Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

✔ প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করা বৈধ কি?

✔ ২১৩ প্রশ্নঃ রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করা বৈধ কি?
উত্তরঃ রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার বৈধ। কিন্তু ব্যবহার করার পর যদি গলার সুরমা বা ঔষধের স্বাদ অনুভূত হয়তাহলে (কিছু উলামার নিকট রোযা ভেঙ্গে যাবে এবনফ সে রোযা) কাযা রেখে নেওয়াই হল পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। ২৮১ (ইবনে বায
কারণ, চোখ ও কান খাদ্য ও পানীয় পেটে যাওয়ার পথ নয় এবং সুরমা বা ঔষধ লাগানোর খাওয়া বা পান করাও বলা যায় না; না সাধারণ প্রচলিত কথায় এবং না-ই শরয়ী পরিভাষায়। অবশ্য সায়িম যদি চোখে বা কানে ঔষধ দিনে ব্যবহার না করে রাতে করে, তাহলে সেটাই হবে পূর্বসাবধানতামূলক কর্ম। 
২৮২ (মুমতে ৬/৩৮২, লাদা, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৯)
হযরত আনাস (রঃ) রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। ২৮৩ (সহীহ আবূ দাঊদ ২০৮২ নং)
পক্ষান্তরে রোযা থাকা অবস্থায় নাকে ঔষধ ব্যবহার বৈধ নয়। কারণনাকের মাধ্যমে পানাহার পেটে পৌঁছে থাকে। আর এ জন্যই মহানবী () বলেছেন, “(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।” 
২৮৪ (আহমাদ ৪/৩৩, আবূ দাঊদ ১৪২, তিরমীযী, নাসাঈ, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩২৮ নং)
বলা বাহুল্যউক্ত হাদীস এবং অনুরূপ অর্থের অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতেই নাকে ঔষধ ব্যবহার করার পর যদি গলাতে তাঁর স্বাদ অনুভূত হয়তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং রোযা কাযা করতে হবে। 
২৮৫ (ইবনে বাযফাতাওয়া মুহিম্মাহ বিসসওম ২৮ পৃঃ)

Post a Comment

0 Comments