🔷 কখন কি বলা সুন্নাত এবং কিছু গুরত্তপুর্ন দুয়া🔷 When to say what Sunnah is

🔷 কখন কি বলা সুন্নাত 🔷

পরিচালনায় আমি-রাসিকুল ইসলাম

    🔷কখন কি বলা সুন্নাত 🔷

​🔷১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময়

 🗣 উচ্চারন 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে ।👉প্রমাণ 📖 (বুখারীঃ ৫৩৭৬)

​🔷২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 🗣 উচ্চারন 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা ।👉প্রমাণ📖-(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)

​🔷➡৩. কারো হাঁচি আসলে ' 🗣️ উচ্চারন 'আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা ।👉প্রমাণ📖 -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)

​🔷➡৪. কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 🗣 উচ্চারন 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা ।👉প্রমাণ📖-(বুখারীঃ ৬২২৪)

​🔷➡৫. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 🗣 উচ্চারন 'আল্লাহু আকবর' বলা । স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 🗣উচ্চারন 'সুবহানাল্লাহ' বলা ।👉প্রমাণ📖 

-(বুখারীঃ ৬২১৮)

​🔷➡৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 🗣 উচ্চারন 'মা-শা আল্লাহ' বলা ।👉প্রমাণ📖 -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)

​🔷➡৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 🗣 উচ্চারন 'ইন শা আল্লাহ' বলা । 👉প্রমাণ📖-(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)

​🔷➡৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে 🗣 উচ্চারন "না'উজু বিল্লাহ" বলা ।👉প্রমাণ📖 -(বুখারীঃ ৬৩৬২)

​🔷➡৯. কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে 🗣 উচ্চারন 'ইন্না লিল্লাহ' বলা ।👉প্রমাণ📖 -(মুসলিমঃ ২১২৬)

​🔷➡১০. কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, 🗣 উচ্চারন 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)

​🔷➡১১. উপরে উঠার সময় 🗣 উচ্চারন 'আল্লাহু আকবার' বলা এবং নিচে নামার সময় 🗣 উচ্চারন 'সুবহানাল্লাহ' বলা ।

👉প্রমাণ📖-(বুখারীঃ ২৯৯৩)

​🔷➡১২. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে 🗣 উচ্চারন 'ওয়াল্লাহু আলুম' বলা ।👉প্রমাণ📖 -(বুখারীঃ ৫৫৭০)

​🔷➡১৩. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে 🗣 উচ্চারন 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলা-👉প্রমাণ📖 (বুখারীঃ ৩৩৬)

​🔷➡১৪. কোন কিছু জবেহ করার সময় 🗣 উচ্চারন 'বিসমিল্লাহী ওয়া আল্লাহু আকবর' বলা ।👉প্রমাণ📖 -(মুসলিমঃ ৫০৮৮)

🔷অন্যের গৃহে গিয়ে সালাম না দিয়ে প্রবেশ নিষেধ।🔷

🔰 কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ করেছেন: হে মুমিনগণ তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতিত অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না দাও ।এটাই তোমাদের জন্য উত্তম।যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (সুরা নূর ২৭)

🗣 উচ্চারনঃ-আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ

🗣উত্তরেঃ- উচ্চারনঃ “ওয়াআলাইকুমুস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”

🔷আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম আদম (আ:)কে সালামের শিক্ষা দেন।🔷👉প্রমাণ📖  (মিশকাত হা/৪৬২৮,শিষ্টাচার অধ্যায়,সালাম অনুচ্ছেদ)।

🔷রাসূল (ছাঃ)  ভাল কাজ ডান দিক দিয়ে এবং নিকৃষ্ট কাজে বাম হাত দিয়ে শুরু করতেন।🔷 👉প্রমাণ📖আবুদাঊদ,হা/33; মিশকাত হা/348,/ ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩৯; তিরমিযী, হা/৬০৩।

🗣 আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে প্রদান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে প্রদান করে এবং বাম হাতে গ্রহণ করে’। 👉প্রমাণ📖ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৯০; তিরমিযী, হা/১৮০০।

🔷ক্রোধ দমনের দো‘আ🔷

193- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ».

🗣 উচ্চারন (আ‘ঊযু বিল্লাহি মিনাশ্-শাইত্বা-নির রাজীম)।

 “আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে।” 👉প্রমাণ📖- বুখারী ৭/৯৯, নং ৩২৮২; মুসলিম ৪/২০১৫, নং ২৬১০।

🔷 কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’, তার জন্য দো‘আ🔷

197- «وَلَكَ». 🗣 উচ্চারনঃ- (ওয়া লাকা) 🔷 “আর আপনাকেও।”

👉প্রমাণ📖আহমাদ ৫/৮২, নং ২০৭৭৮; আন-নাসাঈ,

🔷কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আ

198- «جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً». 🗣️ উচ্চারনঃ-(জাযা-কাল্লা-হু খাইরান)।

👉প্রমাণ📖 “আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।” তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩৫।সহীহুল জামে‘৬২৪৪;

🔷কবর ও জাহান্নামের আযাব এবং জীবন, মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ🔷

উচ্চারনঃ-আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল

👉প্রমাণ📖 বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮। আর শব্দ মুসলিমের।

🔷 কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো‘আ

- «بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ».

উচ্চারনঃ- (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ)

“আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও (ঠিকভাবে) আদায়।”

👉প্রমাণ📖 হাদীসটি সংকলন করেছেন, নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ গ্রন্থে, পৃ. ৩০০; ইবন মাজাহ, ২/৮০৯, নং

🔷 ক্ষমাপ্রার্থনা ও তাওবা করা

«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ».

উচ্চারনঃ- (আস্তাগফিরুল্লা-হাল ‘আযীমল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি)।👉প্রমাণ📖 মুসলিম, ৪/২০৭৬, নং ২৭০২।

🔷দৈনন্দিন ও সামাজিক জীবনাচার:--- 🔷

🔷 কাপড় পরিধানের দো‘আ🔷

5- «الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا (الثَّوْبَ) وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّة...».

🗣️ উচ্চারনঃ-(আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।

 “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন” হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থকারদের সবাই সংকলন করেছেন। 👉প্রমাণ📖আবূ দাউদ, নং ৪০২৩; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩২৮৫। আর শাইখ আলবানী একে হাসান বলেছেন। দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ৭/৪৭।

🔷নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ🔷

6- «اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيهِ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ».

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা লাকাল-হামদু আনতা কাসাওতানীহি। আসআলুকা মিন খইরিহি ওয়া খইরি মা সুনি‘আ লাহু। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনি‘আ লাহু)।

৬- “হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সকল হাম্‌দ-প্রশংসা। আপনিই এটি আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অনিষ্ট এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই”[ 👉প্রমাণ📖 আবূ দাউদ, নং ৪০২০; তিরমিযী, নং ১৭৬৭; বাগভী, ১২/৪০; দেখুন, মুখতাসারুশ শামাইল লিল আলবানী, পৃ. ৪৭।

🔷 অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ🔷

7-(1) «تُبْلِي وَيُخْلِفُ اللَّهُ تَعَالَى».

উচ্চারনঃ- (তুবলী ওয়া ইয়ুখলিফুল্লা-হু তা‘আলা)।

৭-(১) “তুমি পুরাতন করে ফেলবে, আর মহান আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করবেন”[ 👉প্রমাণ📖সুনান আবি দাউদ ৪/৪১, হাদীস নং ৪০২০; দেখুন, সহীহ আবি দাউদ ২/৭৬০।

🔷 কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে🔷

9- «بِسْمِ اللَّهِ». 🗣️ উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহ)

৯- “আল্লাহ্‌র নামে (খুলে রাখলাম)” 👉প্রমাণ📖তিরমিযী ২/৫০৫, নং ৬০৬, ও অন্যান্য। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, নং ৫০; সহীহুল জামে‘ ৩/২০৩।

🔷 পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ🔷

- «[بِسْمِ اللَّهِ] اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبائِث».

উচ্চারনঃ- ([বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্‌সি ওয়াল খাবা-ইসি)

“[আল্লাহ্‌র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই”

👉প্রমাণ📖বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫। শুরুতে অতিরিক্ত ‘বিসমিল্লাহ্‌’ উদ্ধৃত করেছেন সা‘ঈদ ইবন মানসূর। দেখুন, ফাতহুল বারী, ১/২৪৪।

🔷 পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ🔷

11- «غُفْرَانَكَ». উচ্চারনঃ- (গুফরা-নাকা) ১১- “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”[1]

👉প্রমাণ📖হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারই উদ্ধৃত করেছেন; তবে নাসাঈ তার ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াললাইলাহ’ গ্রন্থে (নং ৭৯) তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩০০। আর শাইখ আলবানী সহীহ সুনান আবি দাউদে ১/১৯ একে সহীহ বলেছেন।

🔷 বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌র

16-(1) «بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».

উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।

১৬-(১) “আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই”[ 👉প্রমাণ📖। আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুল তিরমিযী, ৩/১৫১।

🔷ঘরে প্রবেশের সময় যিক্‌র🔷

 বলবে,

«بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا»

উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্‌মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)

“আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম”। অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে। আবূ দাউদ ৪/৩২৫, ৫০৯৬। আর আল্লামা ইবন বায রহ. তার তুহফাতুল আখইয়ার গ্রন্থে পৃ. ২৮ এটার সনদকে হাসান বলেছেন। তাছাড়া সহীহ হাদীসে এসেছে, “যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (নিজ ব্যক্তিদের) বলে, তোমাদের কোনো বাসস্থান নেই, তোমাদের রাতের কোনো খাবার নেই।” মুসলিম, নং ২০১৮।

🔷 মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ🔷

168- «سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهِ».

উচ্চারনঃ- (সুবহা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর –রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল-মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি)।

১৬৮- “পবিত্র-মহান সেই সত্তা, রা‘দ ফেরেশ্তা যাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে, আর ফেরেশ্তাগণও তা-ই করে যাঁর ভয়ে।👉প্রমাণ📖 ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মেঘের গর্জন শুনলে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দো‘আ পড়তেন...। মুওয়াত্তা ইমাম মালেক ২/৯৯২। আর আলবানী তাঁর সহীহুল কালেমিত তাইয়্যেব গ্রন্থে পৃ. ১৫৭, বলেন, “এর সনদটি মওকূফ সহীহ”।

🔷বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ🔷

169-(1) «اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثاً مُغِيثاً مَرِيئاً مَرِيعاً، نَافِعاً غَيْرَ ضَارٍّ، عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ».

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা আসক্বিনা গাইসান মুগীসান মারী’য়ান মারী‘আন না-ফি‘আন গাইরা দ্বাররিন ‘আ-জিলান গাইরা আ-জিলিন)।

১৬৯-(১) “হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন বৃষ্টির পানি দান করুন যা সাহায্যকারী, সুপেয়, উর্বরকারী; কল্যাণকর, ক্ষতিকর নয়; শীঘ্রই, বিলম্বে নয়।”[ 👉প্রমাণ📖আবূ দাউদ, ১/৩০৩, নং ১১৭১। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে একে সহীহ বলেছেন, ১/২১৬।

🔷 বৃষ্টি দেখলে দো‘আ🔷

172- اللَّهُمَّ صَيِّباً نَافِعاً. উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা সায়্যিবান নাফি‘আন)।

১৭২- “হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।” 👉প্রমাণ📖বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/৫১৮, নং ১০৩২।

🔷 বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর🔷

173- مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ.

উচ্চারনঃ- (মুতিরনা বিফাদলিল্লা-হি ওয়া রহমাতি-হি)।

১৭৩- “আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।”[ 👉প্রমাণ📖 বুখারী ১/২০৫, নং ৮৪৬; মুসলিম ১/৮৩, নং ৭১।

🔷 অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো‘আ🔷

174- اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ.

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি)

১৭৪- “হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।”[ 👉প্রমাণ📖 বুখারী ১/২২৪, নং ৯৩৩; মুসলিম ২/৬১৪, নং ৮৯৭।

🔷 খাওয়ার পূর্বে দো‘আ🔷

১৭৮-(১) “যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,

«بِسْمِ اللَّهِ» উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহ)“আল্লাহর নামে।” আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,

«بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ» উচ্চারনঃ- (বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী “এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্‌র নামে।”[1]হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭; তিরমিযী, ৪/২৮৮, নং ১৮৫৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭।

🔷 আহার শেষ করার পর দো‘আ🔷

180-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ».

উচ্চারনঃ- (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।

১৮০-(১) “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।” হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারগণ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৪০২৫; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ, নং ৩২৮৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৯।

🔷আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো‘আ🔷

182- «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ».

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম)।

১৮২- “হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর তাদের প্রতি দয়া করুন।”[1] মুসলিম ৩/১৬১৫, নং ২০৪২।

🔷 হাঁচির দো‘আ🔷

১৮৮-(১) তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,

«الْحَمْدُ لِلَّهِ» উচ্চারনঃ- (আলহামদু লিল্লা-হি)

“সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র” এবং তার মুসলিম ভাই বা সাথী যেন অবশ্যই বলে,

« يَرْحَمُكَ اللَّهُ » উচ্চারনঃ- (ইয়ারহামুকাল্লা-হ)

“আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন”। যখন তাকে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা হয়, তখন হাঁচিদাতা যেন তার উত্তরে বলে,

« يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ». উচ্চারনঃ- (ইয়াহ্‌দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)

“আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।”[1] বুখারী ৭/১২৫, নং ৫৮৭০।

🔷যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো‘আ🔷

200- «أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ». উচ্চারনঃ- (আহাব্বাকাল্লাযী আহ্বাবতানী লাহু)।

২০০- “যাঁর জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন।”[1]

[1] হাদীসটি সংকলন করেছেন, আবু দাঊদ ৪/৩৩৩, নং ৫১২৫। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাউদে হাসান বলেছেন, ৩/৯৬৫।

🔷ঘুমাতে যাওয়ার সময় দোয়া 🔷

উচ্চারনঃ-আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া-আহ'ইয়া

অর্থঃ হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।”[9] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১।

🔷ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্‌রসমূহ🔷

1-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ».

উচ্চারনঃ- (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)

১-(১) “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান”[1] বুখারী ফাতহুল বারী ১১/১১৩, নং ৬৩১৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১।

🔷 খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে🔷

🔷 (১) “তার বাম দিকে হাল্কা থুথু ফেলবে।” (৩ বার)[1] মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১।

🔷 (২) “শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে প্রার্থনা করবে।” (৩ বার)[2]মুসলিম, ৪/১৭৭২, ১৭৭৩, নং ২২৬১, ২২৬২।

🔷 (৩) “কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না।”[3] মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১ ও নং ২২৬৩।

🔷 (৪) “অতঃপর যে পার্শ্বে সে ঘুমিয়েছিল তা পরিবর্তন করবে।”[4]মুসলিম, ৪/১৭৭৩, নং ২২৬১।

🔷 (৫) “যদি ইচ্ছা করে তবে উঠে সালাত আদায় করবে।” [5] মুসলিম ৪/১৭৭৩, নং ২২৬৩।

🔷ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ🔷

176-(1) «ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».

উচ্চারনঃ- (যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু)।

১৭৬-(১) “পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্‌ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে।”[1] [1] হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২০৯।

🔷রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে🔷

186- «إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ».

উচ্চারনঃ- (ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন)

১৮৬- “নিশ্চয় আমি রোযাদার, নিশ্চয় আমি রোযাদার।”[1] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং ১১৫১।

🔷বিবাহ ও দাম্পত্য বিষয়াবলী--🔷

🔷নব বিবাহিতের জন্য দো‘আ🔷

«بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ».

উচ্চারনঃ- (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়াবা-রাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাইরিন্)।

১৯০- “আল্লাহ আপনার জন্য বরকতদান করুন, আপনার উপর বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে আপনাদের উভয়কে একত্রিত করুন।”[1] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনানগ্রন্থকারগণই সংকলন করেছেন। আবু দাঊদ, নং ২১৩০; তিরমিযী, নং ১০৯১; ইবন মাজাহ, নং ১৯০৫; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ২৫৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ১/৩১৬।

🔷 স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো‘আ🔷

192- «بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا».

উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।

১৯২- “আল্লাহ্‌র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।”[1]বুখারী ৬/১৪১, নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪।

🔷 ভীত অবস্থায় যা বলবে🔷

245- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ!». উচ্চারনঃ- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ !)

২৪৫- “আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব উপাস্য নেই!”[1]

🔷 শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে🔷

২৪৩- “আপনার দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করছেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলুন,

«بِسْمِ اللَّهِ» উচ্চারনঃ- (বিসমিল্লাহ) “আল্লাহর নামে।” আর সাতবার বলুন,

«أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ».

উচ্চারনঃ- (আ‘ঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু)।

“এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্‌র এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”[1] মুসলিম ৪/১৭২৮, নং ২২০২।

🔷দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ🔷

121-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ».

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা‘ইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি)

১২১-(২) “হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”[2] বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩; সেখানে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি বেশি বেশি করতেন। আরও দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭৩; আরও দেখুন যা পৃষ্ঠায় ১৩৭ নং এ বর্ণিত হবে।

🔷দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আ🔷

122-(1) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ».

উচ্চারনঃ- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম)।

১২২-(১) “আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান ও সহিষ্ণু। ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত আরশের রব্ব।” [1] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/১৫৪, নং ৬৩৪৫; মুসলিম ৪/২০৯২, নং ২৭৩০।

124-(3) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ».

উচ্চারনঃ-🗣️ (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-যা-লিমীন)।

১২৪-(৩) “আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।”[3] তিরমিযী ৫/৫২৯, নং ৩৫০৫; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন, ১/৫০৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৬৮।

🔷 শত্রু এবং শক্তিধর ব্যক্তির সাক্ষাতকালে দো‘আ🔷

128-(3) «حَسْبُنا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ».

উচ্চারনঃ- (হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল)।

১২৮-(৩) “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক” [3] বুখারী ৫/১৭২, নং ৪৫৬৩।

126-(1) «اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِم، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ».

উচ্চারনঃ- (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজ্‘আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না‘উযু বিকা মিন শুরূরিহিম)।

১২৬-(১) “হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের গলদেশে রাখছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”[1] আবু দাঊদ ২/৮৯, নং ১৫৩৭; আর হাকেম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী একে সমর্থন করেছেন ২/১৪২।

🔷 কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে🔷

132- «اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ».

🗣️ উচ্চারন-(আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা)।

১৩২- “হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।”[1] মুসলিম ৪/২৩০০, নং ৩০০৫।

🔷বিষধর প্রাণীর ক্ষতি থেকে নিরাপত্তা🔷

তিন বার বিকালবেলা বলবে,

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।

🗣️ উচ্চারন আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।

যে কেউ বিকাল বেলা এ দো‘আটি তিনবার বলবে, সে রাতে কোনো বিষধর প্রাণী তার ক্ষতি করতে পারবে না।

আহমাদ ২/২৯০, নং ৭৮৯৮; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৫৯০; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮৭; সহীহ ইবন মাজাহ ২/২৬৬; তুহফাতুল আখইয়ার লি ইবন বায, পৃ. ৪৫।

🔷 কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো‘আ🔷

154- «إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرَاً مِنْهَا».

🗣️ উচ্চারন (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন। আল্লা-হুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লী খাইরাম মিনহা)।

১৫৪- “আমরা তো আল্লাহ্‌রই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন।”[1] মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮।

🔷 মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া) 🔷

🔷 “যার শেষ কথা হবে-🔷

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. 🗣️ উচ্চারন (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ) ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই’— সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]আবূ দাউদ ৩/১৯০, নং ৩১১৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৫/৪৩২।

🔷মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ🔷

164- «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ».

🗣️ উচ্চারন (আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, আল্লা-হুম্মা সাববিতহু)।

১৬৪- “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ্‌ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।”[1]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তার জন্য দৃঢ়তা চাও। কেননা এখনই তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে’। আবু্দাউদ ৩/৩১৫, নং ৩২২৩; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, আর যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/৩৭০।

চলাচল, সফর [ভ্রমন]

সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ

২১৪- ‘জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমরা যখন উঁচুতে আরোহণ করতাম তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলতাম, আর যখন নীচের দিকে নামতাম তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতাম।”[1]বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/১৩৫, নং ২৯৯৩।

🔷বাহনে আরোহণের দো‘আ🔷

«بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ﴾، «الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ  إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ».

🗣️ উচ্চারন (বিস্‌মিল্লা-হি, আলহাম্‌দু লিল্লা-হি, সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফির লী। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা)।

২০৬- “আল্লাহ্‌র নামে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের রব্বের দিকে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র-মহান; আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন। কেননা, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার আর কেউ নেই।”[1]

[1] আবু দাঊদ ৩/৩৪, ২৬০২; তিরমিযী ৫/৫০১, নং ৩৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৬। আর আয়াত দু’টি হচ্ছে, সূরা আয-যুখরুফের ১৩-১৪।

🔷গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো‘আ🔷

208- «اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّياطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا».

🗣️ উচ্চারন (আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাব‘ঈ ওয়ামা আযলালনা, ওয়ারব্বাল আরাদ্বীনাস সাব‘ঈ ওয়ামা আক্বলালনা, ওয়া রব্বাশ শাইয়া-তী-নি ওয়ামা আদ্বলালনা, ওয়া রব্বাররিয়া-হি ওয়ামা যারাইনা, আস’আলুকা খাইরা হা-যিহিল কারইয়াতি ওয়া খাইরা আহলিহা ওয়া খাইরা মা ফীহা। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি আহলিহা ওয়া শাররি মা ফীহা)।

২০৮- “হে আল্লাহ! সাত আসমান এবং তা যা কিছু ছায়া দিয়ে রেখেছে তার রব্ব! সাত যমীন এবং তা যা ধারণ করে রেখেছে তার রব্ব! শয়তানদের এবং ওদের দ্বারা পথভ্রষ্টদের রব্ব! বাতাসসমূহ এবং তা যা উড়িয়ে নেয় তার রব্ব! আমি আপনার নিকট চাই এ জনপদের কল্যাণ, এ জনপদবাসীর কল্যাণ এবং এর মাঝে যা আছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই এ জনপদের অনিষ্ট থেকে, তাতে বসবাসকারীদের অনিষ্ট থেকে এবং এর মাঝে যা আছে তার অনিষ্ট থেকে।”[1]

[1] হাকেম, আর তিনি একে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন ২/১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ৫২৪। তাছাড়া হাফেয ইবন হাজার তাঁর তাখরীজুল আযকার ৫/১৫৪, একে হাসান বলেছেন। আল্লামা ইবন বায রাহেমাহুল্লাহ বলেন, ‘হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।’ দেখুন, তুহফাতুল আখইয়ার, পৃ. ৩৭।

৯৮.বাজারে প্রবেশের দো‘আ

209- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاِ يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».

🗣️ উচ্চারন (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ ওয়াইয়ুমীতু ওয়াহুয়া হায়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।

২০৯- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মারেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, মারা যাবেন না। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে নিহিত। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”[1]তিরমিযী, নং ৩৪২৮; ইবন মাজাহ, ৫/২৯১, নং ৩৮৬০; হাকেম ১/৫৩৮। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/২১; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫২ হাসান হাদীস বলেছেন।

🔷 শির্কের ভয়ে দো‘আ🔷

اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ».

🗣️ উচ্চারন (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া ‘আনা আ‘লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ‘লামু)।

“হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।”[1]

[1] আহমাদ ৪/৪০৩, নং ১৯৬০৬; ইমাম বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭১৬। আরও দেখুন, সহীহ আল জামে ৩/২৩৩; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল আলবানী, ১/১৯।

 📲আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]ওয়েব পরিচালায় rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন

🌎আমাদের ওয়েবসাইট -https://sarolpoth.blogspot.com/সকল অডিও অ্যান্ড আর্টিকল ইত্যাদি https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে📚 এখানে পাবেন🎶প্রচুর অডিও সিরিজ🎶100 এর বেশী শায়খ ভিত্তিক অডিও 90 এর উপর 🎶বিষয় ভিত্তিক অডিও🌎অডিও কুরআন এবং অনলাইনে অডিও শুনুন🎶এছাড়াও বিষয় ভিত্তিক ভিডিও,ভিডিও গজল🤷♂সহীহ-সুন্নাহ-ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল,ইসলামিক পত্রিকা 📚 and অনেক জানা-অজানা-আর্টিকল 📚 বিষয় ভিত্তিক সিরিজ আকারে🌹

 👇বিশেষ দ্রস্টব্যঃ-👇 🎤এখানেবিভিন্ন ধরনের Software যেমন,School Management Software, Billing Software,🌍Website Software, Hardware (Computer) Repair/Format ও📲 Mobile Software সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়🌎📲আমাদের যোগাযোগ নং-📞9775094205📞8317851731📞9734530960⬅আমাদের ওয়েবসাইটwww.sarolpoth.blogspot.com/ ইসলামিক সমস্থ প্রগ্রাম একসাথে পেতে ↩Comming soon_Main Website- 🌍esoislamerpothe.in🌍🏢ঠিকানা-গোধনপাড়া চৌরাস্তা মোড়-থেকে ডোমকল রোডে দূরত্ব১০০মিটার↔রাইট সাইড⤵🖥R-Enterprise💻⬅