▌ওয়াক্ত শুরুর পূর্বেই আজান দেওয়ার বিধান
·সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটি (আল-লাজনাতুদ দা’ইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) প্রদত্ত ফতোয়া—
س: ما حكم من أذن قبل دخول الوقت بعشر دقائق، وهل عليه الإعادة، أرجو الجواب؟ جزاكم الله خير الجزاء.
جـ: لا يجوز الأذان قبل دخول الوقت، ومن أذن وتبين له أن أذانه وقع قبل دخول وقت الصلاة التي أذن لها وجب عليه أن يعيد الأذان بعد دخول الوقت، إلا صلاة الفجر فإنه يؤذن لها الأذان الأول قبل دخول الوقت، ثم يؤذن لها بعد دخول الوقت. وبالله التوفيق وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.
جـ: لا يجوز الأذان قبل دخول الوقت، ومن أذن وتبين له أن أذانه وقع قبل دخول وقت الصلاة التي أذن لها وجب عليه أن يعيد الأذان بعد دخول الوقت، إلا صلاة الفجر فإنه يؤذن لها الأذان الأول قبل دخول الوقت، ثم يؤذن لها بعد دخول الوقت. وبالله التوفيق وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.
প্রশ্ন: “ওয়াক্ত শুরু হওয়ার মিনিট দশেক আগেই যে ব্যক্তি আজান দিয়েছে, তার বিধান কী? তাকে কি পুনরায় আজান দিতে হবে? আমি (এ ব্যাপারে) উত্তর আশা করছি। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম পারিতোষিক দান করুন।”
উত্তর: “ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে আজান দেওয়া জায়েজ নয়। যে ব্যক্তি আজান দিয়েছে, এবং তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, যেই নামাজের জন্য সে আজান দিয়েছে, সেই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বেই তার আজান সম্পন্ন হয়েছে, তাহলে ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরে পুনরায় আজান দেওয়া তার জন্য ওয়াজিব (আবশ্যক)। কেবল ফজরের নামাজ ব্যতীত। ফজরের নামাজের জন্য ওয়াক্ত শুরুর পূর্বে প্রথম আজান দিতে পারবে, এরপর ওয়াক্ত শুরু হলে (দ্বিতীয়) আজান দিবে। [১]
আর আল্লাহই তৌফিকদাতা। হে আল্লাহ, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের ওপর আপনি দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন।”
ফতোয়া প্রদান করেছেন—
চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
ডেপুটি চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন ক্বা‘ঊদ (রাহিমাহুল্লাহ)।
চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
ডেপুটি চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন ক্বা‘ঊদ (রাহিমাহুল্লাহ)।
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. যেহেতু হাদীসে এসেছে, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, “বিলালের আজান যেন তোমাদেরকে সেহরি খাওয়াতে বাধা না দেয়।” (আবূ দাঊদ, হা/২৩৪৬; সনদ: সাহীহ) রাসূল ﷺ আরও বলেন, “ইবনে উম্মে মাকতূমের আজান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করো। কারণ সে ফজর উদয় না হলে আজান দেয় না।” (সাহীহ বুখারী, হা/১৯১৮)
·তথ্যসূত্র:
ফাতাওয়া লাজনাহ দাইমাহ, ফতোয়া নং: ৫৯৫৩; প্রশ্ন নং: ২০; গৃহীত: আল-ইমান ডট কম।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
0 Comments