নোমান আলি খানের সাহাবিদের উপর অপবাদের জবাব --- পর্ব—০১
কুরআনের আয়াত বিকৃতকারী ভ্রান্ত নোমান আলী খানের ইংরেজি লেকচারের একাংশ দেখলাম। এই অংশে তিনি একজন দর্শকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এমন কিছু কথা উল্লেখ করলেন, যা কোনোভাবেই ইসলামি শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রশ্নটা ছিল, কেউ যদি কোনো মেয়েকে পছন্দ করে, তাহলে এরপর কী করবে? এই ব্যাপারে কীভাবে এগোনো উচিত?
উত্তরটা শুনুন। কুরআনের আয়াত বিকৃতকারী ভ্রান্ত নৌমান আলী খান বললেন, কোনো একটা মেয়েকে দেখে পছন্দ হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে ব্যাপারটা এমন না। তিনি দাবি করলেন, সাহাবীরা যখন কাউকে পছন্দ করতেন, তখন সরাসরি গিয়ে সেই মেয়েকে বলতেন,
“hey, I like you. Wanna get married?”
তখন সেই সাহাবিয়াত উত্তর দিতেন এভাবে, “may be, talk to my dad.”
এরপর সেই
সাহাবী তার বাবার কাছে গিয়ে বলত, “hey, I like your daughter, I mean I talked to her,
she is not entirely opposed to the idea. Is it cool?”
অর্থাৎ
কোনো নারীকে পছন্দ হয়ে গেলেই সাহাবীরা এরকম নির্লজ্জের মত তাকে গিয়ে বলতেন, হেই, আই লাইক ইউ। তোমাকে আমার ভালো লাগে, বিয়ে
করে ফেলতে চাও? আর সেই সাহাবিয়াতও সঙ্গে সঙ্গে তাকে
উত্তর দিতেন, “হয়ত চাই! আমার আব্বুর সাথে কথা বলো।”
এরপর মেয়ের বাবার কাছে গিয়ে বলতেন, “আপনার মেয়েকে আমার কাছে ভালো
লাগে, আমি ওর সাথে কথাও বলেছি, ও তেমন একটা আপত্তি করে নি। আপনি ঠিক আছেন তো?”
ভাষাটা লক্ষ করার মত। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাদেরকে সেরা প্রজন্ম হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, একজন তথাকথিত “ইসলামের
উস্তাদ, দ্বীনের দায়ী, কুরআনের শিক্ষক” তাদের ব্যাপারে অনায়াসে এতটা অসম্মানের সাথে কথা বলছে, তাদের নামে মিথ্যাচার করছে, ভাবাই যায়
না!
আচ্ছা, বেনিফিট অফ ডাউট দিই, ধরে নিচ্ছি, এই নৌমান আলী খানের দর্শক
সবাই তরুণ প্রজন্ম বলেই সে এরকম সস্তা ধরণের ভাষা সাহাবীদের নামে ব্যবহার করলেন, কিন্তু ইসলামের নিতান্ত বেসিক শিক্ষাগুলোর সাথেও কথাগুলো সাংঘর্ষিক।
কীভাবে?
>> আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
শিক্ষা দিয়েছেন, একজন নারী
ও পুরুষ যখন একাকী কথা বলে, তখন তৃতীয়
ব্যক্তি হয় শয়তান। অথচ এখানে বলা হল, পুরুষ সাহাবী নাকি মহিলা সাহাবীর সাথে গিয়ে আগেই কথা বলে
ফেলতেন। এমন একটা দলিল দেখান, যেখানে আমাদের আদর্শ সাহাবী-সাহাবিয়াতরা এভাবে নিজেরা
পরস্পরকে “আই লাইক ইউ” বলেছেন, এই স্টাইলে বিয়ে করতে চেয়েছেন!
এরপর
ভ্রান্ত নৌমান আলী খান কুরআন থেকে দলিল তুলে আনলেন। কুরআনের একমাত্র প্রস্তাব ও
বিয়ের ঘটনা উল্লেখ আছে মূসা (আ) এর ব্যাপারে। মূসা (আ) দুইজন মহিলাকে তাদের পশুদের
জন্য পানি তুলে দিয়ে সাহায্য করেন।
তাদের
মধ্যে একজন বললো, “he is
kinda nice.” এরপর বাবার কাছে গিয়ে বললো, “hire
him.”
আসল ঘটনা কী ছিল?
১। হায়াঃ ভ্রান্ত নৌমান আলী খান যে মহিলার নামে “he is kinda nice” জাতীয়
বেহায়া কথাবার্তা বসিয়ে দিল, সেই মহিলার ব্যাপারে
আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বলেছেন, “সে মূসা (আ) এর কাছে লাজুক
ভাবে হেঁটে এলো [সূরা ক্বসাসঃ আয়াত ২৫] নির্লজ্জের মত “হি ইজ কাইন্ডা নাইস” বলে নি, সে মূসা (আ) এর কাছে এসেছিল লাজুকতার সাথে। তার মধ্যে ‘হায়া’ ছিল, লজ্জাবোধ ছিল।
২। প্রস্তাব দিয়েছিল মেয়ের বাবা, মেয়ে নয়ঃ নৌমান আলী খান
বললেন, সেই মহিলা মূসা (আ) এর ব্যাপারে বললো,
"আই লাইক দ্যা গাই," লোকটাকে
আমার পছন্দ হয়েছে, এরপর সে প্রস্তাব দিল। বাস্তবে
এমন কিছুই সে বলে নি, বরং তার বাবাই মূসা (আ) কে
প্রস্তাব দেন। এবং শর্ত ছিল পুরো আট বছর ধরে মেয়ের বাবার জন্য কাজ করার পর তবেই
তিনি মূসার সাথে (আ) তার দুই মেয়ের যেকোনো একজনকে বিয়ে দিবেন।
৩।যথাসম্ভব
দূরত্ব বজায় রাখাঃ সে মহিলাটি মূসা (আ) এর সাথে পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে গল্প জুড়ে দেয়
নি। প্রয়োজনের বাইরে একটা কথাও বলে নি। “hey, I like you” টাইপ কোনো কথা
বলে নি। এই আট বছর ধরে একে-অপরের ব্যাপারে জানার জন্য তারা নিজেরা নিজেরা
রেস্টুরেন্টে চলে যায় নি। ইবন কাসীরের তাফসিরে উল্লেখ আছে, মূসা (আ) পথে মহিলাটির পিছে না হেঁটে তার সামনে দিয়ে হাঁটছিলেন, আর মহিলাটিকে বলেছিলেন, পথ দেখানোর জন্য
যেন সে সেই দিকে পাথড় ছুঁড়ে মারে। খেয়াল করুন, পথ
দেখানোর জন্য পর্যন্ত তারা একজন-আরেকজনের সাথে কথা বলেন নি!
অথচ নৌমান আলী খান এই ঘটনার পর শিক্ষা দিলেন
“রেসপেক্টফুল কোর্টশিপের”। চলুন শুনি তার উপদেশগুলো-
উপদেশ নং ১) আপনি প্রেম বা ডেটিং করতে পারবেন না, কিন্তু কাউকে বিয়ে করতে
চাইলে তার সাথে আপনি নিঃসন্দেহে “রেসপেক্টফুল ইন্টার্যাকশন” করতে পারবেন। নৌমান
আলী খানের ভাষায়, “Can you have respectful interaction with someone you
are interested in for marriage? Absolutely, nothing wrong with that!”
উপদেশ নং ২) আপনারা কি বিয়ের আগে একে-অপরের
পছন্দ-অপছন্দ জানার জন্য সময় কাটাতে পারেন? হ্যাঁ, কোনো সমস্যা নেই!
“Can you take your time to understand
each-others likes and dislikes? Yes, its fine! With Parental guidance and
dignified fashion. “Respectful Courtship” is fine.
কোর্টশিপ কথাটার একটাই অর্থ, প্রেম। বিবাহপূর্ব
সম্পর্ক। নৌমান আলী খানের মত উস্তাদরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে শেখাচ্ছে
“রেসপেক্টফুল কোর্টশিপ” এর কথা। কাউকে বিয়ে করতে চাইলে, তার সাথে বিয়ের আগেই রেস্টুরেন্টে যাও, খোঁজ-খবর
নাও, কথাবার্তা বলো, তাতে
কোনো সমস্যা নেই! একা একা দুজন মিলে রেস্টুরেন্টে যাওয়া, কথা বলা, চ্যাটিং করা- এই সবকিছু হালাল
হয়ে যাবে, যদি আপনারা দুজন দুজনকে “রেসপেক্ট” করেন, যদি আপনাদের মনে এটা থাকে যে আপনারা একজন আরেকজনকে বিয়ে করতে চান।
ওয়াল্লাহি, এমন রেসপেক্টের কথা আমাদের দ্বীনে নাই।
এরকম “রেসপেক্টফুল কোর্টশিপে” থেকে আমাদের সম্মানিত সাহাবীরা বিয়ে করেন নাই।
আপনারা কেউ পারলে সাহাবীদের থেকে এরকম রেসপেক্টফুল কোর্টশিপের একটা দলিল দেখান।
অনেকদিন আগে ইসলাম কিউ এ তে একটা প্রশ্ন পড়েছিলাম, শিউরে ওঠার মত একটা
প্রশ্ন। এক নারীর স্বামীর সাথে তার বন্ধুর বিজনেস পার্টনারশিপ ছিল। কাজের প্রয়োজনে
স্বামীর বন্ধু তাদের বাসায় আসত, বন্ধুর স্ত্রীর সাথে
কাজের প্রয়োজনে কথা হত। এভাবে করে আস্তে আস্তে তারা একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ
সম্পর্কে জানতে পারে, তাদের কাছে মনে হয়, তারা দুজন একই ধরণের বিষয় পছন্দ করে, তাদের
মধ্যে অনেক মিল। সেই মহিলা তার স্বামীকে আর ভালোবাসে না, সে এখন স্বামীর বন্ধুকে ভালোবাসে। অথচ তার বাচ্চাকাচ্চা আছে, স্বামী আছে, সে একজন বিবাহিত মহিলা।
জীবনের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সে কী করবে সেটা জানতে চেয়েই সে প্রশ্নটা করেছিল।
আজকের এইসব উস্তাদ এসে বলছে, “নারী-পুরুষ কথা বলবে, বিজনেস
পার্টনারশিপ করবে, বিয়ের আগেই রেসপেক্টফুল উপায়ে
প্রেম ক)রবে” এ সবই জায়েজ। এই সব উস্তাদদের জন্যই অজস্র তরুণ-তরুণী বিপথে যাবে।
তার কথাকে দলিল হিসেবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের নফসের অনুসরণ করবে। বিয়ের কথা বলে অবাধ
মেলামেশা করবে, ইসলামের না)মে অবাধ সম্পর্ককে জায়েজ
দাবি করবে।
এক মেয়েকে
চিনতাম কলেজ থেকে। ভার্সিটিতে উঠে এক ছেলের প্রেমে পড়ল। মেয়েটা সম্ভবত ছেলেটাকে বিয়েও
করতে চাইত। তারা রেস্টুরেন্টে যেত, ভালো ভালো কথা বলত। তারা কিন্তু
দৈহিক কোনো সম্পর্কে জড়ায় নি। একজন আরেকজনকে সম্মান করেই কথা বলত। কিন্তু মেয়ে সেই
ছেলের সাথে দেখা করতে যাওয়ার আগে ঠিকই সবচেয়ে সুন্দর জামাটা পরত, হ্যাঁ, মাথায় স্কার্ফও থাকত। আবার সেই
সাথে হালকা মেইক-আপও দিতে ভুলত না। শেষটা কতদূরে গিয়ে থেমেছে জানিনা, তবে তাদের বিয়ে হয় নি। বিয়ের আগে এই ধরণের কার্যক্রম নৌমান আলী খানের
মতে রেসপেক্টফুল কোর্টশিপ। এই হল আমাদের যুগের উস্তাদের উপদেশ অনুযায়ী বিয়ের জন্য
পদক্ষেপ।
এই ধরণের উস্তাদ, উস্তাদ নামের কলঙ্ক। এরা
শুধুমাত্র নিজেরা ভুল করছে না, বরং ভুলকে ইসলাম
হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। দ্বীনের একেবারে মৌলিক প্রিন্সিপালগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
আবার কথায় কথায় দলিল টেনে আনছে, কিন্তু দলিলটা
পুরোপুরি বলবে না, নিজের সুবিধামত করে বর্ণনা করে
সেই দলিল দিয়ে নিজের মনগড়া বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করবে।।
এর আগেও নৌমান আলী খান সাহাবীদের নিয়ে খুবই
বাজেভাবে গল্প করেছে। (‘পোকেমন সাহাবী’ টার্মটা তারই আবিষ্কার) তাকে যখন বলা হয়েছে
ক্ষমা চাওয়ার কথা, ভুল স্বীকার করার কথা, তখন এক পর্যায়ে সে
বাধ্য হয়ে পাবলিকলি স্যরি বলেছে, কিন্তু তার অবস্থান
থেকে সরে আসে নি। নারী-পুরুষ মেলামেশার ব্যাপারে নিজের বক্তব্যকে ফিরিয়ে নেয় নি।
আবারও সে সাহাবীদের নামে জঘন্য সব কথা বললো, সেই
সাথে সাহাবীদের নাম তুলে বিয়ের আগে সম্মানজনক প্রেমকে জায়েজ বানিয়ে দিল। আর
সাহাবীদের ব্যাপারে, আল্লাহর নবী ও আউলিয়াদের
ব্যাপারে তার কথা বলার ধরণ নিয়ে আর কিছু না-ই বা বললাম।
ভ্রান্ত নৌমান আলী খান এই প্রশ্নের উত্তর দিতে
গিয়ে ইসলাম-পূর্ব
মদিনাকে তুলনা করেছে "লাস ভেগাস"এর সাথে। সে এখন কী পরিমাণ
বাড়িয়ে-চাড়িয়ে কথা বলে এই একটা কথা শুনেই স্পষ্ট হয়ে যাওয়া উচিত। ইসলামপূর্ব আরবে
জাহেলিয়াত ছিল, কিন্তু সেটাকে কোনোভাবেই আমেরিকার নষ্ট লাস ভেগাসের সাথে তুলনা দেওয়া
চলে না। এ যুগের তরুণদেরকে আকৃষ্ট করতে গিয়ে ইতিহাসকে প্রচণ্ড ভুলভাবে উপস্থাপন
করছে সে। তখনকার সমাজ আসলে কেমন ছিল? হিন্দ (রা) এর
একটা কথা থেকেই সেটা জানতে পারবেন। হিন্দ (রা) যখন আল্লাহর রাসূল (সা) এর কাছে
বাইয়াত দিতে এলেন, তখন একটা শর্ত ছিল এরকম, তারা কখনও যিনা-ব্যভিচার করবে না সেটার উপর বাইয়াত দেওয়া। হিন্দ এ কথা
শুনে চমকে ওঠেন! বিস্ময়ের সাথে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া
রাসূলুল্লাহ! একজন স্বাধীন নারী কি যিনা করতে পারে?" তাঁর এই প্রশ্ন থেকেই বোঝা যায়, তারা
মুশরিক ছিল, অজ্ঞ ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে আখলাক ছিল, হায়া ছিল, শালীনতা ছিল। লাস ভেগাসের মত
প্রকাশ্যে তারা অশ্লীলতার চর্চা করত না।
একটা সময় ছিল যখন নৌমান আলী খান চমৎকার সব লেকচার
দিত। সিরিয়াস ভঙ্গিতে দাওয়াহ দিত। এক ভাই যিনি আগে তার লেকচার শুনতেন বলেন, সে আগে ফেসবুকে মেয়েদের
অ্যাড করতে পর্যন্ত নিষেধ করেছে। চিন্তা করুন, ফেসবুকে
মেয়ে অ্যাড করা হারাম কাজ না, তবু তাক্বওয়ার শিক্ষা
দেওয়ার জন্য, আল্লাহর ভয় শেখানোর জন্য সে কাজটা করতে
নিষেধ করেছিল। আর এখন সে "রেসপেক্টফুল কোর্টশিপের" কথা বলতেও দ্বিধা করে
না। তার দাড়ি ছোটো হয়ে গেছে। বছরে বছরে তাকে এখন নতুন চুলের স্টাইল নিয়ে, নতুন নতুন ফ্যাশনে হাজির হতে দেখা যায়। এক সময় যে মানুষকে
স্ট্রিক্টভাবে দ্বীনের কথা শেখাত, এখন সে দ্বীনের
কথা বলার সময় নায়ক-নায়িকাদের মত হাত-পা নেড়েচেড়ে অভিনয় ছাড়া কথা বলতে পারে না, জোকস ছাড়া দ্বীনের দাওয়া দিতে পারে না। এমনকি সাহাবীদের কথা বলার সময়
পর্যন্ত তার ‘ফান’ করা চাই! দ্বীনের ব্যাপারে এত জ্ঞান থাকা সত্তেও সে দ্বীনকে
নিজের ইচ্ছামত পরিবর্তন করছে। ইসলামের অত্যন্ত বেসিক ব্যাপারগুলো নিয়ে নিজের মত
ব্যাখ্যা দিচ্ছে। নিশ্চয়ই তাকে আল্লাহর কাছে এ সবের জন্য জবাব দিতে হবে।
আল্লাহ
তাকে অনেক নিয়ামত দিয়েছেন, কুরআনের জ্ঞান দান করেছেন। সুতরাং দ্বীনের ব্যাপারে সত্য কথা বলা, সঠিক শিক্ষা দেওয়া তার জন্য দায়িত্ব। তেমনি আমাদের উপরও কিছু দায়িত্ব
আছে। যদি কোনো আলেম দ্বীনের নামে মিথ্যাচার করে, জ্ঞান
থাকা সত্তেও ভুল শিক্ষা দেয়, নিজের সুবিধামত দ্বীনকে
পরিবর্তন করে ফেলে, তাহলে তার ব্যাপারে সতর্ক করতে
হবে।
আল্লাহ তা’আলা কুরআনে এমন কিছু মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন, যারা আল্লাহর ব্যাপারে
জ্ঞান পাওয়ার পরেও নিজের নফসের অনুসরণ করে, ফলে তারা
পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।
“আর আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে
শয়তান, ফলে সে
পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে
দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের নফসের অনুগামী
হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও
হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।” [সূরা আরাফঃ আয়াত ১৭৫-১৭৬]
এই ধরণের আলেম থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক । হে আরশের রব, আল্লাহুম্মা আমীন...
বক্তব্যেরলিংক----https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=wtlh2bn2u1Eবক্তব্যেরলিংক----https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=wtlh2bn2u1E