পশ্চিমা দেশের অসংখ্য ভ্রান্ত বক্তাদের মধ্যে
অন্যতম হলেন নোমান আলী খান।
পশ্চিমা
দেশের অসংখ্য ভ্রান্ত বক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নোমান আলী খান। তাকে কুরআনের
তাফসির বিশেষজ্ঞ বলা হয়।তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক,তিনি
বিভিন্ন জায়গায় তাফসিরের আলোচনা করে থাকেন,তাছাড়া
বিষয় ভিত্তিক আলোচনাও করে থাকেন যা থাকে গল্প-গুজব,হাসিঠাট্টা
খেল তামাশা,জাল
হাদিস,উদ্ভট
উদ্ভট তাফসিরে পরিপূর্ণ।যাহোক এই বক্তার ইলম বা কুরআন-হাদিসের বেসিক নলেজও নেই,তার
আকিদা ও মানহাজ ভ্রান্ত।তাসত্ত্বেও কিছু ভাই হয়ত তার সম্পর্কে না জানার কারনে তার
লেকচার শুনে ও শেয়ার করে,এই
ধরণের ভাইরা ফেইসবুক টুইটারে যা পায় তাই শেয়ার করে দেয়,যারা
একটু ইউনিক আবেগি বা লুলামি কথা বলে হাসায়-কাঁদায় তাদের ভিডিও শেয়ার করার জন্য
ব্যকুল হয়ে পরে।তাদেরকে যদি বিষয়টি অবগত করানো হয় তাহলে তারা বলে এই লোক কি
ভ্রান্ত কথা বলে আগে জানান তারপর দেখব। তাই এরই পরিপ্রেক্ষিতে নোমান আলী খানের
কিছু বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য পেশ করা হল ।
(১) নোমান আলী খানের কাছে আকিদার কোন গুরুত্ব নেইঃ
নোমান
আলী খান আকিদা নিয়ে ব্যাঙ্গ করে ,মানুষকে
আকিদার গুরুত্ব থেকে সরিয়ে আনার জন্য সে একটা কাহিনী বলে-
এক
মহিলা তাকে বলে আপনার উচিত মানুষকে বলা যে তারা যাতে সঠিক আকিদা শিখে,তারপর
ওই মহিলা নোমান আলী খানকে একটি বই দেখিয়ে বলে এটা একটি আকিদার বই আপনার এটা শিখান
উচিত যাতে তারা সঠিক তাওহিদে উলুহিয়াহ,রুবুবিয়াহ
ও আসমা-ওয়াসসিফাত সম্পর্কে জানে কারন লোকেরা অনেক শিরক করে ,কারন
তাদের আকিদা সঠিক নয়।
এই
কথা বলায় নোমান আলী খান ব্যঙ্গ করে বলা শুরু করে যে, "এটা
কি কুরআন না সূরা ? মহিলা
বলেঃ আপনি কি আকিদা সম্পর্কে জানতে চান না ?
নোমান
আলী খান বলেঃ না, আমার
জানার প্রয়োজন নেই।আমি আকিদা সম্পর্কে খুজলাম কোথাও পেলাম না ,এটা
যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে এটি কথায় আছে?
লিংকঃhttps://www.youtube.com/watch?v=mYoXqtIjkH4&feature=youtu.be
জবাবঃ-
ইসলামে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর অন্যতম হল "আক্বিদাহ"! যারা আকিদার
ব্যাপারে কোন গুরুত্ব প্রদান করে না এবং বলে, ঈমান
খাকাই যথেষ্ট- তাদের ব্যাপারে শাইখ সালিহ আল ফওযান হাফি. বলেন,
“এটা বিরোধপূর্ণ বক্তব্য কারণ সঠিক আক্বিদাহ ব্যতীত ঈমান কোন ঈমানই নয়। এবং যদি আক্বিদাহ বিশুদ্ধ না হয়, তাহলে সেখানে কোন ঈমানই নেই, এবং কোন দ্বীনও নেই।” [ফাতাওয়া আস-সিয়াসাহ আশ-শা’রীয়াহ, প্রশ্ন-১]-
বিংশ শতাব্দীর সশ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন আল্লামাহ বিন বায
রহিমাহুল্লাহ বলেন,
فتاوى نور على الدرب لابن باز بعناية الشويعر
العقيدة أهم الأمور، وهي أصل الدين وأساس الملة
আক্বিদাই
হল উত্তম জিনিস, এবং
এটাই দ্বীনের মূল এবং ইহাই হল ধর্মের মূল ভিত্তি।
-স্বনামধন্য
আলেমদ্বীন ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ: তার লিখিত "ইসলামী আক্বিদাহ"
নামক বইতে বলেন-
‘আকিদা’
শব্দটি প্রায়ই ঈমান ও তাওহীদের সঙ্গে গুলিয়ে যায়। মূলত অস্বচ্ছ ধারণার ফলে এমনটা
হয়।
প্রথমত, ঈমান
সমগ্র দ্বীনকেই অন্তর্ভুক্ত করে। আর আকিদাহ দীনের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।
দ্বিতীয়ত, আকিদার
তুলনায় ঈমান আরও ব্যাপক পরিভাষা। আকিদাহ হলো কিছু ভিত্তিমূলক বিষয়ের প্রতি দৃঢ়
বিশ্বাসের নাম।
অন্যদিকে
ঈমান শুধু বিশ্বাসের নাম নয়;বরং
মৌখিক স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার বাস্তব প্রতিফলনকে অপরিহার্য করে
দেয়। সুতরাং ঈমানের দুটি অংশ।
একটি
হলো অন্তরে স্বচ্ছ আকিদাহ পোষণ। আরেকটি বিষয় হলো বাহ্যিক তৎপরতায় তার প্রকাশ। এ
দুটি পরস্পরের সঙ্গে এমনভাবে সংযুক্ত যে কোনো একটির অনুপস্থিতি ঈমানকে বিনষ্ট করে
দেয়।
তৃতীয়ত, আকিদা
হলো ঈমানের মূলভিত্তি। আকিদাব্যতীত ঈমানের উপস্থিতি তেমন অসম্ভব, যেমনিভাবে
ভিত্তি ব্যতীত কাঠামো কল্পনা করা অসম্ভব।
-শাইখুল ইসলাম ঈমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহ. বলেন-
ক্বোরআন, ছুন্নাহ্ ও ছালাফে সালিহীনের (رضوان الله عليهم أجمعين) ঐকমত্যের বিরোধী প্রতিটি ‘আক্বীদাহ্-বিশ্বাস ও ‘ইবাদাহ্ হলো বিদ‘আত। যেমন-
খারিজী, রাফিযী, ক্বাদরিয়াহ্, জাহ্মিয়াহ্ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের কথা-বার্তা ও আক্বীদাহ্-বিশ্বাস হলো বিদ‘আহ্। মজলিশে তবলা ও গান-বাজনার মাধ্যমে ‘ইবাদত করা, দাড়ী শেইভ বা মুন্ডানোর মাধ্যমে, গাজা বা নেশা জাতীয় দ্রব্য পানের মাধ্যমে আল্লাহর ‘ইবাদত বা নৈকট্য কামনা করা ইত্যাদি কর্মকান্ড, যেগুলো ক্বোরআন-ছুন্নাহ্র বিরোধীতাকারী বিভিন্ন দল ও সম্প্রদায়ের লোকেরা করে থাকে- এ সবই হলো
বিদ‘আত। (ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়াহ্- ১৮/৩৪৬)
(২)ঈমানের রুকন ছয়টি তার মধ্যে একটি হল "আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস"!
নোমান
আলী খানের কাছে "আল্লাহ্ কোথায়" এ সম্পর্কে জানার কোন গুরুত্ব নেই।
নোমান
আলী খান তার কোন এক বক্তব্যে বলেন, লোকে
আমাকে জিজ্ঞেস করে আল্লাহ্ কোথায়? তিনি
সাত আসমানের উপর না সবজায়গায় বিরাজমান ?(তারপর
সে বলে) এই প্রশ্ন কি আল্লাহ্ করেছেন ? সাহাবিরা
এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন ? আমাদের
এই বিষয় দমন করতে হবে। (ইন্নানিল্লাহ)
লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=E7kyeQUyWMo
জবাবঃ-
আমরা
প্রথমেই আল্লাহ কোথায় এবং আল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে সালাফগন কেমন আক্বিদাহ রাখতেন
সেটা তুলে ধরব!
ক. ইমাম মুহাম্মদ বিন ইসহাক ইবন খুযাইমাহ (২২৩ - ৩১১ হিজরি) রহিমাহুল্লাহ
বলেন:
من لم يقر بأن الله عز وجل على عرشه، فوق سبع سمواته، فهو كافر بربه، حلال الدم، يستتاب فإن تاب
وإلا ضربت عنقه، وألقي على بعض المزابل حتى لا يتأذى المسلمون ولا المعاهدون بنتن رائحة جيفته، وكان ماله فيئا لا يرثه أحد من المسلمين، إذ المسلم لا يرث الكافر، كما قال الني صلى الله عليه وسلم " لا يرث المسلم الكافر ولا الكافر المسلم "
"যে
ব্যক্তি এই স্বীকারোক্তি দেয় না যে: আল্লাহ আযযা ওয়াজাল্লা তাঁর সাত আসমানের
ঊর্ধ্বে তাঁর আরশের উপর; তবে
সে তার রবের প্রতি কাফির। তার রক্ত হালাল। তাকে তাওবা করতে বলা হবে। যদি সে তাওবা
করে (তবে ভালো) অন্যথায় তার শিরোচ্ছেদ করা হবে এবং কোন একটি নর্দমায় তাঁকে নিক্ষেপ
করা হবে যেন লাশের দূর্গন্ধে মুসলিম এবং চুক্তিবদ্ধরা (যিম্মি) কষ্ট না পায়। আর, তার
সম্পদ 'ফাই' হিসেবে
গণ্য হবে এবং কোন মুসলিম এটি উত্তরাধিকারসুত্রে লাভ করবে না। কেননা মুসলিম কাফিরের
উত্তরাধিকার লাভ করে না। যেমন নবি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "মুসলিম কাফিরের উত্তারিধারী হয় না এবং কাফির মুসলিমের
উত্তরাধিকারী হয় না।"
সনদসুত্র:
ইমাম ইবন খুযাইমা থেকে এটি বর্ণনা করেছেন আল-হাকিম আন-নাইসাবুরি
তার "আত-তারিখ" গ্রন্থে, শায়খুল
ইসলাম আবু 'উসমান
আস-সাবুনি তার "আক্বিদাতুস সালাফ আসহাবিল হাদিস" গ্রন্থে(পৃষ্ঠা ৯), হাফিয আয-যাহাবি তার আল-'উলু
গ্রন্থে (বর্ণনা ৫২৮)।
খ.
আল্লাহতালা আরশের উপর নন বরং সব জায়গায় বিরাজমান এমন আকিদাধারী ব্যক্তির হুকুম
সম্পর্কে
ইমাম আবু হানিফাহ রাহঃ বলেন, ‘যে
ব্যক্তি বলে যে, জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন নাকি পৃথিবীতে?
সে
অবশ্যই কাফের হয়ে যায়!যেহেতু আল্লাহ বলেন, “দয়াময়
আল্লাহ আরশে আরোহণ করলেন।”
আর
তাঁর আরশ সপ্তাকাশের উপরে। আবার সে যদি বলে, ‘তিনি
আরশের উপরেই আছেন’, কিন্তু
আমি ‘জানি না যে, আল্লাহর
আরশ আকাশে নাকি জমিনে?তাহলেও
সে কাফের!কারণ সে একথা অস্বীকার করে যে, তিনি
আকাশের উপর আছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর আরশে থাকার কথা অস্বীকার করে, সে
অবশ্যই কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ সকল সৃষ্টির ঊর্ধে আছেন এবং উপর দিকে মুখ করে তাঁকে ডাকা হয়(দু’আ করা হয়), নিচের
দিকে মুখ করে নয়’।
শারহুল আক্বীদাতিত্ব ত্বাহাবিয়াহ ৩২২ পৃ,আল
ফিকহুল আবসাত্ব ৪৬ পৃ, ইতিক্বাদু আইম্মাতিল আরবাআহ ১/৬।
গ.
"আল্লাহ কোথায়" এ প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা কি অবান্তর?
উত্তর:
না এ প্রশ্ন টি ইমানের সাথে সম্পৃক্ত! কেননা
রাসুল
সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা এক দাসীকে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ বলতো আল্লাহ্
কোথায়? তখন
ঐ দাসী বলেছিলেন, আসমানের
উপরে!
তখন
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার জিজ্ঞেস করলেন বলতো আমি কে?
ঐ
মেয়েটা তখন বলল,আপনি
আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)!
রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দাসীর মালিককে বললেন- তুমি তাকে মুক্ত করে
দাও। কারণ সে মু'মিনা
। (সহিহ মুসলিম)
এছাড়াও
"আল্লাহ্ কোথায়" এ সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াত আছে।
যেমন-সূরা
রাদঃ ০২,, ইউনুসঃ
০৩,তহাঃ
০৫, ফুরকানঃ ৫৯,সাজদাহঃ ৫৪ ইত্যাদি ।
সুতরাং
"আল্লাহতালা আসমানের উপরে আছেন" এই আক্বিদাহ রাখা হল ঈমান আর এর বিপরীত
আক্বিদাহ পোষণ করা হল কুফর! এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা না বললেই নয় তা হল,মহান
আল্লাহতালা আসমানের উপর 'কি
হালতে আছেন অথবা তিনি কিভাবে উঠেছেন' এমন
প্রশ্ন করাটা বিদায়াত!
আহলুস
সুন্নাহর ইমাম মালেক(রাহ:) কে একবার প্রশ্ন করা হলো,.
{الرَّحْمَنُ عَلَى العَرْشِ اسْتَوَى.
পরম
দয়াময় আরশের উপর উঠেছেন, এর
তাফসির সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
এই
উপরে উঠেছেন তা কীরূপ?
এই
প্রশ্ন শুনে তিনি খুবই দুঃখিত হলেন এবং মাথা নত করে মাটির দিক তাকিয়ে রইলেন। তিনি
এত আশ্চর্য হলেন যে তাঁর কপাল ঘর্মাক্ত হয়ে উঠল। অতঃপর তিনি বললেন-
الكيف منه غير معقول و الاستواء منه غير مجهول و الإيمان به واجب و السؤال عنه بدعة.
তার
স্বরূপ অবোধগম্য,এবং
তার উপরে উঠা অজ্ঞাত নয়(বরং জ্ঞাত),এবং
তাতে ঈমান আনা ওয়াজিব,এবং
তার ব্যাপারে প্রশ্ন করা(সেটা কেমন/কিভাবে/ধরণ ইত্যাদি জিজ্ঞেস করা) বিদ'আহ"।
[ শাহ
আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী(রাহ:), বুস্তানুল
মুহাদ্দিসীন,পৃ:২১; ইফাবা]
(৩) নোমান আলী খানের কাছে বিদআত থেকে মানুষকে সতর্ক
করার গুরুত্ব নেইঃ
নোমান
আলী খান বলে,
"যখন
আমার কাছে কোন লোক আসে এবং জিজ্ঞেস করে মিলাদুন্নাবি সম্পর্কে আপনার মতামত কি ?আমি
বলি,মিলাদুন্নাবি
সম্পর্কে আমার কোন মতামত নেই,কারন
এটা কোন সমস্যা না সমস্যা হল আমাদের বাচ্চারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে ,বাচ্চারা
ইসলাম ছাড়ছে ,এটি
সমস্যা।
জবাবঃ
আমরা
আগেই বলেছিলাম এই লোকের ইসলামের বেসিক নলেজই নেই,ইসলামের
রুকণ সম্পর্কে জ্ঞান নেই, না
আছে ঈমানের ভিত্তি সম্পর্কে জ্ঞান, তবুও
সে মুফাসসিরে কুরআন (!)
মিলাদুন্নাবী
নাকি কোন সমস্যা না? আমাদের
নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,"প্রত্যেক
বিদআতই পথভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক পথভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম"।
তাছাড়া
"মিলাদুন্নবী যে বিদায়াত" এর পক্ষে আহলুস সুন্নাহর উলামায়ে ক্বিরামের
ভুরি ভুরি ফতওয়া রয়েছে, কিন্তু
পোস্ট বড় হয়ে যাচ্ছে তাই এখানে উল্লেখ্য করলাম না! আপনারা আলেমদের ফতওয়া,লিখনি,বক্তব্য
থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন!
(৪) কুরআনের আয়াত বা শব্দ বিকৃতকরণে নোমান আলী খানঃ
নোমান
আলী খান একটি কাহিনী বর্ণনা করেন,আর
তা হল –
এক
সাহাবীর কাছে এক নওমুসলিম আসলো!
সাহাবী
নওমুসলিমকে কুরআন শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন নওমুসলিমের "মুশরিকিন" শব্দ
উচ্চারনে সমস্যা হচ্ছিল! তিনি বার বার মুছরিকিন উচ্চারন করছিলেন (ভুল উচ্চারন
করছিলেন) ,পরে
নাকি সাহাবী বললেন তুমি এর পরিবর্তে এটা "ফুজার" মুখস্ত কর।
নোট:-
কত বড় জঘন্য কথা,সাহাবিদের
সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ,কুরআনের
যেকোন শব্দ বা আয়াত পরিবর্তন বা সংযোজন করা কুফরি তা হয়ত বক্তা সাহেব জানেন ই না!
লিংক-https://www.youtube.com/watchv=BlBT9WKA7to&feature=youtu.be
জবাবঃ
মহান
আল্লাহ্তালার মাত্র একটি আয়াত ই যথেষ্ট! তিনি বলেন,
" যারা আমার আয়াতসমূহকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচর নয়। শ্রেষ্ঠ কে? যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে, নাকি যে কিয়ামাত দিবসে নিরাপদে থাকবে সে? তোমাদের যা ইচ্ছা তা কর; তোমরা যা কর তিনি তার দ্রষ্টা।"
[সূরা ৪১-ফুসসিলাতঃ৪০
(৫) নোমান আলী
খান বিদাতিদের সাথে উঠাবসা করে,তার
হিরো তারিক জামিল! এই বিদাতি তারেক জামিল কে সে "উস্তায" উপাধি দিয়েছিল!
প্রমাণ
স্বরুপ নোমান আলী খানের ফেইসবুক পেজ ভিজিট করতে পারেন!
জবাব-
নোমান
আলী খান যেহেতু সালাফদের বিপরীত মানহাজ অনুসরণ করে সেহেতু বিদাতিদের সাথে উঠাবসা
চলবেই।তার হিরো হল পাকিস্তানের প্রখ্যাত বিদআতি তারিক জামিল। এই তারিক জামিলের
ভণ্ডামি আপনাদের জানা আছে,কারো
জানা না থাকলে জানাবেন বা ইউটিউবে তার কুফুরি বক্তব্যগুলো অহরহ পাবেন। যেমনঃ তারিক
জামিল বলেছিল ,রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জানাজা নাকি আল্লাহ্ পরিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ),মাযারে
দোয়া করা ইত্যাদি ।
বিদাতিদের
প্রশংসা, তাদের
সাথে উঠা বসা,তাদের
বক্তব্য শোনা যাবে কিনা এ প্রসঙ্গে
মাত্র
তিনটি উক্তি পেশ করছি, এতেই
স্পষ্ট বুঝে যাবেন আমাদের সালাফগন কতটা কঠোর ছিলেন এবিষয়ে -
ক.
ইমাম ইবনু সীরীন (রহিমাহুল্লা-হ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়:— "আহলুল হাওয়াদের (বিদাতিদের) বক্তব্য শোনার ব্যাপারে আপনার অভিমত
কি?"
তিনি
জবাব দিলেন:— "আমরা ওদের বক্তব্যও শুনিনা এবং ওদেরকে সম্মানও করি না।"[সিয়ার
আ'লাম
নুবালা: ৪/৬১১]
খ.প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম হাসান আল-বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:—"বিদাতি ও আহলুল হাওয়াদের সাথে বসবে না, তাদের
সাথে তর্ক করবে না, তাদের
কথাও শুনবে না।"[দারেমীর
সুনানে বর্ণিত হয়েছে (১/১২১)]
গ.
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে
ব্যক্তি বিদআ’তীদের প্রতি সু-ধারনা রাখে এবং এই দাবি করে যে, তাদের
অবস্থা অজ্ঞাত, তাহলে
তাকে তাদের (বিদআ’তীদের) অবস্থা সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে। সুতরাং, সে
যদি বিদআ'তীদের
ব্যপারে বিরোধী মনোভাবাপন্ন না হয়, এবং
তাদের প্রতি প্রতিবাদমূলক মনোভাব প্রকাশ না করে, তাহলে
তাকেও বিদআ’তীদেরই মতাবলম্বী ও দলভুক্ত বলে জানতে হবে।” মাজমুয়া ফাতাওয়াঃ ২/১৩৩।
{৬} নোমান
আলী খান বলেন, আমাদের
কাফিরদেরকে ভালবাসতে হবেঃ
লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=mexXfJg5UJE
জবাব-
ঈমান
ও আকিদার মৌলিক নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত হল "আল অলা ওয়াল বারা"
প্রত্যেক
মুসলমান ইসলামী আকিদাহ পন্থিদের সাথে মিত্রতা পোষণ ও আকিদার বিরোধীদের সাথে বৈরতা
পোষণ করা ইসলামী আকিদা-মতাদর্শের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ্
বলেছেন,
"হে
মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে মিত্ররুপে গ্রহণ করনা,তারা
পরস্পর বন্ধু,আর
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে মিত্রতা করবে নিশ্চয় সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। {সূরা
মায়িদাহঃ৫১}কাফিররা
নিকটাত্মীয় হলেও তাদের সাথে মিত্রতা রাখা যাবে না
"হে
মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের পিতা ও ভাইদেরকে মিত্ররুপে গ্রহণ করনা যদি তারা ঈমানের
পরিবর্তে কুফরকে পছন্দ করে।আর তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদের সাথে মিত্রতা রাখবে,বস্তুতঃ
অইসব লোকই হচ্ছে জালিম। {সুরাঃ
তাওবাঃ২৩}
(৭) জাল হাদিস প্রচারে নোমান আলী খানঃ
লিংক-https://www.youtube.com/watch?v=YrzBpURMbC4&feature=youtu.be
এর
পরেও কি প্রশ্ন আসে যে,তার
থেকে ইলম নেয়া যাবে কিনা ?
এর পরেও কি তার লেকচার শুনবেন ?
এর পরেও কি তাকে প্রমট করবেন ?
নোমান আলী খান
একেবারেই অজ্ঞ ব্যক্তি ,তার ইসলাম
সম্পর্কে বেসিক নলেজই নেই।তার উক্ত ভুল ছাড়াও আরো অনেক ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে। তার এই
বিভ্রান্ত হওয়ার মুল কারন কুরআন-হাদিসকে সালফে-সালেহিনদের বুঝ অনুযায়ী না বুঝে,নিজের মত করে
বুঝা (!) যার ফলে সে পথভ্রষ্ট হয়েছে।
আল্লাহ্ আমাদের
সবাইকে সঠিক বুঝার এবং মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন. Edit by
rasikul islam