আমি যদি সত্যিই সন্ত্রাস ছড়াতাম, লাখ লাখ সন্ত্রাসী হয়ে যেতো এতদিন" – ডঃজাকির নায়েক


"আমি যদি সত্যিই সন্ত্রাস ছড়াতাম, লাখ লাখ সন্ত্রাসী হয়ে যেতো এতদিন" – ডঃজাকির নায়েক

 আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমতুলল্লাহি ওবারাকাতু


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
"আমি যদি সত্যিই সন্ত্রাস ছড়াতাম, লাখ লাখ সন্ত্রাসী হয়ে যেতো এতদিন" –ডঃ জাকির নায়েক।

ভারতের চলমান কম্পিউটার, প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক ডা: জাকির নায়েক রবিবার দাবি করেন, 
তার নিষিদ্ধ এনজিও তহবিলের কোনরকম অপব্যবহার হয়নি।সেই সাথে তিনি সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট 
কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগকে সম্পূর্ন ভাবে নাকচ করে দেন।
ভারতে ফিরে না আসায় ৫১ বছরের এই দৈনিক টিভি প্রদর্শিত জনপ্রিয় বক্তাকে উগ্র ভাষণের 
জন্য UAPA সন্ত্রাস-বিরোধী আইনের আওতায় আনা হয়েছে , যিনি বর্তমানে বিদেশে থাকেন 
এবং বারবার তিনি NIA কে পূর্ন সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন ।

অভিযোগ আনা হয়েছিল যে ঢাকার গুলশানে হামলাকারীরা নাকি তাঁর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছিল,
সেই মুহুর্তে জাকির নায়েক বলেন , কেউ যদি সন্ত্রাসে উস্কানি দেয় সেটা ইসলাম মতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ 
এবং বলেন বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ তাঁর বক্তব্য শোনেন।
তিনি আরও বলেন যে, “আমাকে ভুল ভাবে ঢাকায় হামলাকারী দের উস্কানী দেওয়ার অভিযোগ করা 
হচ্ছে এবং আমি যদি এতদিন সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দিতাম ,তাহলে লাখ লাখ সন্ত্রাসবাদী তৈরি হয়ে যেতো, 
কিন্ত একটাও দেখাতে পারবেন না”।
এর পর ডাঃ জাকির বলেন,” হতে পারে আমার কয়েক কোটি ভক্তের মধ্যে কেউ সমাজ বিরোধী কাজে 
লিপ্ত , তাঁরা অবশ্যই পথভ্রষ্ট এবং তাদের উচিত শান্তির পথ অবলম্বন করা “
পিটিআইকে ডাঃ নায়েক আরও বলেন,”আমি নিশ্চিত , তাঁরা অনুসরণ করেনা তাদেরকে যা আমি বলে 
থাকি , যখনই তাঁরা নিয়ন্ত্রণহীন কোন অসংহতিপূর্ন কার্যকলাপ করবে, তখনই তাঁরা ইসলামের বিরুদ্ধে 
চলে যাবে এবং নিশ্চিতভাবে আমার সমর্থন হারাবে”।
আইনি পদক্ষেপের কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন তাঁর NGO ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF) 
নিষিদ্ধকরনে বিরুদ্ধে তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন , তিনি আরও বলেন যে, ইতিমধ্যে তাঁর মুম্বাই ও 
দিল্লীর আইনী দল বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং শীঘ্রই তাঁরা আদালতে যাবে ।
তাঁর সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে (IRF) ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং বলা হয় 
এটি একটি বেআইনী সংগঠন।
জাকির নায়েক বলেন, IRF নিষিদ্ধ করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাধনে।
বিদেশ থেকে প্রাপ্তি IRF এর তহবিলের প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি বলেন ৪৭ কোটি টাকা তাঁর দুবাই এর ব্যক্তি গত 
আকাউন্ট থেকে মুম্বাই এর ব্যক্তি
গত আকাউন্টে গত ৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে এসেছে। “এই পাঠানো টাকা যথাযথভাবে আমার 
দ্বারা ঘোষিত এবং আইনসম্মতভাবে ব্যাবহার করা হয়, আমার পরিবারকে উপহার ও ঋণ বাবদ 
ছিল , আমি জানিনা এতে কি সমস্যা আছে? “
“IRF গত ১৫ বছর ধরে FCRA আকাউন্টে ১৪ কোটি টাকা পেয়েছে, এর মধ্যে ৪ কোটি টাকা বিদেশে 
বসবাসরত NRIদের থেকে ছিল, মাত্র ১০ কোটি টাকা ১৫ বছরের মধ্যে বিদেশি দাতাদের থেকে গ্রহন 
করা হয়েছে, এই সমস্ত তথ্য যথাযথ MHA তে ঘোষণা করা হয় পরিমান, নাম ও দাতাদের ঠিকানাসহ 
সুতরাং আমাকে অর্থপাচারের প্রশ্ন কেন?” জানিয়েছেন জাকির নায়েক।
কেন তিনি দেশে ফিরেছেন না জিজ্ঞেস করলে, জাকির নায়েক বলেন যে, তিনি বরংবার সরকারের 
তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্তে সাহায্য করার আশ্বাস দিলেও কোন কোন সংস্থাই তাঁর সাথে যোগাযোগ 
করেনি, তাকে কোন প্রশ্নও করা হয়নি এবং কোন নোটিশও তিনি পাননি।

Post a Comment

0 Comments