Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

ওয়াক্ফের ব্যাপারে হাদিস

 

                                        ওয়াক্ফের ব্যাপারে হাদিস 

পরিচ্ছেদঃ ৫৪/১৮. ওয়াক্ফের ব্যাপারে শর্তাবলী

সহীহ বুখারী, ২৭৩৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) খায়বারে কিছু জমি লাভ করেন। তিনি এ জমির ব্যাপারে পরামর্শের জন্য আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এলেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমি খায়বারে এমন উৎকৃষ্ট কিছু জমি লাভ করেছি যা ইতিপূর্বে আর কখনো পাইনি। আপনি আমাকে এ ব্যাপারে কী আদেশ দেন? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তুমি ইচ্ছা করলে জমির মূলসত্ত্ব ওয়াক্ফে রাখতে এবং উৎপন্ন বস্তু সাদাকা করতে পার।’ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ) এ শর্তে তা সাদাকা (ওয়াক্ফ) করেন যে, তা বিক্রি করা যাবে না, তা দান করা যাবে না এবং কেউ এর উত্তরাধিকারী হবে না।’ তিনি সাদাকা করে দেন এর উৎপন্ন বস্তু অভাবগ্রস্ত, আত্মীয়-স্বজন, দাসমুক্তি, আল্লাহর রাস্তায়, মুসাফির ও মেহমানদের জন্য। (রাবী আরও বললেন) যে এর মুতাওয়াল্লী হবে তার জন্য সম্পদ সঞ্চয় না করে ন্যায়সঙ্গতভাবে খাওয়া ও খাওয়ানোতে কোন দোষ নেই। অতঃপর আমি ইবনু সীরীন (রহ.)-এর নিকট হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বলেন, অর্থাৎ মাল জমা না করে। 

(২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪৮)

بَابُ الشُّرُوطِ فِي الْوَقْفِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ أَنْبَأَنِيْ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَصَابَ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْمِرُهُ فِيْهَا فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ أَصَبْتُ أَرْضًا بِخَيْبَرَ لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ عِنْدِيْ مِنْهُ فَمَا تَأْمُرُ بِهِ قَالَ إِنْ شِئْتَ حَبَسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا قَالَ فَتَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ وَلَا يُوْهَبُ وَلَا يُوْرَثُ وَتَصَدَّقَ بِهَا فِي الْفُقَرَاءِ وَفِي الْقُرْبَى وَفِي الرِّقَابِ وَفِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَابْنِ السَّبِيْلِ وَالضَّيْفِ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ وَيُطْعِمَ غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ قَالَ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ سِيْرِيْنَ فَقَالَ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالًا

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا محمد بن عبد الله الانصاري حدثنا ابن عون قال انباني نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما ان عمر بن الخطاب اصاب ارضا بخيبر فاتى النبي صلى الله عليه وسلم يستامره فيها فقال يا رسول الله اني اصبت ارضا بخيبر لم اصب مالا قط انفس عندي منه فما تامر به قال ان شىت حبست اصلها وتصدقت بها قال فتصدق بها عمر انه لا يباع ولا يوهب ولا يورث وتصدق بها في الفقراء وفي القربى وفي الرقاب وفي سبيل الله وابن السبيل والضيف لا جناح على من وليها ان ياكل منها بالمعروف ويطعم غير متمول قال فحدثت به ابن سيرين فقال غير متاثل مالا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৪০/১২. ওয়াক্ফকৃত সম্পদে প্রতিনিধি নিয়োগ ও তার খরচপত্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবকে আহার করানো, আর নিজেও শরী‘আত সম্মতভাবে আহার করা প্রসঙ্গে।

সহীহ বুখারী,২৩১৩. ‘আমর (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর সাদাকা সম্পর্কিত লিপিতে ছিল যে, মুতাওয়াল্লী নিজে ভোগ করলে এবং তার বন্ধু-বান্ধবকে আপ্যায়ন করালে কোন গুনাহ নেই; যদি মাল সঞ্চয় করার উদ্দেশ্য না থাকে।। ইবনু ‘উমার (রাঃ), ‘উমার (রাঃ)-এর সাদাকার মুতাওয়াল্লী ছিলেন। তিনি যখন মক্কাবাসী লোকদের নিকট অবতরণ করতেন, তখন তাদেরকে সেখান হতে উপঢৌকন পাঠিয়ে দিতেন। (২৭৩৭, ২৭৬৪, ২৭৭২, ২৭৭৩, ২৭৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৬৩)

بَاب الْوَكَالَةِ فِي الْوَقْفِ وَنَفَقَتِهِ وَأَنْ يُطْعِمَ صَدِيقًا لَهُ وَيَأْكُلَ بِالْمَعْرُوفِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو قَالَ فِي صَدَقَةِ عُمَرَ لَيْسَ عَلَى الْوَلِيِّ جُنَاحٌ أَنْ يَأْكُلَ وَيُؤْكِلَ صَدِيقًا لَهُ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ هُوَ يَلِي صَدَقَةَ عُمَرَ يُهْدِي لِنَاسٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ كَانَ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا سفيان عن عمرو قال في صدقة عمر ليس على الولي جناح ان ياكل ويوكل صديقا له غير متاثل مالا فكان ابن عمر هو يلي صدقة عمر يهدي لناس من اهل مكة كان ينزل عليهم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু দ্বীনার (রহঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১২. ওয়াক্ফকারী তার ওয়াকফ দ্বারা উপকার গ্রহণ করতে পারে কি?

وَقَدْ اشْتَرَطَ عُمَرُ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا وَقَدْ يَلِي الْوَاقِفُ وَغَيْرُهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ جَعَلَ بَدَنَةً أَوْ شَيْئًا ِللهِ فَلَهُ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا كَمَا يَنْتَفِعُ غَيْرُهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْ

’উমার (রাঃ) শর্তারোপ করেছিলেন, যে ব্যক্তি ওয়াক্ফের মুতাওয়াল্লী হবে, তার জন্য তা থেকে কিছু খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ওয়াক্ফকারী নিজেও মুতাওয়াল্লী হতে পারে, আর অন্য কেউও হতে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি উট বা অন্য কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার জন্যও তা থেকে নিজে উপকৃত হওয়া বৈধ, যেমন অন্যদের জন্য তা থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ, শর্তারোপ না করলেও।

সহীহ বুখারী,২৭৫৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা দেখতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ব্যক্তিটিকে বললেন, এর উপর সওয়ার হও। সে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! এটি তো কুরবানীর উট। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তৃতীয়বার বা চতুর্থবার তাকে বললেন, তার উপর সওয়ার হয়ে যাও, দুর্ভোগ তোমার জন্য কিংবা বললেন, তোমার জন্য আফসোস। (১৬৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৪)

بَابُ هَلْ يَنْتَفِعُ الْوَاقِفُ بِوَقْفِه

.حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ لَهُ ارْكَبْهَا فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ أَوْ وَيْحَكَ

.حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا ابو عوانة عن قتادة عن انس ان النبي صلى الله عليه وسلم راى رجلا يسوق بدنة فقال له اركبها فقال يا رسول الله انها بدنة قال في الثالثة او في الرابعة اركبها ويلك او ويحك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১২. ওয়াক্ফকারী তার ওয়াকফ দ্বারা উপকার গ্রহণ করতে পারে কি?

সহীহ বুখারী,২৭৫৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন যে, সে একটি কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, এর উপর সওয়ার হও। লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটি তো কুরবানীর উট।’ তিনি দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার বললেন, এর উপর সওয়ার হও, দুর্ভোগ তোমার জন্য। (১৬৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৫)

بَابُ هَلْ يَنْتَفِعُ الْوَاقِفُ بِوَقْفِه

.حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ارْكَبْهَا قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ

.حدثنا اسماعيل حدثنا مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم راى رجلا يسوق بدنة فقال اركبها قال يا رسول الله انها بدنة قال اركبها ويلك في الثانية او في الثالثة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১৫. কেউ যদি বলে ‘আমার এই জমিটি কিংবা বাগানটি আমার মায়ের পক্ষ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে সদাকাহ তবে তা জায়িয, যদিও তা কার জন্য তার বর্ণনা না দেয়।

55/13. بَابُ إِذَا وَقَفَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَى غَيْرِهِ فَهُوَ جَائِزٌ

৫৫/১৩.  কোন কিছু ওয়াক্ফ করতঃ অন্যের কাছে হস্তান্তর না করলেও তা জায়িয।

لِأَنَّ عُمَرَ أَوْقَفَ وَقَالَ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ وَلَمْ يَخُصَّ إِنْ وَلِيَهُ عُمَرُ أَوْ غَيْرُهُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ طَلْحَةَ أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِيْنَ فَقَالَ أَفْعَلُ فَقَسَمَهَا فِيْ أَقَارِبِهِ وَبَنِيْ عَمِّهِ

কেননা, ’উমার (রাঃ) এই রকম ওয়াক্ফ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, মুতাওয়াল্লীর জন্য তা থেকে কিছু খেতে দোষ নেই। তিনি নিজে মুতাওয়াল্লী হবেন, না অন্য কেউ তা তিনি নির্দিষ্ট করেননি। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ত্বলহা (রাঃ)-কে বলেন, আমার অভিমত এই যে, তুমি তা (বাগানটি) তোমার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে দাও। আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলেন, আমি তা-ই করব। অতঃপর তিনি তাঁর নিকটাত্মীয় ও চাচাত ভাইদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিলেন।

55/14. بَابُ إِذَا قَالَ دَارِيْ صَدَقَةٌ لِلهِ وَلَمْ يُبَيِّنْ لِلْفُقَرَاءِ أَوْ غَيْرِهِمْ فَهُوَ جَائِزٌ وَيَضَعُهَا فِي الأَقْرَبِيْنَ أَوْ حَيْثُ أَرَادَ

৫৫/১৪. যদি কেউ বলে যে, আমার বাড়ীটি আল্লাহর ওয়াস্তে সাদাকা এবং ফকীর বা অন্য কারো কথা উল্লেখ না করে তবে তা জায়িয। সে তা আত্মীয়দের মধ্যে কিংবা যাদের ইচ্ছা দান করতে পারে।

قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ طَلْحَةَ حِيْنَ قَالَ أَحَبُّ أَمْوَالِيْ إِلَيَّ بَيْرُحَاءَ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلهِ فَأَجَازَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَا يَجُوْزُ حَتَّى يُبَيِّنَ لِمَنْ وَالأَوَّلُ أَصَحُّ

আবূ ত্বলহা (রাঃ) যখন বললেন যে, আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ হল বায়রূহা বাগানটি এবং আমি তা আল্লাহর উদ্দেশে সাদাকা করলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা জায়িয রেখেছেন। কোন কোন ফকীহ বলেছেন, যতক্ষণ না কারো জন্য তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জায়িয হবে না। কিন্তু প্রথম অভিমতটি অধিকতর সহীহ।

সহীহ বুখারী,২৭৫৬. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ)-এর মা মারা গেলেন এবং তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা আমার অনুপস্থিতিতে মারা যান। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে কিছু সাদাকা করি, তাহলে কি তাঁর কোন উপকারে আসবে?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ।’ সা’দ (রাঃ) বললেন, ’তাহলে আমি আপনাকে সাক্ষী করছি আমার মিখরাফ্ নামক বাগানটি তাঁর জন্য সাদাকা করলাম।’ (২৭৬২-২৭৭০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৬)

بَابُ إِذَا قَالَ أَرْضِيْ أَوْ بُسْتَانِيْ صَدَقَةٌ ِللهِ عَنْ أُمِّيْ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ لَمْ يُبَيِّنْ لِمَنْ ذَلِك

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيْدَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ يَعْلَى أَنَّهُ سَمِعَ عِكْرِمَةَ يَقُوْلُ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ وَهُوَ غَائِبٌ عَنْهَا فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أُمِّيْ تُوُفِّيَتْ وَأَنَا غَائِبٌ عَنْهَا أَيَنْفَعُهَا شَيْءٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنِّيْ أُشْهِدُكَ أَنَّ حَائِطِيَ الْمِخْرَافَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا

حدثنا محمد بن سلام اخبرنا مخلد بن يزيد اخبرنا ابن جريج قال اخبرني يعلى انه سمع عكرمة يقول انبانا ابن عباس رضي الله عنهما ان سعد بن عبادة توفيت امه وهو غاىب عنها فقال يا رسول الله ان امي توفيت وانا غاىب عنها اينفعها شيء ان تصدقت به عنها قال نعم قال فاني اشهدك ان حاىطي المخراف صدقة عليها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১৬. কোন ব্যক্তি তার সম্পদের কিছু অংশ কিংবা তার গোলামদের কতকগুলি অথবা কিছু জন্তু-জানোয়ার সদাকাহ বা ওয়াকফ করলে তা জায়িয।

সহীহ বুখারী,২৭৫৭. কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার তাওবা হিসেবে আমি আমার যাবতীয় মাল আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলের উদ্দেশে সাদাকা করে মুক্ত হতে চাই। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দাও, তা তোমার জন্য উত্তম। আমি বললাম, ‘তাহলে আমি আমার খায়বারের অংশটি নিজের জন্য রেখে দিলাম।’ (২৯৪৭, ২৯৪৮, ২৯৪৯, ২৯৫০, ৩০৮৮, ৩৫৫৬, ৩৮৮৯, ৩৯৫১, ৪৪১৮, ৪৬৭৩, ৪৬৭৬, ৪৬৭৭, ৪৬৭৮, ৬২৫৫, ৬৬৯০,৭২২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৭)

بَابُ إِذَا تَصَدَّقَ أَوْ أَوْقَفَ بَعْضَ مَالِهِ أَوْ بَعْضَ رَقِيْقِهِ أَوْ دَوَابِّهِ فَهُوَ جَائِز

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِيْ أَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِيْ صَدَقَةً إِلَى اللهِ وَإِلَى رَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ قُلْتُ فَإِنِّيْ أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِيْ بِخَيْبَرَ

حدثنا يحيى بن بكير حدثنا الليث عن عقيل عن ابن شهاب قال اخبرني عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب ان عبد الله بن كعب قال سمعت كعب بن مالك قلت يا رسول الله ان من توبتي ان انخلع من مالي صدقة الى الله والى رسوله صلى الله عليه وسلم قال امسك عليك بعض مالك فهو خير لك قلت فاني امسك سهمي الذي بخيبر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২২. আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ আর তোমরা ইয়াতিমদের পরীক্ষা করে নিবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে ভাল-মন্দ বিচারের জ্ঞান দেখতে পাও, তবে তাদের মাল তাদের হাতে ফিরিয়ে দিবে। ইয়াতিমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ কর না এবং তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেল না। যে স্বচ্ছল সে যেন ইয়াতিমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকে এবং যে অভাবগ্রস্ত সে যেন সঙ্গত পরিমাণে ভোগ করে। যখন তোমরা তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যর্পন করবে, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্যই হিসাব গ্রহণে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। পুরুষদের জন্য অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়রা রেখে যায়; এবং নারীদের জন্যও অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়, হোক তা অল্প কিংবা বেশী। তা অকাট্য নির্ধারিত অংশ। (আন নিসাঃ ৬-৭)

সহীহ বুখারী,২৭৬৪. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সময়ে ‘উমার (রাঃ) নিজের কিছু সম্পত্তি সাদাকা করেছিলেন, তা ছিল, ছামাগ নামে একটি খেজুর বাগান। ‘উমার (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি সম্পদ পেয়েছি, যা আমার নিকট খুবই পছন্দনীয়। আমি সেটি সাদাকা করতে চাই।’ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘মূল সম্পদটি এ শর্তে সাদাকা কর যে তা বিক্রি করা যাবে না, দান করা যাবে না এবং কেউ ওয়ারিস হবে না, বরং তার ফল দান করা হবে। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) সেটি এভাবেই সাদাকা করলেন। তার এ সাদাকা ব্যয় হবে আল্লাহর রাস্তায়, দাস মুক্তির ব্যাপারে, মিসকীন, মেহমান, মুসাফির ও আত্মীয়দের জন্য। এর যে মুতাওয়াল্লী হবে তার জন্য তা থেকে সঙ্গত পরিমাণ আহার করলে কিংবা বন্ধু-বান্ধবকে খাওয়ালে কোন দোষ নেই। তবে তা সঞ্চয় করা যাবে না। (২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭৩)

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَابْتَلُوا الْيَتَامَى حَتَّى إِذَا بَلَغُوا النِّكَاحَ فَإِنْ آنَسْتُمْ مِنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوا إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَلاَ تَأْكُلُوهَا إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَنْ يَكْبَرُوا وَمَنْ كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَنْ كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَأَشْهِدُوا عَلَيْهِمْ وَكَفَى بِاللَّهِ حَسِيبًا لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ نَصِيبًا مَفْرُوضًا}

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ الأَشْعَثِ حَدَّثَنَا أَبُوْ سَعِيْدٍ مَوْلَى بَنِيْ هَاشِمٍ حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُمَرَ تَصَدَّقَ بِمَالٍ لَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يُقَالُ لَهُ ثَمْغٌ وَكَانَ نَخْلًا فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ اسْتَفَدْتُ مَالًا وَهُوَ عِنْدِيْ نَفِيْسٌ فَأَرَدْتُ أَنْ أَتَصَدَّقَ بِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ لَا يُبَاعُ وَلَا يُوْهَبُ وَلَا يُوْرَثُ وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ فَتَصَدَّقَ بِهِ عُمَرُ فَصَدَقَتُهُ تِلْكَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَفِي الرِّقَابِ وَالْمَسَاكِيْنِ وَالضَّيْفِ وَابْنِ السَّبِيْلِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَلَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهُ بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يُوكِلَ صَدِيْقَهُ غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ بِهِ

حدثنا هارون بن الاشعث حدثنا ابو سعيد مولى بني هاشم حدثنا صخر بن جويرية عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما ان عمر تصدق بمال له على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان يقال له ثمغ وكان نخلا فقال عمر يا رسول الله اني استفدت مالا وهو عندي نفيس فاردت ان اتصدق به فقال النبي صلى الله عليه وسلم تصدق باصله لا يباع ولا يوهب ولا يورث ولكن ينفق ثمره فتصدق به عمر فصدقته تلك في سبيل الله وفي الرقاب والمساكين والضيف وابن السبيل ولذي القربى ولا جناح على من وليه ان ياكل منه بالمعروف او يوكل صديقه غير متمول به
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৮. ওয়াকফ কিভাবে লিখিত হবে?

সহীহ বুখারী,২৭৭২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) খায়বারের কিছু জমি লাভ করেন। তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, আমি এমন ভাল একটি জমি পেয়েছি, যা ইতোপূর্বে কখনো পাইনি। আপনি এ সম্পর্কে আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি বলেন, তুমি ইচ্ছা করলে আসল জমিটি ওয়াক্ফ করে তার উৎপন্ন সাদাকা করতে পার। ‘উমার (রাঃ) এটি গরীব, আত্মীয়-স্বজন, গোলাম আযাদ, আল্লাহর পথে, মেহমান ও মুসাফিরদের জন্য এ শর্তে সাদাকা করলেন যে, আসল জমি বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না, কেউ এর ওয়ারিস হবে না। তবে যে এর মুতাওয়াল্লী হবে তার জন্য তা থেকে সঙ্গত পরিমাণ খেতে বা বন্ধু-বান্ধবকে খাওয়ানোতে কোন দোষ নেই। তবে এ থেকে সঞ্চয় করা যাবে না। (২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮০)

بَابُ الْوَقْفِ كَيْفَ يُكْتَبُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَصَابَ عُمَرُ بِخَيْبَرَ أَرْضًا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِيْ بِهِ قَالَ إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا فَتَصَدَّقَ عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ أَصْلُهَا وَلَا يُوْهَبُ وَلَا يُوْرَثُ فِي الْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ وَفِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَالضَّيْفِ وَابْنِ السَّبِيْلِ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يُطْعِمَ صَدِيْقًا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ فِيْهِ

حدثنا مسدد حدثنا يزيد بن زريع حدثنا ابن عون عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما قال اصاب عمر بخيبر ارضا فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اصبت ارضا لم اصب مالا قط انفس منه فكيف تامرني به قال ان شىت حبست اصلها وتصدقت بها فتصدق عمر انه لا يباع اصلها ولا يوهب ولا يورث في الفقراء والقربى والرقاب وفي سبيل الله والضيف وابن السبيل لا جناح على من وليها ان ياكل منها بالمعروف او يطعم صديقا غير متمول فيه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৬. যখন কেউ কোন জমি ওয়াক্ফ করে এবং তার সীমা বর্ণনা না করে তা বৈধ। সদাকাহ্ও তদ্রূপ।

সহীহ বুখারী,২৭৬৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মদিনা্য় আনসারদের মধ্যে আবূ ত্বলহার খেজুর বাগান-সম্পদ সবচেয়ে অধিক ছিল। আর সকল সম্পদের মধ্যে তাঁর নিকট সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ ছিল মসজিদের সামনে অবস্থিত বায়রুহা বাগানটি। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সে বাগানে যেতেন এবং এর সুস্বাদু পানি পান করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন নাযিল হলঃ ‘‘তোমরা যা ভালবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা নেকী হাসিল করতে পারবে না।’’ আবূ ত্বলহা (রাঃ) দাঁড়িয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ্ বলেছেনঃ ‘‘তোমরা যা ভালবাস, তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো নেকী হাসিল করতে পারবে না।’’ আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ হলো বায়রুহা। সেটি আল্লাহর নামে সাদাকা। আমি আল্লাহর নিকট এর সওয়াব ও কিয়ামতের সঞ্চয়ের আশা করি। আল্লাহর মর্জি অনুযায়ী আপনি তা ব্যয় করুন।’ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘ভাল কথা! এটি লাভজনক সম্পদ অথবা (বললেন), অস্থায়ী সম্পদ।’ ইবনু মাসলামা সন্দেহ পোষণ করেন। [রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন] তুমি যা বলেছ, আমি তা শুনেছি। আমার মতে তুমি তা তোমার আত্মীয়দের মধ্যে বণ্টন করে দাও। আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি তা-ই করব।’ অতঃপর তিনি তা তার আত্মীয় ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। ইসমাঈল, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ইউসুফ, ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রাঃ) মালিক (রাঃ)-এর (সন্দেহ ব্যতীতই) رَايَحِ (অস্থায়ী) বর্ণনা করেছেন। (১৪৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭৭)

بَابُ إِذَا وَقَفَ أَرْضًا وَلَمْ يُبَيِّنْ الْحُدُوْدَ فَهُوَ جَائِزٌ وَكَذَلِكَ الصَّدَقَة

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ أَنْصَارِيٍّ بِالْمَدِينَةِ مَالاً مِنْ نَخْلٍ، وَكَانَ أَحَبُّ مَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرَحَاءَ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدِ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّبٍ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا نَزَلَتْ ‏(‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏)‏ قَامَ أَبُو طَلْحَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏(‏لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ‏)‏ وَإِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِي إِلَىَّ بِيرُحَاءَ، وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللَّهِ، فَضَعْهَا حَيْثُ أَرَاكَ اللَّهُ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ بَخْ، ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ ـ أَوْ رَايِحٌ ـ شَكَّ ابْنُ مَسْلَمَةَ وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ، وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِينَ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَفِي بَنِي عَمِّهِ‏.‏ وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى عَنْ مَالِكٍ ‏"‏ رَايِحٌ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن مسلمة، عن مالك، عن اسحاق بن عبد الله بن ابي طلحة، انه سمع انس بن مالك ـ رضى الله عنه ـ يقول كان ابو طلحة اكثر انصاري بالمدينة مالا من نخل، وكان احب ماله اليه بيرحاء مستقبلة المسجد، وكان النبي صلى الله عليه وسلم يدخلها ويشرب من ماء فيها طيب‏.‏ قال انس فلما نزلت ‏(‏لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون‏)‏ قام ابو طلحة فقال يا رسول الله ان الله يقول ‏(‏لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون‏)‏ وان احب اموالي الى بيرحاء، وانها صدقة لله ارجو برها وذخرها عند الله، فضعها حيث اراك الله‏.‏ فقال ‏"‏ بخ، ذلك مال رابح ـ او رايح ـ شك ابن مسلمة وقد سمعت ما قلت، واني ارى ان تجعلها في الاقربين ‏"‏‏.‏ قال ابو طلحة افعل ذلك يا رسول الله‏.‏ فقسمها ابو طلحة في اقاربه وفي بني عمه‏.‏ وقال اسماعيل وعبد الله بن يوسف ويحيى بن يحيى عن مالك ‏"‏ رايح ‏"‏‏.‏
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

 

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৬. যখন কেউ কোন জমি ওয়াক্ফ করে এবং তার সীমা বর্ণনা না করে তা বৈধ। সদাকাহ্ও তদ্রূপ।

সহীহ বুখারী,২৭৭০. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক সাহাবী আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বললেন যে, তার মা মারা গেছেন। তার পক্ষ থেকে যদি আমি সাদাকা করি তাহলে তা কি তার উপকারে আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সাহাবী বললেন, আমার একটি বাগান আছে, আপনাকে সাক্ষী রেখে আমি তার পক্ষ থেকে সাদাকা করলাম। (২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭৮)

بَابُ إِذَا وَقَفَ أَرْضًا وَلَمْ يُبَيِّنْ الْحُدُوْدَ فَهُوَ جَائِزٌ وَكَذَلِكَ الصَّدَقَة

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيْمِ أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ دِيْنَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أُمَّهُ تُوُفِّيَتْ أَيَنْفَعُهَا إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ لِيْ مِخْرَافًا وَأُشْهِدُكَ أَنِّيْ قَدْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا

حدثنا محمد بن عبد الرحيم اخبرنا روح بن عبادة حدثنا زكرياء بن اسحاق قال حدثني عمرو بن دينار عن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنهما ان رجلا قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم ان امه توفيت اينفعها ان تصدقت عنها قال نعم قال فان لي مخرافا واشهدك اني قد تصدقت به عنها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৭. কোন দল যদি তাদের শরীকী জমি ওয়াক্ফ করে তা জায়িয।

সহীহ বুখারী,২৭৭১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাসজিদ তৈরির নির্দেশ দিলেন। অতঃপর বললেন, হে বানূ নাজ্জার! তোমরা এই বাগানটির মূল্য নির্ধারণ করে আমার নিকট বিক্রি কর। তারা বলল, না। আল্লাহর কসম! আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে এর মূল্য চাই না। (২৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭৯)

بَابُ إِذَا أَوْقَفَ جَمَاعَةٌ أَرْضًا مُشَاعًا فَهُوَ جَائِز

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِيْ بِحَائِطِكُمْ هَذَا قَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ

حدثنا مسدد حدثنا عبد الوارث عن ابي التياح عن انس قال امر النبي صلى الله عليه وسلم ببناء المسجد فقال يا بني النجار ثامنوني بحاىطكم هذا قالوا لا والله لا نطلب ثمنه الا الى الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৮. ওয়াকফ কিভাবে লিখিত হবে?

সহীহ বুখারী, ২৭৭২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) খায়বারের কিছু জমি লাভ করেন। তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, আমি এমন ভাল একটি জমি পেয়েছি, যা ইতোপূর্বে কখনো পাইনি। আপনি এ সম্পর্কে আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি বলেন, তুমি ইচ্ছা করলে আসল জমিটি ওয়াক্ফ করে তার উৎপন্ন সাদাকা করতে পার। ‘উমার (রাঃ) এটি গরীব, আত্মীয়-স্বজন, গোলাম আযাদ, আল্লাহর পথে, মেহমান ও মুসাফিরদের জন্য এ শর্তে সাদাকা করলেন যে, আসল জমি বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না, কেউ এর ওয়ারিস হবে না। তবে যে এর মুতাওয়াল্লী হবে তার জন্য তা থেকে সঙ্গত পরিমাণ খেতে বা বন্ধু-বান্ধবকে খাওয়ানোতে কোন দোষ নেই। তবে এ থেকে সঞ্চয় করা যাবে না। (২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮০)

بَابُ الْوَقْفِ كَيْفَ يُكْتَبُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَصَابَ عُمَرُ بِخَيْبَرَ أَرْضًا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِيْ بِهِ قَالَ إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا فَتَصَدَّقَ عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ أَصْلُهَا وَلَا يُوْهَبُ وَلَا يُوْرَثُ فِي الْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ وَفِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَالضَّيْفِ وَابْنِ السَّبِيْلِ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ أَوْ يُطْعِمَ صَدِيْقًا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ فِيْهِ

حدثنا مسدد حدثنا يزيد بن زريع حدثنا ابن عون عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما قال اصاب عمر بخيبر ارضا فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اصبت ارضا لم اصب مالا قط انفس منه فكيف تامرني به قال ان شىت حبست اصلها وتصدقت بها فتصدق عمر انه لا يباع اصلها ولا يوهب ولا يورث في الفقراء والقربى والرقاب وفي سبيل الله والضيف وابن السبيل لا جناح على من وليها ان ياكل منها بالمعروف او يطعم صديقا غير متمول فيه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

 পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২৯. গরীব, ধনী এবং মেহমানের জন্য ওয়াক্ফ করা।

সহীহ বুখারী, ২৭৭৩. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার (রাঃ) খায়বারে কিছু সম্পদ লাভ করেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি বললেন, তুমি ইচ্ছা করলে সেটি সাদাকা করতে পার। অতঃপর তিনি সেটি অভাবগ্রস্ত, মিসকীন, আত্মীয়-স্বজন ও মেহমানদের মধ্যে সাদাকা করে দিলেন। (২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮১)

بَابُ الْوَقْفِ لِلْغَنِيِّ وَالْفَقِيْرِ وَالضَّيْفِ

حَدَّثَنَا أَبُوْ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ وَجَدَ مَالًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ قَالَ إِنْ شِئْتَ تَصَدَّقْتَ بِهَا فَتَصَدَّقَ بِهَا فِي الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنِ وَذِي الْقُرْبَى وَالضَّيْفِ

حدثنا ابو عاصم حدثنا ابن عون عن نافع عن ابن عمر ان عمر وجد مالا بخيبر فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فاخبره قال ان شىت تصدقت بها فتصدق بها في الفقراء والمساكين وذي القربى والضيف
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

 পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩০. মসজিদের জন্য জমি ওয়াকফ করা।

সহীহ বুখারী,২৭৭৪. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মদিনা্য় এলেন তখন মাসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিলেন এবং তিনি বললেন, ‘হে বানূ নাজ্জার! মূল্য নির্ধারিত করে তোমাদের এ বাগানটি আমার নিকট বিক্রি করে দাও।’ তারা বলল, না, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে আমরা এর মূল্য চাই না।’ (২৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮২)

بَابُ وَقْفِ الأَرْضِ لِلْمَسْجِد

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ لَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ وَقَالَ يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِيْ بِحَائِطِكُمْ هَذَا قَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ

حدثنا اسحاق حدثنا عبد الصمد قال سمعت ابي حدثنا ابو التياح قال حدثني انس بن مالك لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة امر ببناء المسجد وقال يا بني النجار ثامنوني بحاىطكم هذا قالوا لا والله لا نطلب ثمنه الا الى الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩১. পশু, অশ্ব, আসবাবপত্র ও স্বর্ণ-রৌপ্য ওয়াক্ফ করা।

وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيْمَنْ جَعَلَ أَلْفَ دِيْنَارٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَدَفَعَهَا إِلَى غُلَامٍ لَهُ تَاجِرٍ يَتْجِرُ بِهَا وَجَعَلَ رِبْحَهُ صَدَقَةً لِلْمَسَاكِيْنِ وَالأَقْرَبِيْنَ هَلْ لِلرَّجُلِ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ رِبْحِ ذَلِكَ الأَلْفِ شَيْئًا وَإِنْ لَمْ يَكُنْ جَعَلَ رِبْحَهَا صَدَقَةً فِي الْمَسَاكِيْنِ قَالَ لَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا

যুহরী (রহ.) এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, যে আল্লাহর পথে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দান করল এবং তার এক ব্যবসায়ী গোলামকে তা দিল, সে যেন তা দিয়ে ব্যবসা করে আর লভ্যাংশটি মিসকীন ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সাদাকা করে দিল। লোকটি সেই এক হাজার মুদ্রার লভ্যাংশ থেকে খেতে পারবে কি? যদিও সে এর লভ্যাংশ মিসকীনদের জন্য সাদাকা করেনি। যুহরী (রহ.) বলেন, তা থেকে সে নিজে খেতে পারবে না

সহীহ বুখারী,২৭৭৫. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’উমার (রাঃ) এক ব্যক্তিকে তার একটি ঘোড়া আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দেন, যেটি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে আরোহণ করার জন্য দিয়েছিলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে তা আরোহণ করার জন্য দিলেন। ’উমার (রাঃ)-কে জানান হলো যে, ঘোড়াটি সে ব্যক্তি বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে। তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে সেটি ক্রয় করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, ’তুমি তা ক্রয় করবে না এবং যা সাদাকা করে দিয়েছ তা আর ফিরিয়ে নিও না।’ (১৪৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮৩)

بَابُ وَقْفِ الدَّوَابِّ وَالْكُرَاعِ وَالْعُرُوضِ وَالصَّامِتِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُمَرَ حَمَلَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ أَعْطَاهَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِيَحْمِلَ عَلَيْهَا رَجُلًا فَأُخْبِرَ عُمَرُ أَنَّهُ قَدْ وَقَفَهَا يَبِيْعُهَا فَسَأَلَ رَسُوْلَ اللهِ أَنْ يَبْتَاعَهَا فَقَالَ لَا تَبْتَعْهَا وَلَا تَرْجِعَنَّ فِيْ صَدَقَتِكَ

حدثنا مسدد حدثنا يحيى حدثنا عبيد الله قال حدثني نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما ان عمر حمل على فرس له في سبيل الله اعطاها رسول الله صلى الله عليه وسلم ليحمل عليها رجلا فاخبر عمر انه قد وقفها يبيعها فسال رسول الله ان يبتاعها فقال لا تبتعها ولا ترجعن في صدقتك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

 পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩২. ওয়াক্ফের তদারককারীর ব্যয় নির্বাহ।

সহীহ বুখারী,২৭৭৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘আমার উত্তরাধিকারীরা কোন স্বর্ণ মুদ্রা এবং রৌপ্য মুদ্রা ভাগাভাগি করবে না, বরং আমি যা কিছু রেখে গেলাম তা থেকে আমার স্ত্রীদের খরচ এবং কর্মচারীদের পারিশ্রমিক দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তা সাদাকা।’ 

(৬৭২৯) (মুসলিম ৩২/১৬ হাঃ ১৭৬০, আহমাদ ৮৯০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮৪)

সহীহ বুখারী,২৭৭৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘উমার (রাঃ) তাঁর ওয়াক্ফে এই শর্তারোপ করেন যে, মুতাওয়াল্লী তা থেকে নিজে খেতে পারবে এবং বন্ধু-বান্ধবকেও খাওয়াতে পারবে, তবে সম্পদ জমা করতে পারবে না। (২৩১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮৫)

بَابُ نَفَقَةِ الْقَيِّمِ لِلْوَقْفِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ عُمَرَ اشْتَرَطَ فِيْ وَقْفِهِ أَنْ يَأْكُلَ مَنْ وَلِيَهُ وَيُؤْكِلَ صَدِيْقَهُ غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ مَالًا

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا حماد عن ايوب عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما ان عمر اشترط في وقفه ان ياكل من وليه ويوكل صديقه غير متمول مالا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩৩. যখন কেউ জমি বা কূপ ওয়াকফ করে এবং অপরাপর মুসলিমদের মত সে নিজেও পানি নেয়ার শর্ত আরোপ করে।

وَأَوْقَفَ أَنَسٌ دَارًا فَكَانَ إِذَا قَدِمَهَا نَزَلَهَا وَتَصَدَّقَ الزُّبَيْرُ بِدُوْرِهِ وَقَالَ لِلْمَرْدُوْدَةِ مِنْ بَنَاتِهِ أَنْ تَسْكُنَ غَيْرَ مُضِرَّةٍ وَلَا مُضَرٍّ بِهَا فَإِنْ اسْتَغْنَتْ بِزَوْجٍ فَلَيْسَ لَهَا حَقٌّ وَجَعَلَ ابْنُ عُمَرَ نَصِيْبَهُ مِنْ دَارِ عُمَرَ سُكْنَى لِذَوِي الْحَاجَةِ مِنْ آلِ عَبْدِ اللهِ

আনাস (রাঃ) একটি ঘর ওয়াকফ করেন। যখন তিনি সেখানে আসতেন, তখন তাতে অবস্থান করতেন। যুবায়র (রাঃ) তার ঘর সাদাকা করে তার কন্যাদের মধ্যে যারা তালাক প্রাপ্তা তাদের সম্পর্কে বলেছিলেন যে, কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না করে তারা এখানে বসবাস করতে পারবে; এবং তাদেরও যেন কোন কষ্ট দেয়া না হয়। তবে তারা যদি স্বামী গ্রহণ করে অভাবমুক্ত হয়ে যায় তাহলে সেখানে তাদের হক থাকবে না। ইবনু ’উমার (রাঃ) তার পিতা ’উমার (রাঃ)-এর ওয়ারিস হিসেবে যে ঘরটি পেয়েছিলেন সেটি তার অভাবগ্রস্ত বংশধরদের বসবাসের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন।

সহীহ বুখারী, ২৭৭৮. ’আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ’উসমান (রাঃ) অবরুদ্ধ হলে তিনি উপর থেকে সাহাবীদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বললেন, আমি আপনাদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আর আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীদেরকেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আপনারা কি জানেন না যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, যে ব্যক্তি রূমার কুপটি খনন করে দিবে সে জান্নাতী এবং আমি তা খনন করে দিয়েছি। আপনারা কি জানেন না যে, তিনি বলেছিলেন, যে ব্যক্তি তাবূকের যুদ্ধে সেনাদের সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেবে, সে জান্নাতী এবং আমি তা ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, সাহাবীগণ তাঁর কথা সত্য বলে স্বীকার করলেন। ’উমার (রাঃ) তাঁর কথা সম্পর্কে বলেছিলেন, মুতওয়াল্লীর জন্য তা থেকে আহার করতে কোন দোষ নেই। ওয়াক্ফকারী কখনো নিজে মুতওয়াল্লী হয় আবার কখনো অপর ব্যক্তি হয়। এ ব্যাপারে সকলের জন্য প্রশস্ততা রয়েছে (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুঃ ৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ পরিচ্ছেদ ১৭৩৮ শেষাংশ)

بَابُ إِذَا وَقَفَ أَرْضًا أَوْ بِئْرًا وَاشْتَرَطَ لِنَفْسِهِ مِثْلَ دِلَاءِ الْمُسْلِمِيْن

وَقَالَ عَبْدَانُ أَخْبَرَنِيْ أَبِيْ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُثْمَانَ حِيْنَ حُوصِرَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ أَنْشُدُكُمْ اللهَ وَلَا أَنْشُدُ إِلَّا أَصْحَابَ النَّبِيِّ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُوْنَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ حَفَرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ فَحَفَرْتُهَا أَلَسْتُمْ تَعْلَمُوْنَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ فَجَهَّزْتُهُمْ قَالَ فَصَدَّقُوْهُ بِمَا قَالَ وَقَالَ عُمَرُ فِيْ وَقْفِهِ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ وَقَدْ يَلِيْهِ الْوَاقِفُ وَغَيْرُهُ فَهُوَ وَاسِعٌ لِكُلٍّ

وقال عبدان اخبرني ابي عن شعبة عن ابي اسحاق عن ابي عبد الرحمن ان عثمان حين حوصر اشرف عليهم وقال انشدكم الله ولا انشد الا اصحاب النبي الستم تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من حفر رومة فله الجنة فحفرتها الستم تعلمون انه قال من جهز جيش العسرة فله الجنة فجهزتهم قال فصدقوه بما قال وقال عمر في وقفه لا جناح على من وليه ان ياكل وقد يليه الواقف وغيره فهو واسع لكل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ)

পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩৪. ওয়াকফকারী যদি বলে, আমি একমাত্র আল্লাহর নিকট এর মূল্য পেতে চাই তা জায়িয।

সহীহ বুখারী, ২৭৭৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে বানূ নাজ্জার! তোমাদের বাগানটি মূল্য নির্ধারণ করে আমার নিকট বিক্রি করে দাও। তারা বলল, আমরা এর মূল্য একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে চাই না। (২৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮৬)

بَابُ إِذَا قَالَ الْوَاقِفُ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ فَهُوَ جَائِزٌ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِيْ بِحَائِطِكُمْ قَالُوْا لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ

حدثنا مسدد حدثنا عبد الوارث عن ابي التياح عن انس قال النبي صلى الله عليه وسلم يا بني النجار ثامنوني بحاىطكم قالوا لا نطلب ثمنه الا الى الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

সূত্র: সহীহ বুখারী,https://www.hadithbd.com/  ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।

Collected by Rasikul Islam

 

 

 

Post a Comment

0 Comments