চরমপন্থি জসিমউদিন রাহমানির হাকিকত ও সতর্ককরন??
চরমপন্থি জসিমউদিন রাহমানির হাকিকত ও সতর্ককরন??
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বাংলাদেশী একজন চরমপন্থি ওলামায়ে' ছু জসীম উদ্দিন রাহমানীর সাথে, যাকে তার অন্ধ ভক্তরা "জিহাদী আলেম" বলে ডাকে! এদেশীয় জংগী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গুরু হিসেবে পরিচিত এই রাহমানির বক্তব্যের ভাষা ও চরিত্র, একজন আলেম হওয়াতো দূরের কথা সাধারণ একজন ঈমানদারের চরিত্রের সাথেও সামজস্যপূর্ণ নয়।এই লোকটা যত্রতত্র এককভাবে জিহাদের ঘোষণা সহ বহু মারাত্মক ফতওয়া দিয়েছেন যার ফলে তার ভক্তবৃন্দের মাঝে ব্যাপক উগ্রতা ফয়দা হয়েছে!
জসীম উদ্দিন রাহমানী এদেশে খারিজি মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বপ্রথম যেই সমস্ত আলেমগন তাকফিরী খারেজী মানহাজের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি সরব তাদেরকে টার্গেট করে! একের পর এক সালাফি আলেমদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করে। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিলো - সত্যিকারের আলেমদের ব্যপারে মানুষের মনে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে দেওয়া, যাতে করে তারা এসকল আলেমদের কোন কথা না শুনে। আর সাধারণ মানুষ যদি আলেমদের কথা না শুনে, ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না হয়, তাহলে মূর্খ ও বেদাতী লোকেরা নিজেদের মন মতো যা খুশি কোরআন হাদীসের অপব্যখ্যা করলেও তারা বুঝতে পারবেনা কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
এইজন্য বর্তমানে আমরা দেখতে পাই, ক্বোরআন হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে কোন কিছু বললেও জসীম উদ্দিন রাহমানীর অন্ধ ভক্তরা শয়তান, কাফেরদের এজেন্ট, পা চাটা গোলাম, দরবারী, দালাল, মুনাফেক, আহলে খবিস ইত্যাদি নোংরা ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করে। হয়তোবা, প্রমানসহ পোস্ট দেওয়ার পরেও এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও গালি-গালাজ শুরু করবে।
কোন ঈমানদারের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি কোন ঈমানদার সম্পর্কে এমন কিছু বর্ণনা করে যা তার মধ্যে নেই, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জাহান্নামীদের ঘাম, রক্ত ও পূজের মাঝে রাখবেন, যতক্ষণ না সে যেই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তার দায় থেকে মুক্ত হয়।”
মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ।
একজন সাধারণ ঈমানদার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলার শাস্তি যদি এই হয়, তাহলে যারা আলেম, যারা সত্যিকারের নবী-রাসূলদের ওয়ারিশ, তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে আলেমদের থেকে দূরে সরানোর জন্য মিথ্যা তোহমত দেওয়া কত বড় জঘন্য কাজ হতে পারে?
যাই হোক,চরমপন্থি জসীম উদ্দিন রাহমানী জেনে-বুঝে সালাফী ওলামাদের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন তা দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট!
একটি ওয়াজে এই কাজ্জাব দাবী করেছে সালাফী আলেমরা নাকি বুকে হাত না বাঁধলে,জোরে আমিন না বললে, রফউল ইয়াদাইন না করলে কাফের বলে! (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।
লিংকঃ -https://youtu.be/WW-2K9V7dko
জবাবঃ দুনিয়ার কোন আলেম, হোক তিনি আরবীয় অথবা উপমহাদেশীয় অথবা এদেশীয় কেউ ই ফিকহি বিষয় নিয়ে কাউকে তাকফির করেন নি! কেননা, এই আমলগুলো ছেড়ে দিলেও তা কুফুরির পর্যায়ভুক্ত নয়!
সালাফী আলেমের মতামত হল এই সুন্নাতগুলো ছেড়ে দিলেও আপনার ছালাত হয়ে যাবে তবে ছাওয়াবের তারতম্য হবে! অর্থাৎ যত সুন্নাত ছাড়বেন ততই ছাওয়াব কমতে থাকবে!
মূলত সালাফি আলেমদের সাথে শত্রুতাবশত তাঁদের নামে মিথ্যা কথা বলে জসীম উদ্দিন রাহমানী তার ভক্তদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ সহ সমস্ত সালাফী আলেমরা নামাযে বুকে হাত বাঁধা, জোরে আমীন বলা, রাফউল ইয়াদাইন করাকে সুন্নত বলে ফতোয়া দিয়েছেন! কোন আলেমই এইগুলোকে নামাযের ফরয-ওয়াজিব বলেন নি। আর আমরা সকলেই জানি, নামাযের যেইগুলো শুধু সুন্নত, ফরয-ওয়াজিব নয়, সেইগুলো কেউ না করলেও তার নামায হয়ে যাবে, শুধু সওয়াব কম হবে। এইগুলো না করলে কাফের বলার প্রশ্নই আসেনা। একজন সাধারণ তালেবুল ইল্মও জানে এগুলা ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় নয়। অথচ, আলেমদের সাথে শত্রুতা ও নিজের অন্ধ জেদের কারণেই কি নিকৃষ্ট মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছেন কথিত এই জিহাদী আলেম(!)
এছাড়া একই বক্তব্যে আরেকটি মিথ্যাচার করেছে তা হল- সালাফী আলেমরা নাকি আল্লাহর আইন যারা মানেনা তাদেরকে ডালাওভাবে অনুগত্য করার কথা বলেছেন, তাদেরকে কাফের বলেনা!!!
মুলত সত্যিকারের আলেমরা শরিয়াহ দিয়ে দেশ পরিচালনা না করলে ঢালাওভাবে কাউকে কাফের ফতোয়া দেন না। কারণ, আল্লাহতালা তাদের সবাইকে কাফের বলেন নি,বরং কাউকে কাফের বলেছেন, অন্যদেরকে (কবীরাহ গুনাহতে) লিপ্ত ফাসেক-জালেম বলেছেন। সুতরাং, আকীদা অনুযায়ী আল্লাহর আইন দিয়ে কেউ বিচার না করলে হতে পারে সে বড় কাফের, হতে পারে সে বড় পাপী ফাসেক, জালেম – কিন্তু ঢালাওভাবে কাফের বলা খারেজীদের লক্ষণ। কারণ, খারেজীরা ফাসেক, জালেম মুসলমানদেরকে কাফের বলে ফতোয়া দিতো।
ইনশা আল্লাহ এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে
কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্সসহ এই শতাব্দীর দুইজন স্বনামধন্য আলেমের ফতওয়া তুলে ধরব!
আমাদের দেশের একজন স্বনামধন্য আলেমেদ্বীন ডা খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাংগীর রাহঃ খারেজীদের মুলৎপাটন ও জেএমবির মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ‘ইসলামের নামে জংগীবাদ’ নামক একটি বই লিখেন। যেহেতু জেএমবির মত খারিজি গ্রুপ গুলোর সাথে জসীম উদ্দিনের চিন্তা-ভাবনার মিল আছে, তাই সে আব্দুল্লাহ জাহাংগীর রাহঃকে ‘জাতীয় দালাল’ বলে গালি দিয়েছে।
লিংক – ১৭ মিনিট থেকে শুনুন-
http://taifaalmansurah.wordpress.com/…/attack-of-shaitan-t…/
এছাড়া, চরমপন্থি জসীম উদ্দিন ‘রাহমানি "একজন দরবারী আলেমের বক্তব্যের প্রতিবাদ’ নামে একটা লেকচার দেয় আমেরিকান বক্তা নোমান আলী খানের বিরুদ্ধে। কেন জানেন?
নোমান আলী খান রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধে ইয়াহুদীদের বানানো সিনেমার প্রতিবাদে অনেক মুসলমানের মুসলিম দেশগুলোতে বেহুদা ভাংচুর ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলেছিলো কারণ ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে মুসলমান দেশে ভাংচুর আসলে মুসলমানদেরই ক্ষতি, কাফেরদের কোন ক্ষতি নেই, বরং মুসলমানেরা নিজেরাই নিজেদের সম্পদ নষ্ট করেছে দেখে তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসাহাসিই করবে। সেই লেকচারে সে সরাসরি নোমান আলী খানকে দরবারী আলেম, ইয়াহুদীদের দালাল, ইয়াহুদীদের চাইতে নিকৃষ্ট বলে ফতোয়া দিয়েছে!(আউজুবিল্লাহ)
হতে পারে নোমান আলী খানের কিছু কথা সঠিক নয়, তাই বলে সে দরবারী (তাগুতের টাকা খেয়ে ফতোয়া পরিবর্তন করেছেন), ইয়াহুদীদের দালাল – এই কথা কেউ কোনদিন প্রমান করতে পারবে? কারো কথা আমার ভালো লাগেনা তাই বলে আন্দাজে মানুষের সম্পর্কে যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় এমন ব্যক্তিকে যারা আলেম মনে করে – এদেরকে আল্লাহ হেদায়েত করুন এর চাইতে বেশি আর কি বলা যেতে পারে!!!
http://sahih-akida.simplesite.com/…/%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A…
চরমপন্থি জসিমউদিন রাহমানির হাকিকত ও সতর্ককরন??
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বাংলাদেশী একজন চরমপন্থি ওলামায়ে' ছু জসীম উদ্দিন রাহমানীর সাথে, যাকে তার অন্ধ ভক্তরা "জিহাদী আলেম" বলে ডাকে! এদেশীয় জংগী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গুরু হিসেবে পরিচিত এই রাহমানির বক্তব্যের ভাষা ও চরিত্র, একজন আলেম হওয়াতো দূরের কথা সাধারণ একজন ঈমানদারের চরিত্রের সাথেও সামজস্যপূর্ণ নয়।এই লোকটা যত্রতত্র এককভাবে জিহাদের ঘোষণা সহ বহু মারাত্মক ফতওয়া দিয়েছেন যার ফলে তার ভক্তবৃন্দের মাঝে ব্যাপক উগ্রতা ফয়দা হয়েছে!
জসীম উদ্দিন রাহমানী এদেশে খারিজি মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বপ্রথম যেই সমস্ত আলেমগন তাকফিরী খারেজী মানহাজের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি সরব তাদেরকে টার্গেট করে! একের পর এক সালাফি আলেমদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করে। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিলো - সত্যিকারের আলেমদের ব্যপারে মানুষের মনে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে দেওয়া, যাতে করে তারা এসকল আলেমদের কোন কথা না শুনে। আর সাধারণ মানুষ যদি আলেমদের কথা না শুনে, ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না হয়, তাহলে মূর্খ ও বেদাতী লোকেরা নিজেদের মন মতো যা খুশি কোরআন হাদীসের অপব্যখ্যা করলেও তারা বুঝতে পারবেনা কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
এইজন্য বর্তমানে আমরা দেখতে পাই, ক্বোরআন হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে কোন কিছু বললেও জসীম উদ্দিন রাহমানীর অন্ধ ভক্তরা শয়তান, কাফেরদের এজেন্ট, পা চাটা গোলাম, দরবারী, দালাল, মুনাফেক, আহলে খবিস ইত্যাদি নোংরা ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করে। হয়তোবা, প্রমানসহ পোস্ট দেওয়ার পরেও এই পোস্টের কমেন্ট বক্সেও গালি-গালাজ শুরু করবে।
কোন ঈমানদারের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি কোন ঈমানদার সম্পর্কে এমন কিছু বর্ণনা করে যা তার মধ্যে নেই, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জাহান্নামীদের ঘাম, রক্ত ও পূজের মাঝে রাখবেন, যতক্ষণ না সে যেই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তার দায় থেকে মুক্ত হয়।”
মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ।
একজন সাধারণ ঈমানদার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলার শাস্তি যদি এই হয়, তাহলে যারা আলেম, যারা সত্যিকারের নবী-রাসূলদের ওয়ারিশ, তাঁদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে আলেমদের থেকে দূরে সরানোর জন্য মিথ্যা তোহমত দেওয়া কত বড় জঘন্য কাজ হতে পারে?
যাই হোক,চরমপন্থি জসীম উদ্দিন রাহমানী জেনে-বুঝে সালাফী ওলামাদের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন তা দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট!
একটি ওয়াজে এই কাজ্জাব দাবী করেছে সালাফী আলেমরা নাকি বুকে হাত না বাঁধলে,জোরে আমিন না বললে, রফউল ইয়াদাইন না করলে কাফের বলে! (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।
লিংকঃ -https://youtu.be/WW-2K9V7dko
জবাবঃ দুনিয়ার কোন আলেম, হোক তিনি আরবীয় অথবা উপমহাদেশীয় অথবা এদেশীয় কেউ ই ফিকহি বিষয় নিয়ে কাউকে তাকফির করেন নি! কেননা, এই আমলগুলো ছেড়ে দিলেও তা কুফুরির পর্যায়ভুক্ত নয়!
সালাফী আলেমের মতামত হল এই সুন্নাতগুলো ছেড়ে দিলেও আপনার ছালাত হয়ে যাবে তবে ছাওয়াবের তারতম্য হবে! অর্থাৎ যত সুন্নাত ছাড়বেন ততই ছাওয়াব কমতে থাকবে!
মূলত সালাফি আলেমদের সাথে শত্রুতাবশত তাঁদের নামে মিথ্যা কথা বলে জসীম উদ্দিন রাহমানী তার ভক্তদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ সহ সমস্ত সালাফী আলেমরা নামাযে বুকে হাত বাঁধা, জোরে আমীন বলা, রাফউল ইয়াদাইন করাকে সুন্নত বলে ফতোয়া দিয়েছেন! কোন আলেমই এইগুলোকে নামাযের ফরয-ওয়াজিব বলেন নি। আর আমরা সকলেই জানি, নামাযের যেইগুলো শুধু সুন্নত, ফরয-ওয়াজিব নয়, সেইগুলো কেউ না করলেও তার নামায হয়ে যাবে, শুধু সওয়াব কম হবে। এইগুলো না করলে কাফের বলার প্রশ্নই আসেনা। একজন সাধারণ তালেবুল ইল্মও জানে এগুলা ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় নয়। অথচ, আলেমদের সাথে শত্রুতা ও নিজের অন্ধ জেদের কারণেই কি নিকৃষ্ট মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছেন কথিত এই জিহাদী আলেম(!)
এছাড়া একই বক্তব্যে আরেকটি মিথ্যাচার করেছে তা হল- সালাফী আলেমরা নাকি আল্লাহর আইন যারা মানেনা তাদেরকে ডালাওভাবে অনুগত্য করার কথা বলেছেন, তাদেরকে কাফের বলেনা!!!
মুলত সত্যিকারের আলেমরা শরিয়াহ দিয়ে দেশ পরিচালনা না করলে ঢালাওভাবে কাউকে কাফের ফতোয়া দেন না। কারণ, আল্লাহতালা তাদের সবাইকে কাফের বলেন নি,বরং কাউকে কাফের বলেছেন, অন্যদেরকে (কবীরাহ গুনাহতে) লিপ্ত ফাসেক-জালেম বলেছেন। সুতরাং, আকীদা অনুযায়ী আল্লাহর আইন দিয়ে কেউ বিচার না করলে হতে পারে সে বড় কাফের, হতে পারে সে বড় পাপী ফাসেক, জালেম – কিন্তু ঢালাওভাবে কাফের বলা খারেজীদের লক্ষণ। কারণ, খারেজীরা ফাসেক, জালেম মুসলমানদেরকে কাফের বলে ফতোয়া দিতো।
ইনশা আল্লাহ এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে
কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্সসহ এই শতাব্দীর দুইজন স্বনামধন্য আলেমের ফতওয়া তুলে ধরব!
আমাদের দেশের একজন স্বনামধন্য আলেমেদ্বীন ডা খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাংগীর রাহঃ খারেজীদের মুলৎপাটন ও জেএমবির মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ‘ইসলামের নামে জংগীবাদ’ নামক একটি বই লিখেন। যেহেতু জেএমবির মত খারিজি গ্রুপ গুলোর সাথে জসীম উদ্দিনের চিন্তা-ভাবনার মিল আছে, তাই সে আব্দুল্লাহ জাহাংগীর রাহঃকে ‘জাতীয় দালাল’ বলে গালি দিয়েছে।
লিংক – ১৭ মিনিট থেকে শুনুন-
http://taifaalmansurah.wordpress.com/…/attack-of-shaitan-t…/
এছাড়া, চরমপন্থি জসীম উদ্দিন ‘রাহমানি "একজন দরবারী আলেমের বক্তব্যের প্রতিবাদ’ নামে একটা লেকচার দেয় আমেরিকান বক্তা নোমান আলী খানের বিরুদ্ধে। কেন জানেন?
নোমান আলী খান রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধে ইয়াহুদীদের বানানো সিনেমার প্রতিবাদে অনেক মুসলমানের মুসলিম দেশগুলোতে বেহুদা ভাংচুর ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলেছিলো কারণ ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে মুসলমান দেশে ভাংচুর আসলে মুসলমানদেরই ক্ষতি, কাফেরদের কোন ক্ষতি নেই, বরং মুসলমানেরা নিজেরাই নিজেদের সম্পদ নষ্ট করেছে দেখে তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসাহাসিই করবে। সেই লেকচারে সে সরাসরি নোমান আলী খানকে দরবারী আলেম, ইয়াহুদীদের দালাল, ইয়াহুদীদের চাইতে নিকৃষ্ট বলে ফতোয়া দিয়েছে!(আউজুবিল্লাহ)
হতে পারে নোমান আলী খানের কিছু কথা সঠিক নয়, তাই বলে সে দরবারী (তাগুতের টাকা খেয়ে ফতোয়া পরিবর্তন করেছেন), ইয়াহুদীদের দালাল – এই কথা কেউ কোনদিন প্রমান করতে পারবে? কারো কথা আমার ভালো লাগেনা তাই বলে আন্দাজে মানুষের সম্পর্কে যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় এমন ব্যক্তিকে যারা আলেম মনে করে – এদেরকে আল্লাহ হেদায়েত করুন এর চাইতে বেশি আর কি বলা যেতে পারে!!!
http://sahih-akida.simplesite.com/…/%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A…