▌মুফাউয়্যিদ্বাহ ও সুন্নী-রাফিদ্বী ঐক্যকামী মুফতি থেকে ফতোয়া নেওয়ার বিধান
·সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফতোয়া—
প্রশ্ন: “সম্মানিত শাইখ, আল্লাহ আপনাকে সৎকর্মের তৌফিক দিন। কতিপয় আশ‘আরী, যারা তাফউয়ীদ্ব [১] করার ‘আক্বীদাহকে সালাফদের দিকে সম্পৃক্ত করে, আর মনে করে যে, আশ‘আরী ‘আক্বীদাহই হলো বিশুদ্ধ ‘আক্বীদাহ, এবং যারা রাফিদ্বী শিয়াদের সাথে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা বৈধ মনে করে—তাদের থেকে ফিক্বহ সংক্রান্ত ফতোয়া নেওয়া কি জায়েজ হবে?”
উত্তর: “না। এরকম লোক হলো নিজে ভ্রষ্ট এবং অপরকে ভ্রষ্টকারী। যে পথভ্রষ্ট ব্যক্তিবর্গের দিকে মানুষকে আহ্বান করে, আবার আল্লাহর সিফাতকে তা’উয়ীল করার দিকে মানুষকে আহ্বান করে। এ ধরনের ব্যক্তির নিকট থেকে ‘ইলম নেওয়া যাবে না এবং তাকে ফতোয়াও জিজ্ঞেস করা যাবে না; যতক্ষণ সেখানে মুহাক্বক্বিক্ব ‘উলামা রয়েছেন, সালাফী মানহাজের ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘উলামা রয়েছেন। কেবল তাঁদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে এবং তাঁদের কাছেই ফতোয়া চাইতে হবে।”
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. তাফউয়ীদ্ব শব্দের অর্থ ন্যস্ত করা, সোপর্দ করা প্রভৃতি। আল্লাহর সিফাতের ক্ষেত্রে এর পারিভাষিক অর্থ—সিফাতের শব্দাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, আর শব্দের অর্থ ও প্রকৃতত্বের ব্যাপারে স্বীকৃতি-অস্বীকৃতি কোনোটাই না করে এরূপ বলা যে, এগুলো আমি আল্লাহর কাছে সোপর্দ করলাম।
[২]. তা’উয়ীল শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করা। আল্লাহর সিফাতের ক্ষেত্রে এর পারিভাষিক অর্থ—কোনো সিফাতের প্রকাশ্য অর্থকে অগ্রহণীয় কোনো অর্থে রূপান্তর করা। যেমন: আল্লাহর সিফাত ‘ইয়াদ’—যার অর্থ ‘হাত’—এর তা’উয়ীল করে এরূপ বলা যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুদরত বা ক্ষমতা।
·তথ্যসূত্র:
https://www.youtube.com/watch?v=76PoZMll2GY (অডিয়ো ক্লিপ)।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
·সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফতোয়া—
প্রশ্ন: “সম্মানিত শাইখ, আল্লাহ আপনাকে সৎকর্মের তৌফিক দিন। কতিপয় আশ‘আরী, যারা তাফউয়ীদ্ব [১] করার ‘আক্বীদাহকে সালাফদের দিকে সম্পৃক্ত করে, আর মনে করে যে, আশ‘আরী ‘আক্বীদাহই হলো বিশুদ্ধ ‘আক্বীদাহ, এবং যারা রাফিদ্বী শিয়াদের সাথে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা বৈধ মনে করে—তাদের থেকে ফিক্বহ সংক্রান্ত ফতোয়া নেওয়া কি জায়েজ হবে?”
উত্তর: “না। এরকম লোক হলো নিজে ভ্রষ্ট এবং অপরকে ভ্রষ্টকারী। যে পথভ্রষ্ট ব্যক্তিবর্গের দিকে মানুষকে আহ্বান করে, আবার আল্লাহর সিফাতকে তা’উয়ীল করার দিকে মানুষকে আহ্বান করে। এ ধরনের ব্যক্তির নিকট থেকে ‘ইলম নেওয়া যাবে না এবং তাকে ফতোয়াও জিজ্ঞেস করা যাবে না; যতক্ষণ সেখানে মুহাক্বক্বিক্ব ‘উলামা রয়েছেন, সালাফী মানহাজের ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘উলামা রয়েছেন। কেবল তাঁদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে এবং তাঁদের কাছেই ফতোয়া চাইতে হবে।”
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. তাফউয়ীদ্ব শব্দের অর্থ ন্যস্ত করা, সোপর্দ করা প্রভৃতি। আল্লাহর সিফাতের ক্ষেত্রে এর পারিভাষিক অর্থ—সিফাতের শব্দাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, আর শব্দের অর্থ ও প্রকৃতত্বের ব্যাপারে স্বীকৃতি-অস্বীকৃতি কোনোটাই না করে এরূপ বলা যে, এগুলো আমি আল্লাহর কাছে সোপর্দ করলাম।
[২]. তা’উয়ীল শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করা। আল্লাহর সিফাতের ক্ষেত্রে এর পারিভাষিক অর্থ—কোনো সিফাতের প্রকাশ্য অর্থকে অগ্রহণীয় কোনো অর্থে রূপান্তর করা। যেমন: আল্লাহর সিফাত ‘ইয়াদ’—যার অর্থ ‘হাত’—এর তা’উয়ীল করে এরূপ বলা যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুদরত বা ক্ষমতা।
·তথ্যসূত্র:
https://www.youtube.com/watch?v=76PoZMll2GY (অডিয়ো ক্লিপ)।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
0 Comments