🔘রোযার নিয়ত কিভাবে করতে হবে? 🔘
🔘রমযান মাসে রোযা থাকা ফরয। আপনার যদি রাতের বেলা নিয়ত থাকে যে, আজ আপনি রোযা থাকবেন, অথবা সাহরীর সময় উঠে খাওয়া-দাওয়া করেন এবং মনে মনে চিন্তা করেন যে, আজ আমি রোযা থাকবো, তাহলেই আপনার নিয়ত করা হয়ে যাবে। রোযার নিয়তের জন্যে কোন দুয়া পড়তে হবেনা। রোযার নিয়ত হিসেবে সাহরী ও ইফতারীর ক্যালেন্ডার বা বিভিন্ন ধর্মীয় বই-পুস্তকে যে দুয়া “নাওয়াইতুয়ান আসামু গাদামান...”, এই দুয়া ক্বুরআন ও হাদীসের কোথাও নাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুয়া পড়ে রোযার নিয়ত করতেন না। এটা আমাদের দেশীয় মাওলানা সাহেবরা বানিয়ে নিয়েছেন, যা সুস্পষ্ট বিদআ’ত। আর বিদআ’ত মানেই হলো পথভ্রষ্টতা ও বাতিল।
রমযানের রোযার বাইরে আপনি যখন অন্য নফল, সুন্নত অথবা কাযা রোযা রাখবেন তখন আপনি রাতের বেলা বা ঘুম থেকে উঠে সাহরী খাওয়ার পরে মনে মনে ঠিক করে নেবেন, আজ আমি অমুক রোযা (বৃহস্পতিবারের সুন্নত রোযা, বিগত রমযানের কাযা রোযা, আরাফার সুন্নত রোযা...) রাখবো।
🔘উল্লেখ্যঃ নফল বা সুন্নত রোযার জন্য কেউ যদি পূর্ব থেকে নিয়ত করে না রাখেন, আর ঘুম থেকে উঠে ফযরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরেও রোযা থাকার নিয়ত করতে পারবে। তবে, ফযর হওয়ার যতক্ষণ সময় পরে নিয়ত করবেন, ঐ সময়টকুর জন্য নিয়ত না থাকার কারণে ততটুকু অংশের সওয়াব মিস করবেন। তবে শর্ত হচ্ছে ঐ সময়ে রোযা ভংগকারী কোন কাজে লিপ্ত হওয়া যাবেনা। অনুরূপভাবে, ইফতারির জন্যে কোন নিয়তের দুয়া নেই। ইফতারি শুরুর পূর্বে শুধুমাত্র “বিসমিল্লাহ” বলে খাওয়া শুরু করবেন।
0 Comments