Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত মানুষ...

 

দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত মানুষ

 এ পৃথিবীর মনুষ্য-সংসারে চিরসুখ কারো হয় না। কোন না কোন বালা-মুসীবত, শোক- দুঃখ বা যন্ত্রণা-ক্লিষ্ মানুষকে ক্লিষ্ট করে।

অবশ্য তা আসে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকেই। আর তাআসে :-

১। পাপের সত্বর শাস্তিস্বরূপ।

২। মু'মিনের পাপ ক্ষয় করার জন্য।

৩। মু'মিনকে পরীক্ষা করার জন্য।

৪। মু'মিনের মর্যাদা বর্ধনের জন্য।

 কিন্তু সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত হয় কারা?

কাফের ও মুনাফিকরা? নাকি মুসলিম ও ঈমানদাররা?

সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত খারাপ লোকেরা হয় না। বরং যারা ভালো লোক, তারাই বিপদগ্রস্ত হয় বেশি। যারা যত ভালো, তারা তত বেশি বিপদগ্রস্ত হয়।

সা'দ বলেন, একদা আমি জিজ্ঞাসা করলাম, 'হে আল্লাহর রসূল! সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত কারা হয়?' উত্তরে তিনি বললেন, “সকল মানুষ অপেক্ষা নবীগণই অধিকতর কঠিন বিপদের সম্মুখীন হন।

অতঃপর তাঁদের চেয়ে নিম্নমানের ব্যক্তি এবং তারপর তাদের চেয়ে নিম্নমানের ব্যক্তিগণ অপেক্ষাকৃত হাল্কা বিপদে আক্রান্ত হন।

মানুষকে তার দ্বীনের (পূর্ণতার) পরিমাণ অনুযায়ী বিপদগ্রস্ত করা হয়; সুতরাং তার দ্বীনে যদি মজবুতি থাকে, তবে (যে পরিমাণ মজবুতি আছে) ঠিক সেই পরিমাণ তার বিপদও কঠিন হয়ে থাকে।

আর যদি তার দ্বীনে দুর্বলতা থাকে, তবে তার দ্বীন অনুযায়ী তার বিপদও (হাল্কা) হয়।

পরন্তু বিপদ এসে এসে বান্দার শেষে এই অবস্থা হয় যে, সে জমীনে চলা ফেরা করে অথচ তার কোন পাপ অবশিষ্ট থাকে না।”

                                       (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, সহীহুল জামে' ৯৯২ নং)

আল্লাহর রসূল আরো বলেছেন, “মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মু'মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়।

সুতরাং তার সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।” (মুসলিম)

 বিপদ মু'মিনকে শুধু কষ্টই দেয় না, বরং বিপদ তাকে শিক্ষা ও সমৃদ্ধি দান ক'রে যায়। দুঃখ কেবল তার চোখের পানি বইয়েই যায় না, বরং দুঃখ তার চোখ খুলেও দিয়ে যায়। শোক ও দুঃখ ভালো মানুষকে আরো ভালো ক'রে গড়ে তোলে।

সুতরাং যে ভালো মানুষ, তাকে বিপদে ধৈর্যধারণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

তবে ভালো মানুষ হতে কখনো বিপদ প্রার্থনা করবে না।

কখনো এ প্রার্থনা করবে না,

 ‘দুঃখ যদি দিয়ো প্ৰভু, শক্তি দিয়ো সহিবারে।

জীবন আমার ধন্য করো তোমার বাণী বহিবারে।”

কারণ, তাতে প্রত্যক্ষভাবে দুঃখ প্রার্থনা করা হয়। বরং প্রার্থনা ক’রে বলবে,

 "দুঃখ মোরে দিয়ো না প্রভু, শক্তি নাহি সহিবারে।

জীবন আমার ধন্য করো তোমার বাণী বহিবারে।

 যেমন এ প্রার্থনাও করা উচিত নয়,

'বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা

বিপদে আমি না যেন করি ভয়,

দুঃখ তাপে ব্যথিত চিতে নাইবা দিলে সান্ত্বনা

দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।

সহায় মোর না যদি জুটে, নিজের বল না যেন টুটে

সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা

নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।'

বরং প্রার্থনায় এই বলা উচিত,

সবার চেয়ে বেশি

'বিপদে মোরে নাহি ফেলো এ হল মোর প্রার্থনা

বিপদ দিয়ে দিয়ো না আমায় ভয়,

দুঃখ তাপে ব্যথিত চিতে চাই না আমি সান্ত্বনা দুঃখ যেন দেখিতে নাহি হয়।

সহায় মোর যেন গো জুটে, নিজের বল না যেন টুটে সংসারে না ঘটাও ক্ষতি না দাও মোরে বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।'

EDITOR BY RASIKUL ISLAM

Post a Comment

0 Comments