▌ইরানের শিয়ারা কি মুসলিম?
সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] প্রদত্ত ফতোয়া—
السؤال: ما تقولون في رجل قال: ليس هناك فرق بين سني وشيعي، بل كلهم مسلمون وهو مفت في إحدى ديار المسلمين، حيث إنهم أجريت معه مقابلة في إحدى المجلات منذ شهر ويقول: حرام علينا أن نقول هذا سني وهذا شيعي، فهل هذا الكلام لا بأس به أو ما ترون فيه؟
الجواب: هذا الكلام فيه إجمال خطأ، فإن الشيعة أقسام وليسوا قسمًا واحدًا، الشيعة أقسام، ذكر الشهرستاني أنهم اثنتان وعشرون فرقة، وهم يختلفون فيهم من بدعته تكفره، وفيهم من بدعته لا تكفره، مع أنهم في الجملة مبتدعون، الشيعة في الجملة مبتدعون، وأدناهم من فضل عليًّا على الصديق وعمر قد أخطأ وخالف الصحابة. ولكن أخطرهم الرافضة -أصحاب الخميني- هؤلاء أخطرهم، وهكذا النصيرية أصحاب حافظ الأسد وجماعته في سوريا، فالباطنية الذين في سوريا والباطنية الذين في إيران والباطنية في الهند وهم الإسماعيلية هذه الطواف الثلاثة هم أشدهم وأخطرهم، وهم كفرة، هؤلاء كفرة لأنهم والعياذ بالله يضمرون الشر للمسلمين ويرون المسلمين أخطر عليهم من الكفرة، ويبغضون المسلمين أكثر من بغضهم الكفرة، ويرون أهل السنة حل لهم دماءهم وأموالهم، وإن جاملوا في بعض المواضع التي يجاملون فيها ويرون أن أئمتهم يعلمون الغيب وأنهم معصومون ويعبدون من دون الله بالاستغاثة والذبح لهم والنذر لهم، هذه حالهم مع أئمتهم.
فالرافضة الذين هم الطائفة الاثنا عشرية ويقال لهم: الجعفرية ويقال لهم الآن: الخمينية الذين يدعون إلى الباطل الآن وهم من شر الطوائف، وهكذا طائفة النصيرية من شر الطوائف، هكذا طائفة الإسماعيلية هؤلاء باطنية .. يرون إمامة الصديق وعمر وعثمان يرونها باطلة، ويرون الصحابة كفارًا ارتدوا عن الإسلام إلا نفرًا قليلا منهم كعلي والحسن والحسين وعمار بن ياسر واثنين أو ثلاثة أو أربعة من بقية الذين يرون أنهم يوالون عليًّا فقط، وأما بقية الصحابة فعندهم أنهم مرتدون قد خرجوا عن الإسلام وظلموا عليًّا إلى غير هذا مما يقولون، نسأل الله العافية.
مع ما عندهم من غلو في أهل البيت ودعواهم أنهم يعلمون الغيب، وأن الواجب إمامتهم، وأن هذه الإمامات التي بعد علي وقبل علي كلها باطلة، وأن ما عندهم ولاية حق إلا ولاية علي والحسين فقط، أما الولايات التي من عهد النبي ﷺ إلى يومنا كلها باطلة عند الرافضة، نسأل الله السلامة.
المقصود: أن الشيعة أقسام ليسوا قسمًا واحدًا، ومنهم الزيدية المعروفون في اليمن هؤلاء عندهم التفضيل ليسوا بكفار إلا من عبد الأوثان منهم وغلا في أهل البيت ودعاهم من دون الله، أما مجرد تفضيل عليّ على الصديق وعلى عمر لا يكون كفرا ولكنه بدعة وغلط، الواجب تفضيل الصديق ثم عمر ثم عثمان على علي، علي هو الرابع رضي الله عنه وأرضاه هذا هو الحق الذي أجمع عليه الصحابة رضي الله عنهم وأرضاهم.
فالذي يفضل عليًّا عليهم يكون أخطأ ولا يكون كافرًا وإنما الكفار منهم الرافضة والنصيرية والإسماعيلية الذين يغلون في أهل البيت ويعبدونهم من دون الله ويرون أن عبادتهم جائزة وأن أئمتهم يعلمون الغيب إلى غير هذا مما يقولون نسأل الله السلامة. فالحاصل: أنهم ينظر في عقائدهم بالتفصيل ولا يقال الشيعة كلهم كفار لا، بل فيهم تفصيل وهم أقسام كثيرة.প্রশ্ন: “ওই ব্যক্তির ব্যাপারে আপনি কী বলেন, যে বলে, সুন্নি ও শিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই? এই ব্যক্তি একটি মুসলিম রাষ্ট্রের মুফতি। এমনকি একটি পত্রিকার সাথে তাঁর একমাস ধরে সাক্ষাৎকার চলেছে, যেখানে তিনি বলেছেন, আমাদের জন্য একথা বলা হারাম যে, এই লোক সুন্নি, আর এই লোক শিয়া। এই কথা কি ঠিক? এই কথার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?”
উত্তর: “এটা সংক্ষিপ্ত কথা এবং এতে ভুল রয়েছে। কেননা শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু শ্রেণি রয়েছে, তারা স্রেফ এক শ্রেণিভুক্ত নয়। শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি শ্রেণি বা উপদল রয়েছে। শাহরাস্তানী উল্লেখ করেছেন যে, তাদের ২২টি উপদল রয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে। তাদের কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে দেয়, আবার কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে না। এতৎসত্ত্বেও তারা সবাই বিদ‘আতী। শিয়ারা সবাই বিদ‘আতী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বিদ‘আতী সে, যে আস-সিদ্দীক্ব এবং ‘উমারের ওপর ‘আলীকে প্রাধান্য দিয়েছে। বস্তুত সে ভুল করেছে এবং সাহাবীদের বিরোধিতা করেছে।
কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো রাফিদ্বীরা, যারা হলো খোমেনীর সাঙ্গপাঙ্গ। তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক শিয়া। অনুরূপভাবে নুসাইরিয়াহ সম্প্রদায়, যারা হলো সিরিয়ার হাফিজ আসাদের সাঙ্গপাঙ্গ ও তার দলের ব্যক্তিবর্গ। আর সিরিয়া, ইরান ও ভারতের বাত্বিনী সম্প্রদায়, যারা হলো ইসমা‘ঈলী সম্প্রদায়। এই তিনটি উপদল সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ঙ্কর শিয়া। তারা কাফির সম্প্রদায়। তারা কাফির। কেননা তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অনিষ্টকে লুকিয়ে রাখে এবং নিজেদের ওপর মুসলিমদেরকে কাফিরদের চেয়েও বিপজ্জনক মনে করে। তারা কাফিরদের চেয়ে মুসলিমদেরকে বেশি ঘৃণা করে। তারা আহলুস সুন্নাহ’র জান ও মাল নিজেদের জন্য হালাল মনে করে। যদিও তারা কিছু ক্ষেত্রে মোসাহেবি করে থাকে। তারা মনে করে, তাদের ইমামরা গায়েব (অদৃশ্য) জানে, তাদের ইমামরা নিষ্পাপ, আল্লাহকে ব্যতিরেকে ইমামদেরও ইবাদত করা যায় ফরিয়াদ, জবেহ ও মানত করার মাধ্যমে। তাদের ইমামদের ব্যাপারে এই হলো তাদের অবস্থান।
আর রাফিদ্বীরা হলো ইসনা ‘আশারিয়াহ তথা বারো ইমামিয়াহ নামক উপদল। তাদেরকে ‘জা‘ফারিয়্যাহ’-ও বলা হয়। অবশ্য এখন তাদেরকে ‘খুমাইনিয়্যাহ’ (খোমেনীর মতাদর্শের লোকজন) বলা হয়, যারা এখনও মানুষকে বাতিলের দিকে আহ্বান করে। তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট উপদল। অনুরূপভাবে ‘নুসাইরিয়াহ’-ও নিকৃষ্ট উপদলগুলোর অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে ইসমা‘ঈলী শিয়ারাও নিকৃষ্ট, যারা হলো বাত্বিনী শিয়া। তারা গুটিকয়েক সাহাবী ছাড়া সমস্ত সাহাবীকে ইসলাম থেকে খারিজ—মুরতাদ কাফির মনে করে। আর সেই গুটিকয়েক সাহাবীর অন্তর্ভুক্ত হলেন ‘আলী, হাসান, হুসাইন, ‘আম্মার বিন ইয়াসার এবং আরও দুই, তিন বা চারজন সাহাবী, যাদেরকে তারা মনে করে যে, কেবল তারাই ‘আলীর সাথে মিত্রতা পোষণ করেছিল। পক্ষান্তরে বাকি সাহাবী তাদের কাছে মুরতাদ। তাঁরা ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছেন এবং ‘আলীর ওপর জুলুম করেছেন, ইত্যাদি আরও কথাবার্তা তারা বলে থাকে। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
এছাড়াও আহলে বাইত তথা নাবী পরিবারের ব্যাপারে তাদের চরমপন্থি মতাদর্শ রয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তাঁরা (আহলে বাইত) গায়েব জানেন। তাদেরকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করা ওয়াজিব। আর ‘আলীর আগে ও পরে যত ইমামত (নেতৃত্ব) রয়েছে, সবই বাতিল। তাদের নিকট কেবল ‘আলী এবং হুসাইনের নেতৃত্বই হক। পক্ষান্তরে নাবী ﷺ এর যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যত নেতৃত্ব চলে আসছে, রাফিদ্বীদের নিকট তার সবই বাতিল। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
মোটকথা, শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু শ্রেণি রয়েছে, তারা শুধু এক শ্রেণিভুক্ত নয়। শিয়াদের অন্তর্ভুক্ত আরেকটি উপদল হলো ইয়েমেনের ‘যাইদিয়াহ’ নামক প্রসিদ্ধ উপদল। তাদের নিকট তাফদ্বীলের মতাদর্শ রয়েছে (তাফদ্বীল হলো ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুকে আবূ বাকার এবং ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা – অনুবাদক)। এরা কাফির না। তবে তাদের মধ্যে যারা মূর্তিপূজা করে, আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে এবং আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের ইবাদত করে তাদের কথা আলাদা। পক্ষান্তরে শুধু ‘আলীকে আস-সিদ্দীক্ব এবং ‘উমারের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা কুফর না, কিন্তু বিদ‘আত এবং গলত। আবশ্যক হলো—আস-সিদ্দীক্বকে সবার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া, তারপর ‘উমার, তারপর ‘উসমানকে ‘আলীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া। ‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু ওয়া আরদ্বাহু) হলেন চতুর্থতম। এর ওপরই সাহাবীগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম ওয়া আরদ্বাহুম।
সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আলীকে তাঁদের ওপর প্রাধান্য দেয়, সে ভুলকারী বিবেচিত হবে, সে কাফির নয়। শিয়াদের মধ্যে শুধু কাফির হলো রাফিদ্বী, নুসাইরিয়াহ ও ইসমা‘ঈলিয়্যাহ সম্প্রদায়। যারা আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে, আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের ইবাদত করে, তাদের ইবাদত করা জায়েজ মনে করে, তাদের ইমামরা গায়েব জানে বলে মনে করে ইত্যাদি আরও কথাবার্তা তারা বলে থাকে। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি। মোটকথা তাদের ‘আক্বীদাহর দিকে বিশদভাবে নজর দিতে হবে। একথা বলা যাবে না যে, শিয়ারা সবাই কাফির। না, বরং তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ রয়েছে। তাদের অনেকগুলো শ্রেণি রয়েছে।” [দ্র.: https://tinyurl.com/ yxom3snd (শাইখের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লিংক)]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র ফাতওয়া থেকে প্রতীয়মান হলো যে, খোমেনীপন্থি শিয়ারা হলো রাফিদ্বী শিয়া, যারা শিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট উপদল। নিম্নে আমরা রাফিদ্বী শিয়াদের ব্যাপারে পূর্ববর্তী আইম্মায়ে কেরামের কিছু বক্তব্য উল্লেখ করছি।
·
প্রখ্যাত তাবি‘ঈ শাইখুল ইসলাম ইমাম ত্বালহাহ বিন মুসাররিফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১১২ হি.] বলেছেন, الرافضة لا تنكح نساؤهم، ولا تؤكل ذبائحهم، لأنهم أهل ردة “রাফিদ্বী সম্প্রদায়ের মহিলাদেরকে বিয়ে করা যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না। কেননা তারা হলো মুরতাদ সম্প্রদায়।” [আল-ইবানাতুস সুগরা, পৃষ্ঠা: ১৬১]
ইমাম আবূ হানীফাহ (রাহিমাহুল্লাহ)’র শ্রেষ্ঠ ছাত্র ইমাম আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮২ হি.] বলেছেন, لا أصلي خلف جهمي، ولا رافضي، ولا قدري “আমি কোনো জাহমী, রাফিদ্বী শিয়া এবং তাক্বদীর অস্বীকারকারী ক্বাদারীর পেছনে নামাজ পড়ি না।” [শারহু উসূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৭৩৩]
ইসমা‘ঈল বিন ইসহাক্ব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, أن أبا عبد الله سُئل: عن رجل له جار رافضي يسلم عليه؟ قال: لا، وإذا سلم عليه لا يرد عليه “একদা আবূ ‘আব্দুল্লাহকে (ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, মৃত. ২৪১ হি.) জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যার প্রতিবেশি একজন রাফিদ্বী শিয়া, আর এই রাফিদ্বী ওই ব্যক্তিকে সালাম দেয়। তিনি উত্তরে বললেন, ‘না, যদি সে তাকে সালাম দেয়, তাহলে সে তার সালামের জবাব দিবে না’।” [ইমাম খাল্লালের ‘আস-সুন্নাহ’, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৪৯৪]
ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৫৬ হি.] তাঁর খালকু আফ‘আলিল ‘ইবাদ গ্রন্থে বলেছেন, ما أبالي صليت خلف الجهمي والرافضي، أم صليت خلف اليهود والنصارى، ولا يسلم عليهم، ولا يعادون، ولا يناكحون، ولا يشهدون، ولا تؤكل ذبائحهم “আমি কোনো পরোয়া করি না, আমি জাহমী ও রাফিদ্বীর পেছনে সালাত পড়লাম, নাকি ইহুদি ও খ্রিষ্টানের পেছনে সালাত পড়লাম। তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না, তারা অসুস্থ হলে তাদেরকে দেখতে যাওয়া যাবে না, তাদেরকে বিয়ে করা যাবে না, তারা মারা গেলে তাদের জানাযাহয় শরিক হওয়া যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না।” [খালকু আফ‘আলিল ‘ইবাদ, পৃষ্ঠা: ১২৫]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] রাফিদ্বী শিয়াদের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, أن كفرهم أغلظ من كفر اليهود والنصارى، لأن أولئك عندهم كفار أصليون وهؤلاء مرتدون وكفر الردة أغلظ بالإجماع من الكفر الأصلي، ولهذا السبب يعاونون الكفار على الجمهور من المسلمين فيعاونون التتار على الجمهور “তাদের কুফর ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কুফরের চেয়েও গুরুতর। কেননা ইহুদি-খ্রিষ্টানরা হলো সত্ত্বাগত কাফির। পক্ষান্তরে তারা (রাফিদ্বীরা) হলো দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়া মুরতাদ। আর মুরতাদ হওয়ার কুফর ইজমা‘র (মতৈক্য) ভিত্তিতে সত্ত্বাগত কুফরের চেয়েও গুরুতর। এজন্যই তারা মুসলিম জনসাধারণের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহযোগিতা করে। যেমন তারা মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে (মুসলিম জনপদে গণহত্যা পরিচালনাকারী) তাতার সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করছে।” [মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা: ৪২১]
মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ‘উলামাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হলো যে, ইরানের শিয়ারা হলো কাফির, যাদের সাথে কাফিরদের মতো আচরণ করতে হবে। বলাই বাহুল্য যে, তাদেরকে ‘মুসলিম’ বলে বিশ্বাস করাও কুফর। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বোঝার এবং তদনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল ‘আলামীন।
·তথ্যসূত্র: সাহাব (sahab) ডট নেট ও আজুর্রি (ajurry) ডট কম।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] প্রদত্ত ফতোয়া—
السؤال: ما تقولون في رجل قال: ليس هناك فرق بين سني وشيعي، بل كلهم مسلمون وهو مفت في إحدى ديار المسلمين، حيث إنهم أجريت معه مقابلة في إحدى المجلات منذ شهر ويقول: حرام علينا أن نقول هذا سني وهذا شيعي، فهل هذا الكلام لا بأس به أو ما ترون فيه؟
الجواب: هذا الكلام فيه إجمال خطأ، فإن الشيعة أقسام وليسوا قسمًا واحدًا، الشيعة أقسام، ذكر الشهرستاني أنهم اثنتان وعشرون فرقة، وهم يختلفون فيهم من بدعته تكفره، وفيهم من بدعته لا تكفره، مع أنهم في الجملة مبتدعون، الشيعة في الجملة مبتدعون، وأدناهم من فضل عليًّا على الصديق وعمر قد أخطأ وخالف الصحابة. ولكن أخطرهم الرافضة -أصحاب الخميني- هؤلاء أخطرهم، وهكذا النصيرية أصحاب حافظ الأسد وجماعته في سوريا، فالباطنية الذين في سوريا والباطنية الذين في إيران والباطنية في الهند وهم الإسماعيلية هذه الطواف الثلاثة هم أشدهم وأخطرهم، وهم كفرة، هؤلاء كفرة لأنهم والعياذ بالله يضمرون الشر للمسلمين ويرون المسلمين أخطر عليهم من الكفرة، ويبغضون المسلمين أكثر من بغضهم الكفرة، ويرون أهل السنة حل لهم دماءهم وأموالهم، وإن جاملوا في بعض المواضع التي يجاملون فيها ويرون أن أئمتهم يعلمون الغيب وأنهم معصومون ويعبدون من دون الله بالاستغاثة والذبح لهم والنذر لهم، هذه حالهم مع أئمتهم.
فالرافضة الذين هم الطائفة الاثنا عشرية ويقال لهم: الجعفرية ويقال لهم الآن: الخمينية الذين يدعون إلى الباطل الآن وهم من شر الطوائف، وهكذا طائفة النصيرية من شر الطوائف، هكذا طائفة الإسماعيلية هؤلاء باطنية .. يرون إمامة الصديق وعمر وعثمان يرونها باطلة، ويرون الصحابة كفارًا ارتدوا عن الإسلام إلا نفرًا قليلا منهم كعلي والحسن والحسين وعمار بن ياسر واثنين أو ثلاثة أو أربعة من بقية الذين يرون أنهم يوالون عليًّا فقط، وأما بقية الصحابة فعندهم أنهم مرتدون قد خرجوا عن الإسلام وظلموا عليًّا إلى غير هذا مما يقولون، نسأل الله العافية.
مع ما عندهم من غلو في أهل البيت ودعواهم أنهم يعلمون الغيب، وأن الواجب إمامتهم، وأن هذه الإمامات التي بعد علي وقبل علي كلها باطلة، وأن ما عندهم ولاية حق إلا ولاية علي والحسين فقط، أما الولايات التي من عهد النبي ﷺ إلى يومنا كلها باطلة عند الرافضة، نسأل الله السلامة.
المقصود: أن الشيعة أقسام ليسوا قسمًا واحدًا، ومنهم الزيدية المعروفون في اليمن هؤلاء عندهم التفضيل ليسوا بكفار إلا من عبد الأوثان منهم وغلا في أهل البيت ودعاهم من دون الله، أما مجرد تفضيل عليّ على الصديق وعلى عمر لا يكون كفرا ولكنه بدعة وغلط، الواجب تفضيل الصديق ثم عمر ثم عثمان على علي، علي هو الرابع رضي الله عنه وأرضاه هذا هو الحق الذي أجمع عليه الصحابة رضي الله عنهم وأرضاهم.
فالذي يفضل عليًّا عليهم يكون أخطأ ولا يكون كافرًا وإنما الكفار منهم الرافضة والنصيرية والإسماعيلية الذين يغلون في أهل البيت ويعبدونهم من دون الله ويرون أن عبادتهم جائزة وأن أئمتهم يعلمون الغيب إلى غير هذا مما يقولون نسأل الله السلامة. فالحاصل: أنهم ينظر في عقائدهم بالتفصيل ولا يقال الشيعة كلهم كفار لا، بل فيهم تفصيل وهم أقسام كثيرة.প্রশ্ন: “ওই ব্যক্তির ব্যাপারে আপনি কী বলেন, যে বলে, সুন্নি ও শিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই? এই ব্যক্তি একটি মুসলিম রাষ্ট্রের মুফতি। এমনকি একটি পত্রিকার সাথে তাঁর একমাস ধরে সাক্ষাৎকার চলেছে, যেখানে তিনি বলেছেন, আমাদের জন্য একথা বলা হারাম যে, এই লোক সুন্নি, আর এই লোক শিয়া। এই কথা কি ঠিক? এই কথার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?”
উত্তর: “এটা সংক্ষিপ্ত কথা এবং এতে ভুল রয়েছে। কেননা শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু শ্রেণি রয়েছে, তারা স্রেফ এক শ্রেণিভুক্ত নয়। শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি শ্রেণি বা উপদল রয়েছে। শাহরাস্তানী উল্লেখ করেছেন যে, তাদের ২২টি উপদল রয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে। তাদের কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে দেয়, আবার কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে না। এতৎসত্ত্বেও তারা সবাই বিদ‘আতী। শিয়ারা সবাই বিদ‘আতী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বিদ‘আতী সে, যে আস-সিদ্দীক্ব এবং ‘উমারের ওপর ‘আলীকে প্রাধান্য দিয়েছে। বস্তুত সে ভুল করেছে এবং সাহাবীদের বিরোধিতা করেছে।
কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো রাফিদ্বীরা, যারা হলো খোমেনীর সাঙ্গপাঙ্গ। তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক শিয়া। অনুরূপভাবে নুসাইরিয়াহ সম্প্রদায়, যারা হলো সিরিয়ার হাফিজ আসাদের সাঙ্গপাঙ্গ ও তার দলের ব্যক্তিবর্গ। আর সিরিয়া, ইরান ও ভারতের বাত্বিনী সম্প্রদায়, যারা হলো ইসমা‘ঈলী সম্প্রদায়। এই তিনটি উপদল সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ঙ্কর শিয়া। তারা কাফির সম্প্রদায়। তারা কাফির। কেননা তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অনিষ্টকে লুকিয়ে রাখে এবং নিজেদের ওপর মুসলিমদেরকে কাফিরদের চেয়েও বিপজ্জনক মনে করে। তারা কাফিরদের চেয়ে মুসলিমদেরকে বেশি ঘৃণা করে। তারা আহলুস সুন্নাহ’র জান ও মাল নিজেদের জন্য হালাল মনে করে। যদিও তারা কিছু ক্ষেত্রে মোসাহেবি করে থাকে। তারা মনে করে, তাদের ইমামরা গায়েব (অদৃশ্য) জানে, তাদের ইমামরা নিষ্পাপ, আল্লাহকে ব্যতিরেকে ইমামদেরও ইবাদত করা যায় ফরিয়াদ, জবেহ ও মানত করার মাধ্যমে। তাদের ইমামদের ব্যাপারে এই হলো তাদের অবস্থান।
আর রাফিদ্বীরা হলো ইসনা ‘আশারিয়াহ তথা বারো ইমামিয়াহ নামক উপদল। তাদেরকে ‘জা‘ফারিয়্যাহ’-ও বলা হয়। অবশ্য এখন তাদেরকে ‘খুমাইনিয়্যাহ’ (খোমেনীর মতাদর্শের লোকজন) বলা হয়, যারা এখনও মানুষকে বাতিলের দিকে আহ্বান করে। তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট উপদল। অনুরূপভাবে ‘নুসাইরিয়াহ’-ও নিকৃষ্ট উপদলগুলোর অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে ইসমা‘ঈলী শিয়ারাও নিকৃষ্ট, যারা হলো বাত্বিনী শিয়া। তারা গুটিকয়েক সাহাবী ছাড়া সমস্ত সাহাবীকে ইসলাম থেকে খারিজ—মুরতাদ কাফির মনে করে। আর সেই গুটিকয়েক সাহাবীর অন্তর্ভুক্ত হলেন ‘আলী, হাসান, হুসাইন, ‘আম্মার বিন ইয়াসার এবং আরও দুই, তিন বা চারজন সাহাবী, যাদেরকে তারা মনে করে যে, কেবল তারাই ‘আলীর সাথে মিত্রতা পোষণ করেছিল। পক্ষান্তরে বাকি সাহাবী তাদের কাছে মুরতাদ। তাঁরা ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছেন এবং ‘আলীর ওপর জুলুম করেছেন, ইত্যাদি আরও কথাবার্তা তারা বলে থাকে। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
এছাড়াও আহলে বাইত তথা নাবী পরিবারের ব্যাপারে তাদের চরমপন্থি মতাদর্শ রয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তাঁরা (আহলে বাইত) গায়েব জানেন। তাদেরকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করা ওয়াজিব। আর ‘আলীর আগে ও পরে যত ইমামত (নেতৃত্ব) রয়েছে, সবই বাতিল। তাদের নিকট কেবল ‘আলী এবং হুসাইনের নেতৃত্বই হক। পক্ষান্তরে নাবী ﷺ এর যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যত নেতৃত্ব চলে আসছে, রাফিদ্বীদের নিকট তার সবই বাতিল। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।
মোটকথা, শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু শ্রেণি রয়েছে, তারা শুধু এক শ্রেণিভুক্ত নয়। শিয়াদের অন্তর্ভুক্ত আরেকটি উপদল হলো ইয়েমেনের ‘যাইদিয়াহ’ নামক প্রসিদ্ধ উপদল। তাদের নিকট তাফদ্বীলের মতাদর্শ রয়েছে (তাফদ্বীল হলো ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুকে আবূ বাকার এবং ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা – অনুবাদক)। এরা কাফির না। তবে তাদের মধ্যে যারা মূর্তিপূজা করে, আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে এবং আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের ইবাদত করে তাদের কথা আলাদা। পক্ষান্তরে শুধু ‘আলীকে আস-সিদ্দীক্ব এবং ‘উমারের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা কুফর না, কিন্তু বিদ‘আত এবং গলত। আবশ্যক হলো—আস-সিদ্দীক্বকে সবার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া, তারপর ‘উমার, তারপর ‘উসমানকে ‘আলীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া। ‘আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু ওয়া আরদ্বাহু) হলেন চতুর্থতম। এর ওপরই সাহাবীগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম ওয়া আরদ্বাহুম।
সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আলীকে তাঁদের ওপর প্রাধান্য দেয়, সে ভুলকারী বিবেচিত হবে, সে কাফির নয়। শিয়াদের মধ্যে শুধু কাফির হলো রাফিদ্বী, নুসাইরিয়াহ ও ইসমা‘ঈলিয়্যাহ সম্প্রদায়। যারা আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে, আল্লাহকে ব্যতিরেকে তাদের ইবাদত করে, তাদের ইবাদত করা জায়েজ মনে করে, তাদের ইমামরা গায়েব জানে বলে মনে করে ইত্যাদি আরও কথাবার্তা তারা বলে থাকে। আমরা আল্লাহ’র কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি। মোটকথা তাদের ‘আক্বীদাহর দিকে বিশদভাবে নজর দিতে হবে। একথা বলা যাবে না যে, শিয়ারা সবাই কাফির। না, বরং তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ রয়েছে। তাদের অনেকগুলো শ্রেণি রয়েছে।” [দ্র.: https://tinyurl.com/
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র ফাতওয়া থেকে প্রতীয়মান হলো যে, খোমেনীপন্থি শিয়ারা হলো রাফিদ্বী শিয়া, যারা শিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট উপদল। নিম্নে আমরা রাফিদ্বী শিয়াদের ব্যাপারে পূর্ববর্তী আইম্মায়ে কেরামের কিছু বক্তব্য উল্লেখ করছি।
·
প্রখ্যাত তাবি‘ঈ শাইখুল ইসলাম ইমাম ত্বালহাহ বিন মুসাররিফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১১২ হি.] বলেছেন, الرافضة لا تنكح نساؤهم، ولا تؤكل ذبائحهم، لأنهم أهل ردة “রাফিদ্বী সম্প্রদায়ের মহিলাদেরকে বিয়ে করা যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না। কেননা তারা হলো মুরতাদ সম্প্রদায়।” [আল-ইবানাতুস সুগরা, পৃষ্ঠা: ১৬১]
ইমাম আবূ হানীফাহ (রাহিমাহুল্লাহ)’র শ্রেষ্ঠ ছাত্র ইমাম আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮২ হি.] বলেছেন, لا أصلي خلف جهمي، ولا رافضي، ولا قدري “আমি কোনো জাহমী, রাফিদ্বী শিয়া এবং তাক্বদীর অস্বীকারকারী ক্বাদারীর পেছনে নামাজ পড়ি না।” [শারহু উসূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৭৩৩]
ইসমা‘ঈল বিন ইসহাক্ব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, أن أبا عبد الله سُئل: عن رجل له جار رافضي يسلم عليه؟ قال: لا، وإذا سلم عليه لا يرد عليه “একদা আবূ ‘আব্দুল্লাহকে (ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, মৃত. ২৪১ হি.) জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যার প্রতিবেশি একজন রাফিদ্বী শিয়া, আর এই রাফিদ্বী ওই ব্যক্তিকে সালাম দেয়। তিনি উত্তরে বললেন, ‘না, যদি সে তাকে সালাম দেয়, তাহলে সে তার সালামের জবাব দিবে না’।” [ইমাম খাল্লালের ‘আস-সুন্নাহ’, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৪৯৪]
ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৫৬ হি.] তাঁর খালকু আফ‘আলিল ‘ইবাদ গ্রন্থে বলেছেন, ما أبالي صليت خلف الجهمي والرافضي، أم صليت خلف اليهود والنصارى، ولا يسلم عليهم، ولا يعادون، ولا يناكحون، ولا يشهدون، ولا تؤكل ذبائحهم “আমি কোনো পরোয়া করি না, আমি জাহমী ও রাফিদ্বীর পেছনে সালাত পড়লাম, নাকি ইহুদি ও খ্রিষ্টানের পেছনে সালাত পড়লাম। তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না, তারা অসুস্থ হলে তাদেরকে দেখতে যাওয়া যাবে না, তাদেরকে বিয়ে করা যাবে না, তারা মারা গেলে তাদের জানাযাহয় শরিক হওয়া যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না।” [খালকু আফ‘আলিল ‘ইবাদ, পৃষ্ঠা: ১২৫]
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] রাফিদ্বী শিয়াদের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, أن كفرهم أغلظ من كفر اليهود والنصارى، لأن أولئك عندهم كفار أصليون وهؤلاء مرتدون وكفر الردة أغلظ بالإجماع من الكفر الأصلي، ولهذا السبب يعاونون الكفار على الجمهور من المسلمين فيعاونون التتار على الجمهور “তাদের কুফর ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কুফরের চেয়েও গুরুতর। কেননা ইহুদি-খ্রিষ্টানরা হলো সত্ত্বাগত কাফির। পক্ষান্তরে তারা (রাফিদ্বীরা) হলো দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়া মুরতাদ। আর মুরতাদ হওয়ার কুফর ইজমা‘র (মতৈক্য) ভিত্তিতে সত্ত্বাগত কুফরের চেয়েও গুরুতর। এজন্যই তারা মুসলিম জনসাধারণের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহযোগিতা করে। যেমন তারা মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে (মুসলিম জনপদে গণহত্যা পরিচালনাকারী) তাতার সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করছে।” [মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, খণ্ড: ৬; পৃষ্ঠা: ৪২১]
মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ‘উলামাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হলো যে, ইরানের শিয়ারা হলো কাফির, যাদের সাথে কাফিরদের মতো আচরণ করতে হবে। বলাই বাহুল্য যে, তাদেরকে ‘মুসলিম’ বলে বিশ্বাস করাও কুফর। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বোঝার এবং তদনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল ‘আলামীন।
·তথ্যসূত্র: সাহাব (sahab) ডট নেট ও আজুর্রি (ajurry) ডট কম।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
0 Comments