✍কুরবানি নিয়ে যে কথাগুলো না বললেই নয়.........

কুরবানি নিয়ে যে কথাগুলো না বললেই নয়

 ১/ কুরবানি দেয়ার কথা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য। তিক্ত হলেও সত্য যে এদেশে সামাজিক স্ট্যাটাস, মর্যাদা, রেওয়াজ, আত্মতুস্টি এসব কারনে কুরবানি দেয়ার মানুষ নেহায়েত কম নয়। আমাদের কুরবানি নামক ইবাদাতে এত বেশি সামাজিকতা আর লোকদেখানো ইলিমেন্ট ঢুকে গেছে যে এখানে এখন ইখলাস খুঁজে পাওয়াটাই মুশকিল। তাই কুরবানির আগে নিয়তটা ঠিক করে নেয়াটা খুব জরুরি।

২/ পশু কেনার সময় দরদাম, যাচাই-বাছাই যত ইচ্ছা করেন সমস্যা নাই, বাট প্লিজ পশু কিনে ফেলার পর সেটা নিয়ে আর কোন তুলনামুলক বিশ্লেষণে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। হারলাম নাকি জিতলাম - এমন চিন্তা ভুলেও মনে আনবেন না। অন্যদের উদহিয়ার পশু দেখেও এ ধরণের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। কুরবানির হারজিত দুনিয়ায় বসে মাপা সম্ভব না। আমার তো মনে হয় এখানে ন্যায্য দামের চাইতে একটু বেশি দিয়ে (মানুষের চোখে) হারতে পারাতেই বরং সার্থকতা।

৩/ আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে কুরবানির পশুর ছবি ফেসবুকে দিয়ে 'আল্লাহ্‌ যেন আমাদের কুরবানি কবুল করেন' - এসব পোস্ট করবেন না। আপনি কাকে খুশি করার জন্য এসব পোস্ট দিচ্ছেন? কাকে বলছেন? কুরবানির বোঝাপড়া আল্লাহ্‌র সাথে, ফেসবুকবাসীর এখানে কোন ভুমিকা নাই।

৪/ কুরবানি কোন মানুষের নামে হয় না, এটি হবে স্রেফ আল্লাহ্‌র নামে। তাই কার কার নামে কুরবানি করছেন, এটি হুজুরকে বা যিনি জবাই করবেন তাকে বলার বা লিখে দেয়ার দরকার নাই। আর জবাই করার সময় ঐসব নাম উচ্চারণের তো প্রশ্নই আসে না। কে কুরবানি দিচ্ছেন, কাদের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন এটা আল্লাহ্‌ ভালো জানেন, দুনিয়ার কোন মানুষকে জানানোর কিছু নাই।

৫/ জবাই করার পর পশুকে তাড়াতাড়ি নিস্তেজ করে দেয়ার জন্য আবার ছুরি দিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে দেবেন না। স্পাইনাল কর্ড কাটা ইসলাম সম্মত নয়। একটু সময় দিন, পশুকে নড়াচড়া করতে দিন যাতে তাঁর শরীরের রক্ত বের হয়ে যেতে পারে।

৬/ পশু কাটাকাটির কাজে যারা থাকেন তাদের পূর্ণ পারিশ্রমিক নগদ অর্থ দিয়ে আদায় করুন। বুঝিয়ে শুনিয়ে পারিশ্রমিক কিছুটা কম দিয়ে পশুর গোশত দিয়ে তা পুষিয়ে দেয়ার চিন্তা একেবারেই করবেন না।

৭/ পশুর চামড়া বিক্রি করলে সে অর্থ পুরোপুরি সাদাকা করে দিতে হবে যদিও চামড়া বিক্রি করা বৈধ কিনা তা নিয়ে ইখতিলাফ রয়েছে। চামড়া সরাসরি এতিমখানা মাদ্রাসায় দিয়ে দিলেই বেটার হয়।

যে পয়েন্টগুলো বললাম, প্রতিটিই কুরবানির মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত বাতিল করে দেয়ার জন্য যথেস্ট।

তাই কথাগুলো ভালো না লাগলেও শেয়ার করুন।

আর যতই অপছন্দ হোক, মেনে চলুন।

CALLECTED.by Rasikul islam


Post a Comment

0 Comments