Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে বাঁধা প্রদান করুন।

 আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে বাঁধা প্রদান করুন।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে; তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন।

অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে, কিন্তু তা কবুল করা হবে না।”(তিরমিযি, আস-সুনান: ২১৬৯; আলবানি, সহিহুল জামি’: ৭০৭০; হাদিসটি সহিহ)

অপর বর্ননায় রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন,তোমাদের যে কেউ মুনকার কিছু দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে।

না পারলে যবান দিয়ে প্রতিবাদ করে, না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে। আর এটা হ’ল দুর্বলতম ঈমান।(সহীহ মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৭)

সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ এত জরুরি যে, এটি বন্ধ থাকলে পুরো সমাজ এর শাস্তি ভোগ করে। আমাদের সমাজের বর্তমান দুরবস্থার অন্যতম কারণ হলো, আমরা সম্মিলিতভাবে এই আমলটি থেকে দূরে সরে গেছি।

এমনকি, সমাজের শ্রেষ্ঠাংশ আলিমসমাজেও এ ব্যাপারে স্থবিরতা লক্ষণীয়। সেজন্য ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহ.) বলেছিলেন, ‘যিনি সৎকাজে আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করেন না, তিনি দ্বিনের শায়খ হতে পারেন না, অপরের জন্য অনুসরণীয়ও হতে পারেন না।’

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল যেন থাকে, যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে; আর তারাই সফলকাম।’’(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৪)

জেনে রাখবেন, জিহাদের বিধান ব্যক্তি ও পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন রকম হতে পারে, কিন্তু সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ সাধ্যানুসারে সর্বাবস্থায় ওয়াজিব।

এ ব্যাপারে অবহেলা করলে গুনাহগার হতে হবে।

তবে, এই কাজটি অবশ্যই ব্যক্তি, সময় ও পরিবেশ বিবেচনা করে প্রজ্ঞার সাথে আঞ্জাম দিতে হবে।

বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী, শাইখুল ইসলাম, ইমাম আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন,

আল্লাহর দিকে আহবানকারী ও উপদেশ দানকারী ব্যক্তি হলো ডাক্তারের মতো—সে উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত পরিমাণ ও উপযুক্ত পদ্ধতিতে প্রচেষ্টা চালাবে।’ (ইবনু বায, আল মাজমু‘উ: ৬/৩৫০) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

Post a Comment

0 Comments