৪১)ইমাম সাহেবের কোনো ভুল হলে লোকমা না দেয়া🔵

৪১)ইমাম সাহেবের কোনো ভুল হলে লোকমা না দেয়া

🔵মানুষ হিসেবে ইমাম সাহেবের ভুল হতেই পারে। কিছু ভুলের জন্যে তো সাহু সেজদার বিধানও রয়েছে। আর কিছু ভুল এমন, যেখানে ইমাম সাহেবকে তাৎক্ষণিক সতর্ক করে দিতে হয়। যেমন, জোহর নামাজের তৃতীয় রাকাতেই ইমাম সাহেব শেষ বৈঠকের জন্যে বসে পড়লেন।তখন তাকে লোকমা দিতে হবে। কথা হলো, এ লোকমা কে দেবে? এ লোকমা যে কেউ দিতে পারে। যিনি ভুলটি ধরতে পারবেন, তিনিই লোকমা দিতে পারেন। (ফতোয়ায়ে রহীমিয়া ৬/১৮৮)

দারুল উলুম দেওবন্দ এর ৬১৬৬৭ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার উভয় শব্দ দিয়েই লোকমা দেওয়া যাবে। তবে উত্তম হলোসুবহানাল্লাহবলে লোকমা দেওয়া। কিন্তু হাদিসে সুবহানাল্লাহএর কথায় এসেছে।

কেননা রাসুল সাঃ ইরশাদ করেছেন তাসবীহ হল পুরুষদের জন্য, আর তাসফীক তথা মৃদু তালি হল মহিলাদের জন্য।

তোমাদের কারো সালাতে কোন কিছু ঘটলে সে সুবহানাল্লাহবলবে। সে যখন সুবহানাল্লাহ বলল তখনই ইমামের কিছু আকর্ষণ করা হলো মহিলারাই কেবল তাসফীহ(হাততালি) দিবে।

আমরা হাদিসেরই অনুসরণ করবো। জায়েজ টা বাদ দিয়ে সূন্নাহ টা পালন করবো।

[সহীহ বুখারীঃ ১১৪৫, ১২২৮,১২০৩,১১২৫, মুসলিমঃ ৮৩৫,৯৮২, ৪২১, ইফাঃ ৮৩১,ইসেঃ ৮৪৪, তিরমিযিঃ ৩৬৯, নাসায়ীঃ ১২০৭, আবুদাউদঃ ৯৩৯] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) আরো হাদিস দেখুন..................

عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعًا: «التَّسْبِيحُ للرجال، والتَّصْفِيق للنساء».

🔵হাদীস: পুরুষদের বেলায় তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্) বলা, তবে মহিলাদের বেলায় ‘তাসফীক’ (এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)।আবূ হুরাইরাহ্ রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন (ইমামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য) পুরুষদের বেলায় তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্) বলা, তবে মহিলাদের বেলায় ‘তাসফীক’(এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

🔵ব্যাখ্যা:পুরুষের জন্য তাসবীহ এবং নারীদের জন্য হস্তাঘাত’ হাদীসটির অর্থ। আর মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত আছে “সালাতে” অর্থাৎ সালাতে যখন এমন কোন ঘটনা দেখা দেয়, যা অপরকে অবহিত করার দাবি রাখে, যেমন সালাতে ইমাম ভূল করলে তাকে সতর্ক করা বা কোন অন্ধ লোক গর্তে পড়ে যাচ্ছে তা দেখে কাউকে জানানো বা কোন প্রবেশকারী অনুমতি চাইলে তাকে সতর্ক করা বা মুসল্লী কোন বিষয়ে অপরকে অবগত করতে চায় এ ধরনের পেক্ষাপটে সে কোন অবস্থায় আছে তা বুঝানোর জন্য তাসবীহ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ বলবে। এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর নারীদের ক্ষেত্রে যখন তাদের সালাতে এ ধরনের কোন অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে তাসফীক করবে। তার পদ্ধতি হলো, এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা বা যে কোনভাবে হাতে আঘাত করা। এটি হলো সালাতকে এমন কথা থেকে দূরে রাখা যা সালাতের কথা নয়। কারণ, সালাত হলো আল্লাহর সাথে মুনাজাত। কিন্তু যখন কথা বলার প্রয়োজন দেখা দিল, তাই তাতে এমন কথা বৈধ রাখা হলো যা সালাতের সাথে সম্পৃক্ত কথা। আর তা হলো তাসবীহ। 

Post a Comment

0 Comments