Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

⭕জুম’আর দ্বীনের আদব⭕


জুমআর দ্বীনের আদব

জুমআর দিন গোসল করা যাদের উপর জুম ফরজ তাদের জন্য দিনে গোসল করাকে রাসুল (সাঃ) ওয়াজিব করেছেন 👉প্রমান (বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)

পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ চুল কাটা একটি ভাল কাজ

জুমআর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা 👉প্রমান (বুখারীঃ ৮৮০)

মিস্ওয়াক করা 👉প্রমান (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

গায়ে তেল ব্যবহার করা 👉প্রমান (বুখারীঃ৮৮৩)

উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম আদায় করা👉প্রমান (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা 👉প্রমান (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব 👉প্রমান (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)

আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া 👉প্রমান (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)

পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন👉প্রমান (আবু দাউদঃ ৩৪৫)

জুমআর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাকআতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকাআতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া 👉প্রমান (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)

সূরা জুম সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুমআর সালাত আদায় করা অথবা সূরা আলা সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম আদায় করা 👉প্রমান (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)

জুমআর দিন জুমআর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১০৪৭)

দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। 👉প্রমান (বুখারীঃ ৯৩৫)

মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া 👉প্রমান (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)

মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)

কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা 👉প্রমান (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)

খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দুরাকাআততাহিয়্যাতুল মাসজিদসালাত আদায় করা ছাড়া না বসা 👉প্রমান (বুখারীঃ ৯৩০)

জুমআর দিন জুমআর পূর্বে মসজিদে জিকর বা কোন শিক্ষামুলক হালকা না করা অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন (আবু দাউদঃ ১০৮৯)

কেউ কথা বললেচুপ করুনএটুকুও না বলা👉প্রমান (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)

মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ধুমপান না করা👉প্রমান (বুখারীঃ ৮৫৩)

ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১১১৯)

ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)

খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১১০৮)

জুমআর দিন সূরা কাহফ পড়া এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুমআর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন 👉প্রমান (হাকেমঃ /৩৬৮, বায়হাকীঃ /২৪৯)

জুমআর আযান দেওয়া অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা👉প্রমান (বুখারীঃ ৯১২)

জুমআর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে রাকাআত সুন্নাত সালাত আদায় করা👉প্রমান (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)

উযর ছাড়া একই গ্রাম মহল্লায় একাধিক জুম চালু না করা আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া, বা প্রচুর জনবসতি থাকা, বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া, বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা 👉প্রমান (মুগনি লিবনি কুদামাঃ /২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)

ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১১১৪)

একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা 👉প্রমান (হাকেমঃ /১২৮)

সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা 👉প্রমান (আবু দাউদঃ৮৬২) অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে

কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা 👉প্রমান (বুখারীঃ৫১০)

এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে 👉প্রমান (আবু দাউদঃ ১৩৩২)

খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ 👉প্রমান (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)

হানাফী আলেমগন বলেছেন যে, ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ 👉প্রমান (আহমাদঃ১/৩২) দরকার হলে পায়ের উপর দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)

যেখানে জুমআর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল একই স্থানে সুন্নাত না পড়া অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা👉প্রমান (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)


Post a Comment

0 Comments