Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

৭ম পর্ব | ১১শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ),

নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://rasikulindia.blogspot.com/ ইসলামিক বই

  • এই পর্বে থাকছে ইমাম ‘উসাইমীন, ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না, ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয রাজিহী এবং ‘আল্লামাহ হাসান আল-বান্না’র ফাতাওয়া।

  • ▌১১শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)
  • ·শাইখ পরিচিতি:
    ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ ‘আলিমে দ্বীন ছিলেন। তিনি একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ ছিলেন। তিনি ১৩৪৭ হিজরী মোতাবেক ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের ক্বাসিম বিভাগের ‘উনাইযাহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনেক বড়ো বড়ো ‘আলিমের কাছে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন—ইমাম ‘আব্দুর রহমান বিন নাসির আস-সা‘দী, ইমাম মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)।

    তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবোর্ডের এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ‘ইলমের সকল শাখায় তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল। আর সেকারণে তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিক্বহ, উসূলে ফিক্বহ, ক্বাওয়া‘ইদে ফিক্বহ, নাহূ (আরবি ব্যাকরণশাস্ত্র), বালাগাত (অলংকারশাস্ত্র) ফারাইদ্ব (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয় শাস্ত্র) প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর অসংখ্য গ্রন্থ ও অডিয়ো ক্লিপস রয়েছে।

    শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “আমি একটি সংক্ষিপ্ত মূল্যবান ‘আক্বীদাহ সংবলিত পুস্তিকা পড়লাম, যা সংকলন করেছেন আমাদের ভাই আল-‘আল্লামাহ সম্মানিত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন।” [ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), ‘আক্বীদাতু আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ; পৃষ্ঠা: ৩; বাদশাহ ফাহাদ লাইব্রেরি কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২২ হিজরী (৪র্থ প্রকাশ)]

    ইয়েমেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.] কে প্রশ্ন করা হয়, “সৌদি আরবের ‘আলিমগণের মধ্যে আপনি কাদের থেকে ‘ইলম গ্রহণের নসিহত করেন? আর খুব ভালো হতো, যদি আপনি আমাদের কাছে কিছু (‘আলিমের) নাম বলেন।” তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) জবাবে বলেন, “আমি যাঁদের কাছ থেকে ‘ইলম গ্রহণের নসিহত করি এবং আমি যাঁদেরকে চিনি, তাঁরা হলেন—শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ বিন ‘উসাইমীন (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ রাবী‘ বিন হাদী (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ)।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), তুহফাতুল মুজীব ‘আলা আসইলাতিল হাদ্বিরি ওয়াল গারীব; পৃষ্ঠা: ১৬৭; দারুল আসার, সানা (ইয়েমেন) কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (২য় প্রকাশ)]

    বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৩ হি./১৯৩৪ খ্রি.] বলেছেন, “আমি আপনাদের সামনে আজ রাতে সৌদি আরবের একজন মহান শাইখ, সৌদি আরবের একজন অন্যতম ‘আলিম, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের একজন অন্যতম ‘আলিম সম্পর্কে আলোচনা করব। ‘ইলমের পরিচর্যা ও প্রচার-প্রসারে এবং ত্বালিবুল ‘ইলমদের শিক্ষাদানে যাঁর অনেক বড়ো অবদান আছে। তিনি হলেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং স্বীয় প্রশস্ত জান্নাতে তাঁর আবাস নির্ধারণ করুন।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]

    মাদীনাহ’র প্রখ্যাত ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] বলেছেন, “আশ-শাইখ মুহাম্মাদ বিন ‘উসাইমীন হলেন আল-ইমাম, আল-ফাক্বীহ, আল-মুহাক্বক্বিক্ব, আল-মুদাক্বক্বিক্ব, আল-মুজতাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ)।” [ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ), আল-হাদ্দুল ফাসিল বাইনা মু‘আমালাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়া আহলিল বাত্বিল; ১নং প্রশ্নোত্তর দ্রষ্টব্য]

    এই মহান ‘আলিম ১৪২১ হিজরী মোতাবেক ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। আমীন।
    ·১ম বক্তব্য:

    সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন—

    ولما ظهرت قضية الإخوان المسلمين الذين يتصرفون بغير حكمة ازداد تشويه الإسلام في نظر الغربيين وغير الغربيين، وأعني بهم: أولئك الذين يلقون المتفجرات في صفوف الناس، زعماً منهم أن هذا من الجهاد في سبيل الله، والحقيقة أنهم أساءوا إلى الإسلام وأهل الإسلام أكثر بكثير مما أحسنوا.
    “যখন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমস্যা উদ্ভূত হলো, যারা (ব্রাদারহুড) প্রজ্ঞাবিহীন আচরণ করে, তখন ওয়েস্টার্ন এবং নন-ওয়েস্টার্নদের দৃষ্টিতে ইসলামকে বিকৃতকরণের গোলযোগ বৃদ্ধি পেল। আমি এদের দ্বারা তাদেরকে উদ্দেশ্য করছি, যারা মানুষের মাঝে বোমা নিক্ষেপ করে, এই ধারণাবশত যে, এটা আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদ করার অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের ভালোর চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি।” [দ্র.:https://m.youtube.com/watch?v=HS3dWShCCHU (৮ সেকেন্ড থেকে ৪৪ সেকেন্ড পর্যন্ত)]

    ·২য় বক্তব্য:

    ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আতকে বিদ‘আতী বলেছেন।
    বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম ‘উবাইদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] বিষয়টি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। শাইখ ‘উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,

    كما حدثنا أخونا أبو عمر الشيخ عبد العزيز الخليفه من أهالي الرس مدرس في وزارة التربية أن الشيخ محمدًا بن عثيمين رحمه الله بدّع جماعة الإخوان وجماعة التبليغ.
    حدثوا كم عددكم قولوا حدثنا عبيد الجابري قال حدثنا أبو عمر الشيخ عبد العزيز الخليفة وذكر معه رجلين آخرين يشهدان على هذا حدثوا بهذا بارك الله فيكم لا تخشوا لكن بالحكمة وهذا نقرره ونكرره عليكم وعلى أمثالكم ممن يستطلعون نصائحنا ويستطلعون ما عندنا.

    “আমাদের ভাই আবূ ‘উমার আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয আল-খালীফাহ আমাদের কাছে প্রতিপালন মন্ত্রণালয়ের মুদার্রিস (শিক্ষক) আহালির রস (أهالي الرس) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শাইখ মুহাম্মাদ বিন ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আতকে বিদ‘আতী বলেছেন।

    তোমরা এটা বর্ণনা করো। তোমাদের সংখ্যা কত? তোমরা বল, আমাদের কাছে ‘উবাইদ আল-জাবিরী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে আবূ ‘উমার আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয আল-খালীফাহ বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাঁর সাথে আরও দুইজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাঁরা এর সাক্ষ্য দিয়েছেন। তোমরা এটা বর্ণনা করো। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে বরকত দিন। তোমরা ভয় কোরো না। কিন্তু হিকমাহ সহকারে। আমরা এর স্বীকৃতি দিচ্ছি। আমরা এটা বারবার বলছি তোমাদের কাছে এবং তোমাদের মতো যারা আমাদের নসিহত অনুসন্ধান করে, আর আমাদের নিকট কী রয়েছে তা অনুসন্ধান করে, তাদের কাছে।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/759 (টেক্সট সংগৃহীত হয়েছে সাহাব ডট নেট থেকে)]

    ▌১২শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ)

    ·শাইখ পরিচিতি:

    ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন ছিলেন। তিনি ১৩৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে মিশরের কায়রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যেসব ‘আলিমের কাছে অধ্যয়ন করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী, ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী, ইমাম মুহাম্মাদ খালীল হাররাস প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। তাঁর অন্যতম ছাত্র হলেন—ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী ও ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুমাল্লাহ)।

    ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁকে দারস প্রদানের তাযকিয়্যাহ (রেকমেন্ডেশন) দিয়েছেন। ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁকে রিয়াদের মা‘হাদুল ‘ইলমীতে দারস দেওয়ার জন্য রেকমেন্ড করেন এবং ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) এই রেকমেন্ডেশন সমর্থন করেন। এছাড়াও তিনি ইমাম ইবনু বায ও ইমাম আলবানী’র সময়ে মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং মাসজিদে নাবাউয়ীতে দারস দিয়েছেন।

    ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] তাঁকে কিবারুল ‘উলামার অন্তর্ভুক্ত গণ্য করেছেন। [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]

    বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম তাক্বিউদ্দীন আল-হিলালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪০৭ হি./১৯৮৭ খ্রি.] ইমাম ইবনু বাযের কাছে লেখা তাঁর একটি চিঠিতে ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র বিনয় এবং উত্তম শিষ্টাচারের কথা ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি ইমাম ইবনু বাযের সাথে ‘আলিম ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আদান-প্রদানকৃত চিঠিপত্রের সংকলনে রয়েছে, যা এক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

    এই মহান ‘আলিম ১৪৩০ হিজরী মোতাবেক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। আমীন। সংগৃহীত: markazmuaadh.com
    ·
    ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র বক্তব্য:

    মাসজিদুল হারামের প্রাক্তন মুদার্রিস এবং মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শাইখদের শাইখ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪৩০ হি./২০০৯ খ্রি.] বলেছেন,

    وكان أول من سنَّ بدعة الخروج على الحكَّام في العصر الحديث هو: حسن البنا، وذلك عن طريق المظاهرات والانقلابات، ولقد كنت فتًى في مُقتبل العمر حينما ظهر حسن البنا على الساحة، وأسَّس حزب الإخوان المفلسين، وكنت أصاحب شباب الخوان -وأنا عمري حوالي تسع سنوات- إلى قصر الملك فؤاد -ملك مصر في ذاك الوقت- ونقول:
    إلَى أنقرة ~ يا ابن الْمَرَا.
    وذلك أن الملك فؤاد أصله تركي.
    وفي حوالي سنة ١٩٣٦م التحقت بأنصار السنة، وكان من ضمن أصفيائي ثلاثة شباب: حسن جمالي، ومحمد مُنْجي، ومحمد بشار، وهؤلاء الثلاثة كانوا من التنظيم السري لجماعة الإخوان، رغم أنهم كانوا سلفيي العقيدة، وكان حسن جمالي ومحمد منجي دائمًا يجهران بالعقيدة السلفية، وحسن البنا يجاريهما بذكر كلام ابن تيمية، وابن القيم، وابن عبد الوهاب، وهذا من عجيب أمرهم: فقد كانوا يعلمون السلفية ولا يعملون بها كحال بعض الأدعياء في هذه الأيام، وقد استأجروا فيلا في عزبة النخل، كانوا يصنعون فيها القنابل، وكان أجرؤهم حسن جمالي؛ فهو الذي كان يحمل القنابل ويرميها في المحلات التجارية، وفي المجتمعات.
    وهذا من مفارقات حسن البنا أنه يعلم التوحيد والشرك، ولا يتكلم فيهما أبدًا، وذلك أنه كان أحد أصدقائي، واسمه: سيد سعد في الإسماعيلية، وكان البنا يُجالس مَنْ يستغيث بغير الله، ومَنْ يقول إن الرسول خُلِق من نور، ومَنْ يُعلِّق التمائم والأحجبة، وكان سيد سعد يقول له: أليس هذا من الشرك؟! ألا تنهاهم عنه؟! فكان البنا يجيبه: بعدين، ليس هذا وقته؛ فقال له: كيف إذا مِتَّ قبل أن تُعلِّمهم، كيف يكون موقفك بين يدي الله؟ فأجاب: أنا أعرف كيف أجيب! وعندها نفض سيد سعد يديه من البنا وتركه.
    ومن تأصيلات البنا الفاسدة قوله: إن كل الفرق المنتسبة إلى الإسلام على حق، ولذلك كان حزبه يجمع بين الصوفي، والشيعي، والخارجي، والأشعري. اهـ

    “আধুনিক যুগে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিদ‘আত সর্বপ্রথম চালু করেছেন হাসান আল-বান্না। আর তা বিক্ষোভ-আন্দোলন এবং বিপ্লবের মাধ্যমে। যখন হাসান আল-বান্না’র আবির্ভাব ঘটল এবং তিনি যখন ‘আল-ইখওয়ানুল মুফলিসূন’ প্রতিষ্ঠা করলেন, তখন আমি কিশোর ছিলাম। আমি ব্রাদারহুডের যুবকদের সাথে ওঠাবসা করতাম, তখন আমার বয়স প্রায় ৯ বছর। তৎকালীন মিশরের বাদশাহ ফুআদের প্রাসাদের দিকে চেয়ে আমরা বলতাম, ‘হে ইবনুল মারা*, আঙ্কারা পর্যন্ত!’। আর এটা একারণে যে, বাদশাহ ফুআদ তুর্কী ছিলেন। [আর তুরস্কের রাজধানী হলো আঙ্কারা – সংকলক।]

    [(*) শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা (হাফিযাহুল্লাহ) ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র এই কথার টীকা লিখতে গিয়ে বলেছেন, এই শব্দটি (মারা) মিশরের আম জনসাধারণের পরিভাষায় একটি খারাপ গালি। মানুষ এই কথা বলতে লজ্জা পেত। শাইখ এই কথা এখানে উল্লেখ করেছেন, নাবী ﷺ এর আদর্শ পরিপন্থি ওই দলবাজদের খারাপ চরিত্রের বর্ণনা দেওয়ার জন্য। – সংকলক]

    ১৯৩৬ সালের দিকে আমি আনসারুস সুন্নাহ’য় যোগ দিই। তিনজন যুবক আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল: হাসান জামালী, মুহাম্মাদ মুনজী, মুহাম্মাদ বাশার। তারা ব্রাদারহুডের গোপন সংগঠনের কর্মী ছিল। যদিও তারা ‘আক্বীদাহগতভাবে সালাফী ছিল। হাসান জামালী এবং মুহাম্মাদ মুনজী সর্বদাই প্রকাশ্যে সালাফী ‘আক্বীদাহ জাহির করত। আর হাসান আল-বান্না ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনুল ক্বাইয়্যিম এবং ইবনু ‘আব্দিল ওয়াহহাবের কথা বলে তাদের দুজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেন।
    তাদের এই বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক। তারা সালাফিয়্যাহ সম্পর্কে জানত, কিন্তু বর্তমান যুগের কিছু দা‘ঈর মতো সে অনুযায়ী আমল করত না। তারা খেজুর বাগানের মধ্যে অবস্থিত বাগানবাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তারা সেখানে বোমা তৈরি করত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুঃসাহসী ছিল হাসান জামালী। সে বোমা বহন করত এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকা ও লোকসমাবেশে বোমা নিক্ষেপ করত।

    হাসান আল-বান্নাকে সালাফীদের পরিত্যাগ করার অন্যতম কারণ হলো—তিনি তাওহীদ ও শির্ক সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু কখনো এই বিষয়ে কথা বলতেন না। আমার এক বন্ধু ছিল। যার নাম সাইয়্যিদ সা‘দ। সে ইসমা‘ঈলিয়্যাহ গোত্রের লোক ছিল। হাসান আল-বান্না এমন লোকদের সাথে ওঠাবসা করতেন, যারা গাইরুল্লাহ’র কাছে ফরিয়াদ করে, রাসূলকে নূরের তৈরি বলে এবং তাবিজ-কবজ লটকায়। সাইয়্যিদ সা‘দ বান্নাকে বলল, ‘এগুলো কি শির্কের অন্তর্ভুক্ত নয়?! আপনি কি তাদেরকে এসব থেকে নিষেধ করবেন না?!’ তখন বান্না জবাব দিলেন, ‘দেরি আছে। এখনও নিষেধ করার সময় হয়নি।’ সা‘দ বলল, ‘আপনি যদি তাদেরকে শিক্ষা না দেওয়ার আগেই মারা যান, তখন কীরূপ হবে? তখন আল্লাহ’র সামনে আপনার অবস্থান কীরূপ হবে?’ বান্না বলেন, ‘কীভাবে জবাব দিব, সেটা আমি জানি!’ তখন সাইয়্যিদ সা‘দ বান্না’র নিকট থেকে তার দুই হাত গুটিয়ে নেয় এবং বান্নাকে পরিত্যাগ করে।

    বান্না’র বিধ্বংসী মূলনীতিগুলোর অন্যতম তাঁর এই কথাটি—‘ইসলামের দিকে সম্পৃক্তকারী সকল দল হকের উপর রয়েছে’। একারণে তাঁর দল সূফী, শী‘আ, খারিজী এবং আশ‘আরীদের একত্রিত করে।” [শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা খালিদ বিন মুহাম্মাদ বিন ‘উসমান আল-মিসরী (হাফিযাহুল্লাহ), আত-তাফজীরাত ওয়াল আ‘মালুল ইরহাবিয়্যাতু ওয়াল মুযাহারাত মিন মানহাজিল খাওয়ারিজি ওয়াল বুগাত ওয়া লাইসাত মিন মানহাজিস সালাফিস সালিহ; পৃষ্ঠা: ৫-৭; সন ও প্রকাশনার নামবিহীন সফট কপি; গ্রন্থটি সম্পাদনা করে তাতে ভূমিকা লিখে দিয়েছেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)]

    ·▌১৩শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ)

    ·শাইখ পরিচিতি:
    ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ) সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন। তিনি ১৩৬৫ হিজরী সনে সৌদি আরবের ক্বাসীম বিভাগের বুকাইরিয়াহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারী‘আহ অনুষদ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলুশ শাইখ, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। তিনি কর্মজীবনে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। ইমাম ইবনু বাযের কাছে তাঁর মর্যাদাপূর্ণ ‘ইলমী অবস্থান ছিল। এমনকি ইমাম ইবনু বাযের কাছে বই সম্পাদনার জন্য পাঠানো হলে তিনি কখনো কখনো ‘আল্লামাহ রাজিহীকে দিয়ে সেই বই সম্পাদনা করাতেন এবং ‘আল্লামাহ রাজিহীর মন্তব্য শুনার পর বইটির ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পেশ করতেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অনেক লিখন এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলীর তাহক্বীক্ব রয়েছে।

    গ্র্যান্ড মুফতী ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয আলুশ শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৬২ হি./১৯৪৩ খ্রি.] বলেছেন, “শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয রাজিহী আমাদের একজন সম্মানিত ভাই, একজন ‘আলিম এবং একজন প্রতিভাবান মানুষ। তিনি শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বাযের ছাত্র। শাইখ ইবনু বাযের সাথে তাঁর খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=KZx79-GSNMs (অডিয়ো ক্লিপ)]

    আল্লাহ তাঁর অমূল্য খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: shrajhi.com.sa।

    ·‘আল্লামাহ রাজিহীর বক্তব্য:

    আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৬০ হি.] কে প্রশ্ন করা হয়েছে যে,

    هل ثبت عن الشيخ ابن باز أنه كان يحذر من جماعة التبليغ والإخوان وأنهما من الفرق الهالكة أو الفرق الثنتين والسبعين؟

    “শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে কি এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি তাবলীগ জামা‘আত এবং ব্রাদারহুড থেকে সতর্ক করেছেন, আর বলেছেন যে, তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত দলসমূহ তথা ৭২ ফিরক্বাহ’র অন্তর্ভুক্ত?”

    শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ) উত্তরে বলেছেন,
    الأشرطة موجودة، الإخوان المسلمون من الفرق الضالة، وجماعة التبليغ إنهم من الصوفية.

    “অডিয়ো ক্লিপস বিদ্যমান রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুড পথভ্রষ্ট দলগুলোর অন্তর্ভুক্ত। আর তাবলীগ জামা‘আত সূফীদের অন্তর্ভুক্ত।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=YIGecEqktfI (অডিয়ো ক্লিপ)]
    ·
    ▌১৪শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)
    ·
    শাইখ পরিচিতি:
    ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ) মিশরের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ‘আলিম এবং বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি ১৯২৫ সালের ২২শে অক্টোবর মিশরের কায়রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী এবং বড়ো ভাই ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (রাহিমাহুমাল্লাহ)। ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর কাছে এই প্রত্যাশা করেছিলেন যে, তিনি মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন। ফলে তিনি মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন।

    ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] কে এরকম প্রশ্ন করা হয় যে, “মিশরে কাদের নিকট থেকে ‘ইলম নেওয়া হবে?” তিনি উত্তরে সর্বপ্রথম বলেন, “শাইখ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন আল-বান্না, যিনি ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না’র সহোদর।” [sahab.net]

    মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.] বলেছেন, “সম্মানিত শাইখ মহান পিতা হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না আমাদের সকলের পিতা। মহান আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন। সালাফদের মানহাজের ভিত্তিতে আল্লাহ’র দিকে আহ্বান করার ক্ষেত্রে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা অকৃতজ্ঞ হাদ্দাদী কিংবা অবাধ্য পথভ্রষ্ট ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না।” [bayenahsalaf.com]

    এই মহান ‘আলিমের অমূল্য খেদমতকে আল্লাহ কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: bayenahsalaf.com
    ·
    ‘আল্লামাহ হাসান ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না’র বক্তব্য:

    মিশরের প্রখ্যাত ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯২৫ খ্রি.] বলেছেন,

    وكانت جماعة الإخوان تتفق في نظامها الحزبي مع بقية الأحزاب الأخرى ولكنها تحمل اسم الإسلام، مما جعل الأحزاب الأخرى تعترض على تدخل جماعة الإخوان في سياسية، وهذا من تلبيس الإخوان؛ فليس من السنة التنازع مع الحكام باسم الإسلام، والتمرد عليهم بالهتافات والمظاهرات والتخريبات، بل الإسلام له سياسيته الشرعية الحكيمة.
    وإن من الخطورة بمكان أن يظهر دعاة يتكلمون باسم السلفية، وهم في واقع أمرهم على طريقة الإخوان والقطبيين، فهم الخوارج القعدية الذين يهيجون الناس لكن لا يخرجون بالسلاح، إنما يهيئون الأمر للخوارج الحركيين للقيام بالأعمال الإرهابية التخريبية.

    “ব্রাদারহুডের দলীয় নীতিতে তাদের সাথে অন্যান্য দলের মিল রয়েছে। কিন্তু ব্রাদারহুড ইসলামের নাম ব্যবহার করে। ব্রাদারহুডের রাজনীতিতে প্রবেশ করার ব্যাপারে অন্যান্য দল অভিযোগ উত্থাপন করতে শুরু করে, যা ব্রাদারহুডের ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের নামে শাসকদের সাথে বিবাদ করা এবং বিক্ষোভ, শ্লোগান ও বিপর্যয় সাধনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং ইসলামের নিজস্ব প্রজ্ঞাপূর্ণ শার‘ঈ রাজনীতি রয়েছে।

    বিপজ্জনক ব্যাপার হলো—কিছু দা‘ঈর আবির্ভাব ঘটেছে, যারা সালাফিয়্যাহ’র নামে কথা বলে। বাস্তবে তারা ব্রাদারহুড এবং ক্বুত্বুবীদের আদর্শের উপর রয়েছে। তারা মূলত ক্বা‘আদী খারিজী, যারা মানুষকে উত্তেজিত করে, কিন্তু অস্ত্র নিয়ে বের হয় না। তারা বিপর্যয় সাধন ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার জন্য আন্দোলনকারী খারিজীদের মুবারকবাদ জানায়।” [শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা খালিদ বিন মুহাম্মাদ বিন ‘উসমান আল-মিসরী (হাফিযাহুল্লাহ), আত-তাফজীরাত ওয়াল আ‘মালুল ইরহাবিয়্যাতু ওয়াল মুযাহারাত মিন মানহাজিল খাওয়ারিজি ওয়াল বুগাত ওয়া লাইসাত মিন মানহাজিস সালাফিস সালিহ; পৃষ্ঠা: ১৩; সন ও প্রকাশনার নামবিহীন সফট কপি; গ্রন্থটি সম্পাদনা করে তাতে ভূমিকা লিখে দিয়েছেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)]
    ·
    অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
    পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari(সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)

  • ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ ‘আলিমে দ্বীন ছিলেন। তিনি একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ ছিলেন। তিনি ১৩৪৭ হিজরী মোতাবেক ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের ক্বাসিম বিভাগের ‘উনাইযাহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনেক বড়ো বড়ো ‘আলিমের কাছে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন—ইমাম ‘আব্দুর রহমান বিন নাসির আস-সা‘দী, ইমাম মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। 

  • তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবোর্ডের এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ‘ইলমের সকল শাখায় তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল। আর সেকারণে তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিক্বহ, উসূলে ফিক্বহ, ক্বাওয়া‘ইদে ফিক্বহ, নাহূ (আরবি ব্যাকরণশাস্ত্র), বালাগাত (অলংকারশাস্ত্র) ফারাইদ্ব (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয় শাস্ত্র) প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর অসংখ্য গ্রন্থ ও অডিয়ো ক্লিপস রয়েছে।

  • শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “আমি একটি সংক্ষিপ্ত মূল্যবান ‘আক্বীদাহ সংবলিত পুস্তিকা পড়লাম, যা সংকলন করেছেন আমাদের ভাই আল-‘আল্লামাহ সম্মানিত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন।” [ইমাম ইবনু ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), ‘আক্বীদাতু আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ; পৃষ্ঠা: ৩; বাদশাহ ফাহাদ লাইব্রেরি কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২২ হিজরী (৪র্থ প্রকাশ)]

  • ইয়েমেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.] কে প্রশ্ন করা হয়, “সৌদি আরবের ‘আলিমগণের মধ্যে আপনি কাদের থেকে ‘ইলম গ্রহণের নসিহত করেন? আর খুব ভালো হতো, যদি আপনি আমাদের কাছে কিছু (‘আলিমের) নাম বলেন।” তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) জবাবে বলেন, “আমি যাঁদের কাছ থেকে ‘ইলম গ্রহণের নসিহত করি এবং আমি যাঁদেরকে চিনি, তাঁরা হলেন—শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ বিন ‘উসাইমীন (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ রাবী‘ বিন হাদী (হাফিযাহুল্লাহ), শাইখ ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ)।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), তুহফাতুল মুজীব ‘আলা আসইলাতিল হাদ্বিরি ওয়াল গারীব; পৃষ্ঠা: ১৬৭; দারুল আসার, সানা (ইয়েমেন) কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (২য় প্রকাশ)]

  • বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৩ হি./১৯৩৪ খ্রি.] বলেছেন, “আমি আপনাদের সামনে আজ রাতে সৌদি আরবের একজন মহান শাইখ, সৌদি আরবের একজন অন্যতম ‘আলিম, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের একজন অন্যতম ‘আলিম সম্পর্কে আলোচনা করব। ‘ইলমের পরিচর্যা ও প্রচার-প্রসারে এবং ত্বালিবুল ‘ইলমদের শিক্ষাদানে যাঁর অনেক বড়ো অবদান আছে। তিনি হলেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং স্বীয় প্রশস্ত জান্নাতে তাঁর আবাস নির্ধারণ করুন।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]

  • মাদীনাহ’র প্রখ্যাত ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] বলেছেন, “আশ-শাইখ মুহাম্মাদ বিন ‘উসাইমীন হলেন আল-ইমাম, আল-ফাক্বীহ, আল-মুহাক্বক্বিক্ব, আল-মুদাক্বক্বিক্ব, আল-মুজতাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ)।” [ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ), আল-হাদ্দুল ফাসিল বাইনা মু‘আমালাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়া আহলিল বাত্বিল; ১নং প্রশ্নোত্তর দ্রষ্টব্য]

  • এই মহান ‘আলিম ১৪২১ হিজরী মোতাবেক ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। আমীন।
  • ·১ম বক্তব্য:

  • সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন—

  • ولما ظهرت قضية الإخوان المسلمين الذين يتصرفون بغير حكمة ازداد تشويه الإسلام في نظر الغربيين وغير الغربيين، وأعني بهم: أولئك الذين يلقون المتفجرات في صفوف الناس، زعماً منهم أن هذا من الجهاد في سبيل الله، والحقيقة أنهم أساءوا إلى الإسلام وأهل الإسلام أكثر بكثير مما أحسنوا.
  • “যখন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমস্যা উদ্ভূত হলো, যারা (ব্রাদারহুড) প্রজ্ঞাবিহীন আচরণ করে, তখন ওয়েস্টার্ন এবং নন-ওয়েস্টার্নদের দৃষ্টিতে ইসলামকে বিকৃতকরণের গোলযোগ বৃদ্ধি পেল। আমি এদের দ্বারা তাদেরকে উদ্দেশ্য করছি, যারা মানুষের মাঝে বোমা নিক্ষেপ করে, এই ধারণাবশত যে, এটা আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদ করার অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের ভালোর চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি।” [দ্র.:https://m.youtube.com/watch?v=HS3dWShCCHU (৮ সেকেন্ড থেকে ৪৪ সেকেন্ড পর্যন্ত)]

  • ·২য় বক্তব্য:

  • ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আতকে বিদ‘আতী বলেছেন।
  • বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম ‘উবাইদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] বিষয়টি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। শাইখ ‘উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,

  • كما حدثنا أخونا أبو عمر الشيخ عبد العزيز الخليفه من أهالي الرس مدرس في وزارة التربية أن الشيخ محمدًا بن عثيمين رحمه الله بدّع جماعة الإخوان وجماعة التبليغ.
  • حدثوا كم عددكم قولوا حدثنا عبيد الجابري قال حدثنا أبو عمر الشيخ عبد العزيز الخليفة وذكر معه رجلين آخرين يشهدان على هذا حدثوا بهذا بارك الله فيكم لا تخشوا لكن بالحكمة وهذا نقرره ونكرره عليكم وعلى أمثالكم ممن يستطلعون نصائحنا ويستطلعون ما عندنا.

  • “আমাদের ভাই আবূ ‘উমার আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয আল-খালীফাহ আমাদের কাছে প্রতিপালন মন্ত্রণালয়ের মুদার্রিস (শিক্ষক) আহালির রস (أهالي الرس) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শাইখ মুহাম্মাদ বিন ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আতকে বিদ‘আতী বলেছেন।

  • তোমরা এটা বর্ণনা করো। তোমাদের সংখ্যা কত? তোমরা বল, আমাদের কাছে ‘উবাইদ আল-জাবিরী বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে আবূ ‘উমার আশ-শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয আল-খালীফাহ বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাঁর সাথে আরও দুইজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাঁরা এর সাক্ষ্য দিয়েছেন। তোমরা এটা বর্ণনা করো। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে বরকত দিন। তোমরা ভয় কোরো না। কিন্তু হিকমাহ সহকারে। আমরা এর স্বীকৃতি দিচ্ছি। আমরা এটা বারবার বলছি তোমাদের কাছে এবং তোমাদের মতো যারা আমাদের নসিহত অনুসন্ধান করে, আর আমাদের নিকট কী রয়েছে তা অনুসন্ধান করে, তাদের কাছে।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/759 (টেক্সট সংগৃহীত হয়েছে সাহাব ডট নেট থেকে)]

  • ▌১২শ অধ্যায়: ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ)

  • ·শাইখ পরিচিতি:

  • ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) বিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন ছিলেন। তিনি ১৩৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে মিশরের কায়রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যেসব ‘আলিমের কাছে অধ্যয়ন করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী, ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী, ইমাম মুহাম্মাদ খালীল হাররাস প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। তাঁর অন্যতম ছাত্র হলেন—ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী ও ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুমাল্লাহ)। 

  • ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁকে দারস প্রদানের তাযকিয়্যাহ (রেকমেন্ডেশন) দিয়েছেন। ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁকে রিয়াদের মা‘হাদুল ‘ইলমীতে দারস দেওয়ার জন্য রেকমেন্ড করেন এবং ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) এই রেকমেন্ডেশন সমর্থন করেন। এছাড়াও তিনি ইমাম ইবনু বায ও ইমাম আলবানী’র সময়ে মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং মাসজিদে নাবাউয়ীতে দারস দিয়েছেন।

  • ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] তাঁকে কিবারুল ‘উলামার অন্তর্ভুক্ত গণ্য করেছেন। [আজুর্রি (ajurry) ডট কম] 

  • বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম তাক্বিউদ্দীন আল-হিলালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪০৭ হি./১৯৮৭ খ্রি.] ইমাম ইবনু বাযের কাছে লেখা তাঁর একটি চিঠিতে ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র বিনয় এবং উত্তম শিষ্টাচারের কথা ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি ইমাম ইবনু বাযের সাথে ‘আলিম ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আদান-প্রদানকৃত চিঠিপত্রের সংকলনে রয়েছে, যা এক খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

  • এই মহান ‘আলিম ১৪৩০ হিজরী মোতাবেক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। আমীন। সংগৃহীত: markazmuaadh.com
  • ·
  • ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র বক্তব্য:

  • মাসজিদুল হারামের প্রাক্তন মুদার্রিস এবং মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শাইখদের শাইখ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪৩০ হি./২০০৯ খ্রি.] বলেছেন,

  • وكان أول من سنَّ بدعة الخروج على الحكَّام في العصر الحديث هو: حسن البنا، وذلك عن طريق المظاهرات والانقلابات، ولقد كنت فتًى في مُقتبل العمر حينما ظهر حسن البنا على الساحة، وأسَّس حزب الإخوان المفلسين، وكنت أصاحب شباب الخوان -وأنا عمري حوالي تسع سنوات- إلى قصر الملك فؤاد -ملك مصر في ذاك الوقت- ونقول:
  • إلَى أنقرة ~ يا ابن الْمَرَا.
  • وذلك أن الملك فؤاد أصله تركي.
  • وفي حوالي سنة ١٩٣٦م التحقت بأنصار السنة، وكان من ضمن أصفيائي ثلاثة شباب: حسن جمالي، ومحمد مُنْجي، ومحمد بشار، وهؤلاء الثلاثة كانوا من التنظيم السري لجماعة الإخوان، رغم أنهم كانوا سلفيي العقيدة، وكان حسن جمالي ومحمد منجي دائمًا يجهران بالعقيدة السلفية، وحسن البنا يجاريهما بذكر كلام ابن تيمية، وابن القيم، وابن عبد الوهاب، وهذا من عجيب أمرهم: فقد كانوا يعلمون السلفية ولا يعملون بها كحال بعض الأدعياء في هذه الأيام، وقد استأجروا فيلا في عزبة النخل، كانوا يصنعون فيها القنابل، وكان أجرؤهم حسن جمالي؛ فهو الذي كان يحمل القنابل ويرميها في المحلات التجارية، وفي المجتمعات.
  • وهذا من مفارقات حسن البنا أنه يعلم التوحيد والشرك، ولا يتكلم فيهما أبدًا، وذلك أنه كان أحد أصدقائي، واسمه: سيد سعد في الإسماعيلية، وكان البنا يُجالس مَنْ يستغيث بغير الله، ومَنْ يقول إن الرسول خُلِق من نور، ومَنْ يُعلِّق التمائم والأحجبة، وكان سيد سعد يقول له: أليس هذا من الشرك؟! ألا تنهاهم عنه؟! فكان البنا يجيبه: بعدين، ليس هذا وقته؛ فقال له: كيف إذا مِتَّ قبل أن تُعلِّمهم، كيف يكون موقفك بين يدي الله؟ فأجاب: أنا أعرف كيف أجيب! وعندها نفض سيد سعد يديه من البنا وتركه.
  • ومن تأصيلات البنا الفاسدة قوله: إن كل الفرق المنتسبة إلى الإسلام على حق، ولذلك كان حزبه يجمع بين الصوفي، والشيعي، والخارجي، والأشعري. اهـ

  • “আধুনিক যুগে শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার বিদ‘আত সর্বপ্রথম চালু করেছেন হাসান আল-বান্না। আর তা বিক্ষোভ-আন্দোলন এবং বিপ্লবের মাধ্যমে। যখন হাসান আল-বান্না’র আবির্ভাব ঘটল এবং তিনি যখন ‘আল-ইখওয়ানুল মুফলিসূন’ প্রতিষ্ঠা করলেন, তখন আমি কিশোর ছিলাম। আমি ব্রাদারহুডের যুবকদের সাথে ওঠাবসা করতাম, তখন আমার বয়স প্রায় ৯ বছর। তৎকালীন মিশরের বাদশাহ ফুআদের প্রাসাদের দিকে চেয়ে আমরা বলতাম, ‘হে ইবনুল মারা*, আঙ্কারা পর্যন্ত!’। আর এটা একারণে যে, বাদশাহ ফুআদ তুর্কী ছিলেন। [আর তুরস্কের রাজধানী হলো আঙ্কারা – সংকলক।]

  • [(*) শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা (হাফিযাহুল্লাহ) ইমাম মুহাম্মাদ আল-বান্না’র এই কথার টীকা লিখতে গিয়ে বলেছেন, এই শব্দটি (মারা) মিশরের আম জনসাধারণের পরিভাষায় একটি খারাপ গালি। মানুষ এই কথা বলতে লজ্জা পেত। শাইখ এই কথা এখানে উল্লেখ করেছেন, নাবী ﷺ এর আদর্শ পরিপন্থি ওই দলবাজদের খারাপ চরিত্রের বর্ণনা দেওয়ার জন্য। – সংকলক]

  • ১৯৩৬ সালের দিকে আমি আনসারুস সুন্নাহ’য় যোগ দিই। তিনজন যুবক আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল: হাসান জামালী, মুহাম্মাদ মুনজী, মুহাম্মাদ বাশার। তারা ব্রাদারহুডের গোপন সংগঠনের কর্মী ছিল। যদিও তারা ‘আক্বীদাহগতভাবে সালাফী ছিল। হাসান জামালী এবং মুহাম্মাদ মুনজী সর্বদাই প্রকাশ্যে সালাফী ‘আক্বীদাহ জাহির করত। আর হাসান আল-বান্না ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনুল ক্বাইয়্যিম এবং ইবনু ‘আব্দিল ওয়াহহাবের কথা বলে তাদের দুজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেন।
  • তাদের এই বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক। তারা সালাফিয়্যাহ সম্পর্কে জানত, কিন্তু বর্তমান যুগের কিছু দা‘ঈর মতো সে অনুযায়ী আমল করত না। তারা খেজুর বাগানের মধ্যে অবস্থিত বাগানবাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তারা সেখানে বোমা তৈরি করত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুঃসাহসী ছিল হাসান জামালী। সে বোমা বহন করত এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকা ও লোকসমাবেশে বোমা নিক্ষেপ করত।

  • হাসান আল-বান্নাকে সালাফীদের পরিত্যাগ করার অন্যতম কারণ হলো—তিনি তাওহীদ ও শির্ক সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু কখনো এই বিষয়ে কথা বলতেন না। আমার এক বন্ধু ছিল। যার নাম সাইয়্যিদ সা‘দ। সে ইসমা‘ঈলিয়্যাহ গোত্রের লোক ছিল। হাসান আল-বান্না এমন লোকদের সাথে ওঠাবসা করতেন, যারা গাইরুল্লাহ’র কাছে ফরিয়াদ করে, রাসূলকে নূরের তৈরি বলে এবং তাবিজ-কবজ লটকায়। সাইয়্যিদ সা‘দ বান্নাকে বলল, ‘এগুলো কি শির্কের অন্তর্ভুক্ত নয়?! আপনি কি তাদেরকে এসব থেকে নিষেধ করবেন না?!’ তখন বান্না জবাব দিলেন, ‘দেরি আছে। এখনও নিষেধ করার সময় হয়নি।’ সা‘দ বলল, ‘আপনি যদি তাদেরকে শিক্ষা না দেওয়ার আগেই মারা যান, তখন কীরূপ হবে? তখন আল্লাহ’র সামনে আপনার অবস্থান কীরূপ হবে?’ বান্না বলেন, ‘কীভাবে জবাব দিব, সেটা আমি জানি!’ তখন সাইয়্যিদ সা‘দ বান্না’র নিকট থেকে তার দুই হাত গুটিয়ে নেয় এবং বান্নাকে পরিত্যাগ করে।

  • বান্না’র বিধ্বংসী মূলনীতিগুলোর অন্যতম তাঁর এই কথাটি—‘ইসলামের দিকে সম্পৃক্তকারী সকল দল হকের উপর রয়েছে’। একারণে তাঁর দল সূফী, শী‘আ, খারিজী এবং আশ‘আরীদের একত্রিত করে।” [শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা খালিদ বিন মুহাম্মাদ বিন ‘উসমান আল-মিসরী (হাফিযাহুল্লাহ), আত-তাফজীরাত ওয়াল আ‘মালুল ইরহাবিয়্যাতু ওয়াল মুযাহারাত মিন মানহাজিল খাওয়ারিজি ওয়াল বুগাত ওয়া লাইসাত মিন মানহাজিস সালাফিস সালিহ; পৃষ্ঠা: ৫-৭; সন ও প্রকাশনার নামবিহীন সফট কপি; গ্রন্থটি সম্পাদনা করে তাতে ভূমিকা লিখে দিয়েছেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)]

  • ·▌১৩শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ)

  • ·শাইখ পরিচিতি:
  • ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ) সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন। তিনি ১৩৬৫ হিজরী সনে সৌদি আরবের ক্বাসীম বিভাগের বুকাইরিয়াহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারী‘আহ অনুষদ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলুশ শাইখ, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। তিনি কর্মজীবনে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সা‘ঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। ইমাম ইবনু বাযের কাছে তাঁর মর্যাদাপূর্ণ ‘ইলমী অবস্থান ছিল। এমনকি ইমাম ইবনু বাযের কাছে বই সম্পাদনার জন্য পাঠানো হলে তিনি কখনো কখনো ‘আল্লামাহ রাজিহীকে দিয়ে সেই বই সম্পাদনা করাতেন এবং ‘আল্লামাহ রাজিহীর মন্তব্য শুনার পর বইটির ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পেশ করতেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অনেক লিখন এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলীর তাহক্বীক্ব রয়েছে।

  • গ্র্যান্ড মুফতী ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয আলুশ শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৬২ হি./১৯৪৩ খ্রি.] বলেছেন, “শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয রাজিহী আমাদের একজন সম্মানিত ভাই, একজন ‘আলিম এবং একজন প্রতিভাবান মানুষ। তিনি শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বাযের ছাত্র। শাইখ ইবনু বাযের সাথে তাঁর খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=KZx79-GSNMs (অডিয়ো ক্লিপ)]

  • আল্লাহ তাঁর অমূল্য খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: shrajhi.com.sa।

  • ·‘আল্লামাহ রাজিহীর বক্তব্য:

  • আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ‘আব্দুল ‘আযীয আর-রাজিহী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৬০ হি.] কে প্রশ্ন করা হয়েছে যে,

  • هل ثبت عن الشيخ ابن باز أنه كان يحذر من جماعة التبليغ والإخوان وأنهما من الفرق الهالكة أو الفرق الثنتين والسبعين؟

  • “শাইখ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে কি এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি তাবলীগ জামা‘আত এবং ব্রাদারহুড থেকে সতর্ক করেছেন, আর বলেছেন যে, তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত দলসমূহ তথা ৭২ ফিরক্বাহ’র অন্তর্ভুক্ত?”

  • শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ) উত্তরে বলেছেন,
  • الأشرطة موجودة، الإخوان المسلمون من الفرق الضالة، وجماعة التبليغ إنهم من الصوفية.

  • “অডিয়ো ক্লিপস বিদ্যমান রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুড পথভ্রষ্ট দলগুলোর অন্তর্ভুক্ত। আর তাবলীগ জামা‘আত সূফীদের অন্তর্ভুক্ত।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=YIGecEqktfI (অডিয়ো ক্লিপ)]
  • ·
  • ▌১৪শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)
  • ·
  • শাইখ পরিচিতি:
  • ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ) মিশরের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ‘আলিম এবং বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি ১৯২৫ সালের ২২শে অক্টোবর মিশরের কায়রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ হামিদ আল-ফাক্বী এবং বড়ো ভাই ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না (রাহিমাহুমাল্লাহ)। ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর কাছে এই প্রত্যাশা করেছিলেন যে, তিনি মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন। ফলে তিনি মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন।

  • ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] কে এরকম প্রশ্ন করা হয় যে, “মিশরে কাদের নিকট থেকে ‘ইলম নেওয়া হবে?” তিনি উত্তরে সর্বপ্রথম বলেন, “শাইখ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন আল-বান্না, যিনি ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না’র সহোদর।” [sahab.net]

  • মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.] বলেছেন, “সম্মানিত শাইখ মহান পিতা হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না আমাদের সকলের পিতা। মহান আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন। সালাফদের মানহাজের ভিত্তিতে আল্লাহ’র দিকে আহ্বান করার ক্ষেত্রে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা অকৃতজ্ঞ হাদ্দাদী কিংবা অবাধ্য পথভ্রষ্ট ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না।” [bayenahsalaf.com]

  • এই মহান ‘আলিমের অমূল্য খেদমতকে আল্লাহ কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: bayenahsalaf.com
  • ·
  • ‘আল্লামাহ হাসান ‘আব্দুল ওয়াহহাব আল-বান্না’র বক্তব্য:

  • মিশরের প্রখ্যাত ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৯২৫ খ্রি.] বলেছেন,

  • وكانت جماعة الإخوان تتفق في نظامها الحزبي مع بقية الأحزاب الأخرى ولكنها تحمل اسم الإسلام، مما جعل الأحزاب الأخرى تعترض على تدخل جماعة الإخوان في سياسية، وهذا من تلبيس الإخوان؛ فليس من السنة التنازع مع الحكام باسم الإسلام، والتمرد عليهم بالهتافات والمظاهرات والتخريبات، بل الإسلام له سياسيته الشرعية الحكيمة.
  • وإن من الخطورة بمكان أن يظهر دعاة يتكلمون باسم السلفية، وهم في واقع أمرهم على طريقة الإخوان والقطبيين، فهم الخوارج القعدية الذين يهيجون الناس لكن لا يخرجون بالسلاح، إنما يهيئون الأمر للخوارج الحركيين للقيام بالأعمال الإرهابية التخريبية.

  • “ব্রাদারহুডের দলীয় নীতিতে তাদের সাথে অন্যান্য দলের মিল রয়েছে। কিন্তু ব্রাদারহুড ইসলামের নাম ব্যবহার করে। ব্রাদারহুডের রাজনীতিতে প্রবেশ করার ব্যাপারে অন্যান্য দল অভিযোগ উত্থাপন করতে শুরু করে, যা ব্রাদারহুডের ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের নামে শাসকদের সাথে বিবাদ করা এবং বিক্ষোভ, শ্লোগান ও বিপর্যয় সাধনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং ইসলামের নিজস্ব প্রজ্ঞাপূর্ণ শার‘ঈ রাজনীতি রয়েছে।

  • বিপজ্জনক ব্যাপার হলো—কিছু দা‘ঈর আবির্ভাব ঘটেছে, যারা সালাফিয়্যাহ’র নামে কথা বলে। বাস্তবে তারা ব্রাদারহুড এবং ক্বুত্বুবীদের আদর্শের উপর রয়েছে। তারা মূলত ক্বা‘আদী খারিজী, যারা মানুষকে উত্তেজিত করে, কিন্তু অস্ত্র নিয়ে বের হয় না। তারা বিপর্যয় সাধন ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার জন্য আন্দোলনকারী খারিজীদের মুবারকবাদ জানায়।” [শাইখ আবূ ‘আব্দিল আ‘লা খালিদ বিন মুহাম্মাদ বিন ‘উসমান আল-মিসরী (হাফিযাহুল্লাহ), আত-তাফজীরাত ওয়াল আ‘মালুল ইরহাবিয়্যাতু ওয়াল মুযাহারাত মিন মানহাজিল খাওয়ারিজি ওয়াল বুগাত ওয়া লাইসাত মিন মানহাজিস সালাফিস সালিহ; পৃষ্ঠা: ১৩; সন ও প্রকাশনার নামবিহীন সফট কপি; গ্রন্থটি সম্পাদনা করে তাতে ভূমিকা লিখে দিয়েছেন আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (রাহিমাহুল্লাহ) এবং আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ হাসান বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাব বিন মারযূক্ব আল-বান্না (হাফিযাহুল্লাহ)]
  • ·
  • অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
  • পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari(সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)

Post a Comment

0 Comments