মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের ওয়াজ শোনা যাবে ? ভ্রান্ত আকিদা তারেক জামিল

মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের ওয়াজ শোনা যাবে ? ভ্রান্ত আকিদা তারেক জামিল
মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের ওয়াজ শোনা যাবে?

প্রশ্নঃ মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের ওয়াজ শোনা যাবে?

উত্তরঃ পাকিস্থানের ‘তাবলীগ জামাতের’ বড় একজন ‘আমীর’ হচ্ছে মাওলানা তারিক জামিল সাহেব। হৃদয় গলানো, মিষ্টি মিষ্টি বয়ান করে ইতিমধ্যে তিনি অনেক ভক্ত ও শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, তারিক জামিল সাহেব মাঝে মাঝে তার হৃদয় গলানো ওয়াজ-লেকচারের সাথে কিছু ‘শিরক ও বিদাতের বিষ’ঢেলে দিয়ে তার শ্রোতাদেরকে নষ্ট করেন। তারিক জামিল সাহেবের কিছু ‘ঐতিহাসিক কুফুরী’বক্তব্যের নমুনা নিচে দেওয়া হলো।

১. স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর জানাজার নামায পড়তে এসেছিলেন। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!

সংক্ষিপ্ত নোটঃ জানাযার নামাযে সুরা ফাতেহা পড়া এবং মৃতের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার দুয়া পড়া ওয়াজিব। আমরা নামাযে সুরা ফাতিহা পড়ি, যার একটি আয়াত হচ্ছে, “(হে আল্লাহ!) আমরা শুধুমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই।”

আর জানাযার দুয়াতে আমরা দুয়া করি, “হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জীবিতদের ক্ষমা করো এবং আমাদের মৃতদেরকে ক্ষমা করো...”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ যদি সত্যিই তাঁর রাসুলের জানাজা পড়ে থাকেন, তাহলে তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে নামায পড়েছিলেন? নাকি তিনি নিজেই নিজের উদ্দেশ্যে নামায পড়েছিলেন? নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক! কি পরিমান নির্বোধ হলে মানুষ এই ধরণের ‘শিরকি’ কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে পারে?

২. মিরাজের রাত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে আকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্যে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা দুনিয়াতে নেমে এসেছিলেন। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!

সংক্ষিপ্ত নোটঃ ক্বুরান ও হাদীসের কোথাও এই ধরণের কথা নেই। তাবলিগ জামাতের লোকদের স্বভাবই হচ্ছে ‘বানোয়াট শিরকি কুফুরী কিসসা কাহিনী’ বলে ওয়াজ করা। আল্লাহ সম্পর্কে বানোয়াট কথা যে প্রচার করে, সে কোন আলেম নয়, সে হচ্ছে সবচাইতে বড় জালেম। এটা আমার কথা না, স্বয়ং আল্লাহ এই কথা বলেছেন।

“যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা রচনা করে, তার চাইতে বড় জালেম আর কে হতে পারে?”[সুরা কাহাফঃ ১৫]

৩. আলাহ তাআ’লা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে ‘গায়েব বা অদৃশ্যের খবর দানকারী’ বলেছেন। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!

সংক্ষিপ্ত নোটঃ ক্বুরান হাদীসে কত অসংখ্যবার বলা হয়েছে, গায়েবের একমাত্র জ্ঞান আল্লাহর কাছে। আল্লাহ তাআ’লা তাঁর রাসুলকে কিংবা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে ‘গায়েব বা অদৃশ্যের খবর দানকারী’বলেন নি। ইসলামের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত ১৪০০ বছরে কোন একজন ‘সুন্নী আলেম’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে ‘গায়েব বা অদৃশ্যের খবর দানকারী’ বলেন নি। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে গায়েব বা অদৃশ্যের খবর দানকারী বলে মনে করা ডাহা শিরক।

৪. ক্বুরানের আয়াতের অর্থের বিকৃতিঃ

“(হে নবী!) আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হিসেবে লেখা হয়, তবুও আমার পালনকর্তার কথা শেষ হওয়ার আগেই সমুদ্রের পানি শেষ হয়ে যাবে। যদিও তার সাহায্যে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্রের পানি এনে দিলেও (আমার পালনকর্তার কথা শেষ হবেনা)।” [সুরা আল-কাহফঃ ১০৯]

সুরা কাহাফের এই আয়াতের অর্থ থেকে দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট, এই আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমার কথা বলা হয়েছে। মাওলানা তারিক জামিল তার এক ওয়াজে এই আয়াতকে‘আল্লাহর প্রশংসার পরিবর্তে’ ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে অর্থ করেন। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক!

সংক্ষিপ্ত নোটঃ ইচ্ছাকৃত বা মনগড়া ক্বুরানের আয়াতের অর্থের বিকৃতি করা আলেমদের ঐক্যমতে বড় কুফুরী কাজ, যার কারণে মানুষের ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।

৫. মাওলানা তারিক জামিল সাহেব খোলাখুলি কবর পূজারী বেরেলুবী, আলী হাসান-হুসাইন পূজারী শীয়া, আব্দুল কাদির জিলানী পূজারী সূফী – এদের সবার সাথে মুসলিমদের ঐক্য ও বন্ধুত্বের পক্ষে বড় বড় ওয়াজ-লেকচার করে থাকেন। কবর পূজারীদের ওরশে গিয়ে তাদের প্রশংসা করেন, নিজেও কিছু শিরকি কুফুরী বক্তব্য দিয়ে তাদের মাঝে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আল্লাহু মুস্তাআ’ন।

সংক্ষিপ্ত নোটঃ এরাই নাকি বড় আলেম? মুশরকিরা তোওবা করে তাদের ‘শিরক’ বর্জন না করা পর্যন্ত ‘আহলে তাওহীদ’ (তাওহীদের অনুসারীদের) সাথে কেয়ামত পর্যন্ত কোন ঐক্য বা বন্ধুত্ব হতে পারেনা।

______________________

এমন অসংখ্য শিরকি ও বিদাতী কথা ও কাজের প্রচার ও সমর্থনকারী কথিত এই ‘ইসলামিক বক্তা’মাওলানা তারিক জামিল সাহেব। এমন ব্যক্তির কথা শোনা আর দ্বীনকে ধ্বংস করা একই কথা। এমন ‘জাহিল’ বক্তার কথা শুনতে যারা রেকমেন্ড করে, তাদেরকেও বর্জন করতে হবে। কারণ, যে যাকে সমর্থন ও প্রশংসা করে – সেও তার মতোই। উল্লেখ্য, হাল আমলের জনপ্রিয় আমেরিকান বক্তা নোমান আলী খানের ‘আদর্শ বা হিরো’ হচ্ছে এই মাওলানা তারিক জামিল সাহবে। সুতরাং, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে, মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের মতো নোমান আলী খানও বানোয়াট কিসসা কাহিনী বলে তার শ্রোতাদেরকে ওয়াজ করছে। আল্লাহ তাআ’লা মুসলিমদেরকে আলেম নামের জালেমদের অনিষ্ট থেকে হিফাজত রাখুন, আমিন।

ইলিয়াসী তাবলীগ গুরু মাওলানা তারিক জামিল সাহেব কি বলেন... ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন

তবলিগ জামাতের মুরুব্বী তারিক জামিলের ভন্ডামি by শাইখ তাওসিফ উর রেহেমান

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রথম জানাযা নাকি স্বয়ং আল্লাহ পড়েছেন!!! বলেছেনঃ মাওলানা তারেক জামিল।

তবলিগ জামাতের মূর্খ তারিক জামিল

মাওলানা তারেক জামিল একজন বিদাতি এবং ভ্রান্ত আকিদার অনুসারি মতিউর রাহমান মাদানী