Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

প্রশ্ন: ❝কোনো ‘আলিম সালাফী কিনা তা জানার উপায় কী?❞


প্রশ্ন: ❝কোনো ‘আলিম সালাফী কিনা তা জানার উপায় কী?❞

উত্তর: ❝যখন তুমি কোনো ব্যক্তিকে দেখবে, সে আহলুস সুন্নাহর লোকদের নিকট আশ্রয় নেয় (অর্থাৎ, তাদের সাথে ওঠাবসা করে), তখন তুমি জানবে যে, সে সুন্নাহপন্থি। এটা সংক্ষিপ্ত মূলনীতি। পক্ষান্তরে যখন তুমি দেখবে, সে
 বিদ‘আতীদের নিকট আশ্রয় নেয়, তখন তুমি জানবে যে, সে তার (বিদ‘আতের) ওপরই রয়েছে। কেননা মানুষের অন্তর ও আত্মাসমূহ সেনাবাহিনীর মতো সমবেত ছিল, এখানে তাদের মধ্যে পরস্পর পরিচিতি ও সৌহার্দতা থাকবে। আর সেখানে যাদের মধ্যে পরস্পর পরিচয় হয়নি, এখানে তাদের মধ্যে পরস্পর মতভেদ ও মতবিরোধ থাকবে।” (সাহীহ বুখারী, হা/৩৩৩৬; সাহীহ মুসলিম, হা/২৬৩৮)

এখন আমি তোমাদেরকে এ ব্যাপারে কিছু আলামতের কথা বর্ণনা করছি। যখন তুমি কোনো দা‘ঈকে দেখবে, সে আমাদের ইমামদেরকে সম্মান করে, সৌদি আরবের (সালাফী) দাওয়াতের সেই ‘উলামাদের সম্মান করে, যাঁরা হলেন ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (রাহমাতুল্লাহি ‘আলাইহ) এর ও তাঁর (প্রচারিত) সালাফী আদর্শের ছাত্রবর্গ। যে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাঁদের মানহাজ অবলম্বন করে, আর তাঁদের আদর্শে পথ চলে, তার ব্যাপারে জানবে, সে কল্যাণের ওপর রয়েছে।

যে ব্যক্তিই এসবের ওপর রয়েছে, চাই সে সৌদিতে থাকুক কিংবা অন্য কোথাও, তার ব্যাপারে জানবে, সে কল্যাণের ওপর রয়েছে। আর যখন তোমরা তাদেরকে এর বিপরীত বিষয়ের ওপর দেখবে যে, তারা (সরল পথ বাদ দিয়ে) বিভিন্ন প্রশাখা রাস্তার অনুসরণ করছে। হয়তো সে মনে করছে, হাসান আল-বান্না একজন মুজাদ্দিদ, অথবা মনে করছে, অমুক (বিদ‘আতী) একজন মুজাদ্দিদ, কিংবা মনে করছে, (মুহাম্মাদ) সুরূর একজন মুজাদ্দিদ, কিংবা মনে করছে, সাইয়্যিদ কুতুব একজন মুজাদ্দিদ প্রভৃতি, তখন তুমি জানবে যে, সে আহলুস সুন্নাহর আদর্শ পরিপন্থি মতাদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।❞


Post a Comment

0 Comments