Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

🔴কোথায় আজ শিয়াদের ঘনিষ্ট বন্ধু খারেজী, ইখোয়ানি-জামতিদের দল?

Image may contain: 1 person, beard, hat and close-up

🔴কোথায় আজ শিয়াদের ঘনিষ্ট বন্ধু খারেজী, ইখোয়ানি-জামতিদের দল?
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
গত কাল, শিয়া হুথীরা সৌদি আরবের মক্কার হারাম (ক্বাবা) কে উদ্দেশ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সেই ক্ষেপণাস্ত্রে রাসায়নিক গ্যাসও ছিলো, যা প্রাণ নাসের জন্য তরিতগতীতে কাজ করে।

আলহামদুলিল্লাহ সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ডিফেন্স এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশের মধ্যেই ধ্বংস করে দেয়, আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

আমরা সবাই জানি ইসলাম ও মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ইহুদি-খ্রীষ্টানরা। এরা হলো ইসলামের বাহিরের শত্রু। এদের আমরা সবাই চিনি, কিন্তু ইসলামের ঘরের শত্রুকে কি আমরা চিনি? চিনলেও কি তাদের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডগুলো প্রচার করি? ইসলামের ঘরের শত্রুর মধ্যে প্রধান হলো শিয়া এবং খারেজীরা। শিয়াদের আমরা মুসলমান হিসেবে জানলেও, শিয়ারা মুসলমান নয়, তারা কাফের। আর শিয়া ফিরকা থেকে যে ফিরকা তৈরি হয়, তা হলো খারেজী ফিরকা। তবে খারেজীরা কাফের নয়। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর ৩৫ হিজরীতে আলী রাজিঃ ও মুয়াবিয়া রাজিঃ এর ভুল বুঝাবুঝির যুদ্ধে এই শিয়া-খারেজী ফিকার আবির্ভাব হয়। এই যুদ্ধ সিফফিনের যুদ্ধ বলে পরিচিত।
খারেজীদের অনেক আকিদা ও বৈশিষ্ট্য শিয়াদের সাথে মিলে। তাই ওসমান রাজিঃ, আলী রাজিঃ ও মুয়াবিয়া রাজিঃ সহ সাহাবীদের বিরুদ্ধে শিয়া-খারেজীরা ছিল এক জোট। তখন শিয়াদের নেতা ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা আর খারেজীদের নেতা ছিল জুল খোয়াইছারা। তারা ছিল পরষ্পর বন্ধু ও ইসলামের বিরুদ্ধে একে অন্যের সহযোগী।
সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজও দেখছি শিয়া-খারেজীরা এক জোট হয়ে কাজ করছে। শিয়াদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সৌদি আরবের বিরোধীতা করা। আর এই বৈশিষ্ট্যটি খারেজীদের মধ্যেও রয়েছে। তবে খারেজীদের মধ্যে এই সৌদি আরব বিরোধী বৈশিষ্ট্য সেই ওসমান রাজিঃ ও আলী রাজিঃ এর যুগ থেকে চলে আসছে। খারেজীরা এই জান্নাতি সাহাবীদের কাফের মনে করতো (নাউজুবিল্লাহ)। খারেজীরা শাসক হিসেবে তাঁদের আনুগত্য করতে চাইতো না। কেবল তাদের বিরোধীতা করেই যেত।
বর্তমানে যে হুথী বাহিনী, এরা মূলত শিয়া। আর শিয়াদের অবিভাবক রাষ্ট্র হলো ইরান। সারা বিশ্বের শিয়ারা ইরান কে অনুসরণ করে। গতকাল সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে যে হামলা করা হয়, তা মুলত ইরানের নেতৃত্বেই হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। শিয়ারা চায় সৌদি আরবের ধ্বংস। কারণ সারা বিশ্বে তাওহীদ ও সুন্নাহর মুল কেন্দ্র ভূমি হলো সৌদি আরব। আর সৌদি আরব ধ্বংস হলে ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাবে, যেটা চায় ইহুদি-খ্রীষ্টানরা।
ইরানি শিয়ারা যখন সৌদি আরব কেন্দ্রীক ঘটনাগুলো ঘটায়, ইরানি মিডিয়াগুলো এর সাথে আরও কিছু মিথ্যা যোগ করে প্রচার করে। আর ইরানি শিয়ারা মিডিয়ার সাথে তাল মিলায়ে খারেজী, ইখোয়ানি-জামাতী মিডিয়াগুলো প্রচার করে। যেমনঃ গত রমজানের কিছু দিন আগে মুহাম্মাদ বিন সালমান ১২ রাউন্ড গুলিতে হত্যা হয়েছে, রমজানের পর ঝড়ে কাবার গীলাফ খুলে যাওয়া সৌদি আরব ধ্বংসের লক্ষণ ইত্যাদি।
এই সকল মিথ্যা খবর শিয়া মিডিয়া সবার আগে প্রচার করে। তার পর পরই খারেজী, ইখোয়ানি-জামাতী মিডিয়াগুলো তা প্রচার করতে শুরু করে। ফেসবুকে সাইদী হাফিঃ এর পুত্র মাসুদ সাইদী সহ জামাতি আলেম ও তাদের অনুসারীরা নানা ধরনের সৌদি আরব বিরোধী মিথ্যা খবর প্রচার করে।
গত কাল শিয়া হুথীদের সৌদি আরবের হামলার কোন কোন নিন্দা বা শিয়া বিরোধী কোন খবর এই খারেজী-জামাতি মিডিয়া দেয়নি। কিন্তু সৌদি আরব যখন ইয়ামেনে হামলা করে, তা আবার ঢোল পিটিয়ে ঠিকই প্রচার করেছিল তারা। তাহলে বুঝা যাচ্ছে গতকালকের হামলায় খারেজী, ইখোয়ানি-জামাতীরা খুব খুশি হয়েছে। তাই তো আজ তারা চুপ হয়ে আছে। আসলে তারা শিয়াদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছে, যেমনটা আলী রাজিঃ ও মুয়াবিয়া রাজিঃ এর বিরুদ্ধে শিয়া-খারেজীরা একাত্মতা স্বীকার করেছিল।
এর পরও কি বলবেন শিয়া-খারেজী, খোমেনী, হাসান আল বান্না, সাইয়্যেদ কুতুবরা এক নয়?
লেখকঃ- জাহিদ বিন বেলায়েত।
Image may contain: 1 person

Post a Comment

0 Comments