Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

❒ আল্লাহ তা'আলার ঊর্ধ্বে থাকাকে অস্বীকারকারীর হুকুম!

❒ আল্লাহ তা'আলার ঊর্ধ্বে থাকাকে অস্বীকারকারীর হুকুম!
.

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত ঐক্যমতে এমনকি সমস্ত ঐশী ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহ তা'আলা আসমানের ঊর্ধ্বে। অসংখ্য আয়াত ও হাদীস দ্বারা এ আকীদাহ সুপ্রমাণিত। সাহাবী, তাবিয়ী, তাবি-তাবিয়ীসহ সমস্ত সালাফের এটাই আকীদাহ ছিল। তাদের ইজমা হচ্ছে, কেউ যদি আল্লাহর ঊর্ধ্বে থাকাকে অস্বীকার করে, সে কাফির হয়ে যাবে।
.

ইমাম আবূ হানীফাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
ومن قال : لا أعرف ربي في السماء أم في الأرض فقد كفر لأن الله تعالى يقول : ( الرحمن على العرش استوى ) وعرشه فوق سبع سماوات ( قلت ) : فإن قال : إنه على العرش ولكنه يقول : لا أدري العرش في السماء أم في الأرض قال : هو كافر ; لأنه أنكر أن يكون في السماء
যে ব্যক্তি বলে, "আমি জানি না আমার রব আসমানে না জমীনে", সে কাফির হয়ে গেল। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, "রহমান আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন"। তাঁর আরশ সাত আসমানের উপরে। আবূ মুতী' বলেন, "আমি জিজ্ঞাসা করলাম, যদি সে ব্যক্তি বলে, "আল্লাহ আরশের উপর কিন্তু আমি জানি না আরশ আসমানে না জমীনে"। তিনি বললেন, "সে কাফির। কেননা সে আল্লাহর আসমানে উপরে থাকাকে অস্বীকার করেছে।"
(আল-ফিকহুল আবসাত, ৮৩-৮৫)
.

ইমাম দারিমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
وبكفرهم في أنهم لا يدرون أين الله تعالى ولا يصفونه بأين ولا يثبتون له مطلق الفوقية الثابتة بالنصوص الصريحة في كتاب الله تعالى وسنة نبيه صلى الله عليه وسلم ".
তাদেরকেও কাফির বলব এজন্য যে, তারা জানে না "আল্লাহ কোথায়"; আল্লাহকে "কোথায়" গুণে গুণান্বিত করে না এবং কুরআনের স্পষ্ট আয়াত এবং রাসূল স. এর সুন্নাহর মাধ্যমে প্রমাণিত "আল্লাহ সকল দিক থেকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকাকে" সাব্যস্ত করে না।
(নাকযুদ দারিমী, পৃ. ১১০)
.

ইমাম মুহাম্মাদ বিন মুস'আব রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
من زعم أنك لا تتكلم ولا ترى في الآخرة فهو كافر بوجهك لا يعرفك ، أشهد أنك فوق العرش فوق سبع سماوات ليس كما يقول أعداء الله الزنادقة
যে মনে করে "আল্লাহ, তুমি কথা বলো না, তোমাকে দেখা যাবে না"—সে তোমাকে অস্বীকারকারী, সে তোমাকে চিনতে পারেনি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি সাত আসমানের ঊর্ধ্বে আরশের উপরে। আল্লাহর দুশমন যিন্দিকরা যেমনটা বলে তুমি তেমন নও।
(আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, আস-সুন্নাহ, ১৬৮)
.

ইমাম ইবনু খুযাইমাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
من لم يقر بأن الله على عرشه، استوى فوق سبع سماواته، بائن من خلقه، فهو كافر يستتاب، فإن تاب وإلا ضربت عنقه، وألقي على مزبلة؛ لئلا يتأذى بريحه أهل القبلة وأهل الذمة)
যে ব্যক্তি স্বীকার করে না "আল্লাহ তা'আলা তাঁর আরশের উপর, সাত আসমানের ঊর্ধ্বে সমুন্নত হয়েছেন, মাখলূকের বিপরীতে" —সে কাফির। তাকে তাওবা করতে বলা হবে। (তাওবা করলে বেঁচে গেল অন্যথায়) তার গর্দান উড়িয়ে দিয়ে নর্দমায় নিক্ষেপ করতে হবে। যাতে তার দুর্গন্ধে মুসলিম ও যিম্মীরা কষ্ট না-পায়।
(মুখতাসারুল উলূ, পৃ. ২২৫)
.

ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
القول بأن الله تعالى فوق العالم معلوم بالاضطرار من الكتاب والسنة وإجماع سلف الأمة بعد تدبر ذلك. ولهذا كان السلف مطبقين على تكفير من أنكر ذلك.
"আল্লাহ তা'আলা বিশ্বজগতের ঊর্ধ্বে" এটা কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফদের ইজমা নিয়ে গবেষণার পর স্বতঃসিদ্ধভাবে জানা বিষয়। এ জন্য যে-ব্যক্তি তা অস্বীকার করে, তাকে কাফির বলার ব্যাপারে সালাফগণ একমত।
(দারউ তা'আরুযিল আকল ওয়ান নাকল, ৭/২৭)
.

আল্লামাহ ইবনু সাহমান রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
وَإِذا أنكر هَذَا الصِّنْف علو الله على خلقه فهم كفار لِأَن الله تَعَالَى فِي أَعلَى عليين وَأَنه يدعى من أَعلَى لَا من أَسْفَل وَمن زعم أَن الاسْتوَاء بِمَعْنى الِاسْتِيلَاء أَو الْقُدْرَة على الْأَشْيَاء كَمَا تَقوله الْجَهْمِية فقد جحد علو الله على خلقه
এই শ্রেণির লোকেরা যদি "মাখলূকের উপরে আল্লাহর ঊর্ধ্বে থাকাকে" অস্বীকার করে, তারা কাফির। কেননা আল্লাহ সর্বোর্ধ্বে। তাঁকে উপরে ডাকতে হয়, নিচে নয়। যে মনে করে "সমুন্নত হওয়া" মানে "বিজয়ী হওয়া" অথবা "বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান হওয়া"—যেমনটি জাহমিয়ারা বলে—সে "মাখলূকের উপর আল্লাহর ঊর্ধ্বে থাকাকে" অস্বীকার করে ফেলল।
(তাময়ীযুল হক, ১৩৯)
.

আল্লামাহ আব্দুর রহমান বিন হাসান আলুশ শাইখ আশ'আরীদের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,
وقد حكى ابن القيم -رحمه الله- عن خمسمائة إمام من أئمة الإسلام، ومفاتيه العظام أنهم كفّروا من أنكر الاستواء، وزعم أنه بمعنى الاستيلاء، ومن جملتهم إمامك الشافعي -رحمه الله-، وجملة من أشياخه كمالك وعبد الرحمن بن مهدي والسفيانين، ومن أصحابه أبو يعقوب البويطي والمزني، وبعدهم إمام الأئمة ابن خزيمة الشافعي، وابن سريج، وخلق كثير.
ইবনুল কাইয়িম রাহি. পাঁচশত মহান ইমামের ব্যাপারে বলেছেন, "তাঁরা তাদের কাফির বলতেন যারা আল্লাহর সমুন্নত হওয়াকে অস্বীকার করে এবং মনে করে, সমুন্নত হওয়া মানে বিজয়ী হওয়া।" তন্মধ্যে রয়েছেন ইমাম শাফিয়ী, মালিক, আব্দুর রহমান বিন মাহদী, সুফইয়ান সাওরী, সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ, আবূ ইয়াকুব বুওয়াতী, মুযানী, ইবনু খুযাইমাহ, ইবনু সুরাইজ ও আরও অনেকেই।
(মাজমু'আতুর রাসায়িল ওয়াল মাসায়িল, ১/২২১)
.

লেখক: উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
শিক্ষক, মাদরাসাতুল হাদিস -
নাযিরাবাজার, ঢাকা।

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।

► ইছলাহ্'র সাথে, আগামীর পথে ...
https://www.facebook.com/ichlah/
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

Post a Comment

0 Comments