Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

‘মাজহুল’ বা অপরিচিত লোকের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা.

মাজহুলবা অপরিচিত লোকের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা.

🔴আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিতআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ

যে কেউ ইলমের খোঁজে কোনো পথে চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। -মুসনাদে আহমদ ১৪/৬৬]

🔴প্রখ্যাত তাবিঈ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১১০ হি.] বলেছেন;

ﺇِﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﺩِﻳﻦٌ ﻓَﺎﻧْﻈُﺮُﻭﺍ ﻋَﻤَّﻦْ ﺗَﺄْﺧُﺬُﻭﻥَ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ

নিশ্চয় এইলমহলো দ্বীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দ্বীন গ্রহণ করছ তা যাচাই করে নাও!

[সহিহ মুসলিম, ‘ভূমিকা’; পরিচ্ছেদ- ৫]

🔴আপনারা দ্বীন সম্পর্কে জানার জন্যে ফেইসবুকইউটিউব বা ইন্টারনেটে কার লেখা পড়ছেনকার কথা শুনছেনকাকে অনুসরণ করছেন বা উস্তাদ (শিক্ষক) হিসেবে কাকে নিচ্ছেন – সেই ব্যপারে খুব সতর্ক থাকবেন। কারণ ‘মাজহুল’ বা অপরিচিত লোক,  যে কোন আলেম এর ছাত্র নয় এবং যাকে কোনা আলেম চেনেন নাযার ‘আকিদাহ’ ’ মানহাজ’ স্পষ্ট নয়সে কি হক্কপন্থী নাকি মনপূজারী বিদাতীদের অন্তর্ভুক্তএমন লোকের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা।

🔴ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

এই যে জ্ঞান (দ্বীনের ব্যপারে)এটাই হচ্ছে তোমার দ্বীন। সুতরাংকার কাছে থেকে তুমি দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছসেই ব্যাপারে সতর্ক থাকো।

ইমাম শুবাহ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১৬০ হিজরী) বলেন,“ইলম তার কাছ থেকেই নাওযে ব্যক্তি পরিচিত।

আল-জারহ ওয়াত-তাদীলঃ ২/২৮।

যে হক্কপন্থী ও বাতিলপন্থী দলের মাঝে কোন পার্থক্য করেনা,সে একজন বেদাতী।

শায়খ সালেহ আল-লুহাইধান হাফিজাহুল্লাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,

🔴প্রশ্নঃ এক ব্যক্তি আহলে সুন্নাহ এবং আহলে বিদআহ সবার সাথেই বসে এবং বলে, “এখন উম্মতের মাঝে অনেক বিভক্তি হয়েছেতাই আমি সবার সাথেই বসি।” এমন দ্বাইয়ীদের ব্যপারে কি বলা হবে?

🔴উত্তরঃ “সে একজন বিদআতি। উম্মতের ঐক্যের স্বার্থে হক্ক (আহলে সুন্নাহ) ও বাতিল (আহলে বিদআহঃ শীয়াসূফীখারেজী ইত্যাদি দলের মাঝে) কোন পার্থক্য না করা একটা বিদআত। আমরা তার হেদায়েতের জন্য দুয়া করি।

 

Post a Comment

0 Comments