Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

☪️ঈদের সালাতের সময় কখন শুরু ও শেষ হয়।☪️

 ঈদের সালাতের সময় কখন শুরু শেষ হয়

✍️সূর্যোদয়ের পনর/বিশ মিনিট পর থেকে যোহরের সালাতের পনর/বিশ মিটিন পূর্বে পর্যন্ত ঈদের সালাতের সময় যাকে সময়টি সালাতুদ দুহা (অর্থাৎ চাশতের সালাতের) সময় চাশতের সালাত আর ঈদের সালাতের সময় একই

হাদীসে আছে,

عَنْ جُنْدُبٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّيْ بِنَا الْفِطْرَ وَالشَّمْسَ عَلٰى قَيْدِ رَمْحَيْنِ وَالأَضْحَى عَلَى قَيْدِ رَمْحٍ

✍️জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করতেন সূর্য যখন দুবর্শা পরিমাণ উপরে উঠত এবং ঈদুল আয্হা আদায় করতেন সূর্য যখন এক বর্শা পরিমাণ উপরে উঠত (ফিকহুস সুন্নাহ : /৩১৯)

☪️ ঈদ অর্থ কী?

✍️ঈদ অর্থ আনন্দ এর শাব্দিক অর্থ হলোবারবার ফিরে আসা’ (عَادَ-يَعُوْدُ-عِيْدًا) দিনটি বারবার ফিরে আসে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঈদ আল্লাহ তাআলা এদিনে তার বান্দাকে নিআমাত অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করে থাকেন, বারবার ইহসান করেন রমযানের পানাহার নিষিদ্ধ করার পর আবার পানাহারের আদেশ প্রদান করেন ফিত্রা প্রদান গ্রহণ, হজ পালন কুরবানীর গোশত ভক্ষণ ইত্যাদি নিআমাত বছর ঘুরিয়ে তিনি বারবার বান্দাদেরকে ফিরিয়ে দেন এতে মানুষের প্রাণে আনন্দের সঞ্চার হয় এসব কারণে দিবসের নামকরণ হয়েছে ঈদ

☪️ ঈদ কোন হিজরীতে শুরু হয়?

✍️প্রথম হিজরীতেই ঈদ শুরু হয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগের নাবীদের সময় ঈদের প্রচলন ছিল না

☪️ ঈদের প্রচলন কীভাবে শুরু হয়?

✍️রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মাক্কা থেকে মাদ্বীনায় হিজরত করলেন তখন মাদ্বীনাবাসীদের মধ্যে বিশেষ দুটি দিবস ছিল, সে দিবসে তারা খেলাধুলা করত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন দুটি দিনের তাৎপর্য কী? মাদ্বীনাবাসীরা উত্তর দিল আমরা জাহেলী যুগ থেকে দুদিনে খেলাধুলা করে আসছি তখন রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

قَدْ أَبْدَلَكُمُ اللهُ خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمُ الأَضَحٰى وَيَوْمُ الْفِطْرِ

আল্লাহ রাববুলআলামীন দুদিনের পরিবর্তে এর চেয়েও উত্তম দুটি দিন তোমাদেরকে দান করেছেন আর সেই দিন দুটি হল : ঈদুল আযহা ঈদুল ফিতর (আবূ দাউদ : ১১৩৪; নাসাঈ : ১৫৫৬)

 ☪️ঈদের সালাতের হুকুম কী?

✍️ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) বলেছেন, ঈদের সালাত প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ একই মত পোষণ করেন

✍️ ঈদের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী ধরনের পোশাক পরতেন?

✍️আল্লামা ইবনু কাইয়িম (রহ.) তার সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ যাদুল মাআদে লিখেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন উত্তম পোশাক পরিধান করতেন তাঁর এক জোড়া পোশাক ছিল যা দুঈদ জুমুআর দিন পরিধান করতেন অন্য এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

إِنَّ اللهَ تَعَالٰى يُحِبُّ أَنْ يَرى أَثَرَ نِعْمَتِهِ عَلٰى عَبْدِهِ

✍️আল্লাহ রাববুল আলামীন তার বান্দার উপর তার প্রদত্ত নিআমাতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন (তিরমিযী : ২৮১৯)

✍️ ঈদগাহে কখন যাওয়া উত্তম?

✍️ঈদগাহে তাড়াতাড়ি যাওয়া উচিৎ যাতে ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা যায়, প্রথম কাতারে সালাত আদায় করা যায় তাছাড়া সালাতের জন্য অপেক্ষা করা এসব অতীব সওয়াবের কাজ

✍️✍️ ঈদের দিন খাবার গ্রহণ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নাত কী ছিল?

✍️. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে ঘরে থেকে বের হতেন না আর ঈদুল আযহার দিন ঈদের সালাত আদায় না করে কোন কিছু খেতেন না

كَانَ رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- لاَ يَغْدُوْ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّٰى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ

✍️. ঈদুল ফিতরের দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর না খেয়ে ঈদগাহে রওয়ানা হতেন না আনাস বলেন, আর খেজুর খেতেন বেজোড় সংখ্যায় (অর্থাৎ তিনটি, পাঁচটি বা সাতটি এভাবে) (বুখারী : ৯৫৩)

✍️ ঈদগাহে কখন যাওয়া উত্তম?

✍️ঈদগাহে তাড়াতাড়ি যাওয়া উচিৎ যাতে ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা যায়, প্রথম কাতারে সালাত আদায় করা যায় তাছাড়া সালাতের জন্য অপেক্ষা করা এসব অতীব সওয়াবের কাজ

☪️ ঈদের সালাতে যাওয়া-আসায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি পথ ব্যবহার করতেন একপথে যেতেন, ভিন্ন আর এক পথে বাড়ী ফিরতেন এর হিকমত কী?

☪️উলামায়ে কিরাম বিষয়ে বিভিন্ন হিকমাত বর্ণনা করেছেন এর মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন :

✍️. পথ ভিন্ন ভিন্ন হলে উভয় পথের লোকদের সালাম দেয়া যায় এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়

. মুসলিমদের অবস্থা শান শওকত পর্যবেক্ষণ করতে পারা যায়

. গাছপালা তরুলতা মাটি মুসল্লীদের পক্ষে স্বাক্ষী হয়ে থাকতে পারে

 মেয়েদের কি ঈদের সালাতে যাওয়া জায়েয আছে?

☪️হ্যা, অবশ্যই উলামায়ে কিরাম এটাকে জরুরী বলেছেন তারা যাবে

☪️পাঁচওয়াক্ত সালাত জুমুআর জামাতে শরীক হওয়ার জন্য মেয়েদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিয়েছেন আর ঈদের সালাতের যাওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছেন হাদীসে আছে যে,

عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- أَنْ نُخْرِجَ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى الْعَوَائِقَ وَالْحَيْضَ وَذَوَاتِ الْخُدُرِ فَأَمَّا الْحَيْض فَيَعْتَزِلن الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةِ الْمُسْلِمِيْنَ قَالَتْ يَارَسُوْلَ اللهِ إِحْدَانَا لاَ يَكُوْنُ لَهَا حِلْبَابَ قَالَ لتلبسَهَا أُخْتِهَا

☪️‘‘উম্মে আতীয়াহ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী গৃহিনীসহ সকল মহিলাকে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার সালাতে শরীক হওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাই এমনকি মাসিক হায়েয চলাকালীন মেয়েরাও (ঈদগাহে হাজির হবে তবে তারা) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে কিন্তু ঈদের কল্যাণকর অবস্থা তারা প্রত্যক্ষ করবে এবং মুসলিমদের সাথে দুআয় ঋতুবতী মহিলারাও শরীক হবে

☪️উম্মে আতীয়াহ ˆ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মধ্যে কারো কারো উড়না নেই (বড় চাদর নাই যা পরিধান করে ঈদগাহে যেতে পারে) উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার ওড়না নেই সে তার অন্য বোন থেকে (ধার করে) ওড়না নিয়ে তা পরিধান করে ঈদগাহে যাবে (মুসলিম: ৮৯০)

☪️বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্ণিত হাদীসে যে ঋতুবতী মহিলার উপর সালাত আদায় ফরজ নয় তাকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যার উড়না নেই তাকেও একটা উড়না ধার করে নিয়ে ঈদের সালাতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন

হাদীস দ্বারা অনেক বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম মেয়েদের ঈদের সালাতে যাওয়া ওয়াজিব বলেছেন

☪️যেসব লোক একথা বলেন যে, বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ, মেয়েদের নিরাপত্তা নেই এসব কথা বলে মেয়েদেরকে ঈদের সালাত থেকে বঞ্চিত রাখছেন তাদের অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়

☪️তারা যেন প্রকারান্তরে হাদীসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন শেষ যামানার ফিতনা বাড়বে একথা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের চেয়ে বেশি অবগত থাকার পরও মহিলাদেরকে ঈদের সালাতে যেতে হুকুম দিয়েছেন আর হুকুম সুন্নাত নয়, বরং ওয়াজিব

মেয়েরা ঈদের সালাতে গেলে পথিমধ্যে তাকবীর বলা, সালাতে শরীক হওয়া, বয়ান ওয়াজ নসীহত শোনার সৌভাগ্য তাদের হয়ে থাকে কাজেই ক্ষতির যে আশংকা করা হয় এর চেয়ে তাদের উপকারের দিকই বেশি

তাই সম্মানিত ঈদগাহ কর্তৃপক্ষের উচিৎ তারা যেন মেয়েদের জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরীকরে দেন আর মেয়েরাও যেন সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দা করে অত্যন্ত শালীনভাবে পথ চলেন, ঈদগাহে যাওয়া আসা করেন কাউকে ডিস্টার্ব না করেন আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীস আমল করার হক পথে থাকার তাওফীক দান করুন- আমীন!

ঈদের সালাত কত রাকআত?

দুই রাকাআত

☪️উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

صَلاَةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ الأَضْحَى رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ السَّفَرِ رَكْعَتَانِ

☪️জুমুআর সালাত দুরাকআত, ঈদুল ফিতরের সালাত দুরাকআত, ঈদুল আজহার সালাত দুরাকআত এবং সফর অবস্থায় (চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয) সালাত দুই রাকআত (নাসাঈ : ১৪২০)

 ✍️ঈদের সালাতে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বাধার পর ‘‘আল্লাহু আকবার বলে অতিরিক্ত যে কিছু তাকবীর দেয়া হয় এর মোট সংখ্যা কত?

১ম ২য় রাকআতে যথাক্রমে অতিরিক্ত + = মোট ১২ তাকবীর এটি বাকী মাযহাবের মত

☪️() আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে,

أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْفِطْرِ وَالأضْحٰى فِي الأُوْلٰى سَبْعَ تَكْبِيْرَات وَفِيْ الثَّانِيَةِ خَمْسًا

☪️রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার সালাতে ১ম রাকআতে (অতিরিক্ত) ৭টি তাকবীর ২য় রাকআতে (অতিরিক্ত) ৫টি তাকবীর পাঠ করতেন (আবূ দাউদ : ১০১৮)

[] হাদীসে আরো এসেছে :

ابنُ عباس كَبَّرَ فِي العِيْدِ اثْنَتَى عَشَرَةَ تَكْبِيْرَةً سَبْعًا فِي الأُوْلَى وَخَمْسًا فِي الآخِرَةِ

☪️(প্রখ্যাত সাহাবী) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ঈদের সালাতে অতিরিক্ত) ১২ তাকবীর বলেছেন প্রথম রাকআতে ৭টি এবং দ্বিতীয় রাকআতে ৫টি (বায়হাকী /৪০৭)

☪️প্রথম রাকআতে তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলার পর অতিরিক্ত আরো বার তাকবীর বলবে এবং দ্বিতীয় রাকআতের শুরুতেও সূরা ফাতেহা পড়ার আগেই অতিরিক্ত আরো বার তাকবীর বলবে

সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,

شَهِدْتُ الأَضْحَى وَالْفِطْرَ مَعَ أَبِيْ هُرَيْرَةَ فَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الأُوْلَى سَبْعَ تَكْبِيْرَات قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الآخِرَةِ خَمْسَ تَكْبِيْرَاتٍ قَبْلَ الْقِرَاءَةِ

☪️আমি ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার সালাত (সাহাবী) আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু সাথে আদায় করেছি তাতে তিনি প্রথম রাকাআতে কিরআত পাঠ (অর্থাৎ সূরা ফাতিহা শুরু) করার আগেই (সাত) তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকআতে (একই নিয়মে) কিরাআত পাঠ করার পূর্বেই (পাঁচ) তাকবীর বলতেন (বায়হাকী : /৪০৬)

☪️ইমাম বায়হাকী বলেছেন, এটাই সুন্নাতী নিয়ম

 ✍️বাড়তি তাকবীর বলার সময় প্রত্যেক তাকবীরেই কি হাত উঠাতে হবে?

☪️হ্যাঁ দ্বিতীয় খলীফা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু জানাযা ঈদের সালাতে প্রত্যেক তাকবীরে দুহাত তুলতেন (বায়হাকী)

✍️ প্রত্যেক তাকবীর বলার সময় কোন পর্যন্ত হাত তুলতে হয়?

☪️রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর বলার সয়ম দুহাত তাঁর কাঁধ বা কান পর্যন্ত তুলতেন

 ✍️অতিরিক্ত তাকবীর বলার ক্ষেত্রে প্রতি দুতাকবীরের মাঝখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কোন কিছু পড়তেন?

☪️না, তখন তিনি চুপ থাকতেন

✍️ অতিরিক্ত তাকবীর বলার সময় হাত বাঁধবে নাকি ছেড়ে দেবে?

☪️হাত বেঁধে ফেলবেন

✍️নিয়ম :

🗣রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে ঈদগাহে যাওয়ার সময় একটি লাঠি বা বল্লম বয়ে নিয়ে যাওয়া হত এবং সালাত শুরুর আগেই সেটা তার সমনেসুতরাহিসেবে মাটিতে গেড়ে দেয়া হত (বুখারী পৃঃ ১৩৩)

🗣অতঃপর তিনি (নিয়ত করে) ‘আল্লাহু আকবারবলে তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধতেন এরপর তিনিসুবহানাকাল্লাহুম্মা.........’’ পড়তেন (ইবনে খুযাইমা)

🗣তারপর সূরা ফাতিহা পড়ার পূর্বেই তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একের পর এক মোট বার তাকবীর দিতেন (অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলতেন) প্রতি দুতাকবীরের মাঝখানে তিনি একটুখানি চুপ থাকতেন ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নাত অনুসরণের অধিক পাবন্দি হওয়ার কারণে প্রত্যেক তাকবীরের সাথে দুহাত তুলতেন এবং প্রত্যেক তাকবীরের পর আবার হাত বেঁধে ফেলতেন (বায়হাকী)

🗣এভাবে ৭টি তাকবীর বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা ফাতিহা পড়তেন এরপর তিনি আরেকটি সুরা মিলিয়ে পড়তেন এরপর তিনি রুকুও সিজদা করতেন

🗣এভাবে প্রথম রাকআত শেষ করার পর সাজদাহ থেকে উঠে (সূরা ফাতিহা শুরুর পূর্বেই) তিনি (২য় রাকাতে) পরপর ৫টি তাকবীর দিতেন তারপর সূরা ফাতিহা পড়ে আরেকটি সূরা পড়তেন এরপর তিনি রুকু সাজদাহ করে দুরাকআত ঈদের সালাত শেষ করতেন সালাম ফিরানোর পর তিনি একটি তীরের উপর ভর দিয়ে যমীনে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন তখন ঈদগাহে কোন মিম্বর নেয়া হত না তারপর দু করে শেষ করে দিতেন (যাদুল মাআত ১ম খণ্ড)

👉 পবিত্র ঈদের কল্যাণ হাসিলের জন্য কী ধরণের কাজ থেকে সতর্ক থাকা উচিত?

👉নিম্নবর্ণিত পাপাচার থেকে দূরে থাকা ফরয :

✍️() অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক পরিধান করা আচার-আচরণ করা

✍️() ছেলেরা মেয়েদের এবং মেয়েরা ছেলেদের বেশ ধারণ

✍️() বেগানা নারী পুরুষ একত্রে দেখা সাক্ষাৎ করা

() মহিলাদের বেপর্দা খোলামেলা অবস্থায় রাস্তাঘাট বাজার বন্দরে চলাফেলা করা

. গানবাদ্য করা সিনেমা-নাটক দেখা

Post a Comment

0 Comments