▌তাকফীরী সালাফীর অন্বেষণে: জনৈক সেলিব্রিটির মিথ্যাচারের জবাবে কিছু কথা!
.
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি।
যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। যিনি বলেছেন,“ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপিষ্ঠের জন্য।” [সূরাহ জাছিয়াহ: ৭]
তিনি আরও বলেছেন, “হক এসেছে, আর বাতিল অপসৃত হয়েছে; বাতিল তো অপসৃত হওয়ারই ছিল।” [সূরাহ বানী ইসরাঈল: ৮১]
শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। যিনি বলেছেন, “তুমি হক (সত্য) বল, যদিও তা তিক্ত হয়।” [সাহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৩৩; সনদ: সাহীহ লি গাইরিহী] অন্যত্র বলেছেন, “তুমি হক বল, যদিও তা তোমার নিজের বিরুদ্ধে যায়।” [সিলসিলাহ সাহীহাহ, হা/১৯১১; সাহীহুল জামি‘, হা/৩৭৬৯; সনদ: সাহীহ]
.
🔸প্রারম্ভিকা,
আহলুস সুন্নাহর উলামা- মাশায়েখ ,দাঈগণের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ এবং বাতিলপন্থী কর্তৃক
ভিবিন্ন মিথ্যাচার, তোহমত লাগানোর বিষয়টি বেশ পুরনো! এতদসত্ত্বেও হক্ব এবং বাত্বিলের লড়াই যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে!
হক্বপন্থী উলামায়ে ক্বেরামের মানহানী করত: তাঁদের নামে মিথ্যাচার করে জীবনের অধিকাংশ সময়গুলো ব্যয় করা "বাত্বিল পূজারী", বর্ণচোরাদের অপচেষ্টা
রুখতে ও তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে সুন্নাহর অনুসারীগণ সদা সর্বদা তৎপর ছিলেন, আজও রয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। [ ইনশা আল্লাহ ]
.
পর-সমাচার এই যে, বেশ কিছুদিন ধরে একজন সেলিব্রেটি কলামিস্ট আহলে হাদিসদের উপর লাগাতার মিথ্যাচার ও অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন ! অতীতে তার ভিবিন্ন মন্তব্যগুলি আমরা নিছকই অজ্ঞতা ভেবে আমলে নেই নি কিন্তু সাম্প্রতি লক্ষ্য করছি ওই 'সেলিব্রিটি লিখক ' কর্তৃক আহলে হাদিসদের উপর এমন সব অপবাদ, মিথ্যাচার ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যা সুদূর অতীতে আহলে হাদিসদের চরম শত্রুরাও দেয় নি! অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই মিথ্যুক কলমবাজ আহলে হাদিসদের "তাকফীরী" তকমা পর্যন্ত লাগিয়ে দিয়েছেন ! লা নাতুল্লাহি আলাল কাযিবিন।
.
বন্ধুগণ! চলুন আর দেরি না করে ভিবিন্ন সময়ে দেয়া
অসাধু কলামিস্টের অভিযোগগুলি অবলোকন করি:
🔸প্রথম অভিযোগ:
সেলিব্রেটি লেখক সাহেব এক জায়গায় বলেন,
"আমি ছোট বেলা থেকে আল আমিন মসজিদের সালাত আদায় করি। আমি আহলে হাদিসদের সাথে থেকে বড় হয়েছি। বাংলাদেশে আহলে হাদিসদের একটা বড় অংশ হানাফি মাযহাবের অনুসারীদের মুসলিম মনে করে না। এটা কেমন আকিদা"!?
[ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-১ ]
.
🔸দ্বিতীয় অভিযোগ:
"খারিজি আকিদাহ আমি সবচেয়ে বেশি দেখেছি আহলে হাদিসদের মধ্যে, তারা নিজেরা ছাড়া অন্যদের 'অসহীহ আক্বীদাহ,' বলে পারলে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। [ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-২ ]
.
🔸তৃতীয় অভিযোগ:
অতি সাম্প্রতি এই লিখক সাহেব নিজ আইডিতে একটা আর্টিকেল পোস্ট করেন! এক জায়গায় লিখেন - "আহলে হাদিস দাবিদার ভাইদের একটা বড় অংশের ধারনা তারা ছাড়া আর কেউই মুসলিম না" [ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-৩ ]
আমাদের ভাই আব্দুল্লাহ যখন এর প্রতিবাদ করেন, তখন জবাবে ঐ সেলিব্রিটি কলামিস্ট বলেন," আমি আমার জীবনে আহলে হাদিসদের মধ্যে যত তাকফিরি দেখেছি, খুব ভায়োলেন্ট জিহাদিস্টদের মধ্যেও তত তাকফিরি দেখিনি"! আল ইয়াযু বিল্লাহ।
[ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-৪ ]
.
🔸পর্যালোচনা:
আহলেহাদীসদেরকে ‘তাকফীরী’ তকমা দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। ইতঃপূর্বে বড়ো বড়ো ইমামদেরকেও এই ভয়ানক মিথ্যা তকমা দেওয়া হয়েছে। আসলে যারা সালাফীদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তারাই মূলত এসব মিথ্যা কথা বলে পাবলিক টেরিটোরিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ছুপা সালাফী বিদ্বেষীরাও সুযোগ বুঝে এ জাতীয় উদ্ধত কথাবার্তা প্রকাশ করে। অথচ আহলেহাদীসরাই তাকফীরীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তাকফীরীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি ও বক্তৃতার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা আহলেহাদীসদেরই বেশি।
তাকফীরীদের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী যুগ থেকেই ‘আলিমগণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমরা বর্তমান যুগের কিছু বিখ্যাত লিখনের কথা আলোচনা করি। ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), যিনি হলেন সালাফীদের চোখের মণি। তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘ফিতনাতুত তাকফীর’ তথা ‘কাফির বলার ফিতনাহ’। এই বইয়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সমকালীন বিশ্বের দুজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন—ইমাম ইবনু বায এবং ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুমাল্লাহ) বইটির টীকা প্রণয়ন করেছেন। এই বিখ্যাত বইটি বেশ কয়েকবছর আগে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
বাংলা ভাষায় কিছু মৌলিক রচনার কথা যদি বলি, তাহলে ড. মুযাফফর বিন মুহসিন সাহেবের ‘ভ্রান্তির বেড়াজালে ইক্বামতে দ্বীন’ বইটির কথা বলতে হয়। যে বইটির অন্তস্থ প্রবন্ধ মাসিক আত-তাহরীকে পর্বাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই প্রবন্ধ বই আকারে আত্মপ্রকাশ করে। অনুরূপভাবে তাকফীরের ভয়াবহতার ব্যাপারে একটি চমৎকার মৌলিক গ্রন্থ হলো উস্তায সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী বিরচিত ‘কুফরি ফতোয়া ও তার কুপ্রভাব’। এই বইটি বেশ কয়েকবছর আগে ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তাকফীরের নীতিমালা সম্পর্কিত একটি মৌলিক গ্রন্থ হলো উস্তায আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী সাহেবের ‘কাফির বলার মৌলনীতি’। এই বইটি অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে সহজলভ্য এবং তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে বছর কয়েক আগে বেরও হয়েছে।
এছাড়াও আহলেহাদীস দা‘ঈগণ অনেক আগে থেকেই বক্তব্য ও সেমিনারের মাধ্যমে তাকফীরীদের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করে আসছেন এবং এদের থেকে সতর্ক করছেন। এখন কথা হলো, কেউ নিজেকে আহলেহাদীস দাবি করল, আর দেদারসে লোকদেরকে তাকফীর করতে লাগল, তাহলে কি একথা বলা সমীচীন হবে যে, আহলেহাদীসরা তাকফীরী?! কখনোই সমীচীন হবে না। ধরুন, একজন দেওবন্দী দাবিদার অথবা কতিপয় দেওবন্দী দাবিদার তাদের বিয়েতে যৌতুক নিল। এখন কি আপনি একথা বলবেন যে, দেওবন্দীরা যৌতুক প্রথার ধারক ও বাহক?!
আল-‘ইয়াযু বিল্লাহ।
আবার ধরূন হানাফীদের একটি অংশ ভেরলভিদের মাথার তাজ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী [ হাদাহুল্লাহ ] প্রায়
ডজন খানেক দাঈকে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন!
এখন কি আপনি ঢালাওভাবে একথা বলবেন যে, হানাফীরা তাকফীরী!? এটা তো পুরোই বে-ইনসাফী কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, কতিপয় অসাধু কলামিস্ট বলে বেড়াচ্ছেন যে,আহলেহাদীসদের অনেকেই তাকফীরী! আল-‘ইয়াযু বিল্লাহ।
সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, আহলে হাদিসদের "তাকফীরী" প্রমাণের দলিল হিসেবে দু'চারজন মাজহুল আওয়ামকে [ জনসাধারণকে ] পেশ করেছেন এরা ! এই শ্রেণীর লোকগুলি এত বড় প্রতারক যে, পারলে আই. এস নেতা আবু বক্কর আল বাগদাদীকেও 'আহলে হাদিস' বলে চালিয়ে দিতো, যেমনটি বাংলা ভাইয়ের ক্ষেত্রে করেছিল!
.
ওহে বাত্বিলের ধ্বজাধারী! জেনে রাখো,
এদেশীয় আহলে হাদিসরাই যুগ যুগ ধরে খাওয়ারেজ, শিয়া-রাফেযী, জাহমিয়া, আশাআরী, মাতুরিদী, মুতাযিলা ইত্যাদি বাত্বিল মতবাদ ও ফিরক্বার পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কুফুরী মতবাদগুলো রদ করার পাশাপাশি এসকল বিভ্রান্ত মতবাদ ও ফিরক্বার ব্যাপারে জাতিকে সর্তক ও সংশোধনের চেষ্টা করে করছেন, যা আজ অব্দি চলমান রয়েছে। এ মর্মে আহলে হাদীস আলিমদের লিখিত বই-পুস্তক, আহলে হাদিস আন্দোলন এবং জমঈয়তে আহলে হাদিস এর সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতি, গঠনতন্ত্র ইত্যাদি সহ অসংখ্য বই-পুস্তক, লিখনী ও বক্তৃতায় তার প্রমাণ বহন করে! ছোট বড় মিলিয়ে উলামাদের শত শত লেকচার রয়েছে! আমি নিন্মে মাত্র কয়েকজন দাঈর দীর্ঘ আলোচনা সম্বলিত কয়েকটি লেকচার এর লিংক দিচ্ছি যা শ্রবণ করলে সম্মানিত পাঠকগন সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আমাদের আলিমগণ খারেজী,তাকফীরীদের ব্যাপারে কতটা কঠোরতা অবলম্বন করেন!
.
⦁ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
►লিংকঃ https://youtu.be/ Ltw7g3K-Gak
⦁ উস্তায আব্দুর রাক্বিব বুখারী।
►লিংকঃ
https://m.youtube.com/ watch?v=OjB4anailDY&t=509
⦁ উস্তায মতিউর রহমান মাদানী।
►লিংকঃ
https://m.youtube.com/ watch?v=CLMig7ax7nc&feature =share
⦁ ড. মুজাফফর বিন মুহসীন।
►লিংকঃ
https://youtu.be/ FW3yklPv4V4
⦁ উস্তায দুরুল হুদা [ হাফিয্বাহুল্লাহ ]
►লিংকঃ https://youtu.be/ aFlMvCY87a4
⦁ উস্তায আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
►লিংকঃ https://youtu.be/ JaKcAFSJKes
⦁ উস্তায আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
►লিংকঃ https://youtu.be/ PdRvbLqmM34
⦁ ড.মোছলেহ উদ্দিন ও ড. শাখাওয়াত হোসাইন।
►লিংকঃ https://youtu.be/ pLfWLRMaZK8
⦁ সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী সম্মেলন: আহলেহাদিছ আন্দোলন (১ম পর্ব)
►লিংকঃ https://youtu.be/ 7pfwWSvL3ts
⦁ সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী সম্মেলন: আহলে হাদিছ আন্দোলন (২য় পর্ব)
►লিংকঃ https://youtu.be/ rkXyQI4w9zY
⦁ উস্তায আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
►লিংকঃ https://youtu.be/ qwe0PwlDPAI
⦁ উস্তায আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
►লিংকঃ https://youtu.be/ UA5WTUC-xZ4
.সুতরাং, সাবধান! সতর্ক হোন। আহলে হাদিসদের উপর এমনসব মিথ্যা অপবাদ কেবলমাত্র বিদ'আতী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া, কোনো সুন্নাহর অনুসারী দিতে পারেনা! তাইতো হাদীছশাস্ত্রের হাফিয্ব ইমাম আবূ হাতিম (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৭৭ হি.] বলেছেন,
«علامة أهل البدع الوقيعة في أهل الأثر».
“বিদ‘আতীদের নিদর্শন হল আহলুল আছার তথা সালাফীদের আক্রমণ করা (বা তাদের নামে কুৎসা রটানো)।”
[📚ইমাম আবূ ‘উছামান আস্ব-স্ববূনী (রহিমাহুল্লাহ), ‘আক্বীদাতুস সালাফি ওয়া আস্বহাবিল হাদীছ; পৃষ্ঠা: ৩০৪]
.
ইমাম আহমাদ বিন সিনান আল-ক্বত্বত্বান (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৫৯ হি.] বলেন,
«ليس في الدنيا مبتدع، إلا وهو يبغض أهل الحديث».
“দুনিয়ায় এমন কোনো বিদ‘আতী নেই, যে আহলুল হাদীছদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না।”
[📚ইমাম যাহাবী (রহিমাহুল্লাহ), সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ১২; পৃষ্ঠা: ২৪৬; ইমাম হাকিম (রহিমাহুল্লাহ), মা‘রিফাতু ‘উলূমিল হাদীছ; পৃষ্ঠা: ৪]
অতএব, "অধিকাংশ আহলে হাদিসই তাকফীরী কিংবা আহলে হাদিসদের একটা বড় অংশ খারেজী অথবা আহলে হাদিসরা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে মুসলিম মনে করে না " ইত্যাদি অপবাদ লাগিয়ে দিয়ে অন্তরিস্থ বিদ্বেষ জাহির করার মাধ্যমে নিজেকে বিদ‘আতী বলে প্রদর্শন করবেন না।
আমরা সকলের জ্ঞাতার্থে একথ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, ঢালাওভাবে আহলে হাদিসদেরকে "তাকফীরী" বলাটা এত বড় জঘন্য অপবাদ যে, তা যদি কেউ সমুদ্রে পেলে দেয়, সমুদ্রের পানি পর্যন্ত দূষিত হয়ে যাবে! একমাত্র কাজ্জাব, মুনাফ্বিক কিংবা যিন্দিকদের দ্বারাই এমনসব জঘন্য "অপবাদ" লাগানো সম্বব"।
.
ওহে হক্বকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহারকারী কাজ্জাব! আর কতদিন চলবে তোমার এহেন জঘন্য দুষ্কর্ম ? তোমার অন্তরে কি এতটুকু আল্লাহর খওফ নেই ? অন্তরে যদি নূন্যতম আল্লাহর ভয় থাকে, তবে এসব মিথ্যাচার ছেড়ে দিয়ে ভালো হও। নচেৎ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে আল্লাহপ্রদত্ত ভয়াবহ শাস্তি। দু‘আ করছি, আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত দিন, আমীন।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা- আমাদের সবাইকে
সুবেশধারী অসাধু কলামিস্টদের অনিষ্টকর কলাম থেকে হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে আহলুস সুল্লাহ-র উলামায়ে ক্বেরামের ইত্তেবাহ এবং তাদের উপর বাত্বিলপন্থীদের আরোপিত ভিবিন্ন মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনের তাওফ্বীক দান করূন। [আ - মীন ]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ লেখক:
আখতার বিন আমীর। [ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন -আ-মীন ]
.
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি।
যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। যিনি বলেছেন,“ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপিষ্ঠের জন্য।” [সূরাহ জাছিয়াহ: ৭]
তিনি আরও বলেছেন, “হক এসেছে, আর বাতিল অপসৃত হয়েছে; বাতিল তো অপসৃত হওয়ারই ছিল।” [সূরাহ বানী ইসরাঈল: ৮১]
শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। যিনি বলেছেন, “তুমি হক (সত্য) বল, যদিও তা তিক্ত হয়।” [সাহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৩৩; সনদ: সাহীহ লি গাইরিহী] অন্যত্র বলেছেন, “তুমি হক বল, যদিও তা তোমার নিজের বিরুদ্ধে যায়।” [সিলসিলাহ সাহীহাহ, হা/১৯১১; সাহীহুল জামি‘, হা/৩৭৬৯; সনদ: সাহীহ]
.
🔸প্রারম্ভিকা,
আহলুস সুন্নাহর উলামা- মাশায়েখ ,দাঈগণের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ এবং বাতিলপন্থী কর্তৃক
ভিবিন্ন মিথ্যাচার, তোহমত লাগানোর বিষয়টি বেশ পুরনো! এতদসত্ত্বেও হক্ব এবং বাত্বিলের লড়াই যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে!
হক্বপন্থী উলামায়ে ক্বেরামের মানহানী করত: তাঁদের নামে মিথ্যাচার করে জীবনের অধিকাংশ সময়গুলো ব্যয় করা "বাত্বিল পূজারী", বর্ণচোরাদের অপচেষ্টা
রুখতে ও তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে সুন্নাহর অনুসারীগণ সদা সর্বদা তৎপর ছিলেন, আজও রয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। [ ইনশা আল্লাহ ]
.
পর-সমাচার এই যে, বেশ কিছুদিন ধরে একজন সেলিব্রেটি কলামিস্ট আহলে হাদিসদের উপর লাগাতার মিথ্যাচার ও অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন ! অতীতে তার ভিবিন্ন মন্তব্যগুলি আমরা নিছকই অজ্ঞতা ভেবে আমলে নেই নি কিন্তু সাম্প্রতি লক্ষ্য করছি ওই 'সেলিব্রিটি লিখক ' কর্তৃক আহলে হাদিসদের উপর এমন সব অপবাদ, মিথ্যাচার ছাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যা সুদূর অতীতে আহলে হাদিসদের চরম শত্রুরাও দেয় নি! অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই মিথ্যুক কলমবাজ আহলে হাদিসদের "তাকফীরী" তকমা পর্যন্ত লাগিয়ে দিয়েছেন ! লা নাতুল্লাহি আলাল কাযিবিন।
.
বন্ধুগণ! চলুন আর দেরি না করে ভিবিন্ন সময়ে দেয়া
অসাধু কলামিস্টের অভিযোগগুলি অবলোকন করি:
🔸প্রথম অভিযোগ:
সেলিব্রেটি লেখক সাহেব এক জায়গায় বলেন,
"আমি ছোট বেলা থেকে আল আমিন মসজিদের সালাত আদায় করি। আমি আহলে হাদিসদের সাথে থেকে বড় হয়েছি। বাংলাদেশে আহলে হাদিসদের একটা বড় অংশ হানাফি মাযহাবের অনুসারীদের মুসলিম মনে করে না। এটা কেমন আকিদা"!?
[ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-১ ]
.
🔸দ্বিতীয় অভিযোগ:
"খারিজি আকিদাহ আমি সবচেয়ে বেশি দেখেছি আহলে হাদিসদের মধ্যে, তারা নিজেরা ছাড়া অন্যদের 'অসহীহ আক্বীদাহ,' বলে পারলে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। [ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-২ ]
.
🔸তৃতীয় অভিযোগ:
অতি সাম্প্রতি এই লিখক সাহেব নিজ আইডিতে একটা আর্টিকেল পোস্ট করেন! এক জায়গায় লিখেন - "আহলে হাদিস দাবিদার ভাইদের একটা বড় অংশের ধারনা তারা ছাড়া আর কেউই মুসলিম না" [ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-৩ ]
আমাদের ভাই আব্দুল্লাহ যখন এর প্রতিবাদ করেন, তখন জবাবে ঐ সেলিব্রিটি কলামিস্ট বলেন," আমি আমার জীবনে আহলে হাদিসদের মধ্যে যত তাকফিরি দেখেছি, খুব ভায়োলেন্ট জিহাদিস্টদের মধ্যেও তত তাকফিরি দেখিনি"! আল ইয়াযু বিল্লাহ।
[ কমেন্টবক্সে স্কিন শর্ট দ্রস্টব্য-৪ ]
.
🔸পর্যালোচনা:
আহলেহাদীসদেরকে ‘তাকফীরী’ তকমা দেওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। ইতঃপূর্বে বড়ো বড়ো ইমামদেরকেও এই ভয়ানক মিথ্যা তকমা দেওয়া হয়েছে। আসলে যারা সালাফীদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তারাই মূলত এসব মিথ্যা কথা বলে পাবলিক টেরিটোরিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ছুপা সালাফী বিদ্বেষীরাও সুযোগ বুঝে এ জাতীয় উদ্ধত কথাবার্তা প্রকাশ করে। অথচ আহলেহাদীসরাই তাকফীরীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তাকফীরীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি ও বক্তৃতার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা আহলেহাদীসদেরই বেশি।
তাকফীরীদের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী যুগ থেকেই ‘আলিমগণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আমরা বর্তমান যুগের কিছু বিখ্যাত লিখনের কথা আলোচনা করি। ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ), যিনি হলেন সালাফীদের চোখের মণি। তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘ফিতনাতুত তাকফীর’ তথা ‘কাফির বলার ফিতনাহ’। এই বইয়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সমকালীন বিশ্বের দুজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন—ইমাম ইবনু বায এবং ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুমাল্লাহ) বইটির টীকা প্রণয়ন করেছেন। এই বিখ্যাত বইটি বেশ কয়েকবছর আগে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
বাংলা ভাষায় কিছু মৌলিক রচনার কথা যদি বলি, তাহলে ড. মুযাফফর বিন মুহসিন সাহেবের ‘ভ্রান্তির বেড়াজালে ইক্বামতে দ্বীন’ বইটির কথা বলতে হয়। যে বইটির অন্তস্থ প্রবন্ধ মাসিক আত-তাহরীকে পর্বাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই প্রবন্ধ বই আকারে আত্মপ্রকাশ করে। অনুরূপভাবে তাকফীরের ভয়াবহতার ব্যাপারে একটি চমৎকার মৌলিক গ্রন্থ হলো উস্তায সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী বিরচিত ‘কুফরি ফতোয়া ও তার কুপ্রভাব’। এই বইটি বেশ কয়েকবছর আগে ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তাকফীরের নীতিমালা সম্পর্কিত একটি মৌলিক গ্রন্থ হলো উস্তায আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী সাহেবের ‘কাফির বলার মৌলনীতি’। এই বইটি অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে সহজলভ্য এবং তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে বছর কয়েক আগে বেরও হয়েছে।
এছাড়াও আহলেহাদীস দা‘ঈগণ অনেক আগে থেকেই বক্তব্য ও সেমিনারের মাধ্যমে তাকফীরীদের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করে আসছেন এবং এদের থেকে সতর্ক করছেন। এখন কথা হলো, কেউ নিজেকে আহলেহাদীস দাবি করল, আর দেদারসে লোকদেরকে তাকফীর করতে লাগল, তাহলে কি একথা বলা সমীচীন হবে যে, আহলেহাদীসরা তাকফীরী?! কখনোই সমীচীন হবে না। ধরুন, একজন দেওবন্দী দাবিদার অথবা কতিপয় দেওবন্দী দাবিদার তাদের বিয়েতে যৌতুক নিল। এখন কি আপনি একথা বলবেন যে, দেওবন্দীরা যৌতুক প্রথার ধারক ও বাহক?!
আল-‘ইয়াযু বিল্লাহ।
আবার ধরূন হানাফীদের একটি অংশ ভেরলভিদের মাথার তাজ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী [ হাদাহুল্লাহ ] প্রায়
ডজন খানেক দাঈকে কাফির ফাতওয়া দিয়েছেন!
এখন কি আপনি ঢালাওভাবে একথা বলবেন যে, হানাফীরা তাকফীরী!? এটা তো পুরোই বে-ইনসাফী কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, কতিপয় অসাধু কলামিস্ট বলে বেড়াচ্ছেন যে,আহলেহাদীসদের অনেকেই তাকফীরী! আল-‘ইয়াযু বিল্লাহ।
সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, আহলে হাদিসদের "তাকফীরী" প্রমাণের দলিল হিসেবে দু'চারজন মাজহুল আওয়ামকে [ জনসাধারণকে ] পেশ করেছেন এরা ! এই শ্রেণীর লোকগুলি এত বড় প্রতারক যে, পারলে আই. এস নেতা আবু বক্কর আল বাগদাদীকেও 'আহলে হাদিস' বলে চালিয়ে দিতো, যেমনটি বাংলা ভাইয়ের ক্ষেত্রে করেছিল!
.
ওহে বাত্বিলের ধ্বজাধারী! জেনে রাখো,
এদেশীয় আহলে হাদিসরাই যুগ যুগ ধরে খাওয়ারেজ, শিয়া-রাফেযী, জাহমিয়া, আশাআরী, মাতুরিদী, মুতাযিলা ইত্যাদি বাত্বিল মতবাদ ও ফিরক্বার পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কুফুরী মতবাদগুলো রদ করার পাশাপাশি এসকল বিভ্রান্ত মতবাদ ও ফিরক্বার ব্যাপারে জাতিকে সর্তক ও সংশোধনের চেষ্টা করে করছেন, যা আজ অব্দি চলমান রয়েছে। এ মর্মে আহলে হাদীস আলিমদের লিখিত বই-পুস্তক, আহলে হাদিস আন্দোলন এবং জমঈয়তে আহলে হাদিস এর সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতি, গঠনতন্ত্র ইত্যাদি সহ অসংখ্য বই-পুস্তক, লিখনী ও বক্তৃতায় তার প্রমাণ বহন করে! ছোট বড় মিলিয়ে উলামাদের শত শত লেকচার রয়েছে! আমি নিন্মে মাত্র কয়েকজন দাঈর দীর্ঘ আলোচনা সম্বলিত কয়েকটি লেকচার এর লিংক দিচ্ছি যা শ্রবণ করলে সম্মানিত পাঠকগন সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আমাদের আলিমগণ খারেজী,তাকফীরীদের ব্যাপারে কতটা কঠোরতা অবলম্বন করেন!
.
⦁ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ উস্তায আব্দুর রাক্বিব বুখারী।
►লিংকঃ
https://m.youtube.com/
⦁ উস্তায মতিউর রহমান মাদানী।
►লিংকঃ
https://m.youtube.com/
⦁ ড. মুজাফফর বিন মুহসীন।
►লিংকঃ
https://youtu.be/
⦁ উস্তায দুরুল হুদা [ হাফিয্বাহুল্লাহ ]
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ উস্তায আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ উস্তায আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ ড.মোছলেহ উদ্দিন ও ড. শাখাওয়াত হোসাইন।
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী সম্মেলন: আহলেহাদিছ আন্দোলন (১ম পর্ব)
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী সম্মেলন: আহলে হাদিছ আন্দোলন (২য় পর্ব)
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ উস্তায আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
►লিংকঃ https://youtu.be/
⦁ উস্তায আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
►লিংকঃ https://youtu.be/
.সুতরাং, সাবধান! সতর্ক হোন। আহলে হাদিসদের উপর এমনসব মিথ্যা অপবাদ কেবলমাত্র বিদ'আতী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া, কোনো সুন্নাহর অনুসারী দিতে পারেনা! তাইতো হাদীছশাস্ত্রের হাফিয্ব ইমাম আবূ হাতিম (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৭৭ হি.] বলেছেন,
«علامة أهل البدع الوقيعة في أهل الأثر».
“বিদ‘আতীদের নিদর্শন হল আহলুল আছার তথা সালাফীদের আক্রমণ করা (বা তাদের নামে কুৎসা রটানো)।”
[📚ইমাম আবূ ‘উছামান আস্ব-স্ববূনী (রহিমাহুল্লাহ), ‘আক্বীদাতুস সালাফি ওয়া আস্বহাবিল হাদীছ; পৃষ্ঠা: ৩০৪]
.
ইমাম আহমাদ বিন সিনান আল-ক্বত্বত্বান (রহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৫৯ হি.] বলেন,
«ليس في الدنيا مبتدع، إلا وهو يبغض أهل الحديث».
“দুনিয়ায় এমন কোনো বিদ‘আতী নেই, যে আহলুল হাদীছদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না।”
[📚ইমাম যাহাবী (রহিমাহুল্লাহ), সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা; খণ্ড: ১২; পৃষ্ঠা: ২৪৬; ইমাম হাকিম (রহিমাহুল্লাহ), মা‘রিফাতু ‘উলূমিল হাদীছ; পৃষ্ঠা: ৪]
অতএব, "অধিকাংশ আহলে হাদিসই তাকফীরী কিংবা আহলে হাদিসদের একটা বড় অংশ খারেজী অথবা আহলে হাদিসরা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে মুসলিম মনে করে না " ইত্যাদি অপবাদ লাগিয়ে দিয়ে অন্তরিস্থ বিদ্বেষ জাহির করার মাধ্যমে নিজেকে বিদ‘আতী বলে প্রদর্শন করবেন না।
আমরা সকলের জ্ঞাতার্থে একথ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, ঢালাওভাবে আহলে হাদিসদেরকে "তাকফীরী" বলাটা এত বড় জঘন্য অপবাদ যে, তা যদি কেউ সমুদ্রে পেলে দেয়, সমুদ্রের পানি পর্যন্ত দূষিত হয়ে যাবে! একমাত্র কাজ্জাব, মুনাফ্বিক কিংবা যিন্দিকদের দ্বারাই এমনসব জঘন্য "অপবাদ" লাগানো সম্বব"।
.
ওহে হক্বকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহারকারী কাজ্জাব! আর কতদিন চলবে তোমার এহেন জঘন্য দুষ্কর্ম ? তোমার অন্তরে কি এতটুকু আল্লাহর খওফ নেই ? অন্তরে যদি নূন্যতম আল্লাহর ভয় থাকে, তবে এসব মিথ্যাচার ছেড়ে দিয়ে ভালো হও। নচেৎ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে আল্লাহপ্রদত্ত ভয়াবহ শাস্তি। দু‘আ করছি, আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত দিন, আমীন।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা- আমাদের সবাইকে
সুবেশধারী অসাধু কলামিস্টদের অনিষ্টকর কলাম থেকে হেফাজত করুন এবং আমাদেরকে আহলুস সুল্লাহ-র উলামায়ে ক্বেরামের ইত্তেবাহ এবং তাদের উপর বাত্বিলপন্থীদের আরোপিত ভিবিন্ন মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনের তাওফ্বীক দান করূন। [আ - মীন ]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ লেখক:
আখতার বিন আমীর। [ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন -আ-মীন ]
0 Comments