Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

🔵কোন সুতরা ছাড়াই সালাত আদায় করা:

৩৩)🔵কোন সুতরা ছাড়াই সালাত আদায় করা:

🔵অধিকাংশ মানুষ কোন পরওয়া না করে যেখানে সেখানে সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। সুন্নাত হচ্ছে, কোন সুতরা সামনে রাখা। অর্থাৎ কমপক্ষে অর্ধ হাত বরাবর কোন উচু বস্তু সামনে সালাতে দাঁড়ানো উচিত। আলেমদের মধ্যে অনেকে সুতরা গ্রহণ করা ওয়াজিব বলেছেন।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘সুতরা ব্যতীত সালাত আদায় করবে না, আর তোমরা সম্মুখ দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে দিবে না, যদি সে অগ্রাহ্য করে তবে তার সাথে লড়াই করবে, কেননা তার সাথে ক্বারীন (শয়তান) রয়েছে।

[বুখারী তাওঃ,৪৮৫; হা/৫০৯; মুসলিম হা/৫০৫, ৫০৬; ইবনু খুযায়মা, হাকেম ও বায়হাক্বী]

নাফি’ (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খোলা জায়গায় সালাত আদায় করলে) নিজের উটকে সামনে আড়াআড়িভাবে বসিয়ে উটের দিকে মুখ করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। [ সহীহ : বুখারী ৫০৭, মুসলিম ৫০২, আবূ দাঊদ ৬৯২, তিরমিযী ৩৫২, আহমাদ ৪৪৬৮]

🔵🔵ব্যাখ্যা: সওয়ারীকে সামনে রেখে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, অর্থাৎ- সওয়ারীকে তিনি ক্বিবলার দিকে তাঁর সামনে বসিয়ে দিতেন। যাতে কোন ব্যক্তির চলাচলের ক্ষেত্রে সুতরাহ্ (সুতরা) হিসেবে কাজ করে।

🔵আয্ যাহাবী বলেনঃ সওয়ারী পুরুষ হোক বা স্ত্রী হোক এ কাজে ব্যবহার করা যাবে। এ হাদীস থেকে আরো জানা গেল যে, পশু-পাখীর মুখোমুখি হয়ে সালাত আদায় করা জায়িয এবং উটের নিকটবর্তী হয়েও সালাত আদায় করা জায়িয।

মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমন করার পরিমাণ হলো যতদূর পর্যন্ত মুসল্লীর দৃষ্টি যায় ক্বিবলার দিক থেকে ততটুকু ভিতর দিয়ে গমন না করা।

🔵শাফি‘ঈ ও হাম্বালীগণ বলেন, এর পরিমাণ হলো ৩ হাত আর এ গমন নিষিদ্ধ হবে তখন যখন মুসল্লীর সামনে দিয়ে কেটে যাওয়া হবে। কেউ যদি মুসল্লীর পাশ দিয়ে ক্বিবলার দিকে যায় তবে তা নিষিদ্ধ নয়।

_আর এ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করবে। কেউ যদি বসে থাকে অথবা শুয়ে থাকে তবে তা নিষেধের আওতায় আসবে না।

আর এ নিষেধাজ্ঞা সকল মুসল্লীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ফরয, নফল যাই হোক না কেন।

Post a Comment

0 Comments