Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

খিটখিটে মেজাজ সমাধানে কিছু পরামর্শ

খিটখিটে মেজাজ সমাধানে কিছু পরামর্শ


প্রশ্ন: আমার মেজাজ সব সময় অনেক খিটখিটে হয়ে থাকে। সব সময় কেমন জানি রাগ উঠেই থাকে। আমি অনেক চেষ্টা করি তবুও কন্ট্রোল করতে পারি না। মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে সব সময়। আমি কী করলে আমার খিটখিটে মেজাজ ভালো হবে? প্লিজ দয়া করে উত্তর টা দিবেন।
উত্তর:
আমাদের জানা দরকার যে, বিভিন্ন কারণে মানুষের মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। যেমন: রোগ-ব্যাধি, ঘুম কম হওয়া, পারিবারিক সমস্যা, কর্মস্থলে বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত কোনও ঘটনা, মানসিক চাপ, অস্থিরতা, অশান্তি, দুঃখ-কষ্ট, টেনশন, মহিলাদের পিরিয়ড কালীন সময় ইত্যাদি। সুতরাং কী কারণে আপনার এমনটি ঘটছে তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

যদি শারীরিক রোগ-ব্যাধির কারণে এমনটি ঘটে তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর যদি কোন কারণে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করেন বা মানসিক অশান্তিতে থাকেন তাহলে তা চিহ্নিত করে তা থেকে মুক্তি লাভের উপায় খুঁজতে হবে। বিশেষ কোনও সমস্যা থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং মানসিক প্রশান্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
খিটখিটে মেজাজ মুহূর্তেই ভালো করবে চার খাবার:
দৈনিক কালের কণ্ঠ (অনলাইন) লিখেছে,

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন কিছু খাবারের কথা, যা আপনার মেজাজ ভালো করে, তরতাজা ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সে খাবারগুলো সম্পর্কে-
চকলেট:
চকলেটে ফিনাইলিথ্যালাইমিনের বেশ কয়েকটি কার্যকর মিশ্রণ রয়েছে যা এন্ডোরফিন এবং আনন্ডামাইডকে বাড়ায়। চকলেট সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণা দেখায় যে, এটি মেজাজ এবং জ্ঞানকে উন্নত করতে পারে, পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস।

বাদাম:
আখরোট, চিনা বাদাম, পেস্তা, কিসমিসের আশ্চর্যজনক পুষ্টিমান রয়েছে। এগুলো অবশ্যই আপনার খাবারের তালিকায় যুক্ত করা উচিত। এগুলো ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পূর্ণ সুপার হেলথ খাবার।কাজু বাদাম এবং অন্যান্য বাদাম অল্প করে খান যাতে আপনার কার্ব এবং ক্যালোরি স্তর ঠিক থাকে। সকাল ১১টার দিকে একমুঠো মিশ্র বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা। বাদামে আপনার মেজাজ, ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।

ডিম:
আমরা সবাই বিভিন্ন পদ্ধতিতে রান্না করা ডিম খেতে পছন্দ করি। সুসংবাদ হল; ডিম খেলে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি ১২ বেশি থাকে এবং কোলিনযুক্ত থাকে, এটি এমন একটি পুষ্টি যা স্নায়ুতন্ত্রকে সমর্থন করে। যা আপনার মেজাজ ভালো রাখতে কাজ করে। এছাড়াও ডিম খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং এটি খাওয়ার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

অ্যাভোকাডো এবং বেল পেপার:

অ্যাভোকাডোর পুষ্টিকর ফ্যাট এবং সুপার ক্রিম যুক্ত টেক্সচার মেজাজ ভালো রাখার খাবার হিসেবে বিবেচিত। এতে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ৫, ফাইবার, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই খাবার ভিটামিন এবং পুষ্টি নিউরোট্রান্সমিটার সংশ্লেষ করতে সাহায্য করে। রঙিন বেল পেপার রাখুন খাবারের তালিকায়। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি বেশি রয়েছে যা মেজাজ উন্নত করতে ও সঙ্কট হ্রাস করতে সাহায্য করে।
আল্লাহ আপনার মানসিক অবস্থা ঠিক করে দিন এবং সমস্যা থেকে মুক্তি দান করুন- আমরা সে জন্য দোয়া করি। এছাড়াও নিম্নোক্ত লেখাগুলো পড়ার অনুরোধ করছি।


Post a Comment

0 Comments