কে
এই তামিম
আল আদনানি?
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
■ সুচনাঃইসলামের ইতিহাসজুড়ে, সময়ের পরিক্রমায় অসংখ্য গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল যারা এই ধর্মের ব্যাপারে মৌলিকভাবে নতুন ও বিচিত্র ধরনের সব চিন্তাধারা প্রবর্তন করে এসেছে। এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম সহিংস গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল ৬৫৬ থেকে ৬৬১ সাল পর্যন্ত আলী (রাঃ) এর খিলাফতে রাজনৈতিক কোন্দলের সময়, যারা ‘খারিজী’ নামে পরিচিত ছিল। এক মৌলিক রাজনৈতিক চিন্তাধারা থেকে এদের উত্থান হয়েছিল, যা পরবর্তীতে চরমপন্থায় রূপ নেয় এবং অন্য সকল মুসলিমদের চিন্তাধারা থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। যদিও মুসলিম বিশ্বে তারা কখনোই বড় রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় শক্তিতে পরিণত হতে পারেনি, তবুও তাদের সময়ে তাদের প্রভাব ছিল অনেক বেশী। তাদের এই চিন্তাধারা সময়ের পরিক্রমায় গত ১৪০০ বছর ধরে অসংখ্যবার একই ধরনের অন্য অনেক গোষ্ঠীর মাঝে পুনরাবৃত্ত হয়ে এসেছে যা আজও চলমান।
✍ আলী (রা) এবং আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা) থেকে বিভিন্ন সহীহ সনদে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
يخرج فيكم (في هذه
الأمة في اخر الزمان) قومٌ حُدَثاءُ (أحدث) الأسنانِ ، سُفَهاءُ الأحلامِ يقولونَ
مِن خيرِ قولِ البريةِ (يقولون من قول خير البرية) (يتكلمون الحق) يمرُقونَ منَ
الإسلامِ (من الحق) كما يمرُقُ السهمُ منَ الرميةِ ، لا يُجاوِزُ إيمانُهم
حناجرَهم ، فإذا (فأينَما) لَقيتُموهم فاقتُلوهم ، فإنَّ قتلَهم أجرٌ لِمَن قتَلهم
عند الله يومَ القيامةِ
‘‘এ উম্মাতের মধ্যে (তোমাদের মধ্যে, শেষ যুগে) এমন একটি সম্প্রদায় আগমন করবে যারা বয়সে তরুণ এবং তাদের বুদ্ধিজ্ঞান অপরিপক্কতা ও প্রগভতায় পূর্ণ। মানুষ যত কথা বলে তন্মধ্যে সর্বোত্তম কথা তারা বলবে (সর্বোত্তম মানুষের কথা বলবে, সত্য-ন্যায়ের কথা বলবে)। কিন্তু তারা সত্য, ন্যায় ও ইসলাম থেকে তেমনি ছিটকে বেরিয়ে যাবে, যেমন করে তীর শিকারের দেহ ভেদ করে ছিটকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তোমরা যখন যেখানেই তাদেরকে পাবে তখন তাদেরকে হত্যা করবে; কারণ তাদেরকে যারা হত্যা করবে তাদের জন্য কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট পুরস্কার থাকবে।’’
বুখারী, আস-সহীহ ৩/১৩২১, ৪/১৯২৭; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৭৪৬; তরমিযী, মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা (২৭৯ হি.), আস-সুনান ৪/৪৮১; নাসাঈ, আহমদ ইবন শু’আয়ব (৩০৪ হি.), আস-সুনানুল কুবরা ৪/১৬১।
উপরোক্ত হাদিসে ইসলামের নামে বা সত্য, ন্যায় ও হক্ক প্রতিষ্ঠার নামে সন্ত্রাসীকর্মে লিপ্ত মানুষদের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে:
প্রথমত,
এরা অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সের। ‘যুল খুওয়াইসিরা’র মত দুচার জন বয়স্ক মানুষ এদের মধ্যে থাকলেও এদের নেতৃত্ব, সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা ইত্যাদি সবই যুবক বা তরুণদের হাতে। সমাজের বয়স্ক ও অভিজ্ঞ আলিম ও নেতৃবৃন্দের নেতৃত্ব বা পরামর্শ এরা মূল্যায়ন করে না।
দ্বিতীয়ত,
এদের বুদ্ধি অপরিপক্ক ও প্রগলভতাপূর্ণ। আমরা আগেই দেখেছি যে, সকল সন্ত্রাসই মূলত রাজনৈতিক পরিবর্তন অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য অস্থিরতা ও অদুরদর্শিতা সন্ত্রাসী কর্মের অন্যতম কারণ। অপরিপক্ক বুদ্ধি, অভিজ্ঞতার অভাব ও দূরদর্শিতার কমতির সাথে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির অহঙ্কার এ সকল সত্যান্বেষী ও ধার্মিক যুবককে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করেছিল।
✍ উস্তাযুল আলেম, ইমাম আব্দুল আ’জিজ বিন বাজ রহি’মাহুল্লাহ বলেন -
“হক্কপন্থী লোকেরা যদি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা, সেই কথা বর্ণনা না করতো, তাহলে ভ্রষ্টতার শিকার হয়েছে এমন লোকেরা তাদের ভুলের উপরেই থেকে যেত। তখন সাধারণ লোকেরা অন্ধভাবে সেই ভ্রষ্টতার অনুসরণ করতো। সুতরাং যারা সত্য জেনেও চুপ করে ছিলো, লোকদের পথভ্রষ্ট হওয়ার পাপ তাদের উপরেও পড়তো।”
মাজমু ফাতাওয়াঃ ৩/৭২।
প্রিয় দ্বীনী ভাই ও বোনেরা,
অনলাইন এ নবাগত দ্বীনী ভাই-বোনেরা বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে ফিত্নার মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে তা হল যারতার কাছ থেকে, যেখান সেখান ইল্ম অর্জনের দিকে ধাবিত হওয়া! ফলে আলেমদের ছেড়ে দিয়ে মোডারেট দ্বায়ীগন অগ্রাধিকার পাচ্ছে!
কেউ কেউ আবার এসকল মাজহুল ব্যক্তিদেরকে জিহাদি আলেম, মুজাহিদ মুফতি,উলামায়ে হক ইত্যাদি লকবে ভুষিত করে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলছেন!
এসকল গুপ্তঘাতকরা মুলত লোকদেরকে নিজেদের দিকে আকৃস্ট করতে প্রথমে কুরআন ও হাদীস থেকে কিছু হাওয়ালা দেয়! এরপর ইউটিউব বা ইন্টারনেটে কিছু ওয়াজ,লেকচার ছেড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে!
তারপর ফেইসবুক, টুইটারে কয়েক লক্ষ লাইকার, ফলোয়ার বা একনিষ্ঠ মুরীদ জোটাতে পারলেই শুরু হয় তাদের বিষাক্ত মিশন!
যেহেতু আজকালকার ২০/২৫ বছরের যুবকদের রক্ত টগবগে গরম থাকে! তাই তাদের এই উইকনেসকে কাজে লাগাতে কৌশলে হৃদয় গলানো বা গরম গরম আবেগী বক্তৃতা দিয়ে বা মনভুলানো কিছু লেখালিখি করে তাদের মগজ ধোলাই করে!
ঠিক তেমনি একজন চরমপন্থী মাজহুল ব্যক্তি হলেন "তামিম আল আদনানী" যার ভিডিও গুলো ইদানীং ভাইরাল হচ্ছে! একটি মহল সু-পরিকল্পিতভাবে "Ummah
Network" নামক চ্যানেলের মাধ্যমে চারদিকে তার খন্ড খন্ড মনভোলানো বক্তব্যগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে! ইমোরশনাল স্পিচ, মনোমুগদ্বকর প্রেজেন্টেশন আর সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যের সাথে আরবী নাশিদের ব্যাকসাউন্ড দিয়ে সহজেই যুবকদের আকৃস্ট করে ফেলছেন! দুই চারটা সহীহ্ কথার আড়ালে বক্তা এমনভাবে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আর হাদিসের অপব্যাখা যোগ করে দেন,তাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে বাধ্য!
তাইতো আল আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন,
"অনেক মানুষকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, কিন্তু অর্জিত সেই জ্ঞান অনুধাবন করার মতো ক্ষমতা তাদেরকে দেওয়া হয়নি। না বুঝে শুধু কুর'আন মাজীদ ও হাদীস মুখস্থ করাই যথেষ্ট নয়। বরং অবশ্য-ই আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের মর্মার্থ আপনাকে বুঝতে হবে।
ঐ লোকদের দ্বারা কতইনা ত্রুটি-বিচ্যুতি সংঘটিত হয়েছে, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের মর্মবাণী না বুঝেই সেটাকে দলীল হিসেবে পেশ করছে, যার ফলে তাদের অনুসারীদের মাঝে অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়েছে।”
আল্লাহু মুস্তা'আন।
[ফাতওয়া আরকানুল ইসলাম, ঈমান অধ্যায়]
আমরা যারা সাধারণ মানুষ, দ্বীন সম্পর্কে, কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখিনা , তাদের সামনে যদি একজন মূর্খ লোকও সামান্য কিছু পড়াশোনা করে আলেমের লেবাস ধরে, আমরা কিন্তু ধরতে পারবোনা এই লোকটা আসলেই কি একজন আলেম নাকি আলেম না হয়েও আলেম সেজে আমাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে?
একজন জুহুরীই কেবলমাত্র চিনতে পারে কোনটা আসল রত্ন কোনটা সস্তা পাথর, একজন স্বর্ণকারই চিনতে পারে কোনটা খাঁটি স্বর্ণ আর কোনটা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশান! রাইট?
ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত আলেমই আসলে চিনতে পারেন, কে আলেম আর কে জাহেল (মূর্খ)।
আজ মনে পড়ে গেল জার্মানির খলনায়ক হিটলারের কথা! তার বক্তৃতার মধ্যেও যাদু ছিল। মানুষ বক্তব্য শুনেই মুগ্ধ হয়ে যেতো। যেকারণে সামান্য একজন সৈনিক হওয়া স্বত্বেও হিটলার জার্মানির শাসক হতে পেরেছিল!
সেইজন্যই দেখতে হবে, যার ব্যাপারে কথা হচ্ছে, তার ব্যপারে তার পূর্বে বা তার সময়কার যারা “আলেম” ছিলেন, তারা কি তাকে একজন আলেম বলে মনে করতেন, নাকি জাহেল (মূর্খ) বলে মনে করতেন?
আমাদেরকে একটা বিষয় বুঝা উচিত “ইলম” বা দ্বীনের জ্ঞান আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায় না, যার ইচ্ছা ওখান থেকে নিয়ে সে আলেম হয়ে যাবে। সকল যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমগন গর্তে/জংগলে/পর্দার অন্তরালে কখনোই লুকিয়ে ছিলেন না বরং তারা সরাসরি মানুষের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা করতেন এবং সরাসরি লোকালয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন!
একজন মাজহুল ব্যক্তি যে কিনা প্রকৃত আহলে সুন্নত নাকি আহলে বিদআতের লোক , আলেম নাকি জাহেল, এই বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই না করে তার কাছ থেকে দ্বীনের জ্ঞান হাসিল করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন সালাফগন!
✍ ইমাম শু’বাহ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১৬০ হিজরী) বলেন, “ইলম তার কাছ থেকেই নাও, যে ব্যক্তি পরিচিত।”
[আল-জারহ ওয়াত-তা’দীলঃ ২/২৮]
অর্থাৎ যাকে সমসাময়িক ওলামাগন চিনেন/জানেন, যার আমানতদারী, বিশ্বস্ততার ব্যাপারে তারা সন্দেহমুক্ত এবং যিনি আলেমদের সহবতে থেকে ইল্ম অর্জন করেছেন বলেই আওয়ামের কাছে প্রতীয়মান হয়!
কে এই তামিম আল আদনানী, কি তার আকিদা, মানহাজ, কি তার পরিচয়, কি তার পড়াশোনা,
কারা তার উস্তাদ? সে কি বাংলাদেশি নাকি আরবীয়,
তাকে সম-সাময়িক কোন আলেম চিনেন কিনা, বা তিনি আলেমদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেছেন কিনা, তাঁদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেন কিনা অথবা ওলামাদের, সহবতে ছিলেন কিনা, এসব বিষয়াদি না জেনেই এমন ব্যক্তি থেকে দ্বীনের জ্ঞান নেওয়া কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়! সালাফগন বলতেন "দ্বীনের ব্যপারে “প্রকৃত আলেম” ছাড়া অপরিচিত, অজ্ঞ লোকদেরকে আলেম মনে করে তাদের কথা বিশ্বাস করবেনা। যদি করো, তাহলে যেন তুমি তোমার দ্বীনকেই ধ্বংস করলে"!
আমাদের অনুসন্ধানে "আদনানী" নামক এই প্রানীর অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ রয়ে গেছে , হয়ত এই নামটি সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে দেশের চরমপন্থী গ্রুপগুলো যুবকদের ব্রেনওয়াশ করছে!, যাইহোক
এই আদনানী মুলত ‘সালফে সালেহীন’ (সাহাবীদের) আক্বীদাহ (ধর্মীয় বিশ্বাস) ও মানহাজে (কর্ম পদ্ধিত বা চলার নীতিতে) বিশ্বাসী নয়। অনেক সময় সে মনভোলানো যুক্তি ও কথার দ্বারা আহলে সুন্নাহর বিরোধীতা করে এবং কৌশলে তার ভক্ত-শ্রোতাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
❒ আল কায়েদা ও আদনানীঃ
চরমপন্থি খারেজী সংগঠন আল কায়েদার সাথে তামিম আল আদনানীর সখ্যতা বেশ পুরানো!
এ বিষয়ে "আমি কেন আল কায়েদাতে যোগ দিলাম" শিরোনামে আদনানীর ঘণ্টাব্যাপী লেকচার রয়েছে!
সেখানে সে স্পটভাবে আল কায়েদাতে যোগদান এবং উসামা বিন লাদেনকে " শহিদ " ঘোষণা করেছেন এবং নিজেকে তার মতাদর্শের এখন হিসেবে উপস্থাপন করেন!
লিংকঃhttp://ia802604.us.archive.org/0/items/spostorupebornonakorun_590/KenoAqKeGrohonKorlam.mp3
শুধু আল কায়েদাতে যোগ দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হয় নি বরং কালো পতাকার হাদিস গুলোকে আল কায়েদার দিয়ে ফিট করে যুবকদের এই খারেজী সংগঠনে
যোগদানের আহবান জানিয়েছেন!
কোরআনের আয়াতের অপব্যখ্যার পাশাপাশি হাদিসের
ক্ষেত্রেও এই মিস্কিনের ধূস্টতা চোখে পড়ার মত!
তার কালো পতাকা সম্বলিত হাদিস গুলোর জালিয়াতির জবাব দিয়েছেন ফাদ্বীলাতুস শাইখ ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মাদানি হাফিয্বাহুল্লাহ।
লিংকঃ https://youtu.be/ODJRQ6HWamI
❒ আল কায়েদার ব্যাপারে আরব উলামাদের অবস্থানঃ
✍ আল আল্লামাহ শাইখ সালেহ বিন আব্দুল আযীয আলুশ শাইখ হাফিয্বাহুল্লাহ বলেন,
ﺃﻥ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻤﻌﻠﻤﻴﻦ
ﻳُﻤﺠِّﺪ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﻻﺩﻥ ( ! ) ؛ ﻭﻫﺬﺍ ﺧﻠﻞ ﻓﻲ ﻓﻬﻢ ﺍﻹﺳﻼﻡ
কিছু কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি উসামা বিন লাদেনকে সম্মান দেয়। এটা মূলত ইসলাম ভালভাবে না বুঝার কারণে। ( দা'ওয়াহ পত্রিকা, সংখ্যা, ১৮২৬৩, যুল কা'দাহ , ১৪২২)
✍ আশ শাইখ আহমাদ নাজমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
لا شك أن هؤلاء
يعتبروا محدثين،و هؤلاء الذين آووهم داخلون في هذا الوعيد الذي قاله النبي صلى
الله عليه وسلم واللعنة التيلعنها من فعل ذلك، (( لعن الله من آوى محدثاً ))
নিঃসন্দেহে তালেবান ও উসামা বিন লাদেন বিদ'আতীদের অন্তর্ভূক্ত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদ'আতীদের ব্যাপারে যে শাস্তির কথা বলেছেন তারা তাদের অন্তর্গত এবং যে লানত করেছেন সে লানত তাদের ওপর বর্তাবে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে বিদ'আতীকে প্রশ্রয় দেয় তার ওপর আল্লাহর লানত। (কালিমাতু হাক ফী উসামা বিন লাদেন, ১৮২-১৮৩)
✍ আশ শাইখ মুকবিন বিন হাদী আল-ওয়াদিঈ ইয়ামী রাহিমাহুল্লাহ বলেন
أبرأ إلى الله من بن
لادن فهو شؤم وبلاء على الأمة وأعمــاله شر.
আমি বিন লাদেন থেকে আল্লাহর কাছে মুক্ত ঘোষণা করছি। সে উম্মাহর জন্য অমঙ্গল ও বিপদ আর তার কর্মকাণ্ড জঘন্য। ( রায়ুল আম কুয়েতিয়া পত্রিকা, ১৯/১২/১৯৯৮, সংখ্যা, ১১৫০৩)
✍ উস্তাযুল আলেম ইমাম বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
أن أسامة بن لادن من
المفسدين في الأرض، ويتحرى طرق الشر الفاسدة.
উসামা বিন লাদেন জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। সে জঘন্য ফাসাদের পন্থা অন্বেষণকারী। ( মুসলিমূন পত্রিকা, ৯ জমাদিউল উলা, ১৪১৭)
✍ শাইখ সালমান আল আওদাহ (যে কিনা এক সময় আল কায়েদার সাথে জড়িত ছিল) ২০০৭ সালে উসামাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে বিবৃতি দিয়েছিল এবং নিজেকে তার থেকে মুক্ত ঘোষণা করেছিল!
তিনি আরও বলেছেন, "আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাষায় ও কণ্ঠে বলছি: আল্লাহ কখনোই ফাসাদকারীদের কাজ সংশোধন করবেন না। তিনি প্রবঞ্চকদের কৌশল সুপথে চালিত করবেন না। যারা ইসলামের নাম নিয়ে কিংবা শরীয়াহ কায়েমের নাম নিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে, তারা কোনদিন সফল হবে না, কোনদিন তাদের সংশোধন হবে না। তারা আল্লাহর শাস্তি ভোগ করতে যাচ্ছে এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্তে পরিণত হতে যাচ্ছে যদি তারা এর পূর্বেই তাওবা না করে"।
লিংকঃ
http://www.islamtoday.net/salman/artshow-28-120375.htm
যেহেতু আইএস, আল কায়েদা ও সমমনা দলগুলোর মানহাজ প্রায় একই অর্থাৎ এরা খারেজী এবং ফিতনা সৃষ্টিকারী। আহলুল সুন্নাহর উলামারা প্রায় সবাই এদের ব্যাপারে একমত। ইন্ডিয়ার বিখ্যাত বক্তা ও দাঈ ব্রাদার ইমরান (হাফিয্বাহুল্লাহ) ৫০ জন শীর্ষস্থানীয় উলামার ফাতওয়া ও বিভিন্ন দলিল এনেছে আল কায়েদার বিরুদ্ধে যাতে সমস্ত উলামারা এদেরকে চরমপন্থী খারেজী সংগঠন হিসেবে 'রায়' দিয়েছেন।
লিংকঃ https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=krIVzME_Jkk
❒ সর্বশেষ নসিহতঃ অর ......
সাহাবীদের পর থেকে তাবেয়ীদের যুগ থেকে, যখন থেকে মুসলমানদের মাঝে “উলামায়ে ছু” (মন্দ বা
পথভ্রষ্ট আলেম) ও আয়াম্মায়ে দ্বোয়াল্লিন (পথভ্রষ্ট
ইমাম বা নেতা) মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রবেশ করেছে,
তখন থেকেই আমাদের আলেমরা বার বার সতর্ক করে
গেছেনঃ ইসলাম শেখার জন্য যাকে-তাকে “উস্তাদ” বা
শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ না করার জন্য। কেননা চরমপন্থীরা কিছু ভাল কথার আড়ালে তাদের ‘জাহালত’ (অজ্ঞতা) ও ‘দ্বোয়ালালাহ’ (ভ্রষ্টতা) লুকিয়ে রাখে, যার দ্বারা আপনি, আমি বিভ্রান্ত হতে বাধ্য!
তাই নবাগত দ্বীনী ভাইগন হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নয় বরং সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত আলেমদের থেকে ইল্ম হাসিল করুন।
এক্ষেত্রে বিখ্যাত তাবি'ঈ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সীরন রাহিমাহুল্লাহ-র সেই বিখ্যাত উক্তি টি আবারো স্বরন করিয়ে দিচ্ছি!
✍ তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
إنَّ هذا العلم دين ؛ فانظروا عمَّن تأخذون دينكم
নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-ই পারেন পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে। এই আলোচনায় কারো যদি কোনো উপকার হয়ে থাকে, তার সকল প্রশংসা আল্লাহর! আর যদি এই আলোচনায় কোনো ভ্রান্তি থাকে তা নিশ্চয়ই আমার সীমাবদ্ধতা!
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আমাদের সকলকে ' আল্লাহর কিতাব তথা "আল কুর'আন" ও "রাসুলের হাদীস' কে সালফে সালেহীনদের মতো করে বুঝে,
এবং সে-অনুযায়ী বেশী-বেশী নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আ-মীন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬-------
❒ সংকলনঃ মুল-
আখতার বিন আমীর.....■ সহযোগীতায়ঃ--
একজন দ্বীনীভাই! admin rasikul islam
আরও লিঙ্ক-
1> "কে এই শাইখ তামীম আল আদনানী 2
3> স্কাইপি আলাপে প্রকাশ হল নতুন জঙ্গি নেতার নাম
4> শায়খ তামিম আল আদনানী আনসার আল ইসলাম দলটির প্রধান। পার্ট- ১
5> কে এই চরমপন্থি আদনানি? 3
by rasikul islam
এই ব্যাপারে- শাইখদের ভিডিও শুনতে--
তামিম আল আদনানী র মুখোশ উন্মোচন করলেন শাইখ ইমাম হোসাইন। কে এই তামিম আল আদনানী?
কে এই তামিম আদনানি? তার সম্পর্কিত কিছু কথা বলছেন শাইখ আমানুল্লাহ বীন ইসমাঈল মাদানি।
অবশেষে তামিম আল আদনানীর পরিচয় পাওয়া গেল
তামিম আল আদনানী সম্পর্কে যা বললেন || ড, আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া ।।
সাবধান!সাবধান আল কায়দা তামিম আদনানী খারেজীর কাছ থেকে প্রিয় মুসলিম ভাইও বোনেরা নিজে বাচুনফেমলি বাচান
তামিম আল আদনানীর আসল পরিচয় Tamim Al Adnani
|| শায়খ মতীউর রহমান মাদানী
@@ 1>>> কথিত শাইখ তামিম আল-আদনানি খোলা চিঠি দিয়েছে মক্কা মদিনার আলেমদের কাছে!তাও আবার বাংলা ভাষায়! তা কিন্তু হাতে লেখা কোন চিঠি নয়!একটি অডিও বার্তায়!😃 পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়।😁 এতেই স্পষ্ট প্রমান হয়ে যায় তার যোগ্যতা কতটুকু। আরে ভাই তুমি যদি মক্কা মদিনার আলেমদের থেকে বেশি জানো তাহলে আরবিতে বক্তব্য বা আরবি ভাষায় লিখে তাদের চিঠি দিতে পারতে!তারাতো আর বাংলা বুঝেনা।😄 তোমার উদ্দেশ্য কি তা জাতি আজ ভালভাবেই জানে যতই ছলচাতুরি করনা কেন আমাদের চোখে ফাকি দিতে পারবেনা। তুমি তো নিজেই একটা কাপুরুষ আজ পর্যন্ত তোমার মুখটাই জাতি দেখতে পারলে না। আর জংগলে বসে খালি জিহাদ জিহাদ করো! যেই খেলা তুমি শুরু করেছ আমরা তোমার খেলার শেষ দেখে ছাড়বো ইন শা আল্লাহ্। তুমি যে নব্য খারেজী তা আজ সবাই কমবেশি জানে।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ্ যদি তোমাকে হেদায়েত না দেয় তাহলে যেন তোমাকে ও তোমার অনুসারীদের ধ্বংস করে দেয়।আমিন জংগী খারেজী আদনানী সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটা সম্পূর্ণ পড়ুন। """""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""”""""""""""""""""""""""
অনলাইন এ নবাগত দ্বীনী ভাই-বোনেরা বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে ফিত্নার মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে তা হল -যার তার কাছ থেকে, যেখান সেখান ইল্ম অর্জনের দিকে ধাবিত হওয়া! তাছাড়া অনেকেই আলেমদের ছেড়ে দিয়ে মোডারেট দ্বায়ীদের পিছনেও দৌড়ানো শুরু করছে! কেউ কেউ আবার এসকল মাজহুল ব্যক্তিদেরকে জিহাদি আলেম/ মুজাহিদ মুফতি/ওলামায়ে হক্ব টাইটেল লাগিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলছেন! এসব গুপ্ত ঘাতক রা মুলত লোকদেরকে নিজেদের দিকে আকৃস্ট করতে প্রথমে কুরআন ও হাদীস নিয়ে কিছু হাওয়ালা দেয়! এরপর ইউটিউব বা ইন্টারনেটে কিছু ওয়াজ-লেকচার ছেড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে! তারপর ফেইসবুক, টুইটারে কয়েক লক্ষ লাইক, ফলোয়ার বা একনিষ্ঠ মুরীদ জোটাতে পারলেই শুরু হয় তাদের বিষাক্ত মিশন! যেহেতু আজকালকার ২০/২৫ বছরের যুবকদের রক্ত টগবগে গরম থাকে!তাই তাদের এই উইকনেস কে কাজে লাগাতে কৌশলে হৃদয় গলানো বা গরম গরম আবেগী বক্তৃতা দিয়ে বা মনভুলানো কিছু লেখালিখি করে মানুষের মগজ ধোলাই করে! ঠিক তেমনি একজন চরমপন্থি মাজহুল ব্যক্তি
"তামিম আল আদনানি"র ভিডিও গুলো ইদানীং ভাইরাল হচ্ছে!একটি মহল সু-পরিকল্পিতভাবে
"Ummah Network" নামক চ্যানেলের মাধ্যমে চারদিকে তার খন্ড খন্ড মনভোলানো বক্তব্য গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে! ইমরশোনাল স্পিচ, মনোমুগদ্বকর প্রেজেন্টেশন আর সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যের সাথে আরবী নাশিদের ব্যাকসাউন্ড দিয়ে সহজেই যুবকদের আকৃস্ট করে ফেলছে! দুই চারটা সহীহ্ কথার আড়ালে বক্তা এমন ভাবে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আর হাদিসের অপব্যাখা যোগ করে দেন,তাতে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হতে বাধ্য! আমরা যারা সাধারণ মানুষ, দ্বীন সম্পর্কে, কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে জ্ঞানী না, তাদের সামনে যদি একজন মূর্খ লোকও সামান্য কিছু পড়াশোনা করে আলেমের লেবাস ধরে, আমরা কিন্তু ধরতে পারবোনা এই লোকটা আসলেই কি একজন আলেম? নাকি আলেম না হয়েও আলেম সেজে আমাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে? যেমন একজন জুহুরীই কেবলমাত্র চিনতে পারে কোনটা আসল রত্ন কোনটা সস্তা পাথর, একজন স্বর্ণকারই চিনতে পারে কোনটা খাঁটি স্বর্ণ আর কোনটা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশান। রাইট? ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত আলেমই আসলে চিনতে পারেন, কে আলেম আর কে জাহেল (মূর্খ)। আজ মনে পড়ে গেল জার্মানির খলনায়ক হিটলারের কথা! তার বক্তৃতার মধ্যেও যাদু ছিল। মানুষ বক্তব্য শুনেই মুগ্ধ হয়ে যেতো। যেকারণে সামান্য একজন সৈনিক হওয়া স্বত্বেও হিটলার জার্মানির শাসক হতে পেরেছিল! সেইজন্য ই দেখতে হবে, যার ব্যপারে কথা হচ্ছে, তার ব্যপারে তার পূর্বে বা তার সময়কার যারা “আলেম” ছিলেন, তারা কি তাকে একজন আলেম বলে মনে করতেন, নাকি জাহেল (মূর্খ) বলে মনে করতেন? আমাদেরকে একটা বিষয় বুঝা উচিত-“ইলম” বা দ্বীনের জ্ঞান আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায় না, যার ইচ্ছা ওখান থেকে নিয়ে সে আলেম হয়ে যাবে। সকল যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমগন গর্তে/জংগলে/পর্দার অন্তরালে কখনোই লুকিয়ে ছিলেন না! বরং তারা সরাসরি মানুষের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা করতেন এবং সরাসরি লোকালয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন! সেইজন্যই আলেমরা মাজহুল ব্যক্তি যে কিনা প্রকৃত আহলে সুন্নত নাকি আহলে বিদআতের লোক ,
আলেম নাকি জাহেল, এই বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই না করে তার কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান নিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এই ব্যপারে ইমাম শু’বাহ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১৬০ হিজরী) বলেন, “ইলম তার কাছ থেকেই নাও, যে ব্যক্তি পরিচিত।” [আল-জারহ ওয়াত-তা’দীলঃ ২/২৮]
--- কে এই তামিম আল আদনানি? কি তার আকিদা, মানহাজ? কি তার পরিচয়?কি তার পড়াশোনা? কারা তার উস্তাদ? সে কি বাংলাদেশি নাকি আরবীয়? তাকে সম-সাময়িক কোন আলেম চিনেন কিনা, বা তিনি আলেমদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেছেন কিনা, তাঁদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেন কিনা অথবা ওলামাদের, সহবতে ছিলেন কিনা, এসব বিষয়াদি না জেনেই এমন ব্যক্তি থেকে আপনি অন্ধের মত কি করে দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে একজন সালাফ বলেছিলেন-দ্বীনের ব্যপারে “প্রকৃত আলেম” ছাড়া অপরিচিত, অজ্ঞ লোকদেরকে আলেম মনে করে তাদের কথা বিশ্বাস করবেনা। যদি করো, তাহলে যেন তুমি তোমার দ্বীনকেই ধ্বংস করলে"!
আমাদের অনুসন্ধানে
"আদনানি" নামক এই প্রানীর অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ রয়ে গেছে , হয়ত এই নামটি সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে দেশের চরমপন্থি গ্রুপগুলো যুবকদের ব্রেনওয়াশ করছে!, যাহোক এই আদনানি মুলত ‘সালফে সালেহীন’ (সাহাবীদের) আক্বীদাহ (ধর্মীয় বিশ্বাস) ও মানহাজে (কর্ম পদ্ধিত বা চলার নীতিতে) বিশ্বাসী নয়। অনেক সময় সে মনভোলানো যুক্তি ও কথার দ্বারা আহলে সুন্নাহর বিরোধীতা করে এবং কৌশলে তার ভক্ত-শ্রোতাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
চরমপন্থি খারিজি সংগঠন আল কায়েদার সাথে তামিম আল আদনানীর সখ্যতা বেশ পুরানো! এ বিষয়ে
"কেন আল কায়েদাতে যোগ দিলাম"
শিরোনামে আদনানীর ঘণ্টাব্যাপী লেকচার রয়েছে! সেখানে সে স্পটভাবে আল কায়েদাতে যোগদান এবং উসামা বিন লাদেন কে
" শহিদ "হিসেবে উল্লেখ্য করে নিজেকে তার মতাদর্শের হিসেবে উপস্থাপন করেন! লিংক---
http://ia802604.us.archive.org/0/items/spostorupebornonakorun_590/KenoAqKeGrohonKorlam.mp3 শুধু আল কায়েদাতে যোগ দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি বরং কালো পতাকার হাদিস গুলোকে আল কায়েদার দিয়ে ফিট করে যুবকদের এই খারিজি সংগঠনের যোগদানের আহবান জানিয়েছেন! কোরআনের আয়াতের অপব্যখ্যার পাশাপাশি হাদিসের ক্ষেত্রেও এই মিস্কিনের র্ধৃস্টতা চোখে পড়ার মত! যাহোক তার কালো পতাকা সম্বলিত হাদিস গুলোর জালিয়াতির জবাব দিয়েছেন ফজিলাতুস শাইখ ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মাদানি হাফিঃ। লিংক--- https://youtu.be/ODJRQ6HWamI আল কায়েদার ব্যাপারে আরব ওলামাদের অবস্থানঃ খাওয়ারিজদের
সংগঠন "আল-কায়েদা"
নেতা ওসামা
বিন লাদেন
সম্পর্কে বর্তমান
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ
আলেমেদ্বীন আল্লামাহ
বিন বাজ
রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
"ওসামা বিন
লাদেন হচ্ছে
এমন এক
ব্যক্তি যে
কিনা পৃথিবীর
উপর ফিতনা
ছড়াচ্ছে, এবং
ধংস আর
অকল্যাণের পথে
হাঁটছে। এবং
সে নেতৃবৃন্দ
ও শাসকদের
সাথে বিদ্রোহ
করেছে এবং
তাদের চ্যালেঞ্জ
জানিয়েছে।" (আল-মুসলিমুন এবং আল-শারক আল-আওসাত পত্রিকাসমূহ থেকে নেয়া হয়েছে সময়কাল ছিল আরবি মাস জমাদাউল উলা, ১৪১৭ হিজরি, বা ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ)। ইয়েমেনীয় দারুল হাদিস দাম্মাজের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামাহ মুকবিল ইবন হাদি আল-ওয়াদি রাহিমাহুল্লাহ , কুয়েতি আল-রায়ু আল-আম (ইস্যু নং ১১৫০৩, ১২/১৯/১৯৯৮) পত্রিকাকে এক সাক্ষাতকারে বলেন, “এইখানে, আল্লাহ্র সামনে, আমি নিজেকে বিন লাদেন থেকে মুক্ত ঘোষণা করছি, কেননা সে গোটা মুসলিম জাতির জন্য বিপজ্জনক, আর তার কার্যকলাপ জঘন্য” বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল্লামাহ আব্দুল্লাহ মহসিন আল আব্বাস হাফি: বলেন-- আল কায়েদা হল জমিনের বুকে একমাত্র ফিতনা সৃস্টিকারী দল! এরা যে চরমপন্থি এতে কোন সন্দেহ নেই! লিংক--
https://youtu.be/nSsKaGMaCnc আল্লামাহ মুকবিল বিন হাদি আল ওয়াদি রাহি: আরও বলেন ওসামা বিন লাদেন হল খাওয়ারিজদের নেতা! এই উম্মাহ তাকফিরের মত যেসব বিপর্যয়ের মুখোখুখী হয়েছে তার জন্য সে দায়ী- লিংক--
https://youtu.be/BO7BcXTc4zw ফজিলাতুস শাইখ রমাজান আল হাজিরি হাফিঃ বলেন--
আল নুসরা,বোকো হারাম, আল কায়েদা ইত্যাদি সংগঠন গুলো জিহাদের নামে জমিনে ফিত্নার দার উন্মুক্ত করেছে! কোন সন্দেহ নেই, এরাই হল জাহান্নামের কুকুর! লিংক---
https://youtu.be/4dwlFMkhl2I শাইখ সালমান আল আওদাহ, যে কিনা এক সময় আল কায়েদার সাথে জড়িত ছিল সেই আওদাও ২০০৭ সালে ওসামাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে বিবৃতি দিয়েছিল! এবং নিজেকে তার থেকে মুক্ত ঘোষণা করেছিল! যেহেতু আইএস, আল কায়েদা ও সমমনা দলগুলো খারেজী এবং ফিতনা সৃষ্টিকারী। এইসব বিষয়ে আহলুল সুন্নাহর উলামারা সবাই একমত। ইন্ডিয়ার বিখ্যাত বক্তা ও দাঈ ব্রাদার ইমরান (হাফি) ৫০ জন শীর্ষস্থানীয় উলামার ফাতওয়া ও বিভিন্ন দলিল এনেছে আল কায়েদার বিরুদ্ধে। যাতে সমস্ত ওলামারা বলেছেন এরা খারিজি সংগঠন! লিংক--https://m.youtube.com/watch?feature=youtu.be&v=krIVzME_Jkk ®সর্বশেষ
নসিহতঃ----- সাহাবীদের পর থেকে তাবেয়ীদের যুগ থেকে, যখন থেকে মুসলমানদের মাঝে “উলামায়ে ছু” (মন্দ বা পথভ্রষ্ট আলেম) ও আয়াম্মায়ে দ্বোয়াল্লিন (পথভ্রষ্ট ইমাম বা নেতা) মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রবেশ করেছে, তখন থেকেই আমাদের আলেমরা বার বার সতর্ক করে গেছেনঃ ইসলাম শেখার জন্য যাকে-তাকে “উস্তাদ” বা শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ না করার জন্য। এইসব চরমপন্থি বক্তা কিছু ভাল কথার আড়ালে তাদের ‘জাহালত’ (অজ্ঞতা) ও ‘দ্বোয়ালালাহ’ (ভ্রষ্টতা) লুকিয়ে রাখে, যার দ্বারা আপনি, আমি বিভ্রান্ত হতে বাধ্য! তাই নবাগত দ্বীনী ভাইগন হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নয় বরং সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত আলেমদের থেকে ইল্ম হাসিল করুন। এক্ষেত্রে বিখ্যাত তাবি'ঈ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সীরন রাহঃ র সেই বিখ্যাত উক্তি টি আবারো স্বরন করিয়ে দিচ্ছি! তিনি বলেছেন-
"নিশ্চয়ই এ ইল্ম হলো দ্বীনের অন্তভূক্ত! কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দ্বীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও। (অর্থাৎ সত্যবাদী, দ্বীনদার এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে দ্বীনের ইল্ম নেওয়া অবশ্যক)... ।।
2>> @@ ভয়ংকর এক ফিতনার নাম
" তামিম আল আদনানি"
এটা এখন অনেকেরই বুঝে আসবে না, আবার যখন বুঝে আসবে তখন সময় থাকবে না। বিশ্বাস হচ্ছে না???
এই ভিডিও টা দেখুন। https://youtu.be/wZV0Yxcj1no
কিভাবে মুসলিম আলেম ওলামাদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করা হচ্ছে,কি ভাবে তাদের নামে ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। মুসলিম ভুখন্ডের শাসকদের প্রতি মানুষকে উস্কে দিয়ে কিভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, এরপর আরও কিছু কথিত শাইখ আছে যাদের নাম বলবো না যারা কিনা সয়ং ইউরোপ, আমেরিকা, লন্ডন সহ অমুসলিম দেশগুলাতে পরিবার সহ শান্তিতে বসবাস করেন আর মুসলিম ভূখণ্ডের দিকে ফতোয়া ঝাড়েন উমক কাফের, তোমক কাফের, উমক ইহুদির দালাল, অমক দরবারী আলেম, তোমক সরকারি আলেম, অমক মুরজিয়া, তোমক মাদখালি, অমক শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। আসলে তারা কারা??
যারা এই সব করেন??
তারা কি চান??
তারা তো ঠিক ই অই সব দেশে শান্তিতে বসবাস করতেছেন। কিন্তু তারা চান না যে আমরা আমাদের দেশ গুলাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করি। আমি এটা বিশ্বাস করি যে মদিনার ইল্ম ও আলেম কখনো ফিতনা ছড়াবে না, বরং তারা সঠিক দ্বীনের উপরে থাকবে। যেহেতু রাসুল সঃ বলছেন সাপ যে ভাবে গর্তে ফিরে যায় ইল্ম সেভাবে মদিনাতে ফিরে যাবে। আর সবচেয়ে বড় ফিত্নাবাজ দাজ্জাল মক্কা মদিনাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অতএব যারা মদিনার ইল্ম ও আলেমদের বিরধিতা করে আমি তাদের ভাল মনে করিনা কারন যারা এই সব করে নিশ্চই তাদের মধ্য ঘাপলা আছে। অনলাইন এ নবাগত দ্বীনী ভাই-বোনেরা বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে ফিত্নার মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছে তা হল -যার তার কাছ থেকে, যেখান সেখান ইল্ম অর্জনের দিকে ধাবিত হওয়া! তাছাড়া অনেকেই আলেমদের ছেড়ে দিয়ে মোডারেট দ্বায়ীদের পিছনেও দৌড়ানো শুরু করছে! কেউ
কেউ আবার
এসকল মাজহুল
ব্যক্তিদেরকে জিহাদি
আলেম/ মুজাহিদ
মুফতি/ওলামায়ে
হক্ব টাইটেল
লাগিয়ে দিয়ে
তৃপ্তির ঢেকুর
ফেলছেন! এসব গুপ্ত ঘাতক রা মুলত লোকদেরকে নিজেদের দিকে আকৃস্ট করতে প্রথমে কুরআন ও হাদীস নিয়ে কিছু হাওয়ালা দেয়! এরপর ইউটিউব বা ইন্টারনেটে কিছু ওয়াজ-লেকচার ছেড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে! তারপর ফেইসবুক, টুইটারে কয়েক লক্ষ লাইক, ফলোয়ার বা একনিষ্ঠ মুরীদ জোটাতে পারলেই শুরু হয় তাদের বিষাক্ত মিশন! যেহেতু আজকালকার ২০/২৫ বছরের যুবকদের রক্ত টগবগে গরম থাকে!তাই তাদের এই উইকনেস কে কাজে লাগাতে কৌশলে হৃদয় গলানো বা গরম গরম আবেগী বক্তৃতা দিয়ে বা মনভুলানো কিছু লেখালিখি করে মানুষের মগজ ধোলাই করে! ঠিক তেমনি একজন চরমপন্থি মাজহুল ব্যক্তি
"তামিম আল আদনানি"র ভিডিও গুলো ইদানীং ভাইরাল হচ্ছে!একটি মহল সু-পরিকল্পিতভাবে "Ummah
Network" নামক চ্যানেলের মাধ্যমে চারদিকে তার খন্ড খন্ড মনভোলানো বক্তব্য গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে! ইমরশোনাল স্পিচ, মনোমুগদ্বকর প্রেজেন্টেশন আর সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যের সাথে আরবী নাশিদের ব্যাকসাউন্ড দিয়ে সহজেই যুবকদের আকৃস্ট করে ফেলছে! দুই চারটা সহীহ্ কথার আড়ালে বক্তা এমন ভাবে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আর হাদিসের অপব্যাখা যোগ করে দেন,তাতে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হতে বাধ্য! আমরা যারা সাধারণ মানুষ, দ্বীন সম্পর্কে, কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে জ্ঞানী না, তাদের সামনে যদি একজন মূর্খ লোকও সামান্য কিছু পড়াশোনা করে আলেমের লেবাস ধরে, আমরা কিন্তু ধরতে পারবোনা এই লোকটা আসলেই কি একজন আলেম? নাকি আলেম না হয়েও আলেম সেজে আমাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে? যেমন একজন জুহুরীই কেবলমাত্র চিনতে পারে কোনটা আসল রত্ন কোনটা সস্তা পাথর, একজন স্বর্ণকারই চিনতে পারে কোনটা খাঁটি স্বর্ণ আর কোনটা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশান। রাইট? ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত আলেমই আসলে চিনতে পারেন, কে আলেম আর কে জাহেল (মূর্খ)। আজ মনে পড়ে গেল জার্মানির খলনায়ক হিটলারের কথা! তার বক্তৃতার মধ্যেও যাদু ছিল। মানুষ বক্তব্য শুনেই মুগ্ধ হয়ে যেতো। যেকারণে সামান্য একজন সৈনিক হওয়া স্বত্বেও হিটলার জার্মানির শাসক হতে পেরেছিল! সেইজন্য ই দেখতে হবে, যার ব্যপারে কথা হচ্ছে, তার ব্যপারে তার পূর্বে বা তার সময়কার যারা “আলেম” ছিলেন, তারা কি তাকে একজন আলেম বলে মনে করতেন, নাকি জাহেল (মূর্খ) বলে মনে করতেন? আমাদেরকে একটা বিষয় বুঝা উচিত-“ইলম” বা দ্বীনের জ্ঞান আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায় না, যার ইচ্ছা ওখান থেকে নিয়ে সে আলেম হয়ে যাবে। সকল যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমগন গর্তে/জংগলে/পর্দার অন্তরালে কখনোই লুকিয়ে ছিলেন না! বরং তারা সরাসরি মানুষের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা করতেন এবং সরাসরি লোকালয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন! সেইজন্যই আলেমরা মাজহুল ব্যক্তি যে কিনা প্রকৃত আহলে সুন্নত নাকি আহলে বিদআতের লোক , আলেম নাকি জাহেল, এই বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই না করে তার কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান নিতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এই ব্যপারে ইমাম শু’বাহ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১৬০ হিজরী) বলেন, “ইলম তার কাছ থেকেই নাও, যে ব্যক্তি পরিচিত।” [আল-জারহ ওয়াত-তা’দীলঃ ২/২৮]
--- কে এই তামিম আল আদনানি? কি তার আকিদা, মানহাজ? কি তার পরিচয়?কি তার পড়াশোনা? কারা তার উস্তাদ? সে কি বাংলাদেশি নাকি আরবীয়? তাকে সম-সাময়িক কোন আলেম চিনেন কিনা, বা তিনি আলেমদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেছেন কিনা, তাঁদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেন কিনা অথবা ওলামাদের, সহবতে ছিলেন কিনা, এসব বিষয়াদি না জেনেই এমন ব্যক্তি থেকে আপনি অন্ধের মত কি করে দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে একজন সালাফ বলেছিলেন-দ্বীনের ব্যপারে “প্রকৃত আলেম” ছাড়া অপরিচিত, অজ্ঞ লোকদেরকে আলেম মনে করে তাদের কথা বিশ্বাস করবেনা। যদি করো, তাহলে যেন তুমি তোমার দ্বীনকেই ধ্বংস করলে"!
আমাদের অনুসন্ধানে
"আদনানি" নামক এই প্রানীর অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ রয়ে গেছে ,
হয়ত এই নামটি সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে দেশের চরমপন্থি গ্রুপগুলো যুবকদের ব্রেনওয়াশ করছে!,
যাহোক এই আদনানি মুলত ‘সালফে সালেহীন’ (সাহাবীদের) আক্বীদাহ (ধর্মীয় বিশ্বাস) ও মানহাজে (কর্ম পদ্ধিত বা চলার নীতিতে) বিশ্বাসী নয়। অনেক সময় সে মনভোলানো যুক্তি ও কথার দ্বারা আহলে সুন্নাহর বিরোধীতা করে এবং কৌশলে তার ভক্ত-শ্রোতাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ®আল কায়েদা ও আদনানী ঃ-- চরমপন্থি খারিজি সং
admin by rasikul islam প্লিজ আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিবনে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-সময়
থাকতে এই সমস্থ
চরমপন্থি মাজহুল ব্যক্তি,ইমরশোনাল ,মনোমুগদ্বকর
বক্তা থেকে সাবধান হউন ।।
-- Take
time to be careful about this extremist Majhul, Imrishnol, Manmugadak speak