১> ডাঃ জাকির নায়েক- দুই ঈদের দিন ও ঈদুল আযহার পরের ৩দিন রোযা রাখা নিষেধ কেন
“মুহাম্মাদ বলেছেন, দুই ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ। কারন ঈদুল আযহার
দিনে কুরবানী করতে হয় ও ঈদুল ফিতর আসে রমযান মাসের সমাপ্তি হিসাবে”।আবু দাউদ-রোযা- ২৪১০
“আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্নিত, মুহাম্মাদ(সঃ) আবদুল্লাহ বিন হুজাইফাকে(রাঃ) পাঠালেন এবং তিনি মিনার লোকদের বল্লেন, যারা হজ্জ পালন করেছেন তারা ঈদুল আযহার পরের ৩দিন রোযা রাখবেন না। কারন এই দিনগুলো খাওয়া,পান করা এবং আল্লাহকে স্মরন করার জন্য”। মুসনাদে আহমদ- অনু-২- ১০৬৬৪
ইউসুফ চেম্বার to জাকির নায়েকঃ ঈদের দিনে কি কি কাজকে উৎসাহিত করা হয়েছে ?
# ঈদের নামাজের পূর্বে গোসল করা সুন্নাত। “আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) ইদের নামাজের পূর্বে গোসল করতেন”। আল-মুয়াত্তা- ৪২৮
# পরিষ্কার কাপড় ও উত্তম কাপড় পরা সুন্নাত।
# “মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদের নামাজের উদ্দেশ্য বের হবার আগে খেজুর খেতেন”।
বুখারী-ঈদ-৯৫৩
# “মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য ঈদগাহে যেতেন”।
বুখারী-ঈদ-৯৫৬
# “মুহাম্মাদ(সঃ) বলেছেন, মসজিদে নব্বীতে নামাজ আদায় করা মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্যান্য যেকোন মসজিদে নামাজ আদায় করার তুলনায় এক হাজারগুন উত্তম।তথাপি তিনি ঈদের নামায আদায় করার জন্য ঈদগাহে যেতেন”। বুখারী-হারামাইন-১১৯০
# “ মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদগাহ থেকে বাড়ী ফেরার পথে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করতেন। যাওয়ার সময় একটা রাস্তা ও ফেরার সময় আরেকটা রাস্তা ব্যবহার করতেন”। বুখারী-ঈদ-৯৮৬
# “ সকাল সকাল ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া উচিত”।
# “মুহাম্মাদ(সঃ) পায়ে হেটে ঈদগাহে যেতেন”। বুখারী-৫৩০
সুতরাং পায়ে হেটে যাওয়া সুন্নাত।
# “মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদের দিন বাড়ী হতে বের হয়ে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত, তাকবীর/তালবিয়া পাঠ করতেন”। সবোর্ত্তম তালবিয়া হোল, ইবনে মাসউদ(রাঃ) যেটা পাঠ করতেন। সিলসিলা আল নাহিয়ান-১৭১
# ইবনে মাসউদ(রাঃ) পড়তেন, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ”।
দার-আল কুতনি, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা-৫৬৬০
২> ইউসুফ to ডাঃ জাকির- সব মুসলিমের একই সাথে রোজা ও ঈদ
ডাঃ জাকিরঃ
এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে একাধিক মতামত পাওয়া যায়। একদল বলে, সারা বিশ্বের মুসলিমদের মক্কার সময় অউসরন করা উচিত। অন্যদল বলে, এটা স্থানীয় সময়ে অর্থাত বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলা উচিত।
ক) “রমযানের মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে , যা মানব জাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য –সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয় ৷ কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোযা রাখা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয় বা সফরে থাকে, সে যেন অন্য দিনগুলোয় রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে ৷আল্লাহ তোমাদের সাথে নরম নীতি অবলম্বন করতে চান, কঠোর নীতি অবলম্বন করতে চান না ৷ তাই তোমাদেরকে এই পদ্ধতি জানানো হচ্ছে, যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূর্ণ করতে পারো এবং আল্লাহ তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন সে জন্য যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে ও তার স্বীকৃতি দিতে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো ৷ সুরা বাকারা-১৮৫
খ) “তোমরা যখন নূতন চাদ দেখ,তখন রোযা রাখ এবং নূতন চাদ দেখলে রোযা ভংগ।
বুখারী-১৯০৭,১৯০৯
এই হাদিসটার উপর ভিত্তি করে, ইমাম ইবনে তাইমিয়া(র) বলেন, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একসাথে চাদ দেখা অসম্বব।সুতরাং মক্কার সময়টা একসাথে অনুসরন করা অযৌক্তিক। মুহাম্মাদ(সঃ) আরো বলেছেন,
গ) “রোযা ঐদিনে আরম্ভ হবে যেদিন সকলে রোযা রাখবে, আর ঐদিন রোযা ভাংগবে ,যেদিন সকলে ভাঙ্গবে এবং কুরবানী করতে হবে ঐদিনে যেদিন সকলে কুরবানি করে”।
তিরমিযী-৬৯৭
ঘ) “আর পানাহার করতে থাকো ৷ ১৯২ যতক্ষণ না রাত্রির কালো রেখার বুক চিরে প্রভাতের সাদা রেখা সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয় ৷ ১৯৩ তখন এসব কাজ ত্যাগ করে রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো ৷ সুরা বাকারা- ১৮৭
কিন্তু সূর্যোদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না।সুতরাং রোযা পালনে স্থানীয় সময় অনুসরন করতে হবে।
৩> ইউসুফ to ডাঃ জাকির- ঈদের নামাজের সঠিক নিয়ম কি
# কুরআন-হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা র নামায অবশ্যই ২ রাকাত আদায় করতে হবে।হযরত ওমর(রাঃ) বলেন,মুসাফিরের জন্য ২ রাকাত।ইদের নামায ২ রাকাত,জুমার নামায ২ রাকাত এবং এগুলো মুহাম্মাদ(সঃ) থেকে এসেছে”।সুনানে বায়হাকি-জুম’আ –পৃ-হাদিস -৫৭১৯
# ঈদের নামাযের জন্য কোন আযান এবং ইকামতের দরকার নেই।সাহাবী যাবুর ইবনে সামুরা বর্ননা করেছেন, “তিনি মুহাম্মাদ(সঃ) এর সাথে একবার বা দুইবার উভয় ঈদ পালন করেছেন এবং সেইসালাতে কোন আযান কিংবা একামত ছিল না”। মুসলিম-সালাত-১৯২৯
# ঈদের নামাযের আগে-পরে আর কোন নামায পড়তে হয় না।হাদীসে আছে, ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেন, “মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদুল ফিতরের দিনে নামায আদায় করতেন ও এই দুই রাকাতের আগে-পরে আর কোন নামায আদায় করতেন না”।
আবু দাউদ –সালাত- ১১৫৫
# ঈদের নামায আদায় করা শুরু করলে,আদায়কারীকে প্রথমে “তাকবীর আল ইহরাম” বলা। অর্থাত “আল্লাহ হুআকবর” এবং প্রথম রাকাতে এটা ৭ বার অনুসরন করতে হবে এবং দ্বিতিয় রাকাতে ‘ফায় তাকবীর’ বলতেহ হবে। এগুলো আমরা সহীহ হাদিস থেকে জানতে পরেছি। আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে, “মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা র নামায আদায় করতেন এবং তিনি প্রথম রাকাতে ৭ তকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তকবীর বলতেন”।
আবু দাউদ-সালাত-১১৪৫-১১৪৬
এরপরে ‘আউযুবিল্লাহ হিমিনাস—রাহমানির রহিম এবং তারপর সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে ফাতিহার পরে,সুরা কাফ ও দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহার পরে সুরা কামার পড়তে হবে। কিংবা প্রথম রাকাতে সুরা আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে দ্বিতীয় রাকাতে সুরা গাশিয়াহ পড়তে হবে। তবে অন্য সুরা পড়লেও সমস্যা নাই।তবে এটা সুন্নাত।
# ঈদের সালাত আআদায়ের পরে খুতবা দিতে হবে।হাদীসে আছে, ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেন, “মুহাম্মাদ(সঃ) ওমর(রাঃ), আবু বকর(রাঃ) ও ওসমান(রাঃ)
এর সাথে ঈদের নামায আদায় করেছেন।তাদের সকলেই আগে ঈদের নামায আদায় করেছেন,তারপর খুতবা পাঠ করেছেন”। বুখারী-ঈদ-৯৬২
# সহীহ হাদিস শরীফে আছে যে, মুহাম্মাদ(সঃ) ঈদের সালাত আদায় করার পরে এবং খুতবা পড়ার আগে বলতেন যে, তোমাদের মধ্যে যারা খুতবা শুনতে চাও, তারা শুনতে পারো। আর যারা শুনতে চাও না, তারা তারা যেতে পারো”।
আবু দাউদ সালাত-১১৫১
বর্তমানে ইমামরা বলেন যে, আপনারা কেউ উঠবেন না। তিনি মুসল্লীদের চলে যা ওয়া থেকে বিরত রাখেন। এটাও বলেন যে, চলে যাওয়া হারাম। কিন্তু খুতবা শুনলে ভাল।তবে হানাফী মাযহাব অনুযায়, খুতবা শুনা ওয়াজিব(অনুবাদক)। জুমার দিনে ঈদের নামায আদায় করলে, জুমার নামায পড়া জরুরী না। একই ভাবে এটাকে বাধ্যতামূলক বলা ঠিক না।
আবু দাউদ-সালাত-১০৬৮
৪> ‘ঈদ-মুবাররাক’ বলাটা কতটা যৌক্তিক ? ইউসুফ to ডাঃ জাকির
ঈদের দিনে মুসলিমদের পরস্পরকে অভ্যর্থনা জানানোর নিয়ম হাদীসে উল্লেখ করা
আছে। মুহাম্মাদের(সঃ) এর সাহাবীরা পরস্পরকে অভ্যর্থনা জানাতে
“তাকাব্বাল্লাহু মিন্নাহু মিনকুম” বাক্যটি ব্যবহার করতেন”। ফাতহুল
বারী-অধ্যায়-২পৃষ্ঠা-৪৪৬
রমজান মাসে রোযা রাখা,আল্লাহর প্রতি কৃজ্ঞতা জানানো,ক্ষমা প্রার্থনা ইত্যাদি দুয়া করা হয়।যেহেত রমযান সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন একে অপরকে এই বলে অভ্যর্থনা করে যে, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে এবং আমাদের থেকে গ্রহন করুন’। এটাই হোল,
ঈদের দিনেৃ একে অপরকে অভ্যর্থনা জানানোর শ্রস্ঠ মাধ্যম। ঈদ-মুবারাক শব্দটি উপমহাদেশের দেশগুলোতে ব্যবহার করে।মুবারাক অর্থ দয়া। তাহলে ‘ঈদ মুবারক’ শব্দটির অর্থ দাড়ায় ‘দিনটি দয়াপূর্ন হোক’।এটাকে তারা অভ্যর্খনা করার জন্য ব্যবহার করে। সুতরাং ঈদ-মুবারাক শব্দটির অভ্যর্থনায় ব্যবহার সুন্নাত সম্মত না।কিন্তু এটা বলা হারাম কিংবা মাকরুহ নয়, বরং এটা মোবাহ বা ঐচ্ছিক। আমাদের অবশ্যই সুন্নাত চালু করা উচিত।
===
রমজান মাসে রোযা রাখা,আল্লাহর প্রতি কৃজ্ঞতা জানানো,ক্ষমা প্রার্থনা ইত্যাদি দুয়া করা হয়।যেহেত রমযান সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন একে অপরকে এই বলে অভ্যর্থনা করে যে, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে এবং আমাদের থেকে গ্রহন করুন’। এটাই হোল,
ঈদের দিনেৃ একে অপরকে অভ্যর্থনা জানানোর শ্রস্ঠ মাধ্যম। ঈদ-মুবারাক শব্দটি উপমহাদেশের দেশগুলোতে ব্যবহার করে।মুবারাক অর্থ দয়া। তাহলে ‘ঈদ মুবারক’ শব্দটির অর্থ দাড়ায় ‘দিনটি দয়াপূর্ন হোক’।এটাকে তারা অভ্যর্খনা করার জন্য ব্যবহার করে। সুতরাং ঈদ-মুবারাক শব্দটির অভ্যর্থনায় ব্যবহার সুন্নাত সম্মত না।কিন্তু এটা বলা হারাম কিংবা মাকরুহ নয়, বরং এটা মোবাহ বা ঐচ্ছিক। আমাদের অবশ্যই সুন্নাত চালু করা উচিত।
===
৫> ডাঃ জাকির নায়েককে ইউসুফ চেম্বারঃ ঈদের নামাযের সিদ্ধান্তগুলি কি (ঈদুল ফিতর)
ক) “আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্নিত, “মুহাম্মাদ(সঃ) বলেছেন, দুইটি দিনে রোযা রাখা নিষিদ্ধ। একটি হোল ‘ঈদুল ফিতর’ ও অপরটি ‘ঈদুল আযহা’।
মুসলিম-রোযা-২৫৩৪
ঈদের নামাযের সিদ্ধানে্তের ব্যাপারে ভিন্নমত দেখা যায়। ইমাম শাফেয়ী(র) ও ঈমাম মালিকের(র) মতে ঈদের নামায হোল ‘সুন্নাতে মুয়াক্কাদা’ঃমুস্তাহাব।উনারা এই মতামত দিয়েছেন, নিম্নোক্ত হাদিসের উপর ভিত্তি করেঃ-
# “পাচ ওয়াক্ত নির্দেশিত নামাজের বাহিরে আল্লাহ তা’আলা আর কোন নামাজ আমাদের জন্য ফরয করেন নি”। আল মুগনি-পৃ-২২৩
সুতরাং দুই ঈদের নামায হোল সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।ইমাম হাম্বলি(র) বলেছেন,এটা ‘ফরযে কেফায়া’ অর্থাত কোন সম্প্রদায়ে কিছু লোক এই নামায আদায় করলেই যথেষ্ট।সকলের জন্য বাধ্যতামূলক না।তৃতীয় মত হোল, ইমাম আবু হানিফা(র) বলেছেন, এটি ফরয। ইমাম ইবনে তাইমিয়াও এটাকে ফরয বলেছেন্। তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুরআনের উপর ভিত্তি করেঃ-
“”আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্য নামাজ পড়ুন ও কুরবানী করুন”। সুরা-কাউসার-২
সুতরাং তারা বলেন যে, দুই ঈদের নামায আদায় করা ফরয এবং অনেক হাদীস রয়েছে, যেখানে মুহাম্মাদ(সঃ) মুসলিমদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের উচিত ঈদের নামায আদায় করা এবং এটি শুধু সাধারন মুসলিমদের বলা হয়নি। বরং সমস্ত নারীদেরও একথা বলা হয়েছে,যদিও তাদের অনেকে নামায পড়তে পারবেনা।
# মহানবী(সঃ) বলেছেন, “মহিলাদের কমপক্ষে ঈদের নামাযে যাওয়া উচিত ও শিশুদেরও ঈদে যাওয়া উচিত……..”। বুখারী-সালাত- ৩৫১,৩২৪
সুতরাং এই হাদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে, আবু হানিফা এবং ইবনে তাইমিয়া ঈদের নামায ফরয বলেছেন।
# মহানবী(সঃ) বলেন, আমরা একই সাথে দুই ঈদ অতিবাহিত করছি। একটি হোল ‘ঈদুল ফিতর’ ও অন্যটি ‘জুমআ’র সালাত। অতঃপর ঈদের সালাত আদায় শেষে তিনি বললেন, যারা জুমআর নামায আদায় করেনি, তারা ইচ্ছা করলে আর আদায় করার দরকার নাই”। আবু দাউদ- সালাত- ১০৬৮
এটা নির্দেশ করে যে, যেহেতু ঈদের নামায আদায় করা হয়েছে, তাই জুমআর নামায আদায় না করলেও চলবে। যদিও জুম’আ, পাচ ওয়াক্ত নামাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ন । সুতরাং হাদীস থেকে এটা নির্দেশিত হয় যে, ঈদের নামায আদায় করা ফরয ও আমি নিজেও এই মতের সাথে একমত।
0 Comments