Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

✔প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার বৈধ কি?

✔ ২২৯. প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার বৈধ কি?
🎤উত্তরঃ স্প্রে দুই প্রকারপ্রথম প্রকার হল ক্যাপসুল স্প্রে পাউডার জাতীয়। যা পিস্তলের মত কোন পাত্রে রেখে পুশ করে স্প্রে করা হয় এবং ধুলার মত উড়ে গিয়ে গলার পৌছলে রোগী তা গিলতে থাকে। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। সায়িমকে যদি এমন স্প্রে বছরের সব মাসে এবং দিনেও ব্যবহার করতেই হয়তাহলে তাকে এমন রোগী গণ্য করা হবেযার রোগ সারার কোন আশা নেই। সুতরাং সে রোযা না রেখে প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাইয়ে দেবে।
দ্বিতীয় প্রকার স্প্রে হল বাষ্প জাতীয়। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননাতা পাকস্থলীতে পৌঁছে না।৩০৭ ((ইবনে উষাইমীনক্যাসেটঃ আহকামুন মিনাস সওম)
কারণতা হল এক প্রকার কমপ্রেসড গ্যাসযার ডিব্বায় প্রেশার পড়লে উড়ে গিয়ে (নিঃশ্বাসের বাতাসের সাথে) ফুসফুসে পৌঁছে এবং শ্বাসকষ্ট দূর হয়। এমন গ্যাস কোন প্রকার খাদ্য নয়। আর রমযানে অরমযানে এবং দিনে রাত্রে সব সময়ে (বিশেষ করে শ্বাসরোধ বা শ্বাসকষ্ট জাতীয় যেমন হাঁফানির রোগী)এর মুখাপেক্ষী থাকে।  
৩০৮ (ইবনে বাযফাতাওয়া মুহিম্মাহতাতাআল্লাকু বিসসওম ৩৬ পৃঃ)
অনুরূপভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার্য স্প্রে সায়িমদের জন্য ব্যবহার করা দোষাবহ নয়। তবে শর্ত হলসে স্প্রে পবিত্র ও হালাল হতে হবে। 
 ৩০৯ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১১২)

Post a Comment

0 Comments