৪৬)পেশাব ও পায়খানার চাপ রেখে
সালাত আদায় করা:
🔵আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার(রাঃ)ও ’আয়িশাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল(ﷺ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হলে এবং দুটি নাপাক বস্তুর (পেশাব-পায়খানা) চাপ থাকলে সালাত হবে না।’
[বুখারী ৬৭৪, মুসলিম হা/৫৫৯,৫৬০ ; ইবনু মাজাহ্ঃ ৬১৭; সহীহুল জামেঃ
৬৮৩২] মিশকাতঃ১০৫৭]
____________________________________________________________________
৪৭)
বিনা কারণে চোখ বন্ধ করে সালাত
আদায় করা:
🔵ইমাম ইবনুল কায়্যিম(রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ‘সালাত অবস্থায় দু’চোখ বন্ধ রাখা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হিদায়াত বহির্ভূত কাজ।’
৪। চোখ বুজা-
মহানবী (ﷺ) যখন নামায পড়তেন, তখন তিনি তাঁর চোখ দু’টিকে খুলে রাখতেন। তাঁর দৃষ্টি থাকত সিজদার জায়গায়। তাশাহ্হুদে বসার সময় তিনি তাঁর তর্জনী আঙ্গুলের উপর নজর রাখতেন। এ ছাড়া তিনি চোখ খুলে রাখতেন বলেই মা আয়েশা رضي الله عنها এর দেওয়ালে টাঙ্গানো ছবিযুক্ত পর্দা তাঁর সম্মুখ থেকে সরিয়ে নিতে বলেছিলেন। সুতরাং সুন্নত হল, চোখ খোলা রেখে নামায পড়া।
তবে হ্যাঁ, যদি প্রয়োজন পড়ে; যেমন সামনে কারুকার্য, নক্সা, ফুল বা এমন কোন জিনিস থাকে, যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে অথবা মনোযোগ কেড়ে নেয় অথবা ক্বিরাআত ভুলিয়ে দেয় এবং তা দূর করা সম্ভব না হয়, তাহলে চোখ বন্ধ করে নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। বরং এই ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করেই নামায পড়া উত্তম হওয়া শরীয়ত এবং তার উদ্দেশ্য ও নীতির অধিক নিকটবর্তী। (যাদুল মাআদ, ইবনুল কাইয়েম ১/২৯৩-২৯৪, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৪৮, ৫২, ৩১৬, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৮৯-২৯০, মুত্বাসা ১৩০-১৩১পৃ:)
৫। এমন জিনিস (যেমন নক্সাদার মুসাল্লা, সৌন্দর্য ও কারুকার্যময় দেওয়াল বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যপূর্ণ কাপড় ইত্যাদি) সামনে রেখে নামায পড়া, যাতে নামাযীর মনোযোগ ও একাগ্রতা নষ্ট হয়। এ ব্যাপারে ‘যে সব স্থানে নামায পড়া মাকরুহ’ শিরোনাম দেখুন।
0 Comments