আইআরএফ-এ নিষেধাজ্ঞা পূর্ব পরিকল্পিত,ডঃ জাকির নায়েক


আইআরএফ-এ নিষেধাজ্ঞা পূর্ব পরিকল্পিত, খোলা চিঠিতে বিস্ফোরক, ডঃ জাকির নায়েক

 আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আইআরএফ-এ নিষেধাজ্ঞা পূর্ব পরিকল্পিত, খোলা চিঠিতে বিস্ফোরক, ডঃ জাকির নায়েক
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন জাকির নায়েক
নোট বিতর্ক থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতেই নিষেধাজ্ঞা
এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের ওপর হামলা
রবিউল ইসলামঃ
কোনও জিজ্ঞাসাবাদ না করে, কোনও নোটিস না পাঠিয়েই ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে আগামী ৫ 
বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছেন জনপ্রিয় ইসলাম প্রচারক 
ডা. জাকির নায়েক। তাঁর বিরুদ্ধে মিডিয়া প্রচারণা ও সরকারি তদন্ত শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় 
খোলা চিঠিতে একথা জানালেন তিনি।
ভারত সরকার ও সমগ্র ভারতবাসীর উদ্দেশ্য করে লেখা ওই খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আইআরএফ 
এবং আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল। যদিও কিছু লোক বলবে আমি ‘মুসলিম তাস’ 
খেলছি, কিন্তু এটা ঘটনা, এটা একমাস আগেই ঠিক করা হয়। তদন্ত করার আগে এমনকি রিপোর্ট জমা দেওয়ার 
আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আইআরএফ নিষিদ্ধ করা হবে। সেটা আমার ধর্মের কারণে না অন্য কোনও 
কারণে সেটা কোনও বিষয় নয়। যেটা বিষয় সেটা হল গত ২৫ বছর ধরে আমি সম্পূর্ণ আইনানুগ পন্থা মেনে যে
 কাজ করে আসছি সেটা নিষিদ্ধ করা হল। এবং এটাই এদেশে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।”
তিনি আরও লিখেছেন, “এটা ভারতের ইতিহাসে একটি অনন্য নিষেধাজ্ঞা হয়ে থাকবে। কারণ আমাকে আমার 
বিষয় ব্যাখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, আমাকে একটিও প্রশ্ন করা হয়নি। একটিও সুযোগ দেওয়া হয়নি, 
কোনও নোটিসও দেওয়া হয়নি, কোনও সমন পাঠানো হয়নি, কোনও ফোন কলও করা হয়নি, আমার সঙ্গে 
একবারও যোগাযোগ করা হয়নি যাতে আমার বক্তব্য পেশ করতে পারি। আমার পক্ষ থেকে যে কোনও তদন্তে 
পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলেছিলাম। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। সমগ্র তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয় অথচ 
কোনও সংস্থাই আমাকে আমার ‘অপরাধ’ সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করলনা।”
চিঠিতে ডা নায়েক ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “… তারা আমাকে একটি প্রশ্ন না করেই অামাকে নিষিদ্ধ করে দিল।
এখন তাদের জবাব দেওয়ার জন্য আমার সামনে আইনি পথ গ্রহণ করা ছাড়া কোনও রাস্তাই খোলা নেই; ব্যক্তিগতভাবে 
নয়। তাদের এজেন্ডা পরিস্কার, যেনতেন প্রকারে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা। আমাকে তো লড়তেই হবে।”
সাম্প্রতিক ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিষেধাজ্ঞাজনিত বিতর্কের মাঝেই তাঁর সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাকে 
তিনি ‘জনগনের দৃষ্টি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ’ বলে বর্ণনা করেছেন অভিনব কায়দার ইলেক্ট্রনিক 
মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম প্রচারকারী এই চিকিৎসক।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশনের হলি অার্টিজনে সন্ত্রাসবাদী হানার পর কাকতালীয়ভাবে ডা. জাকির 
নায়েকের নাম জড়িয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেদেশের একটি পত্রিকা। নিহত সন্ত্রাসীদের একজন জাকির 
নায়েকের ফেসবুক ফলোয়ার ছিল। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে সন্ত্রাসে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ 
আনা শুরু করে ভারতের বেশ কয়েকটি প্রথম শ্রেণীর নিউজ চ্যানেল।
তদন্ত চলাকালে ও তদন্ত শেষে কয়েকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানোও হয় জাকির নায়েকের সংস্থার বিরুদ্ধে 
কোনও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাও কি কারণে নিষিদ্ধ করা হল তাঁর সংস্থা! ডা নায়েক এর মতে, 
নোট বিতর্ক থেকে জনগণ ও মিডিয়ার দৃষ্টি সরিয়ে দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা। উল্লেখ্য কালা কানুন ইউএপিএ আইনে 
নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে নায়েকের সংস্থাকে। অথচ বারবার বিদ্বেষভাষণ দেওয়া সত্বেও সাধ্বি প্রাচী বা যোগি 
আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করাতো দূর তাদের গ্রেফতারও করা হয়না কেন প্রশ্ন তুলেছেন ডা নায়েক। 
এমনকি সরকার তাদের কথার কোনও বিরোধীতা পর্যন্ত করেনি।
তিনি বলেছেন, গোটা দুনিয়া জুড়ে ১ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেটে আমার ফলোয়ার। আমি জ্ঞানত কোন হিংসাকে 
মদদ দিইনি। সর্বদা শান্তির বাণী প্রচার করেছি। তিনি সকল ভারতীয় মুসলিমদের ধৈর্য্য এবং আল্লাহর ওপর আস্থা রাখতে বলেন।

Post a Comment

0 Comments