Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

খারিজী থেকে সাবধান!! (হে যুবক তোমাকেই বলছি)

 খারিজী থেকে সাবধান!! (হে যুবক তোমাকেই বলছি)
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।

■ সুচনাঃ

ইসলামের ইতিহাসজুড়ে, সময়ের পরিক্রমায় অসংখ্য গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল যারা এই ধর্মের ব্যাপারে মৌলিকভাবে নতুন ও বিচিত্র ধরনের সব চিন্তাধারা প্রবর্তন করে এসেছে। এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম সহিংস গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল ৬৫৬ থেকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত আলী (রাঃ) এর খিলাফতে রাজনৈতিক কোন্দলের সময়, যারা ‘খারিজী’ নামে পরিচিত ছিল। এক মৌলিক রাজনৈতিক চিন্তাধারা থেকে এদের উত্থান হয়েছিল, যা পরবর্তীতে চরমপন্থায় রূপ নেয় এবং অন্য সকল মুসলিমদের চিন্তাধারা থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। যদিও মুসলিম বিশ্বে তারা কখনোই বড় রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় শক্তিতে পরিণত হতে পারেনি, তবুও তাদের সময়ে তাদের প্রভাব ছিল অনেক বেশী। তাদের এই চিন্তাধারা সময়ের পরিক্রমায় গত ১৪০০ বছর ধরে অসংখ্যবার একই ধরনের অন্য অনেক গোষ্ঠীর মাঝে পুনরাবৃত্ত হয়ে এসেছে যা আজও চলমান।

✍ প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
আমি যদি তাদেরকে( খারিজীদেরকে) পাই তাহ’লে ‘আদ’ জাতির মত হত্যা করব।

বুখারী হা/৭৪৩২; মুসলিম হা/১০৬৪; মিশকাত হা/৫৮৯৪।

✍ উস্তাযুল আলেম, ইমাম আব্দুল আ’জিজ বিন বাজ রহি’মাহুল্লাহ বলেন -
“হক্কপন্থী লোকেরা যদি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা, সেই কথা বর্ণনা না করতো, তাহলে ভ্রষ্টতার শিকার হয়েছে এমন লোকেরা তাদের ভুলের উপরেই থেকে যেত। তখন সাধারণ লোকেরা অন্ধভাবে সেই ভ্রষ্টতার অনুসরণ করতো। সুতরাং যারা সত্য জেনেও চুপ করে ছিলো, লোকদের পথভ্রষ্ট হওয়ার পাপ তাদের উপরেও পড়তো।”

মাজমু ফাতাওয়াঃ ৩/৭২।

► ওয়া'বাদ,
প্রথমেই শাইখ ফায়সাল আল জাসিম হাফিয্বাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত সমমনা খারিজী সংগঠন আল কায়েদা ও আই এস এর আকিদা সম্পর্কে জেনে নিন।

► লিংকঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1108748282619256&id=100004522838130

✍ ফাজিলাতুস শাইখ আল আল্লামাহ ড.সালিহ আল ফাউঝান হাফিয্বাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে "আজকের সন্ত্রাসীরা কি খারিজী?

► [নোটঃ প্রশ্নকারী ঐ দলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছেন যারা বর্তমানে মুসলিমদেরকে ত্যাগ করেছে এবং তাদের বিরোধিতা করেছে। তারা বোমা হামলা ঘটায় আর মানুষদেরকে আতঙ্কিত করে, অথচ সেখানে একসময় মানুষজন নিরাপদ বোধ করতো। এরা(সমমনা উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো) কি সত্যিই খাওয়ারিজদের অন্তর্ভুক্ত নাকি এরা কাফের?]

উত্তরে যুগ শ্রেষ্ঠ ফাকিহ আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ বলেন,

"এই দলগুলো মুসলিমদেরকে ত্যাগ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে- এ হচ্ছে আলেমদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার পরিনাম। এর পরিণতি সম্পর্কে আমি এর আগের একটি লেকচারের শেষভাগে বলেছি। তারা আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, মুসলিম শাসকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, এবং কাফেররা এবং মুনাফিকেরা এই সমস্ত আদর্শ তাদের মাথায় ঢুকিয়েছে। সুতরাং তারা মুসলিমদের সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পরেছে। এরা খারেজী, নিঃসন্দেহে। তাদের এই কাজ হচ্ছে খারেজীদের কাজ। বরং তারা পূর্বেকার
(প্রথম যুগের) খাওয়ারিজদের থেকেও অধিক হিংস্র আর চরমপন্থি।

কেননা, আগের দিনের খারেজিরা যুদ্ধের ময়দানে মুখোমুখি এসে দাঁড়াতো। তারা যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করতো অজ্ঞতার উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকার পরেও। কিন্তু তারা সমস্ত বাসিন্দা সহ বাড়িঘর ধসিয়ে দিত না- যেখানে মহিলা, শিশু, নিরপরাধ মানুষ, এবং ঐ সব লোক যারা মুসলিমদের কোন ক্ষতি করেনি, যাদের সাথে মুসলিমদের সন্ধি আছে, এবং অন্যান্যরা (যাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে) এমন সব মানুষ আছে।

পূর্বের খাওয়ারিজরা এরকম করতো না, এরা (বর্তমান খারিজীরা) হচ্ছে আরও খারাপ এবং পূর্বেকার খাওয়ারিজরা যা করতো তার থেকেও বেশী হিংস্র। এসব কাজ বরং ‘কারামিতাহ’ (একটি অতিমাত্রায় হিংস্র, পথভ্রষ্ট ফিরকা) এর সাথে বেশী মিলে যায়। তারা কারামিতাদের সাথেই অধিক মিল রাখে কেননা কারামিতাদের কার্যক্রম হয় গোপনে, তারা গোপনীয়তা আর নিচুতার সাথে তাদের কাজকর্ম করে থাকে আর আজকের এই লোকগুলো যা করে তাও তারা গোপনেই করে। আগেকার দিনের খাওয়ারিজরা- তাদের কাজকর্ম গোপন আর লুকায়িত রাখত না। তারা নিজেদের পরিচয় এবং তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রচার করে বেড়াতো, প্রকাশ করে দিত। সুতরাং এই লোকগুলো (পূর্বের) খাওয়ারিজদের থেকেও নিকৃষ্ট।

[আল ফাতাওয়া আশ শার'ইয়িয়্যাহ ফীল ক্বাদায়া আল 'আসরিয়্যাহ]

■ মুল প্রসংগে আসা যাকঃ

আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশ নিয়ে আল-কায়েদার endgame টা কি তা হয়ত অনেকেরই অজানা। আপনি যদি তাদের বইপত্র ঘাটাঘাটি করেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে, বাংলাদেশের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলা সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে:

► প্রথমে যেকোনো উপায়ে সেই দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করে তোলা।

► তারপর যখন আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়, তখন নিজেরা অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশের কিছু এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়া।

► তারপর সেখান থেকে বাকি ভূখণ্ডের উপর এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে হামলা পরিচালনা করা। তাদের ধারণা যে এইভাবে তাদের ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হয়ে যাবে।

এই মুহূর্তে তাদের সেই পরিকল্পনার প্রাথমিক ধাপ চলছে, যেই ধাপে তারা নিজেদের জন্য সমর্থনের একটা শক্তিশালী base তৈরি করে নিতে চায়। ২০১৩ সাল থেকে চলে আসা ব্লগার হত্যাসহ, আল-কায়েদা এই পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার সবই ছিল জনসমর্থন পাওয়ার জন্য এক ধরণের পাবলিসিটি স্টান্ট। তারা বেছে বেছে সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত লোকগুলোকে হত্যা করেছে, যাতে করে সাধারণ মানুষের মনে তাদের জন্য একটা সফট কর্নার তৈরি হয়।

ফেবু সেলিব্রেটি আসিফ আদনান কিংবা আলি হাসান উসামা এবং তাদের মতো আরও যারা আছে, এরা আল-কায়েদার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরা তরুণ প্রজন্মের কাছে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হয়ে তাদেরকে চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অল্প জ্ঞান আর অধিক আবেগসম্পন্ন তরুণদেরকে তারা প্রকৃত আলিমদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে আর তাদেরকে সহিংসতার দিকে লেলিয়ে দিচ্ছে। এই সব কিছু করার উদ্দেশ্য আর কিছুই না, শুধু ভবিষ্যৎে আত্মঘাতী বোমা হামলা করার জন্য একপাল ব্রেইনওয়াশড সন্ত্রাসী তৈরি করা, যারা তাদের নেতার ইশারায় একটা বাচ্চাদের স্কুলের সামনে বোমা ফাটিয়ে দেয়ার আগেও দুইবার ভাববে না।

সত্যিই যখন তারা তাদের এসব নাশকতামূলক কাজ চালাবে, তখন পৃথিবীর অন্য দেশগুলো বসে থাকবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা আল-কায়েদা এলিমেন্টরা যদি অন্য কোন দেশে গিয়ে হামলা করে, তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে সেই দেশ আল-কায়েদা মারার কথা বলে বাংলাদেশে এসে ঢুকবে। আজকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে যেমন সাধারন মানুষের উপর ড্রোন হামলা হয়, সেসব এখানেও হবে। হতে পারে আপনি তখন বাজার করতে গিয়ে অথবা ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরবেন। হয়তো লাশটাও পাওয়া যাবে না।
আর যদি বাইরের দেশের সৈন্যরা এদেশে ঘাটি গেড়ে থাকতে শুরু করে তাহলে তো কথাই নাই। শুরু হবে চেকপোস্টের নামে হয়রানি, রেইড দেয়ার নামে রাত ৩ টায় মানুষের বাসার দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পরিবারের কর্তাকে গুলি করে মেরে ফেলা, জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে যে কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন… আরও বহু কিছু।

এসব তো শুধু প্রফেশনাল আর্মি যা করতে পারে সেগুলি। প্রতিশোধপরায়ন হয়ে (বা জাস্ট তাদের মুসলিম বিদ্বেষ ফলানোর সুযোগ পেয়ে) কোন দেশ যদি তাদের নিজেদের উগ্রপন্থী দলগুলিকে, কিংবা প্রাইভেট মিলিটারি কন্ট্রাক্টর বা ভাড়াটে সৈন্যদের এখানে এনে ছেড়ে দেয় তাহলে অবস্থাটা কি হবে ভেবেছেন? আপনি আমি যেভাবে ক্ষুধা লাগলে দোকান থেকে আলুর চিপস কিনে নিয়ে আসি, ওরাও সেভাবে আপনার বাসা থেকে আপনার মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাকে ধরে নিয়ে যাবে উপভোগ করার জন্য। যাওয়ার আগে হয়তো আপনার দুই হাঁটুতে গুলিও করে দিয়ে যাবে। নিজের রক্তের ছোটখাটো একটা ডোবায় শুয়ে আপনি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবেন। ততক্ষণে আপনার করার মতো কিছুই থাকবে না।

আর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো চলতে থাকবে আল-কায়েদার উৎপাত। এরা কিছুদিন পর পর এখানে ওখানে আত্মঘাতী হামলা করবে। প্রতিপক্ষের একটা লোককে হত্যা করার জন্য ওরা একশ জন সাধারণ মানুষকে মারতেও দ্বিধা করবে না। আবার তাদের উপস্থিতির অজুহাত দিয়ে বহিঃশত্রুরাও এদেশে তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করবে, নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকবে। আর তাদের করা জুলুমের দোহাই দিয়ে আল-কায়েদাও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকবে আর নতুন নতুন জম্বিকে তাদের দলে টানতে থাকবে। পুরো পরিস্থিতিটা একটা Downward Spiral বা দুষ্টচক্রে পরিণত হবে, যেখান থেকে বের হয়ে আসতে আমাদের দেশের হয়তো কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে।

এতক্ষণ আমি যা কিছু বলেছি তার বেশীর ভাগই এখনও আমাদের সাথে হয়নি। কিন্তু সিরিয়ার অধিবাসীরা আমাদের মতো এতো সৌভাগ্যবান না। উপরে বর্ণিত দুঃস্বপ্নই তাদের প্রতিদিনকার জীবন। তাদের জন্য দু’আ করা আর তাদেরকে আর্থিক সাহায্য পাঠানো ছাড়া আর কোনভাবে তাদেরকে সাহায্য করা এই মুহূর্তে আপনার আমার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু যে কাজটা করা এখনও আমাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, তা হচ্ছে আল-কায়েদার এই ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার চলমান ধাপটাকে বাধাগ্রস্ত করা, আমাদের দেশকে কেন্দ্র করে তারা যে ষড়যন্ত্র করেছে তা শুরুতেই বিফল করে দেয়া। তাদের এদেশীয় এজেন্ট/রিক্রুটারদেরকে ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আপনিও তাদেরকে প্রতিরোধ করায় ভূমিকা রাখতে পারেন।

অনলাইনে বা অফলাইনে যারা সক্রিয়ভাবে আল-কায়েদার প্রচার প্রচারণা করে বা তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে তাদের কথার রেকর্ডিং, অথবা অনলাইনে তাদের লেখার স্ক্রিনশটসহ পূর্ণ ডকুমেন্টস নিয়ে আপনার নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যালয়ে বিষয়টা অবহিত করুণ।

■ আই এস,আল-কায়েদাসহ সমমনা চরমপন্থী দলগুলোর প্রচারণাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার শরয়ী বৈধতা সম্পর্কে আল্লামাহ ড.সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ-কে প্রশ্ন করা হয় যে,

হে সম্মানিত শাইখ! আপনি তরুণদের মধ্যে এমন কয়েকজনকে দেখবেন যারা বোমা হামলা এবং এরকম আরও যা কিছু ঘটেছে সেগুলোকে খারাপ মনে করে না, তারা এগুলোকে সমর্থন করে, অথবা এসব দলের কোন কোন কাজের পক্ষে কথা বলে এদের ব্যাপারে আমাদের করণীয় কি?

জবাবে শায়খ (হাফিয্বাহুল্লাহ) বলেন,
"এরকম একজন ব্যক্তি দুইটি জিনিসের যেকোনো একটি হবে:

১. হয় সে অজ্ঞ!
জ্ঞানের অভাবের কারণে সে তাদের (সন্ত্রাসীদের) সম্পর্কে সু-ধারণা রাখছে। এবং এরকম একজনের কাছে, আপনি তার ভুল ধরিয়ে দিবেন, এবং তার কাছে ব্যাখ্যা করবেন, যতক্ষণ না এদের সম্পর্কে তার ভুল ধারণা দূর হয়ে যাবে।

অথবা

২. সে তাদের একজন!
সে তাদের ধারণাগুলোকে সমর্থন করে। সে তাদের মতই একই জিনিস বিশ্বাস করে এবং তাদের ধারণাগুলোই বহন করে। তার কাছেও আপনি সত্যি কথাটা খুলে বলবেন, যাতে করে হয়ত সে ফিরে আসবে। যদি সে ফিরে না আসে (সত্যের দিকে), তাহলে তার অপরাধ তার উপরেই বর্তাবে। যদি না এমনটা প্রতীয়মান হয় যে সে নিজেই শান্তি এবং নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে পারে এবং অপর মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে পারে; সেক্ষেত্রে তার ব্যাপারে কতৃপক্ষকে সতর্ক করা বাধ্যতামূলক হবে। যদি তার কাছ থেকে এমন কিছু আঁচ করা যায় যা শান্তি ও নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটাবে অথবা সে হয়তো অন্য মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করবে অথবা সে যদি তরুণদেরকে তার গোমরাহির দিকে আহ্বান করে, তাহলে তাকে অবশ্যই ধরিয়ে দিতে হবে বা তার ব্যাপারে তথ্য দিতে হবে যাতে তাকে থামানো যায়।

[ফাতাওয়া আশ শার'ইয়িয়্যাহ ফীল ক্বাদায়া আল 'আসরিয়্যাহ]

■ শেষ কথা,

অনলাইন অথবা অফলাইনে যারতার কাছ থেকে দ্বীনের ইলম (জ্ঞান) হাসিল করতে যাবেন না! এতে আপনিও নিজ অজান্তেই চরমপন্থীদের একজনে রুপান্তরিত হতে পারেন! সেই সাথে তাকফিরি, খারেজী মানহাজের এবং হিজবী টাইপের নিম্নের লেখক ও বক্তাগন থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন!

● আরব বিশ্ব থেকে -
 

⦁ সাইয়েদ কুতুব
⦁ উসামা বিন লাদেন
⦁ সফর আল-হাওয়ালী
⦁ সালমান আল-আওদাহ
⦁ মুহাম্মদ আল-সুরুর
⦁ সুলায়মান আল-আলওয়ান
⦁ হামুদ আল-উকলা
⦁ নাসির আল-ফাহাদ
⦁ আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসি
⦁ আব্দুল্লাহ আযযম

● অন্যান্য দেশ সমূহ থেকে কিছু বক্তা -
⦁ জসিম উদ্দিন রাহমানী
⦁ আনোয়ার আল-আওলাকি
⦁ আবু কাতাদাহ
⦁ Shake ফয়সাল
⦁ আহমাদ মুসা জিব্রীল
⦁ আনজেম চৌধুরী
.
● তাকফিরি, খারেজী এবং হিজবীদের সমর্থক কিছু ওয়েব সাইট ও পেইজ যা থেকে সতর্কতা আবশ্যকীয়!
⦁ kalamullah. com
⦁ Rain Drops
⦁ সুতরাং
⦁ Know Your Deen
⦁ What Islam Says: (Know The True Islam)
⦁ SALAT
⦁ তাওহিদের পতাকা
⦁ authentic tawheed
⦁ Salafi not Madkhali

● Youtube এ বিভিন্ন খারেজী চ্যানেলসমুহঃ
⦁ Titumir Media
⦁ Sheikh tamim al adnani
⦁ Tamim Al Adnani
⦁ Al-Qadisiyyah Media
⦁ Muslim Ummah
⦁ Ummah Network
⦁ Ummah Network HD
⦁ Balakot Media
⦁ Sheikh Jashim Uddin Rahmani
⦁ Islamic guidance
⦁ Anwar Awlaki
⦁ Ahmed Musa Jibreel
⦁ Life Change bd
⦁ Voice of islam
⦁ Bod Or
⦁ Raindrops Media
⦁ AhmadMusaJibril
⦁ Salman Al Farsi 344
⦁ আল আনসার ম্যাগাজিন
⦁ শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী
⦁ শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরি
সর্বশেষ, চরমপন্থীদের বইপত্র ছাপায় এমন প্রকাশনীগুলো থেকেও সর্বদা সতর্কতা আবশ্যিক!

নিশ্চয় আল্লাহই পারেন পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে। এই দীর্ঘ আলোচনায় কারো যদি কোনো উপকার হয়ে থাকে, নিশ্চয়ই তার সকল প্রশংসা আল্লাহর! আর যদি এই আলোচনায় কোনো ভ্রান্তি থাকে তা নিশ্চয়ই আমার সীমাবদ্ধতা!
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ সংকলনঃ
আল্লাহর এক গুনাহগার বান্দা,
আখতার বিন আমীর
Overview

Post a Comment

0 Comments