ইসলামে ‘রাত্রিকালিন নামাজের’ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলুন,ডাঃ জাকির নায়েক,


ড. জাকির নায়েক,ইসলামে ‘রাত্রিকালিন নামাজের’ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলুন

          ড. জাকির নায়েক,ইসলামে রাত্রিকালিন নামাজের  গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলুন
ক)       কুরআনে আছে, ‘তাদের পিঠ থাকে বিছানা থেকে আলাদা, নিজেদের রবকে ডাকে আশংকা ও আকাঙ্ক্ষা সহকারে  এবং যা কিছু রিযিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে’৷           সুরা সাজদা- ১৬
‘রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো৷ তারপর তারাই আবার রাতের শেষ গ্রহরগুলোতে ক্ষমা প্রার্থনা করতো’৷  
  আয-যারিয়াত- ১৭,১৮

‘তোমাদের সালাম৷  তারা নিজেদের রবের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়’৷       ফুরকান- ৬৪
খ)      ফরয   ৫ ওয়াক্ত নামাজ  ছাড়া  আর  যে নামায  হয়,   তার মধ্যে  সবোর্ত্তম  নামাজ  হলো  রাত্রিকালীন নামাজ         মুসলিম-অধ্যায় রোজা ২৬১২ 
গ)      সর্বোত্তম নামায হলো দাউদ(আ:)এর  নামায এবং সর্বোত্তম রোযা হলো দাউদ(আ:)-এর রোযা। তিনি রাতের প্রথম অর্ধাংশে  ঘুমাতেন,বাকী রাতের  তিন ভাগের এক ভাগ আল্লাহর ইবাদৎ /প্রার্থনা করে কাটাতেন এবং বাকী অংশ আবার ঘুমাতেন’।         বুখারী- তাহাজ্জুদ- ১১৩১
ঘ)       আবু হুরায়রা(রা:)  থেকে বর্নিত, ‘নবী করীম(স:) বলেছেন, তোমাদের যখন কেউ ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার গ্রীবাদেশে ৩টি গিট দেয়।প্রতি গিটে সে এই বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে দীর্ঘ রাত রয়েছে। তারপর সে যদি জেগে আল্লাহকে স্মরন করে তবে তার ১টা  গিট খুলে যায়। তারপর ওযু করলে, আরেকটা খুলে। তারপর নামায পড়লে, আরেকটি গিটও  খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয় প্রফুল্ল মন ও নির্মল চিত্তে।অন্যথায় সে সকালে উঠে,  কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে’।
বুখারী-তাহাজ্জুদ- ১১৪২
ঙ)       “আল্লাহ রাতের তিন ভাগের শেষ ভাগে সর্বনিম্ন আসমানে নেমে আসেন এবং ওই সময় যে ব্যাক্তি প্রার্থনা করে,ক্ষমা চায় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।যে ব্যাক্তি পূন্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে,আল্লাহ তার সাথে অবিচার করেন না এবং এটা ফজরের পূর্ব মুহুর্ত পর্য্যন্ত চলতে থাকে”।    মুসলিম- সালাত-১৬৫৬
চ)         “রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ ও বান্দারা সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকে।এই সময়টা হলো প্রার্থনা করার  সর্বোত্তম সময়।       তিরমিযী-প্রার্থনা-৩৫৭৯
ছ)         “এক ব্যাক্তি মুহাম্মাদ(স:)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইবাদৎ করার উপযুক্ত সময় কোনটি ?  তিনি বল্লেন,  রাতের ৩ প্রহরের শেষ প্রহর”।    তিরমিযী-প্রার্থনা-৩৪৯৯
জ)        “হযরত আয়েশা(রা:) বলেন, মুহাম্মাদ(স:)  নিয়মিত কিয়াম আল লাইল আদায়  করতেন, এসনকি অসুস্থ অবস্থায়ও”।     আবু দাউদ-সালাত-১৩০২
ঝ)       রমযান মাসে এগুলো ২ গুন হয়ে যায়। “যে ব্যাক্তি রমযান মাসে বিশ্বস্তার সাথে আল্লাহর পুরস্কারের আশায় রাতে কিয়ামুল লাইল আদায় করে,আল্লাহর তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেন”।        বুখারী-রোযা-২০০৯
ঞ)      “ এক ব্যাক্তি মুহাম্মাদ(স:) এর কাছে এসে বল্লো, যদি আমি বলি যে, আল্লাহ এক তার কোন শরীক নাই।এবং আমি গভীর রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করি। মুহাম্মাদ(স:)  বল্লেন,  কিয়ামতের দিন তুমি সিদ্দিকীনদের সাথে ছায়ার নীচে অবস্থান করবে”।        সহীহ ইবনে হিব্বান- ৩৪৩৮

Post a Comment

0 Comments