(খুতবা চলা কালীন) জুম্মার সময় যে সব কাজ নিষিদ্ধ



                (খুতবা চলা কালীন) জুম্মার সময় যে সব কাজ নিষিদ্ধ

 

🔷 ) কথা বলা   ) সালাম দেওয়া 🔷 ) সালামের উত্তর দেওয়া

🔷 ) হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্বললে এর জবাব দেওয়া

🔷 ) এমনকি আপত্তি কাজে বাঁধা দেওয়া

🔷 ) কেউ কথা বললে তাকে চুপ করতে বলা

🔷 ) কোন কিছু নড়া চড়া করা

🔷 8) অনর্থক কাজ করা

🔷 ) দুই হাঁটু খাড়া করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বাসা

🔷 হাদিসঃ রাসূল সাঃ বলেছেন খুৎবার সময় কথা বললে অনর্থক কাজ করলে এই গুলি ভঙ্গ করলে জুম্মা বাতিল বলে গন্য হবে

[সহীহ তারগীব হাঃ ৭১৬,৭১৭ , বুখারী ৯৩৪ , নাসাঈ ৭১৪ ]

 হাদীস

عن أبي هُريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: «إذا قلتَ لصاحبك: أَنْصِتْ يوم الجمعة والإمام يَخْطُبُ، فقد لَغَوْتَ».  
[صحيح.] - [متفق عليه.]

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “জুম‘আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানকালে যখন তুমি তোমার সাথীকে বললে, ‘চুপ করো’ তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।”  
সহীহ
 - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

ব্যাখ্যা--

জুম‘আর সালাতের বিশেষ নিদর্শন হলো দুই খুতবা। আর এ খুতবার উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া। শ্রোতার ওয়াজিব শিষ্টাচার হলো খুতবা দু’টিতে মনোযোগ দেওয়া ও নসিহতে গভীরভাবে চিন্তা করা। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম‘আর খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন; যদিও তা সামান্য পরিমাণে হয়। যেমন স্বীয় সাথীকে কথা থেকে বিরত রাখতে “চুপ করো।” বলা। কাজেই ইমামের খুতবার সময় যদি কেউ কথা বলে তবে সে অনর্থক কাজ করলো। ফলে সে জুম‘আর ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবে। কেননা. সে এমন কাজ করলো যা তাকে ও অন্যকে খুতবা শোনা থেকে বিরত রাখে।  

 ফায়দাসমূহ

1: সমস্ত আলেম এ ব্যাপারে একমত যে, জুমু‘আর দিন খুতবা শোনার জন্য চুপ থাকা ওয়াজিব।

2: খুতবা শোনার সময় কথা বলা হারাম এবং এটি সেই স্থানের পরিপন্থী। যদিও সে এই কাজটি দ্বারা কাউকে খারাপ কর্ম থেকে বিরত রাখে, হাঁচি ও সালামের উত্তর দেয়। মোটকথা যত রকমের কথায় অপরকে সম্বোধন করা হয়ে থাকে তা সবই নিষিদ্ধ।

3: তবে এর থেকে বাদ যাবে যদি কেউ ইমামকে সম্বোধন করে বা ইমাম কাউকে সম্বোধন করে।

4: যে দূরে অবস্থান করার কারণে যদি খুতবা শুনতে না পায় তাকে কোন কোন আলেম এ বিধান থেকে বাদ দিয়েছেন। কারণ, তার জন্য উচিত হলো চুপচাপ না থেকে যিকির ও তিলাওয়াতে মশগুল থাকা। আর যদি কেউ বধির হওয়ার কারণে না শোনে তাহলে সে উচ্চ স্বরে তিলাওয়াত করে অন্য কারো ব্যাঘাত করবে না। সে তার আওয়াজকে তার ও নফসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে।

5: কথা বলার শাস্তি হলো জুমু‘আর ফযীলত থেকে বঞ্চিত হওয়া।

6: দুই খুতবার মাঝখানে কথা বলা বৈধ।

7: যখন খুতবায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম উল্লেখ করা হয়, তখন চুপে চুপে তার ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করবে। এতে তোমার হাদীসসমূহের ওপর আমল হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে দো‘আর সময় আমীন বলা।

Post a Comment

0 Comments