৪২)জামা'আত
চলাকালীন সুন্নাত নামায পড়া
🔵কোন কোন মুসল্লি জামায়াতে নামায চলাকালীন সময়েও সুন্নাত নামায পড়তে থাকেন, বিশেষ করে ফজরের নামাযে; অথচ এটি হাদীসের মাধ্যমে নিষিদ্ধ বা হারাম। এমনটি করতে রাসূলুল্লাহ(সাঃ) নিষেধ করেছেন।
আবু হোরায়রা(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(স.) বলেছেন, “যখন জামায়াতের ইকামাত হয়ে যায়, তখন ফরয নামায ব্যতীত আর কোন নামায নেই।”[মুসলিম: ৭১০, ১৫৩১, ১৫১৬, ১৫২৩, ‘মুসনাদ’ হাঃ ৮৬৮]
বায়হাকীর এক বর্ণনায় এসেছে “রাসূলুল্লাহ(স)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, ফজরের দু'রাকাআত সুন্নাতও পড়া যাবে না? উত্তরে তিনি বললেন, ফজরের দু'রাকাআত সুন্নাতও না।”(হাদীসটিকে
ইন্ হাজার ফতহুল বারীতে হাসান বলেছেন )।
🔵অতএব,যখনই জামায়াতে নামায চলমান দেখবে তখনই মুসল্লীর কর্তব্য
হলো কোন প্রকার সুন্নাতের নিয়ত না করে সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতে শরীক হয়ে যাওয়া।
হাদিসে এসেছে যখন যে অবস্থায় পাবে তাতেই সামিল হবে।আর ফজরের নামাযের বেলায়ও একই
মাসআলা। ফজরের বাদ পড়ে যাওয়া দু'রাকাআত সুন্নাত ফরযের পরপরই আদায় করা জায়েয আছে।
[সুনানে আত-তিরমিযী ৪২২,
আবু দাউদ: ১২৬৭, ইবনু মাজাহ ১১৫১]
তাছাড়া সূর্যোদয়ের পরও তা আদায় করা যায়।
হাদীস: যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, তখন সে তাই করবে যেমন ইমাম করবে।
عن علي بن أبي طالب، ومعاذ بن جبل رضي الله عنهما مرفوعا: «إذا أتى أحدكم الصلاة والإمام على حال، فليصنع كما يصنع الإمام».
🔵হাদিসঃ আলী ইবন আবি তালিব ও মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, তখন সে তাই করবে যেমন ইমাম করবে।” [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। সহীহ]
🔵ব্যাক্ষাঃ- যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, যেমন দাঁড়ানো বা রুকূ বা সিজদা বা বসা অবস্থায় আছে সে যেন দাঁড়ানো বা রুকূ ইত্যাদিতে ইমামের অনুসরণ করে। ইমামের দাঁড়ানোর অপেক্ষা করবে না। যেমনটি সাধারণ মানুষ করে থাকে।
🔵ফায়দাসমূহঃ
জামাত শুরু হয়ে যাওয়ার পরে আসা ব্যক্তি (লাহিক) সালাতের যে অংশে ইমামকে পাবে রুকু, সিজদা ও বসা কোনটির মধ্যে প্রার্থক্য না করে তাতেই ইমামের সাথে সালাতে প্রবেশ করবে। সালাতের যে অংশে ইমামের সাথে শরীক হয়েছে সে অংশের রুকু পাওয়া দ্বারা রাকাত পাওয়া সাব্যস্ত হবে। যেমনটি অন্যান প্রমাণ দ্বারা তা প্রমাণিত।
0 Comments