ডা.মতিয়ার রাহমান (মুতাজিলা) ফিতনা ও সতর্কতা!

ডা.মতিয়ার রাহমান (মুতাজিলা) ফিতনা ও সতর্কতা! 

আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
প্রিয় দ্বীনী ভাই ও বোনেরা -
চারদিকে হ্যামিলনের বাশিওয়ালাদের উৎপাতে যুব সমাজ দিকভ্রান্ত! শত কষ্টে এক গর্ত থেকে দ্বীনের পথে উঠে আসা সেই দূঢ় প্রত্যয়ী যুবকই আবার আরেক গর্তে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রতিনিয়ত!
কারো তুখোড় লেখনি অথবা সুমধুর লেকচার হয়ত আপনার মন কেড়ে নিতে পারে কিন্তু সেইসাথে আপনাকে পথভ্রষ্টও করে দিতে পারে!
এইজন্যই একজন সালাফ বলেছিলেন-"দ্বীনের ব্যপারে “প্রকৃত আলেম” ছাড়া অপরিচিত, অজ্ঞ লোকদেরকে আলেম মনে করে তাদের কথা বিশ্বাস করবেনা। যদি করো, তাহলে যেন তুমি তোমার দ্বীনকেই ধ্বংস করলে"!
ঠিক তেমনি একজন বাতিল আক্বীদার ধারক ও বাহক এবং প্রচারকারী হলেন মতিয়ার রহমান নামের একজন বাংলাদেশী "ডাক্তার"!

❒ প্রথমেই জেনে নিন, কে এই ডা.মতিয়ার?
----------------------------------------------------------
প্রফেসর ডা.মতিয়ার রহমান খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের জন্মগ্রহন করেন!পেশাগত জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক ও সমাজসেবক হিসেবেই পরিচিত!তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, এছাড়া ইনসাফ বারাকাহ কিডনী এন্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান!

১৯৭৯ সালের দিকে তিনি ইরাকে চলে যান এবং ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চার বছর চাকরি করেন। মুলত সেখানে গিয়ে ইরাকিদের ভাষা (আঞ্চলিক আরবি) শুনে তিনি অবাক হন এবং তার কাছে তখন ই কোরআনের ভাষাটা শিখার আগ্রহ জাগে! কোরআন পড়া শেষ করার পরপর ই তিনি হাদীস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন!কোন স্বনামধন্য স্কলারের সহবত ছাড়াই তিনি দ্বীনের জ্ঞান অর্জন অত:পর তা বিলিকরণে দেশে প্রতিষ্ঠা করেন "কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন" (কিউ আর এফ) যার চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেই দায়িত্ব পালন করছেন!
(তার বইয়ে লিখক পরিচিতি দ্রষ্টব্য)

এখন প্রশ্ন হচ্ছে,
উপরোক্ত এই যোগ্যতাগুলোই কি কারো “আলেম” হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ অথবা এমন ব্যক্তি থেকে দ্বীনের ইলম নেওয়া বৈধ কিনা? ইসলাম কি আমাদের অধো এই শিক্ষা দেয় যে, এই গুণগুলো কারো মাঝে থাকলেই সে আলেম হয়ে যাবে? অথবা তার কাছ থেকে দ্বীনের জ্ঞান নেওয়া বৈধ হয়ে যাবে? আমাদের পূর্ব যুগের মুসলমানেরা কি এইভাবে মানুষকে দ্বায়ী,আলেম হিসেবে গ্রহণ করতো অথবা দ্বীনের জ্ঞান নেওয়া বৈধ মনে করতো?
যাকে সম-সাময়িক কোন আলেমরা চিনেন না, বা যিনি আলেমদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেনি, তাঁদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনা, তাদের সহবতে থাকেন নি, এমন ব্যক্তি থেকে আপনি অন্ধের মত কি করে দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছেন? অথচ বাজার থেকে দুই টাকার একটা চকলেট কিনতে গেলেও আপনি হাজারবার যাচাই বাচাই করেন!তাছাড়া একাধিক আলেমের সতর্কীকরণ স্বত্ত্বেওশুধুমাত্র - ওমুকের লেকচার আমার ভালো লাগে, ওমুকের বই পড়ে বা ওয়াজ শুনে আমার কাছে বড় আলেম/জ্ঞানী ব্যক্তি মনে হয়, ওমুক ব্যক্তি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এই এই খেদমত করছেন ইত্যাদির অযুহাতে শরয়ী ইল্ম নেওয়া কি কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ নয়?
❒ মুতাজিলা ফিতনাঃ-
--------------------------------
শীয়া ও কাদিয়ানী ফেতনার পর এই উম্মাহর সবচেয়ে বড় ফিতনা হল বর্তমান খারিজি, মুতাজিলা ফিতনা! মুতাজিলাদের ফিতনা এতটাই মারাত্মক যে এই ফিত্নায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দ্বীনের পথে আসা কলেজ ইউনিভার্সিটির নতুন ছাত্র ছাত্রীরা। আপনি যদি ভিবিন্ন দল,মতবাদ,ফিরকা সম্পর্কে যথোপযুক্ত জ্ঞান না রাখেন তাহলে এই ফিত্নায় পড়ে যেতে পারেন যেকোন সময়!কারণ,এরা উপরে আয়নাবাজি করে দেখায় যে, এরাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত কিন্তু অন্তরে নিকৃষ্ট মুতাজিলা, মুর্জিয়া, আশারিয়াহ, কাদরিয়া সংমিশ্রণের সংকরজাত আকীদা লালন করে! তবে এইদের প্রধান আকীদা হল "মুতাজিলা"।

এদেশীয় মুতাজিলা আকিদার লালনকারী ও প্রচার প্রসারে ডা.মতিয়ার রাহমান ও তার কিউ. আর. এফ বেশ জোড়ালো ভুমিকা পালন করছে! সেই সাথে তিনি নিজের বিষাক্ত মতাদর্শকে আওয়ামের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বেশ কিছু সেবাও চালু রেখেছেন, তার মধ্যে একটি হল ফ্রি চিকিৎসা, অপরটি হল পানির দরে নিজের লিখিত বই বিক্রয় করা!তাছাড়া আলেমদেরকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে ফটোসেশনের নামে আই ওয়াশও করছেন হামেশাহ!এই লোকটা একে একে ইসলামের নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি গ্রন্থ প্রকাশ করেন! যা একজন মুসলিমকে অন্ধকারে তরান্বিত করতে যথেষ্ট!
তন্মধ্যে কিছু বই হল--
✍ Common sense -এর গুরুত্ব কতটুকু এবং কেন’,

✍ সবচেয়ে বড় গুনাহ শিরিক করা নাকি কোরআনের জ্ঞান না থাকা"?

✍ শাফায়াত দ্বারা কবিরা গুনাহ বা দোযখ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কি"?

✍ "মৃত্যুর সময় ও কারণ প্রচলিত তথ্যটির প্রকৃত ব্যাখ্যা"!

❒ আমাদের আপত্তিঃ-
--------------------------------
কুরআন-হাদীসের পর পরই শরীয়তের তৃতীয় দলীল হিসেবে তিনি নিজের আক্বল বা বিবেককে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন! কমনসেন্সের গুরুত্ব নিয়ে লিখা বইতে বিস্তারিত পাবেন!
তার স্লোগান টা হল-“কুরআন, হাদীস, আকল”!
অর্থাৎ কুরআন হাদীসের পাশাপাশি নিজের আক্বল দিয়েও বিচার,বিবেচনা করতে হবে!
তারমানে আওয়ামের হাতে অস্র তুলে দিচ্ছেন আক্বল দিয়ে হাদীস নির্ণয় করতে!এই কারণেই আক্বলকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মুতাজিলারা বুখারি,মুসলিমের হাদিসকেও ইনকার করতে দ্বিধাবোধ করেন না!

আহলে সুন্নাহ ওয়া জামায়াতের সকল ইমামের মতে ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সা: এর সুন্নাহ, মানুষের বিবেক-বুদ্ধি নয়। মানুষের বিবেক ও বুদ্ধি যদি কুরআন ও হাদীসের অনুকুলে হয় এবং কোন তথ্য ও রহস্য বুঝতে সক্ষম হয় তাহলে সেটা গ্রহণীয়। আর যদি কোন বিষয়ের বা হুকুমের রহস্য বিবেক দ্বারা বুঝতে না পারলেও তার উপর বিশ্বাস রাখা জরুরী। এমন কি কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত কোন মাসআলা আপাতদৃস্টিতে মানুষের বিবেকের বিরোধী মনে হলেও বিবেকপ্রসুত কথা বাদ দিয়ে কুরআন ও হাদীসের কথাই মেনে নিতে হবে। কারণ কুরআন ও হাদীসের বাণী ভুলের উর্ধে, আর মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধি ভুলের উর্ধে নয়।
মুলত,বিবেককে কুরআন ও হাদীছের দলীলের উপর প্রাধান্য দেওয়ার কারণেই মুতাযেলা সম্প্রদায় দ্বীনের অনেক বিষয় অস্বীকার করেছেন যা কুফুরি পর্যায়ের!
-
ডা.মতিয়ারের মতে কবিরা গুনাগার ব্যক্তি শাফা"আত পাবেনা!এমনকি সাধারণ কবীরাগুনাহগার মুমিনকেও তিনি চিরস্থায়ী জাহান্নামী মনে করেন! তার লিখিত "শাফা'আত দ্বারা কবিরা গুনাহ বা দোযখ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কি" বইয়ের দালিলিক জবাব দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় কামাল আহমাদ ভাই তার "কবিরা গুনাগার মুমিনের নাজাত ও সাফা'আত"নামক বইতে!
বই দুইটি পড়ে নিতে পারেন!
-
ডা.মতিয়ারের কাছে শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ নয় বরং সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো কুরআনের জ্ঞান না থাকা। তিনি এই থিউরি টি পেশ করেছেন তার লিখিত বই "সবচেয়ে বড় গুনাহ শিরিক করা নাকি কোরআনের জ্ঞান না থাকা"!!!
প্রশ্ন হল -
বিগত ১৪ শ বছরের মধ্যে কোন "আহলুল ইল্ম" কি এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, শিরিকের চাইতেও বড় গুনাহ, এমনকি সবচেয়ে বড় গুনাহ হল কোরআন না বুঝা ? অথচ তারাই ছিলেন এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান!
যেখানে আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন শিরিক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম, আল্লাহতালা চাইলে শিরিক ছাড়া সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিতে পারেন অথচ ডা.সাহেবের
থিউরি অনুযায়ী প্রতিটি মানুষেরই কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জ্ঞান থাকা ফরজ এবং এই ফরজ তরককারী মুশরিকের চাইতেও বড় গুনাহগার (ইন্নানিল্লাহ...)

একজন আওয়াম কি কোরআনের পরিপূর্ণ (A to Z) জ্ঞান হাসিল করতে সক্ষম অথবা প্রতিটি মানুষকেই কি মুফাসসির হওয়া জরুরী?
মুলত আল্লাহর কিতাব তথা আল কুরআনের জ্ঞান সকলেরই থাকা ফরজ তবে তা সমগ্র দ্বীনের কিছু অংশ সম্বলিত আর বাকি জ্ঞানগুলো সকলের থাকা আবশ্যক নয়, তাছাড়া সকলের দ্বারা তা সম্ববও নয় তাই ওলামাদের সেই জ্ঞান থাকলেই আম-জনতার শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যায়! অথচ ডাক্তার সাহেব প্রত্যেক মানুষকেই মুফাসসির বানিয়ে দিচ্ছেন! আর যদি আপনি তা না হতে পারেন তবে শিরিকের চাইতেও বড় গুনাহ তে লিপ্ত রয়েছেন! যা একেবারেই নতুন মতবাদ বৈ কিছুই নয়!!

✍ আল্লামাহ ফাওজান হাফিজাহুল্লাহর একটা কথা বারবার মনে পড়েঃ
শাইখ হাফিয্বাহুল্লাহ বলেছেন -
“বর্তমানে অন্য অনেক ফেতনার সাথে এই উম্মত সবচাইতে বড় যে ফেতনার সম্মুখীন সেটা হচ্ছে, অনেক দ্বায়ী আছে যারা ইলম ছাড়া মানুষকে দ্বীনের দিকে আহবান করছে।”

✍ তাইতো বহুদিন পূর্বে শাইখুল ইসলাম ঈমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন -
“দুনিয়াকে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে আধা বক্তা, আধা ফকীহ, আধা ডাক্তার এবং আধা ভাষাবিদ। এদের একজন (আধা বক্তা) দ্বীনকে ধ্বংস করে, অপরজন (আধা ফকীহ) দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে। আধা ডাক্তার মানুষের শরীরকে নিঃশেষ করে। আর আধা ভাষাবিদ ভাষাকে বিনষ্ট করে।”
[মাজমাউল ফাতাওয়াঃ খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১১৮]
এখন হয়ত পাঠকগন প্রশ্ন করতে পারেন,তারমানে আমরা কি ডা.মতিয়ারকে পুরোপুরি বয়কট করব?
তাদের উদ্দেশ্যে এতটুকুই বলবো - যদি আপনার শারিরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং ভাল সার্জন্ট খুঁজে না পান অথবা যদি পিত্ত থলিতে অপারেশন করানো জরুরী মনে করেন সেই ক্ষেত্রে আপনি তার পরামর্শ, সেবা, সাজেশন্স নিতে পারেন যেহেতু তিনি একজন বড় মাপের ডাক্তার আর বিষয়টা দুনিয়ার সাথে রিলেটেড!
কিন্তু ভুলেও তার লেকচার, বই বা লিখনি থেকে দ্বীনের জ্ঞান হাসিল করতে যাবেন না। কেননা তা দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত!

✍ এ প্রসঙ্গে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহঃ)র একটি সতর্কবাণী উল্লেখ করছি!তিনি বলেছেন,
‎إنَّ هذا العلم دين ؛ فانظروا عمَّن تأخذون دينكم
নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো।
সর্বশেষ,

❒বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন ও ফক্বিহ আল্লামাহ মুহাম্মাদ ছলেহ আল উসায়মিন রাহিমাহুল্লাহ'র' একটি তৎপর্যপূর্ণ বচন দিয়েই শেষ করছি!

✍শায়খ রাহিমাহুল্লাহ বলেন -

"অনেক মানুষকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, কিন্তু অর্জিত সেই জ্ঞান অনুধাবন করার মতো ক্ষমতা তাদেরকে দেওয়া হয়নি। না বুঝে শুধু কুর'আন মাজীদ ও হাদীস মুখস্থ করাই যথেষ্ট নয়। বরং অবশ্য-ই আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের মর্মার্থ আপনাকে বুঝতে হবে।

ঐ লোকদের দ্বারা কতইনা ত্রুটি-বিচ্যুতি সংঘটিত হয়েছে, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের মর্মবাণী না বুঝেই সেটাকে দলীল হিসেবে পেশ করছে, যার ফলে তাদের অনুসারীদের মাঝে অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়েছে।”
আল্লাহু মুস্তা'আন।

❒রেফারেন্সঃ
(ফাতওয়া আরকানুল ইসলাম, ঈমান অধ্যায়)

নিশ্চয় আল্লাহই পারেন পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে। এই আলোচনায় কারো যদি কোনো উপকার হয়ে থাকে, নিশ্চয় তার সকল প্রশংসা আল্লাহর! আর যদি এই আলোচনায় কোনো ভ্রান্তি থাকে তা নিশ্চয়ই আমার সীমাবদ্ধতা!

আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আমাদের সকলকে ' আল্লাহর কিতাব তথা "আল কুর'আন" ও "রাসুলের হাদীস' কে সালফে সালেহীনদের মতো করে বুঝে,
এবং সে-অনুযায়ী বেশী-বেশী নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
❒ সংকলনঃ
আখতার বিন আমীর
(সহযোগীতায় -- একজন দ্বীনীভাই)