নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন কস্টিপাথরে ব্রদারহুড,ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ব্যাপারে https://rasikulindia.blogspot.com/
▌২৯শ অধ্যায়: ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [২য় কিস্তি]
·
৬ষ্ঠ বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,
فقد حاول أعداء هذه الدعوة أن يقضوا عليها بالقوة فلم ينجحوا، وحاولوا أن يقاوموها بالتشكيك والتخليل والشبهات ووصفها بالأوصاف المنفرة فما زادها إلا تألقًا ووضوحًا وقبولًا وإقبالًا.
ومن آخر ذلك ما نعايشه الآن من وفود أفكار غريبة مشبوهة إلى بلادنا بإسم الدعوة على أيدي جماعات تتسمى بأسماء مختلفة مثل الإخوان المسلمين، وجماعة التبليغ وجماعة كذا، وكذا، وهدفها واحد وهو أن تزيح دعوة التوحيد وتحل محلها.
“এই (সালাফী) দা‘ওয়াতের শত্রুরা দা‘ওয়াতকে ধ্বংস করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। সন্দেহ, সংশয় ও বিকৃতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে এবং এই দা‘ওয়াতকে বিরাগজনক বিশেষণ দেওয়ার মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। আর এসবের মাধ্যমে কেবল (দা‘ওয়াতের) উজ্জ্বলতা, স্পষ্টতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং অগ্রগমনই বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর এসবের শেষে আমরা বর্তমানে যে বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছি, তা হলো—বিভিন্ন নামের দল বা জামা‘আতের হাত ধরে দা‘ওয়াতের নাম দিয়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন সংশয়পূর্ণ বহিরাগত মতবাদের আগমন। যেমন: মুসলিম ব্রাদারহুড, তাবলীগ জামা‘আত এবং অমুক-তমুক জামা‘আত। এসব দলের উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হলো—তাওহীদের দা‘ওয়াতকে অপসারণ করে সেই (সালাফী দা‘ওয়াতের) জায়গা দখল করা।” [হাক্বীক্বাতুদ দা‘ওয়াতি ইলাল্লাহ; ‘ভূমিকা’ দ্রষ্টব্য; পৃষ্ঠা: ৩-৪; গৃহীত: ফাইসাল বিন ‘আবদুহ বিন ক্বাইদ আল-হাশিদী, রিসালাতুন উখুউয়িয়্যাহ: লিমাযা তারাকতু দা‘ওয়াতাল ইখওয়ানিল মুসলিমীন ওয়াত্তাবা‘তুল মানহাজাস সালাফী; পৃষ্ঠা: ৬৪; দারুল আসার, সানা কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
·
৭ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: يقول السائل ما حكم أخذ البيعة للفرق والجماعات كبيعة جماعة الإخوان هل هي من التفرق والخروج عن الجماعة؟
الجواب: البيعة تؤخذ لولي أمر المسلمين ما تؤخذ إلا لولي أمر المسلمين لا تؤخذ لرئيس جماعة أو لأمير جماعة وإنما تؤخذ لولي أمر المسلمين العام، نعم.
প্রশ্ন: “প্রশ্নকারী বলছেন, ব্রাদারহুডের কাছে বাই‘আত নেওয়ার মতো বিভিন্ন দল ও জামা‘আতের নিকট বাই‘আত গ্রহণ করার বিধান কী? এটা কি (উম্মাহ) বিভক্তি এবং জামা‘আত (জামা‘আতুল মুসলিমীন) থেকে বের হয়ে যাওয়ার অন্তর্ভুক্ত?”
উত্তর: “মুসলিমদের শাসকের নিকট বাই‘আত গ্রহণ করতে হবে। মুসলিমদের শাসকের ব্যতীত অন্য কারও কাছে বাই‘আত নেওয়া যাবে না। কোনো দলের প্রধান বা কোনো দলের আমীরের নিকট বাই‘আত নেওয়া যাবে না। বরং বাই‘আত কেবল মুসলিমদের সার্বজনিক শাসকের কাছে নিতে হবে। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/14223.]
·
৮ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: ما حُكم الالتحاق بالجماعات المُنحَرِفَة كجماعة الإخوان وجماعة التبليغ، وأرجو مِنْ معالي الشيخ توضيح خطر التكفير؟ وما موقِف المسلم مٍنَ النوازِل والفِتَن؟
الجواب: ما عندنا إلا جماعة واحدة: جماعة أهل السُّنة والجماعة على ما كان عليه السَّلَفُ الصالِحُ، ولزوم الجماعة يعني لزوم ما عليه المسلمون وما عليه إمامهم، أي الدخول تحت طاعةِ إمامٍ عامٍّ، فهذا مذهب أهل السنة والجماعة.
ويتحَقَّقُ الأمن بذلك ويتحقق العدل في ذلك؛ خِلاف التَفَرُّق والاختلاف وتعدُّد الجماعات، فإنه يحصُلُ به مفاسد عظيمة.
الله-جلّ وعلا- قال: ﴿وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعاً وَلا تَفَرَّقُوا﴾، وقال-تعالى-: ﴿وَلا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمْ الْبَيِّنَاتُ وَأُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ﴾، اللهُ أمَرَنا بالاجتماع، ونهانا عن الفُرقَةِ والاختلاف، النبيُّ-صلى اللهُ عليه وسلم- قال: «وَعَلَيكُمْ بِالجَمَاعَةِ، فَإِنَّ يَدَ اللهِ مَعَ الجَمَاعَةِ»، وقال: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللهِ، والسَّمعِ والطَّاعةِ، وإنْ تَأَمَّرَ عَلَيكُمْ عَبْدٌ، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرى اختِلافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُم بِسُنَّتِي وسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ مِنْ بَعْدِي، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيها بِالنَّوَاجِذِ، وإِيَّاكُمْ وَمُحْدثَاتِ الأُمُور، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٍ، وكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلالةٍ، وكُلَّ ضلالةٍ في النَّارِ».
فالاجتماعُ رحمةٌ، والفُرْقَةٌ عذابٌ، والفُرْقَةُ تُسَبِّب النِّزاع والخِصام وسَفك الدماء، أمَّا الاجتماع فإنَّهُ رحمة، ويحصُل به توَفُّر الأمن وإيصال الحقوق إلى أهلِها، وعِمارة الأرض؛ هذا في الأمن.
ولهذا إبراهيم-عليه السلام- أول ما دعا بالأمنِ: ﴿رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَداً آمِناً وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنْ الثَّمَرَاتِ﴾، ﴿رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِناً وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الأَصْنَامَ﴾، واللهُ-جلّ وعلا- يقول: ﴿فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ* الَّذِي أَطْعَمَهُمْ مِنْ جُوعٍ وَآمَنَهُمْ مِنْ خَوْفٍ﴾.
فالأمنُ لابُدَّ مِنهُ: ﴿أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَماً آمِناً وَيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ﴾ الآية.
প্রশ্ন: “পথভ্রষ্ট দলসমূহে যোগদান করার বিধান কী, যেমন: ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আত? আমি সম্মানিত শাইখের কাছে কাফির বলার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত বর্ণনাও আশা করছি। আর এসব দুর্যোগ ও ফিতনাহ’য় মুসলিমের অবস্থান কী?”
উত্তর: “আমাদের কেবল একটি জামা‘আতই রয়েছে। আর তা হলো—আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত, যার উপর ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণ। আর জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার অর্থ মুসলিমগণ এবং তাঁদের ইমাম যার উপর রয়েছেন, তা আঁকড়ে ধরা। অর্থাৎ, সার্বজনিক ইমামের আনুগত্যের আওতায় আসা। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আদর্শ। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয় এবং এতেই ন্যায়পরায়ণতা বাস্তবায়িত হয়; বিভক্তি, মতদ্বৈধতা এবং দলসমূহের আধিক্যের বিপরীতে। কারণ এসবের মাধ্যমে কেবল ভয়াবহ অনিষ্টই অর্জিত হয়।
মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সকলে আল্লাহ’র রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না।” (সূরাহ আলে ‘ইমরান: ১০৩) তিনি আরও বলেছেন, “আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা বিভক্ত হয়েছে এবং মতবিরোধ করেছে তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর। আর তাদের জন্যই রয়েছে কঠোর শাস্তি।” (সূরাহ আলে ‘ইমরান: ১০৫) আল্লাহ আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আদেশ করেছেন এবং দলাদলি ও মতবিরোধ করতে নিষেধ করেছেন।
নাবী ﷺ বলেছেন, “তোমরা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে বসবাস করো। নিশ্চয় জামাআতের উপর আল্লাহ’র হাত (অনুগ্রহ) প্রসারিত।” (তিরমিযী, হা/২১৬৫-২১৬৬; সনদ: সাহীহ) তিনি ﷺ আরও বলেছেন, “আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাহগণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকবে। সাবধান! (ধর্মে) প্রতিটি নবআবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নবআবিষ্কার হলো বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আত হলো ভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামে যাবার কারণ।” (আবূ দাঊদ, হা/৪১০৭; নাসাঈ, হা/১৫৭৮; সনদ: সাহীহ; শেষের বাক্যটি স্রেফ নাসাঈ কর্তৃক বর্ণিত – অনুবাদক)
ঐক্যবদ্ধ থাকা রহমত, আর দলাদলি হলো আযাব। দলাদলি ঝগড়াবিবাদ, বাগবিতণ্ডা এবং রক্তপাতের কারণ। পক্ষান্তরে একতা হলো রহমত। এর মাধ্যমে অর্জিত হয় পরিপূর্ণ নিরাপত্তা, হকদারের কাছে হক পৌঁছিয়ে দেওয়া এবং জমিনকে আবাদকরণের ব্যবস্থা। একারণে ইবরাহীম (‘আলাইহিস সালাম) সর্বপ্রথম নিরাপত্তা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “হে আমার রব, আপনি এই শহরকে (মক্কা) নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফলমুলের রিজিক দিন।” (সূরাহ বাক্বারাহ: ১২৬) “হে আমার রব, আপনি এই শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’।” (সূরাহ ইবরাহীম: ৩৫)
মহান আল্লাহ বলেছেন, “অতএব তারা যেন এ গৃহের রবের ইবাদত করে। যিনি ক্ষুধায় তাদেরকে আহার দিয়েছেন, আর ভয় থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।” (সূরাহ ক্বুরাইশ: ৩-৪) অবশ্যই নিরাপত্তা থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “তারা কি দেখে না যে, আমি ‘হারাম’ কে নিরাপদ বানিয়েছি, অথচ তাদের আশপাশ থেকে মানুষদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয়? তাহলে কি তারা অসত্যেই বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহ’র অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?” (সূরাহ ‘আনকাবূত: ৬৭)” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/16250.]
·
৯ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: أحسن الله إليكم صاحب الفضيلة، وهذا سائل يقول: هل جماعة التبليغ وجماعة الإخوان المسلمين من الفرق الضالة؟
الجواب: كل من خالف ما عليه الرسول ﷺ وأصحابه فهو من الفرق الضالة، لكن قد يكون ضلاله ضلالاً مبينا وقد يكون ضلاله دون ذلك، [كلام غير واضح] وإلا كل من خالف منهج الرسول ﷺ وما عليه الرسول وأصحابه في العقيدة فإنه يكون من الفرق الضالة، قد يكون ضلاله حسب ما هو عليه من المخالفات، نعم.
প্রশ্ন: “ইয়া সাহিবাল ফাদ্বীলাহ (হে সম্মাননীয়), আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। এই প্রশ্নকারী বলছেন, তাবলীগ জামা‘আত এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কি পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত?”
উত্তর: “যে ব্যক্তিই রাসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণ যে আদর্শের উপর ছিলেন, সে আদর্শের বিরোধিতা করে, সেই পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তার ভ্রষ্টতা কখনো কখনো সুস্পষ্ট হয়, আবার কখনো কখনো অস্পষ্ট হয়। নতুবা যে ব্যক্তিই রাসূল ﷺ এর মানহাজের বিরোধিতা করে এবং রাসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণ ‘আক্বীদাহর ক্ষেত্রে যে আদর্শের উপর ছিলেন, সে আদর্শের বিরোধিতা করবে, সেই পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে তার ভ্রষ্টতা তার বিরোধিতার পরিমাণ অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/5051.]
·
১০ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: إذا عرفت خلية سرية من خلايا وحزب الإخوان المحظور أو فردا من أفراده، هل يستحب لي أن أبلغ عنهم أو عنه، وجزاكم الله خيرا.
الجواب: نعم، إذا كان مطلوب التبليغ عن مثل هؤلاء يجب على من علم عنهم شيئا أن يبلغ عنهم، لأجل كفّ شرّ الأشرار وكيد الفجار، هذا من التعاون على البر والتقوى، قال الله جل وعلا: ﴿وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ﴾ [المائدة: ٢] فإذا عرف أن شخصاً ينشر أفكاراً متطرفة أو أفكاراً ضالة لا يجوز السكوت عنه، فيجب أن يسعى في كفّ شره عن المسلمين بأي وسيلة، نعم.
প্রশ্ন: “আমি যখন নিষিদ্ধ দল ব্রাদারহুডের কোনো গুপ্তসংঘ বা তাদের কোনো সদস্যকে চিনতে পারব, তখন কি ওই সংঘ বা সদস্যের ব্যাপারে (কর্তৃপক্ষের কাছে) খবর পৌঁছানো আমার জন্য বাঞ্ছনীয়? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”
উত্তর: “হ্যাঁ। এইরকম ব্যক্তিদের ব্যাপারে সংবাদ তলব করা হলে, যে ব্যক্তি তাদের ব্যাপারে কিছু জানে, তার জন্য তাদের ব্যাপারে সংবাদ পৌঁছানো ওয়াজিব। যাতে করে অনিষ্টকারীদের অনিষ্ট এবং পাপাচারীদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করা যায়। এটা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেছেন, “সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করো। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না।” (সূরাহ মা’ইদাহ: ২) যদি জানা যায় যে, কোনো ব্যক্তি উগ্রবাদী মতাদর্শ বা পথভ্রষ্ট মতাদর্শ প্রচার করছে, তাহলে তার ব্যাপারে চুপ থাকা জায়েজ নয়। যে কোনো প্রকারে মুসলিমদের পক্ষ থেকে তাঁর অনিষ্টকে প্রতিরোধ করার জন্য চেষ্টাপ্রচেষ্টা করা ওয়াজিব। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/17730.]
·
১১শ বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: أكد ولاة أمرنا حفظهم الله وفي مقدمتهم سمو ولي العهد الأمين الأمير محمد بن سلمان بن عبد العزيز وفقه الله على خطورة تنظيم جماعة الإخوان وداعش وتنظيم القاعدة وغيرها من الأحزاب والتنظيمات والجماعات المخالفة لمنهج أهل السنة والجماعة، وأنها سبب لتشويه صورة الإسلام والمسلمين وخصوصا في هذا الزمن، فما واجبنا جميعا وخصوصا طلاب العلم تجاه هذه الأحزاب والتنظيمات؟
الجواب: الواجب النصيحة، قال ﷺ : الدين النصيحة، قلنا: لمن يا رسول الله؟ قال: لله ولكتابه ولرسوله، ولأئمة المسلمين وعامتهم. [رواه مسلم] الواجب النصيحة، للوقاية من هذه الشرور وهذه الضلالات وهؤلاء الأشرار، ومن النصيحة أن يبين كيدهم ويبين دسّهم ويحذر منهم، نعم.
السائل: وأيضا لا بدّ من وضوح الشراحة سماحة الوالد في مثل هذه المقامات وخصوصا هذه التنظيمات والأحزاب التي أضرت في الإسلام.
الشيخ: لا شك، لا بدّ يبين من علم شيئاً وتأكد منه مما فيه خطر على المسلمين يجب عليه أن يسعى في كفّه ويبلغ عنه المسأولين ومن يهمه الأمر الذين يعارضون الأمور، يبلغهم بهذه الأخطار التي علم عنها ما علم، نعم.
প্রশ্ন: “আমাদের শাসকবর্গ (আল্লাহ তাঁদেরকে হেফাজত করুন) –তাঁদের অগ্রভাগে রয়েছেন মহামান্য যুবরাজ আমীর মুহাম্মাদ বিন সালমান বিন ‘আব্দুল ‘আযীয (আল্লাহ তাঁকে সৎকর্মের তাওফীক্ব দিন)– ব্রাদারহুড, আইএস, আল-কায়েদা এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মানহাজ বিরোধী অপরাপর দল ও সংগঠনের ভয়াবহতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, এসব দল ইসলাম ও মুসলিমদের আদর্শকে বিকৃত করছে, বিশেষ করে বর্তমান যুগে। এসব দল ও সংগঠনের ব্যাপারে আমাদের সবার, বিশেষ করে ত্বালিবুল ‘ইলমদের কী করণীয় রয়েছে?”
উত্তর: “এক্ষেত্রে করণীয় হলো নসিহত করা। নাবী ﷺ বলেছেন, ‘নসিহত করাই দ্বীন।’ আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ’র রাসূল, ‘কার জন্য নসিহত?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ ও তার কিতাবের, তার রাসূলের, মুসলিম শাসকবর্গ এবং মুসলিম জনগণের জন্য।” (সাহীহ মুসলিম, হা/৫৫; ‘ঈমান’ অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ২৩) সুতরাং করণীয় হলো নসিহত করা; এসব অনিষ্টতা, ভ্রষ্টতা থেকে এবং ওই সকল অনিষ্টকারী ব্যক্তিদের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকার জন্য। অনিষ্টকারী ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বর্ণনা করা এবং তাদের থেকে মুসলিমদের সতর্ক করা নসিহতেরই অন্তর্ভুক্ত। না‘আম।”
প্রশ্নকর্তা: “সম্মানিত পিতা, এছাড়াও এসব বিষয়ে, বিশেষ করে ইসলামের ক্ষতিসাধনকারী এসব সংগঠন ও দলসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা আবশ্যক?”
শাইখ: “নিঃসন্দেহে। যে ব্যক্তি দৃঢ়ভাবে জানে যে, এতে মুসলিমদের ক্ষতি রয়েছে, তার জন্য ওয়াজিব হলো—তা প্রতিরোধ করা, আর সে ব্যাপারে (সংশ্লিষ্ট বিভাগে) দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে এবং যারা এসব বিষয় ফেস করেন, তাঁদের কাছে সংবাদ পৌঁছানো। এসব ক্ষতিকর বিষয়সমূহের ব্যাপারে সে যা জানে, তা তাঁদের কাছে পৌঁছাবে।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/17731.]
·
১২শ বক্তব্য:
কিছু লোক একটি মিথ্যা দাবি করে যে, ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর মৃত্যুর পূর্বে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসা করেছেন! অথচ তাদের এই দাবির স্বপক্ষে কোনো দলিল নেই। ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র শ্রেষ্ঠ ছাত্র যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন এবং ব্রাদারহুডকে আহলুস সুন্নাহ বহির্ভুত দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়াটি নিম্নরূপ—
السؤال: ظهر بعض الدعاة يقول إن سماحة الشيخ ابن باز رحمه الله قد توفي وهو يثني وينصح بجماعة التبليغ والإخوان المسلمين، فهل هذا الكلام صحيح؟
الجواب: هذا الكلام غير صحيح، ونحن جالسنٰه أكثر من عشر سنوات ما سمعناه يثني إلا على أهل السنة والجماعة، ويدعو إلى أهل السنة والجماعة وينصح لمن أخطئ من الجماعات الأخرى أن يتراجع عن خطأه من التبلغيين وغيرهم، هذا الذي أعرفه عن شيخي الشيخ ابن باز رحمه الله، نعم.
প্রশ্ন: “একজন দা‘ঈর আবির্ভাব ঘটেছে, যে বলছে, সম্মানিত শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাবলীগ জামা‘আত এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসারত অবস্থায় মারা গেছেন। এই কথা কি সঠিক?”
উত্তর: “এই কথা সঠিক নয়। আমরা তাঁর সাথে দশ বছর উঠাবসা করেছি। আমরা কখনও শুনিনি যে, তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত ব্যতীত অন্য কারও প্রশংসা করেছেন। তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের দিকে মানুষকে আহ্বান করতেন। অন্য দলের কেউ ভুল করলে তিনি তাকে সেই ভুল থেকে ফিরে আসার নসিহত করতেন; তাবলীগীদের এবং অন্যান্যদেরও (নসিহত করতেন)। আমার শাইখ আশ-শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র ব্যাপারে আমি এটাই জানি। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/en/node/14255.]
·
১৩শ বক্তব্য:
শাইখ ফাওয়্যায বিন ‘আলী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ)’র ইউটিউব চ্যানেলে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রসঙ্গে ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র একটি অডিয়ো ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। যেখানে ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) কে মুসলিম ব্রাদারহুডের উৎপত্তি প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। তিনি উত্তরে বলেছেন,
أصل منشأ هذه الطائفة خوارج، لكن زاد شرهم، تجاوزوا ما يفعله الخوارج، الخوارج ما كانوا ينسفون البيوت ويفجرون المساكن والمتاجر، ما كانوا يعملون هذه الأعمال وهذه الغيلة، الخوارج كانوا يبرزون في المعارك ويفاتلون، ما كانوا يهجمون على بيوت الناس الآمنين، ويرعوون النساء والأطفال، فهم أشر من الخوارج، منشأهم من الخوارج، لكن زادوا عليهم.
“এই দলের মূল উৎপত্তি হলো খারিজী সম্প্রদায়। কিন্তু এদের অনিষ্ট আরও বেশি। এরা খারিজীদের কর্মকাণ্ডকেও অতিক্রম করেছে। (প্রাচীন) খারিজীরা বাড়িঘর ধ্বংস করত না, মানুষের আবাসস্থল ও হাটে-বাজারে বোমা বিস্ফোরণ করত না। তারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড এবং প্রতারণামূলক হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করত না। (প্রাচীন) খারিজীরা যুদ্ধে বের হতো এবং যুদ্ধ করত। কিন্তু তারা নিরাপদ মানুষের বাড়িঘরে হামলা করত না, নারী ও শিশুদের ভীতসন্তস্ত্র করত না। এরা (প্রাচীন) খারিজীদের চেয়েও নিকৃষ্ট। খারিজীদের থেকেই এদের উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু এরা অনিষ্টসাধনে তাদেরকেও অতিক্রম করেছে।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=uSpK9Z_-FyE.]
[২৯শ অধ্যায় এই পর্বেই সমাপ্ত।]
·
অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] -:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞানপেতে runing update),<> -https://rasikulindia.blogspot.com(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন).
▌২৯শ অধ্যায়: ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [২য় কিস্তি]
·
৬ষ্ঠ বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,
فقد حاول أعداء هذه الدعوة أن يقضوا عليها بالقوة فلم ينجحوا، وحاولوا أن يقاوموها بالتشكيك والتخليل والشبهات ووصفها بالأوصاف المنفرة فما زادها إلا تألقًا ووضوحًا وقبولًا وإقبالًا.
ومن آخر ذلك ما نعايشه الآن من وفود أفكار غريبة مشبوهة إلى بلادنا بإسم الدعوة على أيدي جماعات تتسمى بأسماء مختلفة مثل الإخوان المسلمين، وجماعة التبليغ وجماعة كذا، وكذا، وهدفها واحد وهو أن تزيح دعوة التوحيد وتحل محلها.
“এই (সালাফী) দা‘ওয়াতের শত্রুরা দা‘ওয়াতকে ধ্বংস করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। সন্দেহ, সংশয় ও বিকৃতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে এবং এই দা‘ওয়াতকে বিরাগজনক বিশেষণ দেওয়ার মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। আর এসবের মাধ্যমে কেবল (দা‘ওয়াতের) উজ্জ্বলতা, স্পষ্টতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং অগ্রগমনই বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর এসবের শেষে আমরা বর্তমানে যে বিষয়ের সম্মুখীন হচ্ছি, তা হলো—বিভিন্ন নামের দল বা জামা‘আতের হাত ধরে দা‘ওয়াতের নাম দিয়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন সংশয়পূর্ণ বহিরাগত মতবাদের আগমন। যেমন: মুসলিম ব্রাদারহুড, তাবলীগ জামা‘আত এবং অমুক-তমুক জামা‘আত। এসব দলের উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হলো—তাওহীদের দা‘ওয়াতকে অপসারণ করে সেই (সালাফী দা‘ওয়াতের) জায়গা দখল করা।” [হাক্বীক্বাতুদ দা‘ওয়াতি ইলাল্লাহ; ‘ভূমিকা’ দ্রষ্টব্য; পৃষ্ঠা: ৩-৪; গৃহীত: ফাইসাল বিন ‘আবদুহ বিন ক্বাইদ আল-হাশিদী, রিসালাতুন উখুউয়িয়্যাহ: লিমাযা তারাকতু দা‘ওয়াতাল ইখওয়ানিল মুসলিমীন ওয়াত্তাবা‘তুল মানহাজাস সালাফী; পৃষ্ঠা: ৬৪; দারুল আসার, সানা কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
·
৭ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: يقول السائل ما حكم أخذ البيعة للفرق والجماعات كبيعة جماعة الإخوان هل هي من التفرق والخروج عن الجماعة؟
الجواب: البيعة تؤخذ لولي أمر المسلمين ما تؤخذ إلا لولي أمر المسلمين لا تؤخذ لرئيس جماعة أو لأمير جماعة وإنما تؤخذ لولي أمر المسلمين العام، نعم.
প্রশ্ন: “প্রশ্নকারী বলছেন, ব্রাদারহুডের কাছে বাই‘আত নেওয়ার মতো বিভিন্ন দল ও জামা‘আতের নিকট বাই‘আত গ্রহণ করার বিধান কী? এটা কি (উম্মাহ) বিভক্তি এবং জামা‘আত (জামা‘আতুল মুসলিমীন) থেকে বের হয়ে যাওয়ার অন্তর্ভুক্ত?”
উত্তর: “মুসলিমদের শাসকের নিকট বাই‘আত গ্রহণ করতে হবে। মুসলিমদের শাসকের ব্যতীত অন্য কারও কাছে বাই‘আত নেওয়া যাবে না। কোনো দলের প্রধান বা কোনো দলের আমীরের নিকট বাই‘আত নেওয়া যাবে না। বরং বাই‘আত কেবল মুসলিমদের সার্বজনিক শাসকের কাছে নিতে হবে। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/14223.]
·
৮ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: ما حُكم الالتحاق بالجماعات المُنحَرِفَة كجماعة الإخوان وجماعة التبليغ، وأرجو مِنْ معالي الشيخ توضيح خطر التكفير؟ وما موقِف المسلم مٍنَ النوازِل والفِتَن؟
الجواب: ما عندنا إلا جماعة واحدة: جماعة أهل السُّنة والجماعة على ما كان عليه السَّلَفُ الصالِحُ، ولزوم الجماعة يعني لزوم ما عليه المسلمون وما عليه إمامهم، أي الدخول تحت طاعةِ إمامٍ عامٍّ، فهذا مذهب أهل السنة والجماعة.
ويتحَقَّقُ الأمن بذلك ويتحقق العدل في ذلك؛ خِلاف التَفَرُّق والاختلاف وتعدُّد الجماعات، فإنه يحصُلُ به مفاسد عظيمة.
الله-جلّ وعلا- قال: ﴿وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعاً وَلا تَفَرَّقُوا﴾، وقال-تعالى-: ﴿وَلا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمْ الْبَيِّنَاتُ وَأُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ﴾، اللهُ أمَرَنا بالاجتماع، ونهانا عن الفُرقَةِ والاختلاف، النبيُّ-صلى اللهُ عليه وسلم- قال: «وَعَلَيكُمْ بِالجَمَاعَةِ، فَإِنَّ يَدَ اللهِ مَعَ الجَمَاعَةِ»، وقال: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللهِ، والسَّمعِ والطَّاعةِ، وإنْ تَأَمَّرَ عَلَيكُمْ عَبْدٌ، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرى اختِلافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُم بِسُنَّتِي وسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ مِنْ بَعْدِي، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيها بِالنَّوَاجِذِ، وإِيَّاكُمْ وَمُحْدثَاتِ الأُمُور، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٍ، وكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلالةٍ، وكُلَّ ضلالةٍ في النَّارِ».
فالاجتماعُ رحمةٌ، والفُرْقَةٌ عذابٌ، والفُرْقَةُ تُسَبِّب النِّزاع والخِصام وسَفك الدماء، أمَّا الاجتماع فإنَّهُ رحمة، ويحصُل به توَفُّر الأمن وإيصال الحقوق إلى أهلِها، وعِمارة الأرض؛ هذا في الأمن.
ولهذا إبراهيم-عليه السلام- أول ما دعا بالأمنِ: ﴿رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَداً آمِناً وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنْ الثَّمَرَاتِ﴾، ﴿رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِناً وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الأَصْنَامَ﴾، واللهُ-جلّ وعلا- يقول: ﴿فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ* الَّذِي أَطْعَمَهُمْ مِنْ جُوعٍ وَآمَنَهُمْ مِنْ خَوْفٍ﴾.
فالأمنُ لابُدَّ مِنهُ: ﴿أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَماً آمِناً وَيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ﴾ الآية.
প্রশ্ন: “পথভ্রষ্ট দলসমূহে যোগদান করার বিধান কী, যেমন: ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আত? আমি সম্মানিত শাইখের কাছে কাফির বলার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত বর্ণনাও আশা করছি। আর এসব দুর্যোগ ও ফিতনাহ’য় মুসলিমের অবস্থান কী?”
উত্তর: “আমাদের কেবল একটি জামা‘আতই রয়েছে। আর তা হলো—আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত, যার উপর ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণ। আর জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার অর্থ মুসলিমগণ এবং তাঁদের ইমাম যার উপর রয়েছেন, তা আঁকড়ে ধরা। অর্থাৎ, সার্বজনিক ইমামের আনুগত্যের আওতায় আসা। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আদর্শ। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয় এবং এতেই ন্যায়পরায়ণতা বাস্তবায়িত হয়; বিভক্তি, মতদ্বৈধতা এবং দলসমূহের আধিক্যের বিপরীতে। কারণ এসবের মাধ্যমে কেবল ভয়াবহ অনিষ্টই অর্জিত হয়।
মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা সকলে আল্লাহ’র রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না।” (সূরাহ আলে ‘ইমরান: ১০৩) তিনি আরও বলেছেন, “আর তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা বিভক্ত হয়েছে এবং মতবিরোধ করেছে তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর। আর তাদের জন্যই রয়েছে কঠোর শাস্তি।” (সূরাহ আলে ‘ইমরান: ১০৫) আল্লাহ আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আদেশ করেছেন এবং দলাদলি ও মতবিরোধ করতে নিষেধ করেছেন।
নাবী ﷺ বলেছেন, “তোমরা জামা‘আতবদ্ধ হয়ে বসবাস করো। নিশ্চয় জামাআতের উপর আল্লাহ’র হাত (অনুগ্রহ) প্রসারিত।” (তিরমিযী, হা/২১৬৫-২১৬৬; সনদ: সাহীহ) তিনি ﷺ আরও বলেছেন, “আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাহগণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকবে। সাবধান! (ধর্মে) প্রতিটি নবআবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নবআবিষ্কার হলো বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আত হলো ভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামে যাবার কারণ।” (আবূ দাঊদ, হা/৪১০৭; নাসাঈ, হা/১৫৭৮; সনদ: সাহীহ; শেষের বাক্যটি স্রেফ নাসাঈ কর্তৃক বর্ণিত – অনুবাদক)
ঐক্যবদ্ধ থাকা রহমত, আর দলাদলি হলো আযাব। দলাদলি ঝগড়াবিবাদ, বাগবিতণ্ডা এবং রক্তপাতের কারণ। পক্ষান্তরে একতা হলো রহমত। এর মাধ্যমে অর্জিত হয় পরিপূর্ণ নিরাপত্তা, হকদারের কাছে হক পৌঁছিয়ে দেওয়া এবং জমিনকে আবাদকরণের ব্যবস্থা। একারণে ইবরাহীম (‘আলাইহিস সালাম) সর্বপ্রথম নিরাপত্তা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “হে আমার রব, আপনি এই শহরকে (মক্কা) নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফলমুলের রিজিক দিন।” (সূরাহ বাক্বারাহ: ১২৬) “হে আমার রব, আপনি এই শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’।” (সূরাহ ইবরাহীম: ৩৫)
মহান আল্লাহ বলেছেন, “অতএব তারা যেন এ গৃহের রবের ইবাদত করে। যিনি ক্ষুধায় তাদেরকে আহার দিয়েছেন, আর ভয় থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।” (সূরাহ ক্বুরাইশ: ৩-৪) অবশ্যই নিরাপত্তা থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “তারা কি দেখে না যে, আমি ‘হারাম’ কে নিরাপদ বানিয়েছি, অথচ তাদের আশপাশ থেকে মানুষদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয়? তাহলে কি তারা অসত্যেই বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহ’র অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?” (সূরাহ ‘আনকাবূত: ৬৭)” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/16250.]
·
৯ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: أحسن الله إليكم صاحب الفضيلة، وهذا سائل يقول: هل جماعة التبليغ وجماعة الإخوان المسلمين من الفرق الضالة؟
الجواب: كل من خالف ما عليه الرسول ﷺ وأصحابه فهو من الفرق الضالة، لكن قد يكون ضلاله ضلالاً مبينا وقد يكون ضلاله دون ذلك، [كلام غير واضح] وإلا كل من خالف منهج الرسول ﷺ وما عليه الرسول وأصحابه في العقيدة فإنه يكون من الفرق الضالة، قد يكون ضلاله حسب ما هو عليه من المخالفات، نعم.
প্রশ্ন: “ইয়া সাহিবাল ফাদ্বীলাহ (হে সম্মাননীয়), আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। এই প্রশ্নকারী বলছেন, তাবলীগ জামা‘আত এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কি পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত?”
উত্তর: “যে ব্যক্তিই রাসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণ যে আদর্শের উপর ছিলেন, সে আদর্শের বিরোধিতা করে, সেই পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তার ভ্রষ্টতা কখনো কখনো সুস্পষ্ট হয়, আবার কখনো কখনো অস্পষ্ট হয়। নতুবা যে ব্যক্তিই রাসূল ﷺ এর মানহাজের বিরোধিতা করে এবং রাসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণ ‘আক্বীদাহর ক্ষেত্রে যে আদর্শের উপর ছিলেন, সে আদর্শের বিরোধিতা করবে, সেই পথভ্রষ্ট দলসমূহের অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে তার ভ্রষ্টতা তার বিরোধিতার পরিমাণ অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/5051.]
·
১০ম বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: إذا عرفت خلية سرية من خلايا وحزب الإخوان المحظور أو فردا من أفراده، هل يستحب لي أن أبلغ عنهم أو عنه، وجزاكم الله خيرا.
الجواب: نعم، إذا كان مطلوب التبليغ عن مثل هؤلاء يجب على من علم عنهم شيئا أن يبلغ عنهم، لأجل كفّ شرّ الأشرار وكيد الفجار، هذا من التعاون على البر والتقوى، قال الله جل وعلا: ﴿وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ﴾ [المائدة: ٢] فإذا عرف أن شخصاً ينشر أفكاراً متطرفة أو أفكاراً ضالة لا يجوز السكوت عنه، فيجب أن يسعى في كفّ شره عن المسلمين بأي وسيلة، نعم.
প্রশ্ন: “আমি যখন নিষিদ্ধ দল ব্রাদারহুডের কোনো গুপ্তসংঘ বা তাদের কোনো সদস্যকে চিনতে পারব, তখন কি ওই সংঘ বা সদস্যের ব্যাপারে (কর্তৃপক্ষের কাছে) খবর পৌঁছানো আমার জন্য বাঞ্ছনীয়? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”
উত্তর: “হ্যাঁ। এইরকম ব্যক্তিদের ব্যাপারে সংবাদ তলব করা হলে, যে ব্যক্তি তাদের ব্যাপারে কিছু জানে, তার জন্য তাদের ব্যাপারে সংবাদ পৌঁছানো ওয়াজিব। যাতে করে অনিষ্টকারীদের অনিষ্ট এবং পাপাচারীদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করা যায়। এটা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেছেন, “সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করো। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা কোরো না।” (সূরাহ মা’ইদাহ: ২) যদি জানা যায় যে, কোনো ব্যক্তি উগ্রবাদী মতাদর্শ বা পথভ্রষ্ট মতাদর্শ প্রচার করছে, তাহলে তার ব্যাপারে চুপ থাকা জায়েজ নয়। যে কোনো প্রকারে মুসলিমদের পক্ষ থেকে তাঁর অনিষ্টকে প্রতিরোধ করার জন্য চেষ্টাপ্রচেষ্টা করা ওয়াজিব। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/17730.]
·
১১শ বক্তব্য:
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—
السؤال: أكد ولاة أمرنا حفظهم الله وفي مقدمتهم سمو ولي العهد الأمين الأمير محمد بن سلمان بن عبد العزيز وفقه الله على خطورة تنظيم جماعة الإخوان وداعش وتنظيم القاعدة وغيرها من الأحزاب والتنظيمات والجماعات المخالفة لمنهج أهل السنة والجماعة، وأنها سبب لتشويه صورة الإسلام والمسلمين وخصوصا في هذا الزمن، فما واجبنا جميعا وخصوصا طلاب العلم تجاه هذه الأحزاب والتنظيمات؟
الجواب: الواجب النصيحة، قال ﷺ : الدين النصيحة، قلنا: لمن يا رسول الله؟ قال: لله ولكتابه ولرسوله، ولأئمة المسلمين وعامتهم. [رواه مسلم] الواجب النصيحة، للوقاية من هذه الشرور وهذه الضلالات وهؤلاء الأشرار، ومن النصيحة أن يبين كيدهم ويبين دسّهم ويحذر منهم، نعم.
السائل: وأيضا لا بدّ من وضوح الشراحة سماحة الوالد في مثل هذه المقامات وخصوصا هذه التنظيمات والأحزاب التي أضرت في الإسلام.
الشيخ: لا شك، لا بدّ يبين من علم شيئاً وتأكد منه مما فيه خطر على المسلمين يجب عليه أن يسعى في كفّه ويبلغ عنه المسأولين ومن يهمه الأمر الذين يعارضون الأمور، يبلغهم بهذه الأخطار التي علم عنها ما علم، نعم.
প্রশ্ন: “আমাদের শাসকবর্গ (আল্লাহ তাঁদেরকে হেফাজত করুন) –তাঁদের অগ্রভাগে রয়েছেন মহামান্য যুবরাজ আমীর মুহাম্মাদ বিন সালমান বিন ‘আব্দুল ‘আযীয (আল্লাহ তাঁকে সৎকর্মের তাওফীক্ব দিন)– ব্রাদারহুড, আইএস, আল-কায়েদা এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মানহাজ বিরোধী অপরাপর দল ও সংগঠনের ভয়াবহতার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, এসব দল ইসলাম ও মুসলিমদের আদর্শকে বিকৃত করছে, বিশেষ করে বর্তমান যুগে। এসব দল ও সংগঠনের ব্যাপারে আমাদের সবার, বিশেষ করে ত্বালিবুল ‘ইলমদের কী করণীয় রয়েছে?”
উত্তর: “এক্ষেত্রে করণীয় হলো নসিহত করা। নাবী ﷺ বলেছেন, ‘নসিহত করাই দ্বীন।’ আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ’র রাসূল, ‘কার জন্য নসিহত?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ ও তার কিতাবের, তার রাসূলের, মুসলিম শাসকবর্গ এবং মুসলিম জনগণের জন্য।” (সাহীহ মুসলিম, হা/৫৫; ‘ঈমান’ অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ২৩) সুতরাং করণীয় হলো নসিহত করা; এসব অনিষ্টতা, ভ্রষ্টতা থেকে এবং ওই সকল অনিষ্টকারী ব্যক্তিদের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকার জন্য। অনিষ্টকারী ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বর্ণনা করা এবং তাদের থেকে মুসলিমদের সতর্ক করা নসিহতেরই অন্তর্ভুক্ত। না‘আম।”
প্রশ্নকর্তা: “সম্মানিত পিতা, এছাড়াও এসব বিষয়ে, বিশেষ করে ইসলামের ক্ষতিসাধনকারী এসব সংগঠন ও দলসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা আবশ্যক?”
শাইখ: “নিঃসন্দেহে। যে ব্যক্তি দৃঢ়ভাবে জানে যে, এতে মুসলিমদের ক্ষতি রয়েছে, তার জন্য ওয়াজিব হলো—তা প্রতিরোধ করা, আর সে ব্যাপারে (সংশ্লিষ্ট বিভাগে) দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে এবং যারা এসব বিষয় ফেস করেন, তাঁদের কাছে সংবাদ পৌঁছানো। এসব ক্ষতিকর বিষয়সমূহের ব্যাপারে সে যা জানে, তা তাঁদের কাছে পৌঁছাবে।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/ar/node/17731.]
·
১২শ বক্তব্য:
কিছু লোক একটি মিথ্যা দাবি করে যে, ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর মৃত্যুর পূর্বে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসা করেছেন! অথচ তাদের এই দাবির স্বপক্ষে কোনো দলিল নেই। ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র শ্রেষ্ঠ ছাত্র যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন এবং ব্রাদারহুডকে আহলুস সুন্নাহ বহির্ভুত দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়াটি নিম্নরূপ—
السؤال: ظهر بعض الدعاة يقول إن سماحة الشيخ ابن باز رحمه الله قد توفي وهو يثني وينصح بجماعة التبليغ والإخوان المسلمين، فهل هذا الكلام صحيح؟
الجواب: هذا الكلام غير صحيح، ونحن جالسنٰه أكثر من عشر سنوات ما سمعناه يثني إلا على أهل السنة والجماعة، ويدعو إلى أهل السنة والجماعة وينصح لمن أخطئ من الجماعات الأخرى أن يتراجع عن خطأه من التبلغيين وغيرهم، هذا الذي أعرفه عن شيخي الشيخ ابن باز رحمه الله، نعم.
প্রশ্ন: “একজন দা‘ঈর আবির্ভাব ঘটেছে, যে বলছে, সম্মানিত শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাবলীগ জামা‘আত এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসারত অবস্থায় মারা গেছেন। এই কথা কি সঠিক?”
উত্তর: “এই কথা সঠিক নয়। আমরা তাঁর সাথে দশ বছর উঠাবসা করেছি। আমরা কখনও শুনিনি যে, তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত ব্যতীত অন্য কারও প্রশংসা করেছেন। তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের দিকে মানুষকে আহ্বান করতেন। অন্য দলের কেউ ভুল করলে তিনি তাকে সেই ভুল থেকে ফিরে আসার নসিহত করতেন; তাবলীগীদের এবং অন্যান্যদেরও (নসিহত করতেন)। আমার শাইখ আশ-শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র ব্যাপারে আমি এটাই জানি। না‘আম।” [দ্র.: www.alfawzan.af.org.sa/en/node/14255.]
·
১৩শ বক্তব্য:
শাইখ ফাওয়্যায বিন ‘আলী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ)’র ইউটিউব চ্যানেলে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রসঙ্গে ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র একটি অডিয়ো ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। যেখানে ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) কে মুসলিম ব্রাদারহুডের উৎপত্তি প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। তিনি উত্তরে বলেছেন,
أصل منشأ هذه الطائفة خوارج، لكن زاد شرهم، تجاوزوا ما يفعله الخوارج، الخوارج ما كانوا ينسفون البيوت ويفجرون المساكن والمتاجر، ما كانوا يعملون هذه الأعمال وهذه الغيلة، الخوارج كانوا يبرزون في المعارك ويفاتلون، ما كانوا يهجمون على بيوت الناس الآمنين، ويرعوون النساء والأطفال، فهم أشر من الخوارج، منشأهم من الخوارج، لكن زادوا عليهم.
“এই দলের মূল উৎপত্তি হলো খারিজী সম্প্রদায়। কিন্তু এদের অনিষ্ট আরও বেশি। এরা খারিজীদের কর্মকাণ্ডকেও অতিক্রম করেছে। (প্রাচীন) খারিজীরা বাড়িঘর ধ্বংস করত না, মানুষের আবাসস্থল ও হাটে-বাজারে বোমা বিস্ফোরণ করত না। তারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড এবং প্রতারণামূলক হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করত না। (প্রাচীন) খারিজীরা যুদ্ধে বের হতো এবং যুদ্ধ করত। কিন্তু তারা নিরাপদ মানুষের বাড়িঘরে হামলা করত না, নারী ও শিশুদের ভীতসন্তস্ত্র করত না। এরা (প্রাচীন) খারিজীদের চেয়েও নিকৃষ্ট। খারিজীদের থেকেই এদের উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু এরা অনিষ্টসাধনে তাদেরকেও অতিক্রম করেছে।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=uSpK9Z_-FyE.]
[২৯শ অধ্যায় এই পর্বেই সমাপ্ত।]
·
অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] -:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞানপেতে runing update),<> -https://rasikulindia.blogspot.com(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন).
0 Comments