Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

কি ভাবে খারিজিদের চিনবেন? তৃতীয়- পর্ব- ৩

খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা- জন্য এবং অসংখ্য সলাত সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি
ওয়া'বাদ,
আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজি চিহ্নিতকরণ তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের তৃতীয় পর্ব

উল্লেখ্য যে, যেকোন আল্লাহর বান্দা কপি করতে চাইলে তা কোনরুপ কাটছাট ছাড়াই অনুবাদিত আর্টিকেল-টি যেন হবহু কপি করেন!
জায্বাকুমুল্লাহ
-●
চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৪
"
তারা হত্যাকে বৈধতা দেয় (এবং তা পানির মত সহজ মনে করে)"
অথচ চুরির ব্যাপারে কড়াভাবে হুদুদ কায়েম করে যার ফলে মানুষের সম্পদ নিরাপত্তা পায় কিন্তু তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পরে [তালবিস আল-ইবলিস; খাওারিজদের অধ্যায়]
ইমাম আল বাঘাওয়ি (যিনি ৫৬১ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন) তার বইশারহ আস-সুন্নাহতে খারেজিদের সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লেখেন:
قَوْلُهُ: «لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ» أَيْ: لَا يُقْبَلُ وَلا يُرْفَعُ فِي الأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ.
وَقَوْلُهُ: «يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ» أَيْ: يَخْرُجُونَ مِنَ الدِّينِ، أَيْ مِنَ طَاعَةِ الأَئِمَّةِ، وَالدِّينُ: الطَّاعَةُ، وَهَذَا نَعْتُ الْخَوَارِجِ الَّذِينَ لَا يَدِينُونَ لِلأَئِمَّةِ، وَيَسْتَعْرِضُونَ النَّاسَ بِالسَّيْفِ،
এখানে তিনি হাদিসে খারেজিদের কুরআন পড়া সংক্রান্ত যে বৈশিষ্ট্য হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, যে তা তাদের গলার ঊর্ধ্বে ওঠেনা, এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে এর অর্থ হচ্ছে, “না এগুলো কবুল করা হয় আর না তাদের নেক আমল উপরে ওঠে
অর্থাৎ, যদিও খারেজিরা কুরআন পড়ে, তাহাজ্জুদ আদায় করে, প্রত্যেক সপ্তাহে সিয়াম পালন করে, তাদের নিজেদের মনগড়াজিহাদেযুদ্ধ করে, অথবা নিজদের সম্পর্কে ভাবে যে অন্ততপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ভাল এবং তারা তাওহিদ এবং শারিয়াহ এর দিকে মানুষকে আহবান করছে, কিন্তু আল্লাহর নাযিলকৃত দ্বীনের বিপরীতে এগুলোর কোনকিছুই কোনও গুরুত্ব বহন করেনা এবং তাদের আমল একেবারে মূল্যহীন হিসাবে বিবেচিত হয়
এবং খারেজিদের দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ইমাম আল-বাঘাওয়ি ব্যাখ্যা দেন যে, “খারেজিদের এই বৈশিষ্ট এজন্যে যে তারা ইমামদেরকে (মুসলিমদের আমির এবং আলেমদেরকে) অস্বীকার করে এবং লোকদেরকে তলোয়ার দিয়ে দেখে
[
রেফ: ইমাম আল-বাঘাওয়ির শারহ উস-সুন্নাহ, ১০/২৬ শামেলা]
অর্থাৎ যেমনটা শিরোনামে বলা হয়েছে, তারা হত্যাকে পানির মত সহজ বানিয়ে দেয়, এবং তারা এমন আচরণ করে যেন লোকদেরকে তলোয়ার ছাড়া শেখানো, পরিশুদ্ধ করা, তাদের সাথে বোঝাপড়ায় আসা বা তাদের সাথে আলোচনা করা সম্ভবই না

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৫
"
এমন প্রত্যেক দলকে তারা তাকফির করে যারা তাদের ইসলামি এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহন করেনা"!

শায়খ আল আবদারী (রাহিমাহুল্লাহ) কয়েক শতাব্দী আগে বলে গেছেন:
তাদেরকে দেখ যারা উনাকে (আল-মুহাল্লাব, একজন অসাধারণ সেনাপতি যিনি খারেজি নির্মূল করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন) মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়েছে; হয় তারা তার নিজের দলেরই কিছু লোক ছিল, যারা এই কাজ করেছিল ঈর্ষা আর ঘৃণার বশবর্তী হয়ে, অথবা তারা খারেজি ছিল, যারা, যদি তারা পারতো উনাকে এর চাইতে খারাপ কিছু বলে আখ্যায়িত করতে, যেমন তিনি একজন কাফের, তাহলে তারা তা করতে দ্বিধা করত না বাস্তবতা হচ্ছে, খারেজিরা আল-মুহাল্লাব এবং সকল মুসলিমকে কাফের মনে করে
[
রেফ তিমাসাল আল-আমসাল /২৫৬]

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৬
"
তারা সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে দারুল কুফর বলে আখ্যায়িত করে এবং শুধুমাত্র তাদের খিলাফার অধীন ভূমিকেই দারুল ঈমান ভাবে, এবং তারা মুসলিমদের জান-মাল আক্রমণ করা এবং ধ্বংস করাকে কাফের অথবা মুশরিক শত্রুদের ধ্বংস করার চাইতেও বেশী বৈধ মনে করে"!

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ বলেন (খারেজিদের একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্টের বর্ণনা দিতে গিয়ে):
তারা (খারেজিরা) মুসলিমদের বসবাসের জায়গাকে কুফর এবং যুদ্ধের জায়গা বানিয়ে নিয়েছিল এবং তারা যেখানে হিজরত করেছিল সেই স্থানকে তারা ঈমানের স্থান ভাবতো এবং তারা সকল মুসলিম দেশকে আক্রমণের জন্য বৈধ ভাবতো, যতটা তারা কাফেরদের দেশকে আক্রমণের উপযুক্ত মনে করতো তার চেয়েও বেশী পরিমাণে
[
রেফ: মাজমু আল-ফাতওয়া /২৮]
আজকেও কি তারা একই রকম না ?!!

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৭
"
তারা তুচ্ছ কারণে মহিলা শিশু এবং অসমর্থদের হত্যা করার বৈধতা দেয়"

ইবনুল হাবিব রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: “যদি মহিলারা, শিশুরা তলোয়ার এবং ইত্যাদি দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাহলে আত্মরক্ষার স্বার্থে তাদের হত্যা করা বৈধ হয় কিন্তু যদি তারা পাথর এবং এজাতীয় বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে তাদের দুর্গ বা মজবুতকৃত বাড়িঘরের উপর থেকে তাহলে তাদের হত্যা করা উচিৎ হবে না
[
রেফ: আয-যাকিরা খণ্ড , পৃষ্ঠা ৩৯৯]

আপনি এই বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল খুঁজে পাবেন যদি আপনি দেখেন এবং জানতে পারেন যে তারা শাম- কি করেছে মহিলাদের সাথে, তারা তাদের হত্যা করেছে এবং দাসী বানিয়েছে এরকম কাজের জন্য তারা বলে যে প্রত্যেক যোদ্ধাকে হত্যা করতে হবে, আমরা বলি যে হ্যাঁ কিন্তু কোন মহিলা যদি তোমাদের দিকে চিৎকার করে এবং পানি কিংবা হাড়ি-পাতিল তোমাদের দিকে ছুড়ে দেয় তার বাড়িতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ এবং তার পরিবারকে হত্যা করার অপরাধে, তাহলে সে কি তোমাদের কাছে যোদ্ধা বলে বিবেচিত হয়? তোমরা অপর মুসলিমদের কাছ থেকে যে পরিমাণ গণিমত আত্মসাৎ করেছ তারপরও কি তোমাদের এইটুকু প্রশিক্ষণ হয়নি যে তোমরা কতগুলো হাড়ি-পাতিলের আঘাত উপেক্ষা করবে অথবা সহ্য করে নিবে?
روى الطبري في تاريخه: أن رجلا من السبيع كان به لمم، وكان بقرية يقال لها جوبر عند الخرارة وكان يدعى سماك بن يزيد، فأتت ‫#‏الخوارج قريته فأخذوه وأخذوا ابنته، فقدموا ابنته فقتلوها، وزعم لي أبو الربيع السلولي أن اسم ابنته أم يزيد، وأنها كانت تقول لهم: يا أهل الإسلام، إن أبي مصاب فلا تقتلوه، وأما أنا فإنما أنا جارية، والله ما أتيت فاحشة قط، ولا آذيت جارة لي قط، ولا تطلعت ولا تشرفت قط فقدموها ليقتلوها، فأخذت تنادي: ما ذنبي ما ذنبي! ثم سقطت مغشيا عليها أو ميتة، ثم قطعوها، بأسيافهم
যৌবার নামক এক গ্রামে এক লোক ছিল, এবং তার নাম ছিল সামাক ইবনে ইয়াযিদ খারেজিরা তাদের গ্রামে আসল, এবং তাকেে এবং তার মেয়েকে ধরে নিয়ে গেল তারা তাকে সামনে নিয়ে আসল হত্যা করার জন্য, সুতরাং তার মেয়ে তাদের বলল: “হে ইসলামের লোকেরা! আমার বাবা শুধুমাত্র একজন বৃদ্ধ আহত লোক, তাই তাকে হত্যা করো না আর আমি হচ্ছি শুধু একটা ছোট মেয়ে, এবং আমি আল্লাহ্ নামে শপথ করে বলছি, আমি কখনো কোন অনৈতিক কাজ করিনি, আর না আমি কখনো আমার প্রতিবেশীরদের কোন ক্ষতি করেছি, আর না আমিআর না আমি…” কিন্তু এরপরও তারা তাকে সামনে নিয়ে আসলো হত্যা করার জন্য, সুতরাং সে চিৎকার করে বলতে লাগলো: আমার কি গুনাহ? আমার কি গুনাহ? তারপর অজ্ঞান অথবা মৃত অবস্থায় সে পরে গেল, আর তারা তলোয়ার দিয়ে তার শরীর কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলল
[
রেফ: আত-তাবারি, তার তারিখে অনুবাদ উস্তাদ ইবনে আব্বাস আল-মিস্রি এর ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগ্রহীত]

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৮
"
তারা তাদের বিরোধিতাকারী প্রত্যেককে মুরজিয়া লেবেল লাগিয়ে দেয় এবং তাদের বিরোধী প্রত্যেককে কাফির ভাবে"!
মায়মুন ইবনে মাহরান (রাহিমাহুল্লাহ), যিনি ছিলেন একজন ইমাম, একজন হুজ্জাহ, তার ভূখণ্ডের আলিম এবং মুফতি, তিনি বলেছিলেন: “তোমরা কি জানো হারুরি আল-আযরাকি (অর্থাৎ খারেজি) কে?” তিনি বললেন: “সে হচ্ছে এমন একজন যে কিনা, তুমি যদি তার মতের বিরুদ্ধাচরণ করো, তাহলে সে তোমাকে কাফের তকমা লাগিয়ে দেবে এবং তোমার রক্ত হালাল ঘোষণা করবে

[
রেফ: ফাতহ আল-বারি, ইবনে রাজাব (রাহিমাহুল্লাহ) /৯৯ ইবনে আব্বাস আর মিশরি এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া]
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
খারেজিদের কথা যদি বলতে হয়, তারা আহলুস সুন্নাহকে "মুরজিয়াবলে থাকে এবং খারেজিদের এই অভিযোগ মিথ্যা কারণ তারা নিজেরাই মুরযিআহ তারা দাবি করে যে লোকদের মধ্যে একমাত্র তারাই ঈমান এবং হকের উপর আছে এবং তারা আরও দাবি করে যে যারাই তাদের বিরোধিতা করে তারা সকলে কাফির এবং পথভ্রষ্ট"
[
রেফ: তাবাকাতুল হানাবিলা /৩৬]

শাইখুল ইসলাম ঈমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
এদের পথভ্রষ্টতার ভিত্তি হলো, পথ প্রদর্শনের ইমাম এবং মুসলিমদের মূল জামাত সম্পর্কে তাদের এই বিশ্বাস যে তারা ন্যায়পরায়নতার সীমানা থেকে বের হয়ে গেছে এবং তারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে তাদের চিন্তাধারা যারা সুন্নাহকে পরিত্যাগ করেছে, যেমনটা করে থাকে রাফেযিরা এবং তাদের মতো আরও যারা আছে তারা সুতরাং তারা যেটাকে যুলুম মনে করে, তারা সেটাকেই কুফরি বলে ধরে নেয় এবং তারপর এর উপর তারা মনগড়া বিধান আবিস্কার করে সুন্নাহকে যারা ত্যাগ করে তাদের সবার মধ্যে এই তিনটি অবস্থান দেখতে পাওয়া যায়, যেমন যারা হুরুরিয়্যাহ, রাফেযি এবং তাদের মতো অন্যান্যরা তারা ইসলামের মৌলিক কতগুলো নীতিমালা ত্যাগ করে যতক্ষণ না তারা এর থেকে বের হয়ে আসে, ঠিক যেমন তীর শিকারের দেহ থেকে বের হয়ে যায়
[
রেফ: মাজমু ২৮/৪৯৬]
মুলঃ শাইখ ফায়সাল বিন কাজ্জার!
অনুবাদঃ আবু আবরার
সম্পাদনাঃ আখতার বিন আমীর
কি ভাবে খারিজিদের চিনবেন? তৃতীয়- পর্ব-

 ► ১ম পর্বঃ বা ব্লগে পড়ুন

খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► 
২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► 
৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► 
৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► 
৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► 
৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► 
৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► 
৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► 
৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম  শেষ পর্ব!
■ 
আরও পড়তে সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক - 
খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► 
নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130

সহীহ-আকিদা(RIGP)
বল,এটিই আমার পথস্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটেhttps://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-rasikulindia .blogspot.com

Post a Comment

0 Comments