নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন ▌৩০শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)https://rasikulindia.blogspot.com/ ইসলামিক বই
▌৩০শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)
·শাইখ পরিচিতি:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ছিলেন। সেই সাথে তিনি একজন প্রখ্যাত ফাক্বীহ, বিতার্কিক ও মুজাদ্দিদ ছিলেন। তিনি ১৩৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে আলবেনিয়ার স্কোদার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতার কাছে ক্বুরআন, তাজউয়ীদ, আরবি ব্যাকরণশাস্ত্র এবং হানাফী ফিক্বহ অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি শাইখ সা‘ঈদ আল-বুরহানীর কাছে হানাফী ফিক্বহ এবং ভাষা ও অলংকারশাস্ত্রের কিছু কিতাব অধ্যয়ন করেন।
তিনি হাদীস, ফিক্বহ ও ‘আক্বীদাহ বিষয়ে প্রায় তিন শতাধিক ছোটো-বড়ো গ্রন্থ রচনা করেছেন। ‘ইলমে হাদীসে তিনি যে মহান খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। হাদীসশাস্ত্রের এই অতুলনীয় খেদমত করার কারণে ১৪১৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে কিং ফায়সাল অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “এই যুগে আসমানের নিচে মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানীর মতো (প্রাজ্ঞ) মুহাদ্দিস আমি দেখিনি।” [মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আশ-শাইবানী, হায়াতুল আলবানী ওয়া আসারুহু ওয়া সানাউল ‘উলামাই ‘আলাইহ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৬৫-৬৬]
ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] মুহাম্মাদ বিন নাসিরুদ্দীন আলবানী সম্পর্কে বলেছেন, “আমি শাইখের সাথে মিলিত হয়ে যা জেনেছি তা হচ্ছে, তিনি সুন্নাহ’র প্রতি আমল এবং বিদ‘আতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারে প্রবল আগ্রহী ছিলেন, চাই সে বিদ‘আত ‘আক্বীদাহর ক্ষেত্রে হোক কিংবা আমলের ক্ষেত্রে। আমি তাঁর লিখন পড়ে অবগত হয়েছি যে, তিনি বর্ণনা ও বুঝের দিক থেকে হাদীসশাস্ত্রে বিপুল পরিমাণ ‘ইলমের অধিকারী।” [প্রাগুক্ত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫৪৩]
ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন, “শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (হাফিযাহুল্লাহ) ওই মুজাদ্দিদদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যাপারে রাসূল ﷺ এর এই বাণী যথার্থ হয়—“নিশ্চয় আল্লাহ এই উম্মতের জন্য প্রতি একশ বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আর্বিভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মতের দ্বীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত করবেন।” (আবূ দাঊদ, হা/৪২৯১; সনদ: সাহীহ)” [প্রাগুক্ত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫৫৫]
ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] ইমাম আলবানী সম্পর্কে বলেছেন, “তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ‘আলিমদের অন্তর্ভুক্ত। বরং তিনি ‘ইলম, ফজল ও আখলাকে প্রথম শ্রেণির তিনজন ‘আলিমের একজন। তাঁরা হলেন—আল-‘আল্লামাহ আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায, শাইখ মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী।” [ইমাম রাবী‘ (হাফিযাহুল্লাহ), তাযকীরুন নাবিহীন; পৃষ্ঠা: ৩১৮; শাইখের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত সফট কপি]
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম হামূদ আত-তুওয়াইজিরী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪১৩ হি.] বলেছেন, “বর্তমানে আল-আলবানী সুন্নাহ’র একটি নিদর্শন। তাঁর নিন্দা করার অর্থ সুন্নাহ’র নিন্দা করতে সাহায্য করা।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]
শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয হাদ্দাহ বলেছেন, “আশ-শাইখ আল-‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩৯৩ হি.], যাঁর যুগে তাফসীর ও ভাষাবিজ্ঞানে তাঁর মতো জ্ঞান কেউ রাখতেন না, তিনি শাইখ আলবানীকে বিস্ময়কর রকমের সম্মান করতেন। এমনকি তিনি মাসজিদে নাবাউয়ীতে দারস দেওয়ার সময় যখন তাঁকে (আলবানীকে) পাশ দিয়ে যেতে দেখতেন, তখন তিনি তাঁর সম্মানার্থে দারস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তাঁকে সালাম দিতেন।” [আল-আসালাহ ম্যাগাজিন; সংখ্যা: ২৩]
এই মহান মুহাদ্দিস ১৪২০ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। সংগৃহীত: আল-আলবানি ডট ইনফো ও আজুর্রি ডট কম।
·১ম বক্তব্য:
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ আল-মুজাদ্দিদ আল-ফাক্বীহুন নাক্বিদ ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন,
ليس صوابًا أن يقال إن الإخوان المسلمين هم من أهل السنة لأنهم يحاربون السنة.
“একথা বলা ঠিক হবে না যে, মুসলিম ব্রাদারহুড আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত। কেননা তারা সুন্নাহ’র সাথে যুদ্ধ করছে।” [ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর; ৩৫৬ নং অডিয়ো ক্লিপ; আল-মাজাল্লাহ ম্যাগাজিন; ৮০৬ তম সংখ্যা; অডিয়ো লিংক: http://ar.alnahj.net/audio/839]
·
২য় বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
السؤال: هل صحيح مقولة: إنّ ضرر الاخوان المسلمين على الأمة أكثر من صرر اليهود و النصارى؟
الجواب: نعم قد يكون ضررهم أكثر، ولكن لا نعاملهم معاملة اليهود و النصارى.
প্রশ্ন: “নিশ্চয় উম্মাহ’র উপর মুসলিম ব্রাদারহুডের ক্ষতি ইহুদি-খ্রিষ্টানের ক্ষতির চেয়েও বেশি—এই কথা কি সঠিক?”
উত্তর: “হ্যাঁ। কখনো কখনো তাদের ক্ষতি ইহুদি-খ্রিষ্টানের চেয়েও বেশি হয়। কিন্তু আমরা তাদের সাথে ইহুদি-খ্রিষ্টানের মতো আচরণ করব না।” [ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর; ৭৫২ নং অডিয়ো ক্লিপ (৩৩:১০ মিনিট থেকে); অডিয়ো লিংক: http://ar.alnahj.net/audio/2714 (শুধু এই ফাতওয়ার লিংক)]
·
৩য় বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
الإخوان المسلمين قطعوا علاقتهم برسول الله ﷺ وربطوا علاقتهم بحسن البنا، وهذا ظاهر.
“মুসলিম ব্রাদারহুড আল্লাহ’র রাসূল ﷺ এর সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং হাসান আল-বান্না’র সাথে তাদের সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এটা সুস্পষ্ট বিষয়।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/2015 (১ সেকেন্ড থেকে ১৯ সেকেন্ড পর্যন্ত)]
৪র্থ বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “এটা বলা কতটুক সঠিক যে, অমুক ও অমুক ‘আক্বীদাহতে সালাফী কিন্তু ইখওয়ানের মানহাজের ওপর রয়েছে? তাহলে মানহাজ কি ‘আক্বীদাহর অন্তর্ভুক্ত না? এবং সালাফরা কি এমন শ্রেণিকরণের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন যে, (তাঁরা মনে করতেন) এমন কোনো লোক ছিল, যে ‘আক্বীদাহতে ছিল সালাফী কিন্তু মানহাজে সালাফী ছিল না?”
উত্তর: “এগুলো (‘আক্বীদাহ ও মানহাজ) আলাদা নয়, ইয়া আখী! এবং কারো পক্ষে সম্ভব নয় যে সে ইখওয়ানী-সালাফী হবে। তবে সে কিছু বিষয়ে সালাফী হবে এবং কিছু বিষয়ে ইখওয়ানী হবে। আর রাসূল (ﷺ) এর সাহাবারা যার ওপরে ছিলেন তার ওপরে থেকে সালাফী হওয়ার কথা হলে, সেক্ষেত্রে এই দুটি একত্র করা অসম্ভব। আল-ইখওয়ানুল মুসলিমুন দু‘আত, বেশ, কিন্তু তারা কীসের দিকে দা‘ওয়াহ দেয়? অর্থাৎ আমরা যদি একজন ইখওয়ানী-সালাফীর ব্যাপারে কল্পনা করি, সে কি দাওয়াতিস-সালাফিয়্যাহ’র দিকে দা‘ওয়াহ দেয়? উত্তর হলো, “না।” অতএব, এই লোক সালাফী না। তবে এক ক্ষেত্রে সে ঐরকম কিন্তু আরেক ক্ষেত্রে সে ওই রকম না।” [দ্র.: https://goo.gl/uSFyEu; গৃহীত: https://tinyurl.com/y4xtjkqf (“সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে” ফেসবুক পেজের পোস্ট লিংক)]
·অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] -:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞানপেতে runing update),<> -https://rasikulindia.blogspot.com(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন).
▌৩০শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)
·শাইখ পরিচিতি:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ছিলেন। সেই সাথে তিনি একজন প্রখ্যাত ফাক্বীহ, বিতার্কিক ও মুজাদ্দিদ ছিলেন। তিনি ১৩৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে আলবেনিয়ার স্কোদার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পিতার কাছে ক্বুরআন, তাজউয়ীদ, আরবি ব্যাকরণশাস্ত্র এবং হানাফী ফিক্বহ অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি শাইখ সা‘ঈদ আল-বুরহানীর কাছে হানাফী ফিক্বহ এবং ভাষা ও অলংকারশাস্ত্রের কিছু কিতাব অধ্যয়ন করেন।
তিনি হাদীস, ফিক্বহ ও ‘আক্বীদাহ বিষয়ে প্রায় তিন শতাধিক ছোটো-বড়ো গ্রন্থ রচনা করেছেন। ‘ইলমে হাদীসে তিনি যে মহান খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন তা সত্যিই অতুলনীয়। হাদীসশাস্ত্রের এই অতুলনীয় খেদমত করার কারণে ১৪১৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে কিং ফায়সাল অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “এই যুগে আসমানের নিচে মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানীর মতো (প্রাজ্ঞ) মুহাদ্দিস আমি দেখিনি।” [মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আশ-শাইবানী, হায়াতুল আলবানী ওয়া আসারুহু ওয়া সানাউল ‘উলামাই ‘আলাইহ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৬৫-৬৬]
ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] মুহাম্মাদ বিন নাসিরুদ্দীন আলবানী সম্পর্কে বলেছেন, “আমি শাইখের সাথে মিলিত হয়ে যা জেনেছি তা হচ্ছে, তিনি সুন্নাহ’র প্রতি আমল এবং বিদ‘আতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারে প্রবল আগ্রহী ছিলেন, চাই সে বিদ‘আত ‘আক্বীদাহর ক্ষেত্রে হোক কিংবা আমলের ক্ষেত্রে। আমি তাঁর লিখন পড়ে অবগত হয়েছি যে, তিনি বর্ণনা ও বুঝের দিক থেকে হাদীসশাস্ত্রে বিপুল পরিমাণ ‘ইলমের অধিকারী।” [প্রাগুক্ত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫৪৩]
ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন, “শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (হাফিযাহুল্লাহ) ওই মুজাদ্দিদদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যাপারে রাসূল ﷺ এর এই বাণী যথার্থ হয়—“নিশ্চয় আল্লাহ এই উম্মতের জন্য প্রতি একশ বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আর্বিভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মতের দ্বীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত করবেন।” (আবূ দাঊদ, হা/৪২৯১; সনদ: সাহীহ)” [প্রাগুক্ত; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৫৫৫]
ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] ইমাম আলবানী সম্পর্কে বলেছেন, “তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ‘আলিমদের অন্তর্ভুক্ত। বরং তিনি ‘ইলম, ফজল ও আখলাকে প্রথম শ্রেণির তিনজন ‘আলিমের একজন। তাঁরা হলেন—আল-‘আল্লামাহ আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায, শাইখ মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী।” [ইমাম রাবী‘ (হাফিযাহুল্লাহ), তাযকীরুন নাবিহীন; পৃষ্ঠা: ৩১৮; শাইখের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত সফট কপি]
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম হামূদ আত-তুওয়াইজিরী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪১৩ হি.] বলেছেন, “বর্তমানে আল-আলবানী সুন্নাহ’র একটি নিদর্শন। তাঁর নিন্দা করার অর্থ সুন্নাহ’র নিন্দা করতে সাহায্য করা।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]
শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয হাদ্দাহ বলেছেন, “আশ-শাইখ আল-‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩৯৩ হি.], যাঁর যুগে তাফসীর ও ভাষাবিজ্ঞানে তাঁর মতো জ্ঞান কেউ রাখতেন না, তিনি শাইখ আলবানীকে বিস্ময়কর রকমের সম্মান করতেন। এমনকি তিনি মাসজিদে নাবাউয়ীতে দারস দেওয়ার সময় যখন তাঁকে (আলবানীকে) পাশ দিয়ে যেতে দেখতেন, তখন তিনি তাঁর সম্মানার্থে দারস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তাঁকে সালাম দিতেন।” [আল-আসালাহ ম্যাগাজিন; সংখ্যা: ২৩]
এই মহান মুহাদ্দিস ১৪২০ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। সংগৃহীত: আল-আলবানি ডট ইনফো ও আজুর্রি ডট কম।
·১ম বক্তব্য:
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ আল-মুজাদ্দিদ আল-ফাক্বীহুন নাক্বিদ ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন,
ليس صوابًا أن يقال إن الإخوان المسلمين هم من أهل السنة لأنهم يحاربون السنة.
“একথা বলা ঠিক হবে না যে, মুসলিম ব্রাদারহুড আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত। কেননা তারা সুন্নাহ’র সাথে যুদ্ধ করছে।” [ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর; ৩৫৬ নং অডিয়ো ক্লিপ; আল-মাজাল্লাহ ম্যাগাজিন; ৮০৬ তম সংখ্যা; অডিয়ো লিংক: http://ar.alnahj.net/audio/839]
·
২য় বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
السؤال: هل صحيح مقولة: إنّ ضرر الاخوان المسلمين على الأمة أكثر من صرر اليهود و النصارى؟
الجواب: نعم قد يكون ضررهم أكثر، ولكن لا نعاملهم معاملة اليهود و النصارى.
প্রশ্ন: “নিশ্চয় উম্মাহ’র উপর মুসলিম ব্রাদারহুডের ক্ষতি ইহুদি-খ্রিষ্টানের ক্ষতির চেয়েও বেশি—এই কথা কি সঠিক?”
উত্তর: “হ্যাঁ। কখনো কখনো তাদের ক্ষতি ইহুদি-খ্রিষ্টানের চেয়েও বেশি হয়। কিন্তু আমরা তাদের সাথে ইহুদি-খ্রিষ্টানের মতো আচরণ করব না।” [ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর; ৭৫২ নং অডিয়ো ক্লিপ (৩৩:১০ মিনিট থেকে); অডিয়ো লিংক: http://ar.alnahj.net/audio/2714 (শুধু এই ফাতওয়ার লিংক)]
·
৩য় বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
الإخوان المسلمين قطعوا علاقتهم برسول الله ﷺ وربطوا علاقتهم بحسن البنا، وهذا ظاهر.
“মুসলিম ব্রাদারহুড আল্লাহ’র রাসূল ﷺ এর সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং হাসান আল-বান্না’র সাথে তাদের সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এটা সুস্পষ্ট বিষয়।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/2015 (১ সেকেন্ড থেকে ১৯ সেকেন্ড পর্যন্ত)]
৪র্থ বক্তব্য:
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “এটা বলা কতটুক সঠিক যে, অমুক ও অমুক ‘আক্বীদাহতে সালাফী কিন্তু ইখওয়ানের মানহাজের ওপর রয়েছে? তাহলে মানহাজ কি ‘আক্বীদাহর অন্তর্ভুক্ত না? এবং সালাফরা কি এমন শ্রেণিকরণের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন যে, (তাঁরা মনে করতেন) এমন কোনো লোক ছিল, যে ‘আক্বীদাহতে ছিল সালাফী কিন্তু মানহাজে সালাফী ছিল না?”
উত্তর: “এগুলো (‘আক্বীদাহ ও মানহাজ) আলাদা নয়, ইয়া আখী! এবং কারো পক্ষে সম্ভব নয় যে সে ইখওয়ানী-সালাফী হবে। তবে সে কিছু বিষয়ে সালাফী হবে এবং কিছু বিষয়ে ইখওয়ানী হবে। আর রাসূল (ﷺ) এর সাহাবারা যার ওপরে ছিলেন তার ওপরে থেকে সালাফী হওয়ার কথা হলে, সেক্ষেত্রে এই দুটি একত্র করা অসম্ভব। আল-ইখওয়ানুল মুসলিমুন দু‘আত, বেশ, কিন্তু তারা কীসের দিকে দা‘ওয়াহ দেয়? অর্থাৎ আমরা যদি একজন ইখওয়ানী-সালাফীর ব্যাপারে কল্পনা করি, সে কি দাওয়াতিস-সালাফিয়্যাহ’র দিকে দা‘ওয়াহ দেয়? উত্তর হলো, “না।” অতএব, এই লোক সালাফী না। তবে এক ক্ষেত্রে সে ঐরকম কিন্তু আরেক ক্ষেত্রে সে ওই রকম না।” [দ্র.: https://goo.gl/uSFyEu; গৃহীত: https://tinyurl.com/y4xtjkqf (“সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে” ফেসবুক পেজের পোস্ট লিংক)]
·অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] -:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞানপেতে runing update),<> -https://rasikulindia.blogspot.com(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন).
0 Comments