ یَرُدُّوْنَکُمْ مِّنْۭ بَعْدِ اِیْمَانِکُمْ کُفَّارًاﺊ حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ اَنْفُسِھِمْ)
“আহলে কিতাবের অনেকে তাদের প্রতি সত্য প্রকাশিত হবার পর তারা তাদের অন্তর্নিহিত বিদ্বেষবশত তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে মুরতাদ বানাতে ইচ্ছা করে;” (সূরা বাকারাহ ২:১০৯)
ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ কত জঘন্য তা সুস্পষ্ট হয়ে যায় এ ঘটনা থেকে- একদা আউস এবং খাযরাজ নামক দু’টি আনসার গোত্র কোন এক মাজলিসে এক সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করছিল। ইত্যবসরে শাস বিন কাইস নামক একজন ইয়াহূদী তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পারস্পরিক এ সৌহার্দ দেখে হিংসায় জ্বলে উঠল। এটা সে সহ্য করতে পারল না। যারা একে অপরের চিরশত্র“ ছিল, সর্বদা বিবাদে লিপ্ত থাকত তারা আজ ইসলামের বরকতে দুধে চিনির মত পরস্পর অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। সে একজন যুবককে দায়িত্ব দিল যে, তুমি তাদের মাঝে গিয়ে সেই ‘বুআস’ যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দাও, যা হিজরতের পূর্বে তাদের মাঝে সংঘটিত হয়েছিল এবং সে যুদ্ধে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যে বীরত্ব প্রকাশক কবিতাগুলো পড়েছিল, তা ওদেরকে শুনাও। সে যুবক গিয়ে তা-ই করল। ফলে উভয় গোত্রের পূর্বের আক্রোশ-আগুন পুনরায় জ্বলে উঠলো এবং পরস্পরকে গালি দিতে লাগল। এমন কি অস্ত্র ধারণের জন্য একে অপরকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। তারা আপোষে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বললেন: আমি তোমাদের মাঝে থাকতেই এমন শুরু করে দিয়েছ? তখন তারা ভুল বুঝতে পেরে অস্ত্র-সস্ত্র ছেড়ে পরস্পর গলাগলি ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। বলা হয় এ প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী কর অথচ তোমাদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার আয়াত তেলাওয়াত করা হয় এবং তোমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ ج وَالرَّسُوْلُ يَدْعُوْكُمْ لِتُؤْمِنُوْا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيْثَاقَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ)
“তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনতে আহ্বান করছে এবং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, তোমরা যদি বিশ্বাস করতে।” (সূরা হাদীদ ৫৭:৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সাহাবীদেরকে বললেন, কোন্ মু’মিনের ঈমান তোমাদের কাছে আশ্চর্য মনে হয়? তারা বলল: ফেরেশতা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তারা ঈমানদার হবে না অথচ তারা তাদের রবের নিকট থাকে। তারপর তারা নাবীদের কথা উল্লেখ করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের কাছে ওয়াহী আসে, তাদের ঈমানে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। তারপর তারা বলল, তাহলে আমরা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের কাছে রয়েছি, অতএব তোমাদের ঈমানও কোন আশ্চর্য নয়। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তাহলে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তারা হল এমন সম্প্রদায় যারা পরবর্তীতে আসবে, তারা কিতাব পাবে আর তাতে ঈমান আনবে। (সনদটি ইবনে মাসউদ পর্যন্ত সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/৯৪)
সুতরাং ইয়াহূদীদের চক্রান্ত থেকে সাবধান, তাদের কাজ মুসলিমদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে দিয়ে তাদের মাঝেই হানাহানি সৃষ্টি করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদী-খ্রিস্টানদের অনুসরণ করলে আমরা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাব।
২. মুসলিমদের প্রতি ইয়াহূদীদের বিদ্বেষ কিভাবে তাদেরকে উস্কানি দিয়ে পরস্পরের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করে ধ্বংস করা যায়।
৩. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরলে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকা যাবে, তাই আকীদা ও আমল সকল ক্ষেত্রে একমাত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য কোন মত ও পথ নয়।
3:102
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ حَقَّ تُقٰتِہٖ
وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০২-১০৩ নং আয়াতের তাফসীর:
অধিকাংশ মুফাসসির বলেন,
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِه۪)
আয়াতটি
اِتَّقُو اللّٰهَ مَااسْتَطَعْتُمْ
‘তোমরা যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর’ দ্বারা মানসুখ হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেন, حق تقاته এর তাফসীর হল
مااستطعتم
যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। (আযউয়াউল বায়ান, ১/২২১)
এ আয়াতকে মানসুখ মনে না করে পরবর্তী আয়াত তার ব্যাখ্যাকারী মনে করাই শ্রেয়। কারণ মানসুখ তখনই ধরে নেয়া যেত যদি উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্য সাধন করা না যেত। তাই এর অর্থ হবে
(اتقوا الله حق تقاته ما استطعتم)
আল্লাহ তা‘আলাকে ঐভাবে ভয় কর, যেভাবে স্বীয় সাধ্যমত তাঁকে ভয় করা উচিত। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৯৫)
(وَلَا تَمُوْتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ)
অর্থাৎ সর্বাবস্থায় ইসলামের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাক যাতে মৃত্যু ইসলামের উপরেই হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের প্রত্যেকে যেন আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে ভাল ধারণা নিয়ে মৃত্যু বরণ করে। (মুসনাদ আহমাদ হা: ১৪১২৫, সহীহ)
(وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا)
আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার কথা বলার পর তার রশি সকলকে শক্তভাবে ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দু’টি মূলনীতিতে মুক্তি নিহিত: ১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা। ২. সকলে দীনের ওপর ঐক্যবদ্ধ থাকা। হাবলুল্লাহ হল পবিত্র কুরআন ও দীন ইসলাম। যদিও এছাড়া অনেক তাফসীর পাওয়া যায়। তবে এটাই সঠিক। (আয়সারুত তাফসীর ১/২৯৪)
(وَّلَا تَفَرَّقُوْا)
আল্লাহ তা‘আলা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। যারা দীনের মধ্যে মতভেদ, ফিরকাহ বা দল-উপদল সৃষ্টি করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِيْ شَيْءٍ)
“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দীনকে (বিভিন্ন মতে) খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়।” (সূরা আন‘আম ৬:১৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তিন কাজে তোমাদের প্রতি খুশি হন, আর তিন কাজ অপছন্দ করেন। যে তিনটি কাজে খুশি হন তা হল:
১. তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলার রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে এবং দলে দলে বিভক্ত হবে না।
৩. যারা তোমাদের দায়িত্বশীল হবে তাদের কল্যাণ কামনা করবে।
আর যে তিনটি কাজ তিনি অপছন্দ করেন তা হল-
১. অনর্থক কথা-বার্তা বলা।
২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৫৭৮, মুসনাদ আহমাদ: ৮৭৯৯)
অতএব ইসলামের নামে দল-উপদল সৃষ্টি না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে দেন। জাহিলী যুগে আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে যুদ্ধ, রক্তক্ষয়ী বিগ্রহ ও কঠিন শত্র“তা ছিল। অতঃপর যখন গোত্রদ্বয় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় তখন আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহে তারা পূর্বের সবকিছু ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ে পরিণত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা এই দিকে ইঙ্গিত করে বলেন:
(وَاِنْ یُّرِیْدُوْٓا اَنْ یَّخْدَعُوْکَ فَاِنَّ حَسْبَکَ اللہُﺚ ھُوَ الَّذِیْٓ اَیَّدَکَ بِنَصْرِھ۪ وَبِالْمُؤْمِنِیْنَﮍﺫوَاَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْﺚ لَوْ اَنْفَقْتَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مَّآ اَلَّفْتَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْ ﺫوَلٰکِنَّ اللہَ اَلَّفَ بَیْنَھُمْ)
“তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন, এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।” (সূরা আনফাল ৮:৬২-৬৩)
তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তোমরা তো ছিলে জাহান্নামের কিনারে। তিনি ইসলামের প্রতি হিদায়াত দিয়ে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সর্বদা যথাসাধ্য আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং নিষেধ হতে বিরত থাকা আবশ্যক। দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
২. মুসলিম হয়ে যাতে মারা যাই সে চেষ্টা আমাদের থাকা আবশ্যক।
৩. আল্লাহ তা‘আলার দীনকে সকলে মিলে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক।
অধিকাংশ মুফাসসির বলেন,
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِه۪)
আয়াতটি
اِتَّقُو اللّٰهَ مَااسْتَطَعْتُمْ
‘তোমরা যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর’ দ্বারা মানসুখ হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেন, حق تقاته এর তাফসীর হল
مااستطعتم
যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। (আযউয়াউল বায়ান, ১/২২১)
এ আয়াতকে মানসুখ মনে না করে পরবর্তী আয়াত তার ব্যাখ্যাকারী মনে করাই শ্রেয়। কারণ মানসুখ তখনই ধরে নেয়া যেত যদি উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্য সাধন করা না যেত। তাই এর অর্থ হবে
(اتقوا الله حق تقاته ما استطعتم)
আল্লাহ তা‘আলাকে ঐভাবে ভয় কর, যেভাবে স্বীয় সাধ্যমত তাঁকে ভয় করা উচিত। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৯৫)
(وَلَا تَمُوْتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ)
অর্থাৎ সর্বাবস্থায় ইসলামের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাক যাতে মৃত্যু ইসলামের উপরেই হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের প্রত্যেকে যেন আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে ভাল ধারণা নিয়ে মৃত্যু বরণ করে। (মুসনাদ আহমাদ হা: ১৪১২৫, সহীহ)
(وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا)
আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার কথা বলার পর তার রশি সকলকে শক্তভাবে ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দু’টি মূলনীতিতে মুক্তি নিহিত: ১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা। ২. সকলে দীনের ওপর ঐক্যবদ্ধ থাকা। হাবলুল্লাহ হল পবিত্র কুরআন ও দীন ইসলাম। যদিও এছাড়া অনেক তাফসীর পাওয়া যায়। তবে এটাই সঠিক। (আয়সারুত তাফসীর ১/২৯৪)
(وَّلَا تَفَرَّقُوْا)
আল্লাহ তা‘আলা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। যারা দীনের মধ্যে মতভেদ, ফিরকাহ বা দল-উপদল সৃষ্টি করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِيْ شَيْءٍ)
“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দীনকে (বিভিন্ন মতে) খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়।” (সূরা আন‘আম ৬:১৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তিন কাজে তোমাদের প্রতি খুশি হন, আর তিন কাজ অপছন্দ করেন। যে তিনটি কাজে খুশি হন তা হল:
১. তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলার রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে এবং দলে দলে বিভক্ত হবে না।
৩. যারা তোমাদের দায়িত্বশীল হবে তাদের কল্যাণ কামনা করবে।
আর যে তিনটি কাজ তিনি অপছন্দ করেন তা হল-
১. অনর্থক কথা-বার্তা বলা।
২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৫৭৮, মুসনাদ আহমাদ: ৮৭৯৯)
অতএব ইসলামের নামে দল-উপদল সৃষ্টি না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে দেন। জাহিলী যুগে আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে যুদ্ধ, রক্তক্ষয়ী বিগ্রহ ও কঠিন শত্র“তা ছিল। অতঃপর যখন গোত্রদ্বয় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় তখন আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহে তারা পূর্বের সবকিছু ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ে পরিণত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা এই দিকে ইঙ্গিত করে বলেন:
(وَاِنْ یُّرِیْدُوْٓا اَنْ یَّخْدَعُوْکَ فَاِنَّ حَسْبَکَ اللہُﺚ ھُوَ الَّذِیْٓ اَیَّدَکَ بِنَصْرِھ۪ وَبِالْمُؤْمِنِیْنَﮍﺫوَاَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْﺚ لَوْ اَنْفَقْتَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مَّآ اَلَّفْتَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْ ﺫوَلٰکِنَّ اللہَ اَلَّفَ بَیْنَھُمْ)
“তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন, এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।” (সূরা আনফাল ৮:৬২-৬৩)
তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তোমরা তো ছিলে জাহান্নামের কিনারে। তিনি ইসলামের প্রতি হিদায়াত দিয়ে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সর্বদা যথাসাধ্য আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং নিষেধ হতে বিরত থাকা আবশ্যক। দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
২. মুসলিম হয়ে যাতে মারা যাই সে চেষ্টা আমাদের থাকা আবশ্যক।
৩. আল্লাহ তা‘আলার দীনকে সকলে মিলে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক।
3:103
وَ اعۡتَصِمُوۡا بِحَبۡلِ اللّٰہِ جَمِیۡعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوۡا
۪ وَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ کُنۡتُمۡ اَعۡدَآءً فَاَلَّفَ
بَیۡنَ قُلُوۡبِکُمۡ فَاَصۡبَحۡتُمۡ بِنِعۡمَتِہٖۤ اِخۡوَانًا ۚ وَ کُنۡتُمۡ عَلٰی
شَفَا حُفۡرَۃٍ مِّنَ النَّارِ فَاَنۡقَذَکُمۡ مِّنۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ
اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০২-১০৩ নং আয়াতের তাফসীর:
অধিকাংশ মুফাসসির বলেন,
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِه۪)
আয়াতটি
اِتَّقُو اللّٰهَ مَااسْتَطَعْتُمْ
‘তোমরা যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর’ দ্বারা মানসুখ হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেন, حق تقاته এর তাফসীর হল
مااستطعتم
যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। (আযউয়াউল বায়ান, ১/২২১)
এ আয়াতকে মানসুখ মনে না করে পরবর্তী আয়াত তার ব্যাখ্যাকারী মনে করাই শ্রেয়। কারণ মানসুখ তখনই ধরে নেয়া যেত যদি উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্য সাধন করা না যেত। তাই এর অর্থ হবে
(اتقوا الله حق تقاته ما استطعتم)
আল্লাহ তা‘আলাকে ঐভাবে ভয় কর, যেভাবে স্বীয় সাধ্যমত তাঁকে ভয় করা উচিত। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৯৫)
(وَلَا تَمُوْتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ)
অর্থাৎ সর্বাবস্থায় ইসলামের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাক যাতে মৃত্যু ইসলামের উপরেই হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের প্রত্যেকে যেন আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে ভাল ধারণা নিয়ে মৃত্যু বরণ করে। (মুসনাদ আহমাদ হা: ১৪১২৫, সহীহ)
(وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا)
আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার কথা বলার পর তার রশি সকলকে শক্তভাবে ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দু’টি মূলনীতিতে মুক্তি নিহিত: ১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা। ২. সকলে দীনের ওপর ঐক্যবদ্ধ থাকা। হাবলুল্লাহ হল পবিত্র কুরআন ও দীন ইসলাম। যদিও এছাড়া অনেক তাফসীর পাওয়া যায়। তবে এটাই সঠিক। (আয়সারুত তাফসীর ১/২৯৪)
(وَّلَا تَفَرَّقُوْا)
আল্লাহ তা‘আলা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। যারা দীনের মধ্যে মতভেদ, ফিরকাহ বা দল-উপদল সৃষ্টি করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِيْ شَيْءٍ)
“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দীনকে (বিভিন্ন মতে) খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়।” (সূরা আন‘আম ৬:১৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তিন কাজে তোমাদের প্রতি খুশি হন, আর তিন কাজ অপছন্দ করেন। যে তিনটি কাজে খুশি হন তা হল:
১. তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলার রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে এবং দলে দলে বিভক্ত হবে না।
৩. যারা তোমাদের দায়িত্বশীল হবে তাদের কল্যাণ কামনা করবে।
আর যে তিনটি কাজ তিনি অপছন্দ করেন তা হল-
১. অনর্থক কথা-বার্তা বলা।
২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৫৭৮, মুসনাদ আহমাদ: ৮৭৯৯)
অতএব ইসলামের নামে দল-উপদল সৃষ্টি না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে দেন। জাহিলী যুগে আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে যুদ্ধ, রক্তক্ষয়ী বিগ্রহ ও কঠিন শত্র“তা ছিল। অতঃপর যখন গোত্রদ্বয় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় তখন আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহে তারা পূর্বের সবকিছু ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ে পরিণত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা এই দিকে ইঙ্গিত করে বলেন:
(وَاِنْ یُّرِیْدُوْٓا اَنْ یَّخْدَعُوْکَ فَاِنَّ حَسْبَکَ اللہُﺚ ھُوَ الَّذِیْٓ اَیَّدَکَ بِنَصْرِھ۪ وَبِالْمُؤْمِنِیْنَﮍﺫوَاَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْﺚ لَوْ اَنْفَقْتَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مَّآ اَلَّفْتَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْ ﺫوَلٰکِنَّ اللہَ اَلَّفَ بَیْنَھُمْ)
“তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন, এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।” (সূরা আনফাল ৮:৬২-৬৩)
তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তোমরা তো ছিলে জাহান্নামের কিনারে। তিনি ইসলামের প্রতি হিদায়াত দিয়ে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সর্বদা যথাসাধ্য আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং নিষেধ হতে বিরত থাকা আবশ্যক। দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
২. মুসলিম হয়ে যাতে মারা যাই সে চেষ্টা আমাদের থাকা আবশ্যক।
৩. আল্লাহ তা‘আলার দীনকে সকলে মিলে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক।
অধিকাংশ মুফাসসির বলেন,
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِه۪)
আয়াতটি
اِتَّقُو اللّٰهَ مَااسْتَطَعْتُمْ
‘তোমরা যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর’ দ্বারা মানসুখ হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেন, حق تقاته এর তাফসীর হল
مااستطعتم
যথাসম্ভব আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। (আযউয়াউল বায়ান, ১/২২১)
এ আয়াতকে মানসুখ মনে না করে পরবর্তী আয়াত তার ব্যাখ্যাকারী মনে করাই শ্রেয়। কারণ মানসুখ তখনই ধরে নেয়া যেত যদি উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্য সাধন করা না যেত। তাই এর অর্থ হবে
(اتقوا الله حق تقاته ما استطعتم)
আল্লাহ তা‘আলাকে ঐভাবে ভয় কর, যেভাবে স্বীয় সাধ্যমত তাঁকে ভয় করা উচিত। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৯৫)
(وَلَا تَمُوْتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ)
অর্থাৎ সর্বাবস্থায় ইসলামের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাক যাতে মৃত্যু ইসলামের উপরেই হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের প্রত্যেকে যেন আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে ভাল ধারণা নিয়ে মৃত্যু বরণ করে। (মুসনাদ আহমাদ হা: ১৪১২৫, সহীহ)
(وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا)
আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার কথা বলার পর তার রশি সকলকে শক্তভাবে ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কথা দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দু’টি মূলনীতিতে মুক্তি নিহিত: ১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা। ২. সকলে দীনের ওপর ঐক্যবদ্ধ থাকা। হাবলুল্লাহ হল পবিত্র কুরআন ও দীন ইসলাম। যদিও এছাড়া অনেক তাফসীর পাওয়া যায়। তবে এটাই সঠিক। (আয়সারুত তাফসীর ১/২৯৪)
(وَّلَا تَفَرَّقُوْا)
আল্লাহ তা‘আলা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। যারা দীনের মধ্যে মতভেদ, ফিরকাহ বা দল-উপদল সৃষ্টি করে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِيْ شَيْءٍ)
“নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দীনকে (বিভিন্ন মতে) খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়।” (সূরা আন‘আম ৬:১৫৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তিন কাজে তোমাদের প্রতি খুশি হন, আর তিন কাজ অপছন্দ করেন। যে তিনটি কাজে খুশি হন তা হল:
১. তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
২. আল্লাহ তা‘আলার রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে এবং দলে দলে বিভক্ত হবে না।
৩. যারা তোমাদের দায়িত্বশীল হবে তাদের কল্যাণ কামনা করবে।
আর যে তিনটি কাজ তিনি অপছন্দ করেন তা হল-
১. অনর্থক কথা-বার্তা বলা।
২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৫৭৮, মুসনাদ আহমাদ: ৮৭৯৯)
অতএব ইসলামের নামে দল-উপদল সৃষ্টি না করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে দেন। জাহিলী যুগে আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে যুদ্ধ, রক্তক্ষয়ী বিগ্রহ ও কঠিন শত্র“তা ছিল। অতঃপর যখন গোত্রদ্বয় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয় তখন আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহে তারা পূর্বের সবকিছু ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ে পরিণত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা এই দিকে ইঙ্গিত করে বলেন:
(وَاِنْ یُّرِیْدُوْٓا اَنْ یَّخْدَعُوْکَ فَاِنَّ حَسْبَکَ اللہُﺚ ھُوَ الَّذِیْٓ اَیَّدَکَ بِنَصْرِھ۪ وَبِالْمُؤْمِنِیْنَﮍﺫوَاَلَّفَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْﺚ لَوْ اَنْفَقْتَ مَا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًا مَّآ اَلَّفْتَ بَیْنَ قُلُوْبِھِمْ ﺫوَلٰکِنَّ اللہَ اَلَّفَ بَیْنَھُمْ)
“তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও মু’মিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন, এবং তিনি তাদের পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহ তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন।” (সূরা আনফাল ৮:৬২-৬৩)
তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তোমরা তো ছিলে জাহান্নামের কিনারে। তিনি ইসলামের প্রতি হিদায়াত দিয়ে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সর্বদা যথাসাধ্য আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং নিষেধ হতে বিরত থাকা আবশ্যক। দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
২. মুসলিম হয়ে যাতে মারা যাই সে চেষ্টা আমাদের থাকা আবশ্যক।
৩. আল্লাহ তা‘আলার দীনকে সকলে মিলে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক।
3:104
وَلۡتَکُنۡ مِّنۡکُمۡ اُمَّۃٌ یَّدۡعُوۡنَ اِلَی الۡخَیۡرِ وَ
یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ اُولٰٓئِکَ
ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
3:105
وَ لَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ تَفَرَّقُوۡا وَ اخۡتَلَفُوۡا
مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَہُمُ الۡبَیِّنٰتُ ؕ وَ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ
عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۵﴾ۙ
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
3:106
یَّوۡمَ تَبۡیَضُّ وُجُوۡہٌ وَّ تَسۡوَدُّ وُجُوۡہٌ ۚ فَاَمَّا
الَّذِیۡنَ اسۡوَدَّتۡ وُجُوۡہُہُمۡ ۟ اَکَفَرۡتُمۡ بَعۡدَ اِیۡمَانِکُمۡ
فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ ﴿۱۰۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
3:107
وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ ابۡیَضَّتۡ وُجُوۡہُہُمۡ فَفِیۡ رَحۡمَۃِ
اللّٰہِ ؕ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۰۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
3:108
تِلۡکَ اٰیٰتُ اللّٰہِ نَتۡلُوۡہَا عَلَیۡکَ بِالۡحَقِّ ؕ وَ مَا
اللّٰہُ یُرِیۡدُ ظُلۡمًا لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۰۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
3:109
وَ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اِلَی
اللّٰہِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ ﴿۱۰۹﴾٪
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ তা‘আলা এখানে মুসলিম উম্মাহকে সম্বোধন করে বলছেন, তোমাদের এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: خير বা কল্যাণ হল
اتباع القران وسنتي
কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা। (সহীহ বুখারী হা: ৬৪৬৪, সহীহ মুসলিম হা: ২১৭১)
আবুল আলিয়া বলেন: কুরআনে যে সকল আয়াতে
امر بالمعروف
বা সৎ কাজের আদেশ এসেছে সেসকল সৎ কাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসলাম, আর যেখানে
نهي عن المنكر
বা অসৎ কাজ থেকে নিষেধের কথা এসেছে সে সকল অসৎ কাজ দ্বারা মূর্তি পূজা ও শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর, ১/ ৪৯৯)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
যারা দীনের এ মহতী কাজে আত্মনিয়োগ করবে তারাই সফলকাম হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের মত হতে নিষেধ করেছেন যারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর তারা হল ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা। কেউ কেউ বলেন, তারা হল বিদআতীরা। তবে প্রথম উক্তিটিই উত্তম। (আইসারুত তাফাসীর, ১/২৭৯, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, খ্রিস্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তারা হল এ সমস্ত লোক যারা আজ আমি ও আমার সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমলের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৫৯৬, ৪৫৯৭, তিরমিযী হা: ২৬৪০-৪১, ইবনু মাযাহ হা: ৩৯৯১, ৩৯৯৩, সহীহ)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন সুনির্দিষ্ট দলকে ফিরকাহ নাজীয়া বলে উল্লেখ করেননি। সে অনুযায়ী যে সকল মু’মিন-মুসলিম ব্যক্তিরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের আমল ও আকীদাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারাই ফিরকাহ নাজীয়া বা মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
যারা সত্য জানার পরেও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
কিয়ামতের দিন কতক ব্যক্তির চেহারা হবে উজ্জ্বল, ইবনু আব্বাস বলেন, তারা হল: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ। আর কতক ব্যক্তির চেহারা মলিন হবে। তিনি (রাঃ) বলেন, তারা হল: বিদ‘আতী ও যারা দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন: তারা হল মুনাফিক। (তাফসীর ইবনে কাসীর, ২/১০০, ফাতহুল কাদীর, ১/৫০০)। সুতরাং দলে দলে বিভক্ত হবার কোন সুযোগ নেই। যারা দলে দলে বিভক্ত হবে তারা ইসলাম বহির্ভূত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মাতে মুহাম্মাদীর এমন একটি দল থাকা আবশ্যক যারা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবে।
২. দলে দলে বিভক্ত হওয়া হারাম।
৩. কিয়ামাতের দিন বিদ‘আতী ও যারা প্রবৃত্তি পূজারী তাদেরকে মলিন চেহারায় দেখা যাবে।
৪. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত তারাই যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাগণ যে আকীদাহ ও আমালের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
৫. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের মাপকাঠি নয় বরং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ-ই হলো সত্যের মাপকাঠি।
0 Comments