Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ না করা ও নামাযে রফউল ইয়াদায়ন না করাঃ

প্রচলিত ভূল.....

) সূরা ফাতিহা পাঠ না করাঃ

🔵বিশেষ করে ইমামের পিছনে সালাত আদায় করার সময় সূরাহ্ ফাতিহা অনেকে পড়ে না। অথচ সুরা ফতিহা ছাড়া সালাত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি এমন সালাত পড়ল যাতে সূরাহ্ ফাতিহা পড়ে নাই সে সালাত ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ তথা অসম্পূর্ণ তিনবার বলেছেন।

রাসূল(সাঃ) একদা ফজরের সালাত শেষে মুসল্লীদের বললেন, তোমরা কি ইমামের পিছে পিছে কিছু পাঠ কর? আমরা বললাম, হাঁ, দ্রুত করে পড়ে নেই। তিনি বললেন, এরূপ করো না। তবে সূরাহ্ ফাতিহা পড়ে নিও। কেননা যে ব্যক্তি এ সূরাহ্ পড়বে না তার নামায হবে না।

[ আবুদাউদ ,তিরমিযি, বুখারী ও মুসলিম )

💠হাদিসঃ-আবূহুরাইরাহ(রাযিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন; রসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন-যে স্বলাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা হয় না সেই স্বলাত যথেষ্ট হয় না সে (আব্দুর রহমান) বলেন যে; আমি বললাম; যদি আমি ইমামের পেছনে (স্বলাতরত অবস্থায়) থাকি? তিনি আমার হাত ধরলেন বললেনহে ফারসী! তুমি তা নিজের মনে (অর্থাৎ চুপে চুপে) পড়ে নিবে  👉[ মুসলিম: ৭৬৪ ]

🔵সূরাহ্ ফাতিহা ব্যতীত নামায হয়না (যাদের জানা আছে তাদের জন্য), যারা জানে না তারা যা জানে কুরআন থেকে সেটাই পড়বে যেমন,সুবহানাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিলআলিয়্যিলআযীম (সংক্ষিপ্ত) ইত্যাদি জানা থাকলে পড়বে তাতে নামায হয়ে যাবে কিন্তু সূরাহ্ মুখস্থ করার চেষ্টা করবে।

🔵সূরাহ্ ফাতিহা সম্পর্কে বিস্তারিত অধ্যায় দেখে নিন[ বুলুগুল মারাম:২৮৫, ইবনু হিব্বানঃ ১৮০৮]

প্রতি রাকাআতে সূরাহ্ ফা-তিহা পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি(ভালভাবে) সূরাহ্ ফা-তিহাহ্পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে কিরাআত পাঠ করে নেয়👉প্রমাণ সনদ সহীহ।। [ সহীহ ইবনুহিব্বান হাঃ ১৭৮৬১৭৯১, মুল 👉সহীহ ইবনু খুজাইমাহঃ ৪৯০ ]

🔵আবু হোরাইরা(রাযিঃ) বলেছেন একজন লোক নাবী(সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি যদি সূরাহ্ ফাতিহার বেশি না পড়ি তবে কি আমার স্বলাত যতে যথেষ্ট হবে?

তিনি বললেন(সাঃ) তুমি যদি সূরাহ্ ফাতিহার পর আরও আয়াত পাঠ করো তবে এটা তোমার জন্যে কল্যাণকর আর যদি তুমি সূরাহ্ ফাতিহাহ পাঠ করে থেমে যাও তবে সেটাও তোমার জন্য যথেষ্ট্য সূরাহ্ ফাতিহার পর অন্য সূরাহ্ পড়তে পারেন তবে জরুরী নয় তাহলে চিন্তা করেন সুরাহ্ ফা-তিহাহ কতো গুরুত্তপুর্ন যা অনেক মুসল্লি ইমামের পিছনে পড়েনা👉[ মুসলিম-ইফাঃ ৭৬৯,৭৭০,৩৯৬ ; ইসেঃ ৭৭৮]

)🔵ইমামের ওয়ালয্‌যওয়াল্লীন বলার পর কোন কোন মুসল্লী আমীন বলার পর আরো বাড়িয়ে বলে ওয়ালে ওয়ালি দাইয়্যা ওয়া লিল মুসলিমীন। এটা সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।

_______________________________________________________________

📙সালাতে দু'হাত উত্তোলন এবং হাত উত্তোলনের স্থানসমূহ

🔵অধিকাংশ মুসল্লী শুধুমাত্র তাকবীর তাহরীমা(সালাত শুরুর সময় তাকবীর) বলার সময় রফউল ইয়াদাঈন বা হাত উত্তোলন করে থাকে; কিন্তু পরবর্তীতে রুকুর আগে ও পরে তা করে না। আবার অনেকে তাকবীর তাহরীমার সময়ও করে না। এটা সুন্নাত বিরোধী।

 

একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, উক্ত ক্ষেত্র সমূহে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত উত্তোলন করেছেন।আবদুল্লাহ্‌ বিন ওমার(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখেছি রাসূলুল্লাহ্‌ সালাত পড়তে দাঁড়িয়ে দুহাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। রুকুর তাকবীর বলার সময় এমনটি করতেন এবং রুকু থেকে মাথা উঠাবার সময় এরূপ করতেন এবং বলতেন সামিআল্লাহু লিমান হামীদাহ্‌ আর যখন দ্বিতীয় রাকাতের পর যখন তৃতীয় রাকাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন তখন হাত ওঠাতেন।(বুখারী হা নং/ ৬৯২, মুয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদ, হাদিসঃ ১০০,১০১]সুতরাং মাযহাবের দোহাই দিয়ে এই সুন্নাতের প্রতি আমল না করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করারই নামান্তর।

[জুজ'উল রাফায়েল ইয়াদাইনঃ হাদিসঃ ১,১২,২২, মুসনাদে আহমাদ (৯১/), ইমাম তিরমিয়ী (৩৪২৩) একে হাসান সহীহ বলেছেন, ইবনু খুযাইমাহ (৫৮৪), ইবনু হিব্বান (উমদাতুল কারী ২৭৭/)]

_______________________________________________________________

🔵নাফেথেকে বর্ণিতঃ ইবনু উমার(রাঃ) যখন কোন(অজ্ঞ) ব্যাক্তিকে রুকূ সময় রুকূথেকে উঠার পর রাফ্‌উল ইয়াদায়ন করতে না দেখতেন, তখন তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতেন।

[জুজ'উল রাফায়েল ইয়াদাইনঃ হাদিসঃ ১৩, হাদিসটি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। ইমাম নববী তার আল মাজমু শারহুল মুহাযযাব গ্রন্থে (৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা) এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন]

📙 সালাতে দু'হাত উত্তোলন এবং হাত উত্তোলনের স্থানসমূহ

🔵রফউল ইয়াদাইন এর অর্থ হচ্ছে দুহাত উঁচু করা। হাদীসে রফউল ইয়াদাইনের দুটি নিয়ম বর্ণিত আছে। তা হলো, দুহাত কাঁধ পর্যন্ত অথবা কানের লতি বরাবর উঁচু করা। আর এটা করা সুন্নাত

🔵সালাত আদায়কালে চারটি সময়ে রফউল ইয়াদাইন করতে হয়।

()তাকবীরে তাহরীমার সময়()রুকুতে যাওয়ার সময়() রুকুথেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময়() তিন বা চার রাকআত বিশিষ্ট সালাতে) প্রথম বৈঠক শেষে তৃতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময়।[ আবুদাউদঃ ৭২৯, আহমাদঃ ৪/৩১৬]

এ হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাকআত বিশিষ্ট সালাতে তিন বার দুরাকআত বিশিষ্ট সালাতে পাঁচ বার, তিন রাকআত বিশিষ্ট সালাতে আট বার এবং চার রাকআত বিশিষ্ট সালাতে মোট দশ বার রফউল ইয়াদাইন করতেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুকাল পর্যন্ত আজীবন উল্লিখিত সময়ে রফউল ইয়াদাইন করেছেন এবং উক্ত নিয়মেই সালাত আদায় করেছেন।

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার(রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূহতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দুহাত উঠাতেন এবং দুই রাকআত তাশাহহুদ বৈঠক শেষে তৃতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়াবার সময়ও তিনি(সাঃ) রফউল ইয়াদাইন করতেন কিন্তু সিজদার সময় এমন করতেন না।

[ বুখারী:৭৩৬,৭৩৭,৭৩৯ ৭৩৫, ৭৩৬, ৭৩৮, ৭৩৯, ৭৩৯,আধু: প্রকা: ৬৯১, ইফা:৬৯৯; মুসলিমঃ৭৪৭, ৭৪৫, ৭৫৮,৩৯০, বুলুগুল মারামঃ২৭৫, তিরমিযী: ২৫৫, নাসায়ী: ৮৭৭, ৮৭৮, ১০২৫, ১১৪৪, আবূ দাউদ: ৭২১, ৭২২, ইবনু মাজাহ: ৮৫৮, আহমাদ: ৪৫৪০, ৪৫২৬, ৪৬৬০, মালেক: ১৬৫, দারেমী;১২৫০, ১৩০৮, সহীহ ইবনু খুজাইমাহঃ ৪৫৬]

____________________________________________________________________________________________________________

🔵🔵ব্যাখ্যাঃ🔵🔵

সালাত একটি মহান ইবাদত। সালাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের আলাদা ইবাদত রয়েছে। তন্মধ্যে দুই হাত উল্লেখ্যযোগ্য, তার জন্যে রয়েছে আলাদা দায়িত্বযেমন সালাতের সৌন্দর্য হিসেবে তাকবীরে তাহরীমার সময় দুই হাত তোলা।তাকবীর আল্লাহর ক্ষমতা ও সত্তার উচ্চতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর আল্লাহু আকবর আল্লাহর মর্যাদার উচ্চতাকে অন্তভুর্ক্ত করে। আর দুই হাত কাঁধ বরাবর তুলতে হবে। অনুরূপবাবে প্রতি রাকাআতে রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে উঠার সময় দুই হাত উঠাবে।এ হাদীসটিতে বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয় যে, হাত উঠানোর কাজটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেজদা থেকে উঠা নামার সময় করতেন না।

🔵আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়ানোর সময় তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূতে যেতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূহতে মেরু দন্ড সোজা করতেন বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন। তারপর যখন ঝুঁকতেন তাকবীর বলতেন আবার যখন মাথা উঠাতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর সাজদাহ যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। এবং যখন মাথা উঠাতেন তখনও তাকবীর বলতেন। এভাবেই তিনি পুরো সালাত শেষ না করা পর্যন্ত করতেনআর দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠক শেষে যখন ওঠতেন। আমি সালাত আদায়ে রাসূলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাথে তোমাদের চেয়ে বেশি সাদৃশ্য রাখাই’’। হাদিসের মানঃ সহিহ 

🔵🔵ফযিলতঃ🔵🔵

🔵()উক্ববাহ ইবনু আমির(রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রুকুর সময় এবং রুকুথেকে মাথা উঠানোর সময় রফউল ইয়াদাইন করে তার জন্য রয়েছে প্রত্যেক ইশারার বিনিময়ে দশটি করে নেকী।

(দেখুন, বায়হাক্বীর মারিফাত ১/২২৫, মাসায়িলে আহমাদ কানজুল উম্মাল)

🔵()ইবনু উমার(রাঃ) বলেন, রফউল ইয়াদাইন হচ্ছে সালাতের সৌন্দর্যের একটি শোভা। প্রত্যেক রফউল ইয়াদাইন এর বদলে দশটি করে নেকী রয়েছে, অর্থাৎ প্রত্যেক আঙ্গুলের বিনিময়ে রয়েছে একটি করে নেকী। [দেখুনআল্লামা আইনী হানাফীর উমদাতুল ক্বারী ৫/২৭২]
এতে প্রমাণিত হয়,রফউল ইয়াদাইন করার কারণে দুরাকআত সালাতে পঞ্চাশ ও আর চার রাকআত সালাতে ১০০টি নেকী বেশি পাওয়া যায়।এ হিসেবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের রাকআত ফারয সালাতে ৪৩০টি নেকী, একমাসে বারো ১২,৯০০টি আর এক বছরে ১,৫৪৮০০(এক লক্ষ চুয়ান্ন হাজার) নেকী শুধু রফউল ইয়াদাইন করার জন্য বাড়তি যোগ হচ্ছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি সালাতে রফউল ইয়াদাইন করার কারণে ৩০ বছরে ৪৬,৪৪০০০ নেকী আর ৬৫ বছরে ১০০৬২০০০ (এক কোটি বাষট্টি হাজার নেকী বেশি পাচ্ছেন)

এ হিসাব শুধু পাঁচ ওয়াক্ত ফারয সালাতে। এছাড়া সুন্নাত নাফল বিতর তাহাজ্জুত তারাবী প্রভৃতি সালাতে রফউল ইয়াদাইন করার নেকী তো রয়েছেই, যা এই হিসাব অনুপাতেই পাওয়া যাবে। সুতরাং যারা ফারয, সুন্নাত, নাফল প্রভৃতি সালাতে রফউল ইয়াদাইন করেন না তারা কতগুলো নেকী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা কি ভেবে দেখেছেন? অথচ ক্বিয়ামাতের দিন মানুষ হাশরের ময়দানে একটি নেকী কম হওয়ার কারণে জান্নাতে যেতে পারে না!

____________________________________________________________________________

📙বিস্তারিত দেখুনঃ ইমাম বুখারী(রহঃ) এর বইঃ জুযউ রফইল ইয়াদাইন ফিস সালাত(সালাতে হাত উত্তোলন)

প্রিয় ভাই, এসব ধোঁকাবাজি দলীল দাতাদের মাযহাব ছেড়ে আপনি সহীহ হাদীসের অনুসরণ করুন। আপনি কী জানেন! আপনি নাবী(সাঃ) এর একটি সুন্নাহ ছেড়ে দিয়ে কত নেকী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন? সেই কঠিন হাশরের ময়দানে যখন আপনি একটি নেকীর আশায় হন্যে হয়ে ছুটতে থাকবেন, তখন কেউ আপনাকে একটি নেকী দিয়েও সাহায্য করবে না। না আপনার মা, না বাবা, না আপনার স্ত্রী-সন্তানেরাতাহলে আপনি কেন মাযহাবের দোহাই দিয়ে নাবী(সাঃ) এর সুন্নাহ পরিত্যাগ করছেন? আপনার প্রকৃত ইমাম কি আপনার মাযহাবের ইমাম না আপনার নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ(সাঃ)

________________________________________________________________

📙এবার হিসাবটা দেখে নিন আপনি প্রতিদিন কত নেকী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন:

আল কুরআন এবং সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কোন ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করলে আল্লাহ তার বিনিময়ে দশ থেকে সাতশত গুন বৃদ্ধি করে দেন। অতএব কেউ যদি একবার রাফউল ইয়াদাইন করেন, তাহলে সে কমপক্ষে দশটি নেকী পাবে। এব্যাপারে উক্কবা বিন আমিরের কথা পেশ করতে পারি। ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াই বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবী উক্কবা বিন আমির জুহানী (রাদ্বিঃ) বলেন, রুকুর সময় এবং রুকু থেকে উঠার সময় হাত উত্তোলন(রাফউল ইয়াদাইন) করায় প্রত্যেক ইশারার জন্য দশটি নেকী রয়েছে।

(আব্দুল্লাহ বিন আহমাদের মাসায়েলে আহমাদ, ৭০, কানযুল উম্মাল, ৭ম, ৩৩৯-৩৪০)

এখন কেউ যদি একদিন রাফউল ইয়াদাইন ব্যতিত স্বলাত আদায় করে তাহলে সে ৬৯০ টি নেকী থেকে বঞ্চিত। আর যদি এক মাস রাফউল ইয়াদাইন ব্যতিত স্বলাত আদায় করে তাহলে ২০,৭০০ টি নেকী থেকে বঞ্চিত। এক বছরে ২,৪৮,৪০০ নেকী থেকে বঞ্চিত। এভাবে কোন ব্যক্তি যদি ৬০ বছর স্বলাত আদায় করার সুযোগ পায়,আর রাফউল ইয়াদাইন ব্যতীত স্বলাত আদায় করে তাহলে সে ২,৪৮,৪০০x৬০=১,৪৯,০৪,০০০ নেকী হতে বঞ্চিত হয়।

______________________________________________

📙যারা এর বিরোধিতা করে তারা আসলেই কি মুসলিম? বর্তমানে মসজিদে এই আমোল করলে মসজিদ থেকে বের করে দেয় নামধারি প্রচলিত অন্ধ গোঁড়া হুজুর ও কাঠমোল্লারা।

ইতিহাসে এই রকম কোন ঘটনা নেই ইমাম আবু হানিফা(রহঃ),ইমামসাফি(রহঃ), ইমাম মালেকি(রহঃ), ইমাম আহমাদ(রহঃ) ইত্যাদি ও অন্যান্য ইমামরা এই রকম বদ আচরণ করেছেন। যা সুন্নাত করতে বাঁধা দেয়সুন্নাতের ফজিলত কি হুজুররা জানে?

কারন এটা সুন্নাত আমল। কেউ করলে সে নেকি পাবে। আর কেউ করলোনা সে নেকি থেকে বঞ্চিত হলো। হতভাগারা সুন্নাত আমল করেনাএকজন প্রকৃত আল্লাহ্‌ ভীরু মুসলিমের এই রকমের আচরণ করা ঠিক নয়।

তাই আসুন ভ্রান্ত হুজুর থেকে বেঁচে থাকি নবীর(সাঃ) এই আমোল করি যদি সত্যি নবীকে ভালোবেসে থাকি। আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন আমীন।

বুকঃ 👉রাসূল(সাঃ) এর সচিত্র নামায শিক্ষা 👉 author by Rasikul.islam


Post a Comment

0 Comments