১৫) ইমামের পূর্বে রুকু-সেজদা করা।
🔵জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার সময় অনেকে ইমামের পূর্বেই রুকু-সেজদায় চলে যান কিংবা ইমামের পূর্বেই রুকু-সেজদা থেকে উঠে পড়েন। ভুলবশত এমনটি করলে নামাজ নষ্ট হবে না ঠিক, কিন্তু ইচ্ছা করে যারা এমন করে, তাদের জন্যে হাদীস উচ্চারিত হয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি। আবু হুরায়রা(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
তোমাদের কেউ কি এ নিয়ে কোনো ভয় করে না—যখন সে ইমামের পূর্বে তার মাথা উঠিয়ে নেয় তখন আল্লাহ তার
মাথাকে গাধার মাথায় কিংবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতিতে পাল্টে দিতে পারেন! [বুখারীঃ ৬৯১, ৬৫০,৬৫৮; মুসলিমঃ ৪/২৫, ৪২৭, আহমাদঃ ১০৫৫১]
🔵ব্যাখ্যা:
🔵সালাতে অনুকরণ ও অনুসরনের জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ইমামের নড়াচড়ার পরেই মুক্তাদীগণ নড়াচড়া করবেন। আর এ দ্বারাই অনুকরণ বাস্তবায়িত হবে। যদি মুক্তাদি ইমামের আগেই কর্ম সম্পাদন করে তবে ইমামতির কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ছুটে যাবে। এ কারণেই যে ব্যক্তি ইমামের মাথা উঠানোর পূর্বে মাথা উঠায় তার জন্য কঠিন হুমকি এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা তার মাথাকে গাঁধার মাথায় রুপান্তরিত করে দেবেন। যে অঙ্গ দ্বারা উঠা হলো এবং সালাতে বিঘ্ন ঘটানো হলো সে অঙ্গের শাস্তি হিসেবে তার মাথাকে সুন্দর আকৃতি থেকে কুৎসী আকৃতিতে পরিবর্তন করে দেবেন।
0 Comments