কি ভাবে খারেজীদের চিনবেন? পর্ব- ৪

কি ভাবে খারেজীদের চিনবেন? পর্ব-
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা- জন্য এবং অসংখ্য সলাত সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি

ওয়া'বাদ,
আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজি চিহ্নিতকরণ তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের চতুর্থ পর্ব

উল্লেখ্য যে, যেকোন আল্লাহর বান্দা কপি করতে চাইলে তা কোনরুপ কাটছাট ছাড়াই অনুবাদিত আর্টিকেল-টি যেন হবহু কপি করেন!
জায্বাকুমুল্লাহ

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১০
এরা সবসময় ফিৎনার সময় বের হয় এমন এক সময়ে যখন মুসলিমরা ইতোমধ্যেই পরীক্ষা এবং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে আছে অথবা যখন মুসলিমরা তাদের শত্রুদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত

 আল্লাহ্ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এই বৈশিষ্ট সম্পর্কে বলেছেন যে:

يخرجون عند اختلاف من الناس

তারা এমন এক সময়ে বের হয়ে আসবে (অথবা তাদের দল গঠন করবে) যখন লোকেরা (মুসলিমরা) এমনিতেও খারাপ সময় পার করছে (যেমনটা যুদ্ধ অথবা হানাহানির সময়ে হয়ে থাকে)
[
রেফ: ইবনে আবি আসিম, তার সুন্নাহতে (৯২৩); আবু ইয়ালা (৪৭৩); মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ এবং অন্যান্য, হাসান বর্ণনাকারীদের ধারা সমেত, যেমনটা বলেছেণ শায়খ মানসুর ইবনে নাসির আল-মুতাইরি এবং শায়খ আল-আলবানি তার যিলাল আল-জান্নাহ কিতাবে উল্লেখ করেছেন, যা আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকেhttp://www.alalbany.net/4312 অথবা দেখুন মাক্তাবাহ শামেলা /৪৪৯, হাদিস নাম্বার ৯২৩ এর অধীনে]

 রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন যে

قال فيهم رسول الله صلى الله عليه وسلم : إن فرقة تخرج عند اختلاف الناس تقتلهم أقرب الطائفتين بالحق

তারা আত্মপ্রকাশ করবে এমন এক সময়ে যখন লোকেরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে লিপ্ত থাকবে এবং তাদের দুই দলের মধ্যে যারা সত্যের অধিক নিকটবর্তী থাকবে তারা তাদের সাথে লড়াই করবে
[
রেফ: মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ]

 অন্যান্য হাদিস থেকেও তাদের এই বৈশিষ্ট সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায় ! এই হাদিসগুলো আজকের দিনের দলগুলোর সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায় সম্পূর্ণ হাদিসটি মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ এবং ইবনে আবি আসিমের সুন্নাহতে...

( 52 ) حدثنا يحيى بن آدم قال : حدثنا يزيد بن عبد العزيز قال حدثنا إسحاق بن راشد عن الزهري عن أبي سلمة بن عبد الرحمن والضحاك بن قيس عن أبي سعيد الخدري قال : بينا رسول الله صلى الله عليه وسلم يقسم مغنما يوم خيبر ، فأتاه رجل من بني تميم يقال له ذو الخويصرة فقال : يا رسول الله ، اعدل ، فقال : هاك لقد خبت وخسرت إن لم أعدل ، فقال عمر : دعني يا رسول الله أقتله ؛ فقال : لا ، إن لهذا أصحابا يخرجون عند اختلاف من الناس ، يقرءون القرآن لا يجاوز حناجرهم ، يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية ، تحقرون صلاتكم مع صلاتهم وصيامكم مع صيامهم ، آيتهم [ ص: 742 ] رجل منهم كأن يده ثدي المرأة ، وكأنها بضعة تدردر ، قال : فقال أبو سعيد فسمعت أذني من رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم حنين وبصر عيني مع علي حين قتلهم ، ثم استخرجه فنظرت إليه .

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১১
তারা মসজিদ এবং অমুসলিমদের উপাসনালয়ে আক্রমণ চালায়

কিছু সংখ্যক খারেজি একবার মক্কায় এসে মিলিত হয়, এবং নাহরওয়ানে ঘটে যাওয়া যুদ্ধের কথা স্মরণ করতে থাকে, যা আলি রাঃ এর খিলাফতের অধীনে ৬৫৯ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়েছিল, এবং যেখানে খারেজিরা পরাজিত হয়েছিল খারেজিদের একজন বললো, “শুধু যদি আমরা আমাদের নিহত ভাইদের সম্মানে প্রতিশোধ নিতে পারতাম তারা সেখানে ইসলামের তিনজন নেতৃস্থানীয় লোককে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়: “ইবনে মুলজামকে দায়িত্ব দেয়া হয় আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যা করার, আল হুজ্জাজ আল তামিমির উপরে দায়িত্ব পরে মুয়াবিয়া রাঃ কে মারার, এবং আমর ইবনে বকর আল-তামিমিকে বলা হয় আমর ইবনে আল-আস রাঃ কে হত্যা করতে এই তিন হত্যাকাণ্ড একই সময়ে ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়, যখন এই তিনজন নেতা তাদের নিজ নিজ শহরে ফজরের নামাজের ইমামতি করতে আসবেন: যেগুলো ছিল যথাক্রমে দামাস্ক, ফুসতাত এবং কুফা হত্যার পদ্ধতি হিসাবে নির্ধারণ হলো এই যে, প্রত্যেক হত্যাকারী মুসল্লিদের কাতারে আত্মগোপন করে থাকবে, এবং সুযোগ বুঝে যার যার শিকারকে বিষ মাখানো তরবারী দিয়ে আঘাত করবে

হিজরি ৪০ সালের ১৯শে রমজান, বা ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে, কুফার বড় মসজিদে সলাত আদায়রত অবস্থায়, আলি রাঃ কে খারেজি আব্দ আল-রহমান ইবনে মুলজামের হামলার শিকার হন তিনি যখন ফজর সলাতের সিজদা দিচ্ছিলেন, এমন সময়ে মুলজামের বিষ মেশানো তরবারী তাকে আহত করে

 শাইখুল ইসলাম ঈমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন -
তার (অর্থাৎ আলি রাঃ এর) খুনি ছিল তাদের (খারেজিদের একজন), এবং সে ছিল আব্দ আল-রাহমান বিন মুলজিম আল-মুরাদী, অথচ সে ছিল সবচেয়ে বেশী ইবাদত করা লোকদের একজন, এবং সে ছিল প্রখর জ্ঞানসম্পন্ন
[
মিনহাজ আল-সুন্নাহ আল-নাবাওইয়্যা, খণ্ড , পৃষ্ঠা ৪৭]

 এখানে বর্তমান সময়ে তাদেরই জনপ্রিয় পত্রিকা আল-জাজিরা ইংলিশের নিউজ রিপোর্ট এর লিংক দিলাম - উত্তর নাইজেরিয়ায় (২০১৫ সাল) আত্মঘাতী বোমা হামলা সম্পর্কিতঃ http://www.aljazeera.com/…/nigeria-boko-haram-deadly-attack…

আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন যে আলির হত্যাকারী, খারেজি ইবনে মুলজিম (লানাতুল্লাহি আলাইহি) এর ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য তার হাত পা কর্তন করা হচ্ছিল তখন সে অনবরত তাকবির, তাহলিল, তাহমিদ উচ্চারণ করে যাচ্ছিল, এবং সে একটুও অনুশোচনা প্রকাশ করছিল না কিন্তু যখন তারা তার জিহ্বা কর্তন করতে গেল তখন সে বাঁধা দিল এই বলে যে সে যিকর রত অবস্থা ছাড়া অন্য কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে চায় না!
الأخوة الكرام : روى الذهبى فى تاريخه 2/254 أنه "لما دفن على أحضروا ابن ملجم، فاجتمع الناس، وجاء بالنفط والبوارى، فقال محمد بن الحنفية- أحد أبناء على- والحسين، وعبد الله بن جعفر بن أبى طالب، دعونا نشتف منه، فقطع عبد الله يديه ورجليه، فلم يجزع ولم يتكلم، فكحل عينيه، فلم يجزع وجعل يقول: إنك لتكحل عينى عمك، وجعل يقرأ "اقرأ باسم ربك الذى خلق" حتى ختمها، وإن عينيه لتسيلان، ثم أمر به فعولج عن لسانه ليقطع، فجزع، فقيل له فى ذلك، فقال: ما ذاك بجزع، ولكنى أكره أن أبقى فى الدنيا فواقا لا أذكر الله"!!! فهل صح هذا !!!! وإن كان فما وجهه مع النهي الأكيد عن المثلة ؟ أيعتبر ذلك من رأيا في عقوبة المحارب ؟ غير أن الإمام علي رضي الله عنه لم ير في قتله حرابة ، بل روي عنه قوله للحسن بن علي رضي الله عنه " أحسنوا إساره فإن عشت فأنا ولي دمي ، وإن مت فضربة كضربتي " . أفيدونا بارك الله فيكم .
এটি অবশ্য একটি দুর্বল বর্ণনা তবে এটি সত্যি হলেও আমি অবাক হব না, কেননা নাবি সাঃ তো বলেছিলেনই যে: “তোমরা তোমাদের সলাতকে তাদের সলাতের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে এবং তোমাদের তিলাওয়াতকে তাদের তিলাওয়াতের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১২
এরা অপরপক্ষের মুসলিম মহিলাদেরকে দাস হিসাবে বন্দী করাকে হালাল মনে করে

আবারও বলতে হয় যে, কেউ যদি খারেজীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থেকে থাকে তাহলে সে তাদের এই বৈশিষ্ট্য পড়া মাত্র তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারবে কিন্তু যারা এই বিষয়ে জানে না তারা এই বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সঠিক উপসংহারে পৌছতে পারবে না

 ইমাম যুহরী রাহিমাহুল্লাহ এই বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন:
(2465) - (قال الزهرى: " هاجت الفتنة وأصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم متوافرون , وفيهم البدريون فأجمعوا أنه لا يقاد أحد , ولا يؤخذ مال على تأويل القرآن إلا ما وجد بعنيه " ذكره أحمد فى رواية الأثرم.

ফিতনা তৈরি হলো কিন্তু আল্লাহ্ রাসুলের অনেক সাহাবী তখনও উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন এমন ছিলেন যারা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা সকলে একমত হন যে কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া হবে না (যারা সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে) এবং কুরআনের অপব্যাখ্যা করে সম্পত্তিও কুক্ষিগত করা হবেনা, তবে কেউ যদি হুবহু তার নিজের জিনিসটি খুঁজে পায় (তাহলে সে তা নিয়ে নিতে পারে)

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ১৩
তাদের ফন্দি এবং চক্রান্ত সমসময় মুসলিম জনসাধারণদের ক্ষতি করে

যেমনটা নং বৈশিষ্টে বলা হয়েছে, খারেজীদের কাজকর্ম সবসময় সাধারণ মুসলিম জনসাধারণেরই ক্ষতি করে তারপর তাদের উপর আরও বেশী আইন চাপিয়ে দেয়া হয়, এবং তাদের শত্রুরা নিরপরাধ মুসলিমদের উপর আরও বেশী অন্যায় অত্যাচার চালানোর ছুতা খুঁজে পায় যুক্তরাজ্যের সিটিএস বিল এর একটি ছোট্ট উদাহরণ পড়ুন
http://english.alarabiya.net/…/Chad-bans-full-veil-after-de…

 শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন -

আলি রাঃ ততদিন পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করেননি যতদিন না তারা নিরপরাধদের রক্তপাত করার মাধ্যমে এবং মুসলিমদের সম্পদ ধ্বংস করার মাধ্যমে সীমালঙ্ঘন করেছিল তখন তিনি তাদের সাথে লড়াই করেন যাতে করে তাদের অন্যায় আগ্রাসন এবং তাদের অবৈধ বিদ্রোহকে প্রতিহত করা যায়…”
[
রেফ: মাজমু আল-ফাতওয়া : ২৮২-২৮৮]

 আল হাফিয আল মুনযিরি রাহিমাহুল্লাহ তার "আত-তাগরিব ওয়াত-তারহীব" কিতাবে, তারহীব মিন আদ-দাওয়ি ফিল ইলমি ওয়াল কুরআন অধ্যায়ে লিখেছেন যে আল্লাহ্ রাসুল সাঃ তার সাহাবীদেরকে বলেছিলেন:
তাদের (খারেজিদের) মধ্যে কি কোনরূপ কল্যাণ আছে?” (বস্তুত তাদের সমস্ত কর্মকান্ডই অকল্যাকর)

[রেফঃ ইমাম আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদিসটিকে হাসান লি ঘাইরি সহিহ ঘোষণা করেছেন আত-তারঘিব ওয়াত তারহীব: নং ১৩৫]

চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৪
খাওারিজরা এবং তাদেরকে যারা সমর্থন করে তারা সচরাচর কর্কশ, নির্দয়, এবং অল্পতেই মানুষের সমালোচনা করতে অভ্যস্ত হয়
-

 ইবনে আরযাক বিন কায়েস বর্ণনা করেছেন যে:
আমরা আল-আহওয়াজ শহরে ছিলাম যা ছিল শুকিয়ে যাওয়া এক নদীর তীরে অবস্থিত আবু বারযা আল-আসলামী একটি ঘোড়ার পিঠে চড়ে আসলেন এবং তিনি তার ঘোড়াটিকে ছেড়ে রেখে সলাত পড়তে শুরু করলেন ঘোড়াটি দৌড়ে পালিয়ে গেল, সুতরাং আবু বারযাহ তার সলাত রেখে তার ঘোড়ার পিছনে ছুটলেন যতক্ষণ না তিনি এটাকে আবার ধরে ফেরত নিয়ে আসতে পারলেন, এবং তারপর তিনি তার সলাত সম্পন্ন করলেন আমাদের মধ্যে একজন লোক ছিল যে কিনা ভিন্নমত পোষণ করত (সে ছিল খাওয়ারিজদের একজন)
সে এসে বলতে লাগলো: “দেখো এই বৃদ্ধ লোকটাকে! সে একটা ঘোড়ার জন্য তার সলাত ছেড়ে দিল তখন আবু বারযাহ আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন, “যেদিন আমি আল্লাহ্ রাসুল সাঃ এর কাছ থেকে চলে এসেছি, তখন থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আমার দোষ ধরেনি; আমার বাসা এখান থেকে অনেক দূরে, এবং যদি আমি সলাত চালিয়ে যেতাম এবং আমার ঘোড়াকে পালিয়ে যেতে দিতাম, তাহলে আমি রাত পর্যন্ত আমার বাড়িতে গিয়ে পৌছতে পারতাম না তারপর আবু বারযাহ উল্লেখ করলেন যে, তিনি নাবী সাঃ এর সংসর্গে ছিলেন, এবং তিনি তাকে (নাবী ছাঃ কে) নমনীয়তা অবলম্বন করতে দেখেছেন
[
রেফ: সহিহ আল-বুখারী ৬১২৭]

এই বর্ণনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে, কিভাবে খারেজিরা (এই সাহাবীর মতো) সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ লোকদেরকেও অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে এবং যাকে ইচ্ছা তার সমালোচনা করে তাদের সমালোচনার বিষয়বস্তু কি একজন বৃদ্ধলোক, একজন আলেম, একজন স্ত্রীলোক, নাকি একজন তরুণ, এসব বিষয়ের তারা কোন পরোয়া করে না এমনকি আজকেও আপনি দেখবেন তারা তাদের বিরুদ্ধাচারণকারী আলেমদের সাথে চরম দুরব্যবহার করে থাকে এবং যেসব আলেমদের বক্তব্যকে একসময় তারা রাত-দিন প্রচার করে বেড়াতো, তিনিও যখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন অথবা ইখতেলাফ করেন অথবা তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, তখন হয় তারা তাকে হত্যা করে, অথবা তাকে ব্যাঙ্গ করে এবং এভাবেই তাদের অতি পরিচিতস্কলারস ফর ডলারসঅথবাদরবারী শাইখজাতীয় উপাধিগুলো চালু হয়

আমরা হয়তো তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই তাদের এহেন অন্যায় আচরণের জন্য তাদের বয়সের অপরিপক্কতা আর হরমোনের অতিসায্যকে দায়ী করতে পারবো, কিন্তু এই ব্যাপারটি উপেক্ষা করা যাবে না যে দিনশেষে তারা তাদের এই কাজগুলোর মাধ্যমে তাদের নিজেদের মধ্যে খারেজীদের বৈশিষ্টগুলোকে আত্মস্থ করে ফেলেছে

ঠিক এজন্যেই ইমাম বুখারী তার এই অধ্যায়টির শিরোনাম দিয়েছিলেন:
উত্তম আদব কায়দার (আল-আদাব) বই এবং বলেছেন -
মানুষের জন্য পরিস্থিতিকে সহজ কর এবং তাদের অবস্থা কঠিন করে দিয়ো না

মুলঃ শাইখ ফায়সাল বিন কাজ্জার!
অনুবাদঃ আবু আবরার
সম্পাদনাঃ আখতার বিন আমীর

সমস্থ অডিও পেতে- https://salafimp3.blogspot.com/ 

 ► ১ম পর্বঃ বা ব্লগে পড়ুন

খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► ২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► 
৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► 
৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► 
৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► 
৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► 
৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► 
৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► 
৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম  শেষ পর্ব!
■ আরও পড়তে 
সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক -

খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► 
নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130

বল,এটিই আমার পথস্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটেhttps://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার  আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-রাসিকুল ইন্ডিয়া serch rasikulindia

Post a Comment

0 Comments