🔵রুকু ও সাজদায় প্রশান্তি ও ধীর-স্থিরতা অবলম্বন না করা:

১৯) রুকু ও সাজদায় প্রশান্তি ও ধীর-স্থিরতা অবলম্বন না করা:

🔵দেখা যায়, অনেক মানুষ তাড়াহুড়া করে সালাত আদায় করতে গিয়ে ভালভাবে রুকু-সিজদা করে না। রুকুর সময় পিঠ সোজা না করে মাথাটা একটু নিচু করে। মোরগের ঠোকর দেয়ার মত করে সিজদা করে। অথচ এভাবে সালাত আদায়কারীকে হাদিসে নিকৃষ্ট চোর বলা হয়েছে।[আহ্‌মাদ ; মিশকাত হা/৮৮৫]

আর তার সালাতও বিশুদ্ধ হবে না। যায়দ বিন ওয়াহাব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযায়ফাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) দেখলেন জনৈক ব্যক্তি অপূর্ণরূপে রুকু-সিজদা করছে। তিনি তাকে বললেন, ‘তুমি তো সালাত আদায় করনি। তুমি যদি এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর, তবে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আল্লাহ্‌ যে ফিত্‌রাত(বা বৈশিষ্ট্য বা ইসলাম) দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তুমি তা ভিন্ন অন্য ফিত্‌রাতের উপর মৃত্যুবরণ করবে।

[বুখারী ও মুসলিম ; মিশকাত হা/৮৮৪]

নবী(ﷺ) থেকে আবু হুরায়রাহ(রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন। তিনি দেখলেন, এক ব্যক্তি মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে(দ্রুত) সালাত আদায় করল। তখন নবী() তাকে বললেন, ‘তুমি ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা তুমি সালাতই আদায় করনি।যেহেতু সে নামায আদায় করেছিল কিন্তু রাসূল(সাঃ) এর নিয়মের বাইরে ছিল। [বুখারী হা/৭৫১, মুসলিম /৩৮ হাঃ ৪৭১]

 রাসূল() এক ব্যক্তিকে সলাত রত অবস্থায় দেখতে পেলেন, সে তার রুকু পূর্ণভাবে আদায় করছে না এবং সাজদায় ঠোকর দিচ্ছে। তিনি বললেন, ‘যদি এই ব্যক্তি তার এই অবস্থায় মারা যায় তবে সে মুহাম্মাদ() -এর ধর্মের উপর মারা যাবে না। কাক যেমন রক্তের মধ্যে ঠোকর দিয়ে থাকে সেও তদ্রূপ তার সলাতে ঠোকর দিচ্ছে। যে ব্যক্তি পূর্ণভাবে রুকু করে না এবং সাজদায় ঠোকর দেয় তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ ক্ষুধার্তের ন্যায় যে একটি অথবা দুটি খেজুর খায় কিন্তু তাতে মোটেও তার ক্ষুধা নিবারণ হয় না।

[আবু ইয়ালা স্বীয় মুসনাদে, আজুররী আরবাইনগ্রন্থে, বায়হাকী ও তাবারানী, আয্‌যিয়া আল-মুনতাকা মিনাল আহাদিসিস সিহাহ ওয়াল হিসান গ্রন্থে, ইবনু আসাকির হাসান সনদে। একে ইবনু খুযায়মাহ সহীহ বলেছেন। হাদিসের অতিরিক্ত অংশ ছাড়া প্রথম অংশের উপর মুরসাল সনদে শাহিদ (সাক্ষ্যমূলক) বর্ণনা পাওয়া যায় যা ইবনু বাত্ত্বাহ এর আল-ইবানাহগ্রন্থে রয়েছে।]

Post a Comment

0 Comments