মওদুদী মতবাদের স্বরূপ উন্মোচন! [ ৪র্থ পর্ব ]
------------------------------- ---------------- ----------------
(দুই) ঈমান ও ইসলামের রুকনের মর্যাদা বিনষ্টঃ
মওদূদী ছাহেবের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনই বড় ইবাদত এবং ব্যাখ্যা করে সেটাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। [দলীলঃ খুত্ববাত (উর্দু), পৃষ্ঠা ৩২০; তাফহীমাত (উর্দু), ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৯]
পর্যালোচনাঃ
ঈমানের রুকন ছয়টি। আল্লাহ্র প্রতি, ফেরেশতাগণ, কিতাব সমূহ, রাসূলগণ, পরকালের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান পোষণ করা। ইসলামের রুকন পাঁচটি। শাহাদাত, ছালাত (নামায), যাকাত, ছিয়াম (রোযা), ও হজ্জ। ঈমান ও ইসলামের রুকনের মধ্যে রাজনীতি বা রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উল্লেখিত হয়নি। অথচ তাকেই ‘বড় ইবাদত’ বলে গণ্য করা হয়েছে, যা শী‘আ ও খারেজী আক্বীদার সাথে মিলে গেছে। বড় বিস্ময়ের ব্যাপার হল, এটা ইবাদতে তাওক্বীফীও নয়। এটা মু‘আমালার অন্তর্ভুক্ত। আর ঈমানের রুকনগুলোর প্রতি যেকোন অবস্থায় চূড়ান্ত বিশ্বাস রাখা ফরয। অনুরূপ ছালাত (নামায), ছিয়াম (রোযা), যাকাত ও হজ্জ ফরয ইবাদত। এগুলো পরিবর্তনশীলও নয়, ইচ্ছাধীনও নয়; মানুষের ইচ্ছার উপরে ছেড়ে দেয়া হয়নি। কারণ এগুলো ইবাদতে তাওক্বীফী। মু‘আমালার বিষয়টি ইচ্ছাধীন। কারণ বৈষয়িক জীবনে কেউ চাকরী করতে পারে, কেউ ব্যবসা করতে পারে, কেউ ডাক্তারি করতে পারে, আবার কেউ কৃষি কাজ করতে পারে। এগুলো তার জন্য ইচ্ছাধীন। তবে এগুলো পালনের ক্ষেত্রে দ্বীনের সুনির্দিষ্ট মূলনীতি রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করা আবশ্যক।
ভ্রান্ত জামায়াতে ইসলামীঃ পর্ব-০৫
(তিন) ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’-এর রাজনৈতিক ব্যাখ্যাঃ
মাওলানা মওদূদী ছাহেব সূরা ফাতিহার তাফসীর করতে গিয়ে ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘জীবনের অসংখ্য পথের মধ্য থেকে চিন্তা ও কর্মের সহজ, সরল ও সুস্পষ্ট রাজপথটি আমাদের দেখাও’।
[দলীলঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী, তাফহীমুল কুরআন, অনুবাদঃ আবদুল মান্নান তালিব (ঢাকাঃ আধুনিক প্রকাশনী ১০ম সংস্করণঃ মার্চ ১৯৯৭), ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩]
পর্যালোচনাঃ
পবিত্র কুরআনের এমন কোন অভিনব ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরামের বুঝের বিপরীত হবে। ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’ দ্বারা রাজপথ বুঝানো হয়নি। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেছেন, এর অর্থ ইসলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেন, আল্লাহ্র কিতাব। [দলীলঃ তাফসীরে তাবারী ১/১৭৩ পৃষ্ঠা, সনদ সহীহ]। ইবনু আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)ও বলেছেন, ইসলাম। অন্যত্র তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র দ্বীন। ইবনু কাছীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, স্পষ্ট পথ, যাতে বক্রতা নেই। [দলীলঃ ইবনু কাছীর ১/১৩৮ পৃষ্ঠা]। তাছাড়া কুরআনের আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অসংখ্য বক্র পথের মধ্যে সোজা পথ কেবল একটি। সেটাই ছিরাতে মস্তাক্বীম। সেটা হল ইসলাম ও হেদায়াতের পথ, যে পথের প্রকৃত অনুসারী হলেন, নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালেহীন ও ছাহাবায়ে কেরাম (০৫। সূরা মায়েদা আয়াত ১৫৩; ০৪। সূরা নিসা আয়াত ৬৯ ও ১১৫)। [দলীলঃ আহমাদ হাদিস/৪১৪২, সনদ সহীহ]।
মাওলানা মওদূদী রাজনৈতিক চোখ দ্বারা তাফসীর করতে গিয়ে শুধু রাজপথটিই দেখতে পেয়েছেন। ইসলামের আক্বীদা ও আমল সমূহ দেখার চেষ্টা করেননি। এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও দলীয় ব্যাখ্যা, যা পৃথিবীর কোন বিদ্বান করেননি।
------------------------------- ---------------- ----------------
(দুই) ঈমান ও ইসলামের রুকনের মর্যাদা বিনষ্টঃ
মওদূদী ছাহেবের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনই বড় ইবাদত এবং ব্যাখ্যা করে সেটাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। [দলীলঃ খুত্ববাত (উর্দু), পৃষ্ঠা ৩২০; তাফহীমাত (উর্দু), ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৯]
পর্যালোচনাঃ
ঈমানের রুকন ছয়টি। আল্লাহ্র প্রতি, ফেরেশতাগণ, কিতাব সমূহ, রাসূলগণ, পরকালের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান পোষণ করা। ইসলামের রুকন পাঁচটি। শাহাদাত, ছালাত (নামায), যাকাত, ছিয়াম (রোযা), ও হজ্জ। ঈমান ও ইসলামের রুকনের মধ্যে রাজনীতি বা রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উল্লেখিত হয়নি। অথচ তাকেই ‘বড় ইবাদত’ বলে গণ্য করা হয়েছে, যা শী‘আ ও খারেজী আক্বীদার সাথে মিলে গেছে। বড় বিস্ময়ের ব্যাপার হল, এটা ইবাদতে তাওক্বীফীও নয়। এটা মু‘আমালার অন্তর্ভুক্ত। আর ঈমানের রুকনগুলোর প্রতি যেকোন অবস্থায় চূড়ান্ত বিশ্বাস রাখা ফরয। অনুরূপ ছালাত (নামায), ছিয়াম (রোযা), যাকাত ও হজ্জ ফরয ইবাদত। এগুলো পরিবর্তনশীলও নয়, ইচ্ছাধীনও নয়; মানুষের ইচ্ছার উপরে ছেড়ে দেয়া হয়নি। কারণ এগুলো ইবাদতে তাওক্বীফী। মু‘আমালার বিষয়টি ইচ্ছাধীন। কারণ বৈষয়িক জীবনে কেউ চাকরী করতে পারে, কেউ ব্যবসা করতে পারে, কেউ ডাক্তারি করতে পারে, আবার কেউ কৃষি কাজ করতে পারে। এগুলো তার জন্য ইচ্ছাধীন। তবে এগুলো পালনের ক্ষেত্রে দ্বীনের সুনির্দিষ্ট মূলনীতি রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করা আবশ্যক।
ভ্রান্ত জামায়াতে ইসলামীঃ পর্ব-০৫
(তিন) ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’-এর রাজনৈতিক ব্যাখ্যাঃ
মাওলানা মওদূদী ছাহেব সূরা ফাতিহার তাফসীর করতে গিয়ে ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘জীবনের অসংখ্য পথের মধ্য থেকে চিন্তা ও কর্মের সহজ, সরল ও সুস্পষ্ট রাজপথটি আমাদের দেখাও’।
[দলীলঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী, তাফহীমুল কুরআন, অনুবাদঃ আবদুল মান্নান তালিব (ঢাকাঃ আধুনিক প্রকাশনী ১০ম সংস্করণঃ মার্চ ১৯৯৭), ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩]
পর্যালোচনাঃ
পবিত্র কুরআনের এমন কোন অভিনব ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবায়ে কেরামের বুঝের বিপরীত হবে। ‘ছিরাতে মস্তাক্বীম’ দ্বারা রাজপথ বুঝানো হয়নি। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেছেন, এর অর্থ ইসলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেন, আল্লাহ্র কিতাব। [দলীলঃ তাফসীরে তাবারী ১/১৭৩ পৃষ্ঠা, সনদ সহীহ]। ইবনু আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)ও বলেছেন, ইসলাম। অন্যত্র তিনি বলেছেন, আল্লাহ্র দ্বীন। ইবনু কাছীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, স্পষ্ট পথ, যাতে বক্রতা নেই। [দলীলঃ ইবনু কাছীর ১/১৩৮ পৃষ্ঠা]। তাছাড়া কুরআনের আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অসংখ্য বক্র পথের মধ্যে সোজা পথ কেবল একটি। সেটাই ছিরাতে মস্তাক্বীম। সেটা হল ইসলাম ও হেদায়াতের পথ, যে পথের প্রকৃত অনুসারী হলেন, নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালেহীন ও ছাহাবায়ে কেরাম (০৫। সূরা মায়েদা আয়াত ১৫৩; ০৪। সূরা নিসা আয়াত ৬৯ ও ১১৫)। [দলীলঃ আহমাদ হাদিস/৪১৪২, সনদ সহীহ]।
মাওলানা মওদূদী রাজনৈতিক চোখ দ্বারা তাফসীর করতে গিয়ে শুধু রাজপথটিই দেখতে পেয়েছেন। ইসলামের আক্বীদা ও আমল সমূহ দেখার চেষ্টা করেননি। এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও দলীয় ব্যাখ্যা, যা পৃথিবীর কোন বিদ্বান করেননি।
0 Comments