🔵রুকু ও সিজদাহ ঠিক মত না করা।

১৮)রুকু ও সিজদাহ ঠিক মত না করা। 

🔵দাঁড়ানো ও বসাবস্থায় পিঠ সোজা না রাখা: যেমন পিঠ কুঁজো করে রাখা বা ডানে-বামে হেলে থাকা। রাসূল()বলেন, ‘যে রুকু ও সিজদায় পিঠ সোজা করে না, আল্লাহ্‌ তার সালাতের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। (তাবারানী- সহীহ সনদে) তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা রুকু ও সিজদা পরিপূর্ণরূপে আদায় কর। [ সহীহ বুখারী হা/ ৮০৮,৭৭১, ৭৫৫,৭৫৭,৭৯১,৭৯৩, ৬১৫৩ ও মুসলিম হা/৬৪৫]

🔵আবূ হুমাইদ(রাযি.) তাঁর সাথীদের সামনে বলেছেন, নবী(সাঃ) রুকূ করতেন এবং রুকূতে পিঠ সোজা রাখতেন। [ সহীহ বুখারী তাওঃ ৭৯২]

🔵ব্যাখ্যা:

সুন্নাতের প্রচার ও ইলম পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ গুরুত্বপূর্ণ হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের পদ্ধতি বর্ণনা করেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমার দ্বারা সালাত শুরু করতেন। ফলে তিনি বলতেন, আল্লাহু আকবর। আর সূরা ফাতিহাযার শুরু হলো আলহামদু লিল্লাহী রাব্বিল আলামীনদ্বারা কিরাত শুরু করতেন। দাঁড়ানোর পর যখন রুকূ করতেন তখন তিনি মাথা উঁচাও করতেন না এবং নীচাও করতেন না বরং মাথাকে সোজা ও বরাবর রাখতেন। আর যখন সেজদার পূর্বে রুকূ থেকে দাঁড়াতেন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। আর যখন সেজদা থেকে মাথা উঠাইতেন সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত পরবর্তী সেজদা করতেন না। আর তিনি প্রতি দুই রাকাআত পর যখন বসতেন তখন বলতেন, আত-তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু... যখন বসতেন তখন বাম পা বিছিয়ে তার ওপর বসতেন এবং ডান পা খাড়া করে দিতেন। আর তিনি মুসল্লীকে সালাতে শয়তানের মতো বসতে নিষেধ করতেন। আর তা হলো দুই পা যমীনের ওপর বিছিয়ে দেওয়া ও দুই পায়ের পিঠ যমীনের জন্য বিছিয়ে দেওয়া এবং তার দুই টাখনুর ওপর বসা অথবা দুই তার দুই পা খাড়া রাখা অতঃপর তাদের মাঝে তার দুই নিতম্ব রাখা। অনুরূপভাবে তিনি সেজদায় দুই বাহুকে নেকড়ের মতো বিছিয়ে রাখতে নিষেধ করেন। যেমননিভাবে সালাত আল্লাহর তাজীম ও বড়ত্ব দ্বারা শুরু করেছেন এমনভাবে উপস্থিত ফিরিশতা এবং মুসল্লী অতঃপর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত বান্দাদের ওপর সালাম দেওয়ার দ্বারা শেষ করেছেন। মুসল্লীদের জন্য উচিত হলো তারা তাদের দোআয় এ ধরনের ব্যাপকতা রক্ষা করা

Post a Comment

0 Comments