Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▌রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে মুবারকবাদ জানানোর বিধান

▌রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে মুবারকবাদ জানানোর বিধান
যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ: ﻋﻨﺪﻣﺎ ﻳﺤﻞ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻧﺴﻤﻊ ﻛﺜﻴﺮًﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺒﺎﺭﻛﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺑﻘﺪﻭﻣﻪ ﺑﻘﻮﻟﻬﻢ : «ﻣﺒﺮﻭﻙ ﻋﻠﻴﻚ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ» ﻓﻬﻞ ﻟﺬﻟﻚ ﺃﺻﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺮﻉ؟
ﺍﻹﺟﺎﺑﺔ: ﺍﻟﺘﻬﻨﺌﺔ ﺑﺪﺧﻮﻝ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻬﺎ؛ ﻷﻧﺎﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﺒﺸﺮ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﺑﻘﺪﻭﻡ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻳﺤﺜﻬﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻻﺟﺘﻬﺎﺩ ﻓﻴﻪ ﺑﺎﻷﻋﻤﺎﻝ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺔ، ﻭﻗﺪ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ‏(ﻗُﻞْ ﺑِﻔَﻀْﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻓَﺒِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴَﻔْﺮَﺣُﻮﺍ ﻫُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﺠْﻤَﻌُﻮﻥَ‏)
‏[ ﻳﻮﻧﺲ 58 : ‏] . ﻓﺎﻟﺘﻬﻨﺌﺔ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﺸﻬﺮ ﻭﺍﻟﻔﺮﺡ ﺑﻘﺪﻭﻣﻪ ﻳﺪﻻﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﻏﺒﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺨﻴﺮ، ﻭﻗﺪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺴﻠﻒ ﻳﺒﺸﺮ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺑﻌﻀًﺎ ﺑﻘﺪﻭﻡ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ؛ ﺍﻗﺘﺪﺍﺀ ﺑﺎﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ؛ ﻛﻤﺎ ﺟﺎﺀ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻄﻮﻳﻞ ﺍﻟﺬﻱ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ‏«ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻗَﺪْ ﺃَﻇَﻠَّﻜُﻢْ ﺷَﻬْﺮٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ ﻣُﺒَﺎﺭَﻙٌ، ﺷَﻬْﺮٌ ﻓِﻴﻪِ ﻟَﻴْﻠَﺔٌ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻟْﻒِ ﺷَﻬْﺮٍ، ﺷَﻬْﺮٌ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠﻪ ﺻِﻴَﺎﻣَﻪُ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً، ﻭَﻗِﻴَﺎﻡَ ﻟَﻴْﻠِﻪِ ﺗَﻄَﻮُّﻋًﺎ، ﻣَﻦ ﺗَﻘَﺮَّﺏَ ﻓِﻴﻪِ ﺑِﺨَﺼْﻠَﺔٍ ﻣِﻦ ﺧِﺼَﺎﻝِ ﺍﻟﺨَﻴْﺮِ ﻛَﺎﻥَ ﻛَﻤَﻦْ ﺃَﺩَّﻯ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻩُ، ﻭَﻣَﻦ ﺃَﺩَّﻯ ﻓِﻴﻪِ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻓِﻴﻪِ ﻛَﺎﻥَ ﻛَﻤَﻦْ ﺃَﺩَّﻯ ﺳَﺒْﻌِﻴﻦَ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳِﻮَﺍﻩُ، ﻭَﻫُﻮَ ﺷَﻬْﺮُ ﺍﻟﺼَّﺒْﺮِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﺒْﺮُ ﺛَﻮَﺍﺑُﻪُ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔُ، ﻭَﺷَﻬْﺮُ ﺍﻟْﻤُﻮَﺍﺳَﺎﺓِ، ﻭَﺷَﻬْﺮُ ﻳُﺰَﺍﺩُ ﻓِﻴﻪِ ﺍﻟﺮِّﺯﻕِ ﻓِﻲ ﺭِﺯْﻕِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻦِ ﻓِﻴﻪِ، ﻣَﻦْ ﻓَﻄَّﺮَ ﻓِﻴﻪِ ﺻَﺎﺋِﻤًﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓً ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻪِ، ﻭَﻋِﺘْﻖَ ﺭَﻗَﺒَﺘِﻪِ ﻣِﻦ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻣِﻦ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﻥ ﻳَﻨْﻘُﺺَ ﻣِﻦ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﺷَﻲْﺀٌ» ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪ ﻟَﻴْﺲَ ﻛُﻠُّﻨَﺎ ﻳَﺠِﺪُ ﻣَﺎ ﻳُﻔَﻄِّﺮُ ﺍﻟﺼَّﺎﺋِﻢَ؟، ﻗَﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏«ﻳُﻌْﻄِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮَﺍﺏَ ﻣَﻦ ﻓَﻄَّﺮَ ﺻَﺎﺋِﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺬْﻗَﺔِ ﻟَﺒَﻦٍ، ﺃَﻭْ ﺗَﻤْﺮَﺓٍ، ﺃَﻭْ ﺷَﺮْﺑَﺔِ ﻣَﺎﺀٍ، ﻭَﻣَﻦ ﺳَﻘَﻰ ﺻَﺎﺋِﻤًﺎ ﺳَﻘَﺎﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻣِﻦ ﺣَﻮْﺿِﻲ ﺷَﺮْﺑَﺔً ﻟَﺎ ﻳَﻈْﻤَﺄُ ﺑَﻌْﺪَﻫَﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺪْﺧُﻞَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔ، ﻭَﻣَﻦ ﺧَﻔَّﻒَ ﻋَﻦ ﻣَﻤْﻠُﻮﻛِﻪِ ﻓِﻴﻪِ ﻏَﻔَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻋْﺘَﻘَﻪُ ﻣِﻦ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ، ﻭَﻫُﻮَ ﺷَﻬْﺮٌ ﺃَﻭَّﻟُﻪُ ﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻭَﺃَﻭْﺳَﻄُﻪُ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻭَﺁﺧِﺮُﻩُ ﻋِﺘْﻖٌ ﻣِﻦ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ، ﻓَﺎﺳْﺘَﻜْﺜِﺮُﻭﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺃَﺭْﺑَﻊِ ﺧِﺼَﺎﻝٍ : ﺧَﺼْﻠَﺘَﻴْﻦِ ﺗُﺮْﺿُﻮﻥَ ﺑِﻬِﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﻭَﺧَﺼْﻠَﺘَﻴْﻦِ ﻟَﺎ ﻏِﻨَﻰ ﺑِﻜُﻢْ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ، ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟﺨَﺼْﻠَﺘَﺎﻥِ ﺍﻟﻠَّﺘَﺎﻥِ ﺗُﺮْﺿُﻮﻥَ ﺑِﻬِﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ : ﻓَﺸَﻬَﺎﺩَﺓُ ﺃَﻥ ﻟَﺎ ﺇﻟَﻪَ ﺇﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ، ﻭَﺗَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﻧَﻪُ، ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟﺨَﺼْﻠَﺘَﺎﻥِ ﺍﻟﻠَّﺘَﺎﻥِ ﻟَﺎ ﻏِﻨَﻰ ﺑِﻜُﻢْ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﻓَﺘَﺴْﺄَﻟُﻮﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ، ﻭَﺗَﺘَﻌَﻮَّﺫُﻭﻥَ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ».
প্রশ্ন: “যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে, তখন আমরা অনেক মানুষকেই এই মাসের আগমন উপলক্ষে অপরকে মুবারকবাদ জানাতে শুনি। আর সেই অভিবাদন হয় তাদের এই ভাষায় যে, ‘রমজান মাস তোমার জন্য বরকতময় হোক’। শরিয়তে এর কি কোনো ভিত্তি আছে?”
উত্তর: “রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানোয় কোনো সমস্য নেই। কেননা নাবী ﷺ রমজান মাসের আগমনের ব্যাপারে তাঁর সাহাবীদেরকে সুসংবাদ দিয়েছেন। এই মাসে ভালো আমল করতে অধিক চেষ্টাপ্রচেষ্টা করার জন্য তাদেরকে উৎসাহ দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ বলেছেন, “বলো, আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার বদৌলতে (তা এসেছে), এজন্য তারা আনন্দিত হোক। তারা যা (পার্থিব সম্পদ) জমা করছে, তার চেয়ে এটা উত্তম।” (সূরাহ ইউনুস: ৫৮)
এই মাসকে উপলক্ষ করে মুবারকবাদ বা শুভেচ্ছা জানানো, এর আগমনে আনন্দিত হওয়া (এ মাসে) কল্যাণ অভিলাষিতাই (আগ্রহ) প্রমাণ করে। সালাফরা নাবী ﷺ এর অনুসরণে একে অপরকে রমজান মাস আগমনের সুসংবাদ জানাতেন।
যেমনটি সালমান ফারিসী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণিত হাদীছে এসেছে। নাবী ﷺ বলেছেন, “হে লোকসকল, তোমাদের নিকট এক মহান বরকতময় মাস উপস্থিত হয়েছে। এ মাসে এমন এক রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে রোজা রাখা আল্লাহ ফরজ (আবশ্যকীয়) করেছেন এবং এ মাসের রাতে কিয়াম (নামাজ পড়া) করা নফল (মাহাত্ম্যপূর্ণ) করেছেন। এ মাসে যে কোনো একটি (নফল) ভালো কাজ করা অন্য মাসে একটি ফরজ কাজ করার সমান। আর এ মাসে কোনো একটি ফরজ আমল করা অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আমল করার সমান।
এই মাস ধৈর্যের মাস; আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এই মাস সহানুভূতির মাস। এটি এমন এক মাস, যাতে একজন মু’মিনের রিজিক বৃদ্ধি পায়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে তার সমস্ত (ছোটো) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবে এবং তাকে সেই রোযাদারের সমান ছাওয়াব দেয়া হবে; কিন্তু রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি করা হবে না।
সাহাবীগণ বললেন, ‘আমাদের মধ্যে সবার তো একজন রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো সামর্থ্য নেই।’
তিনি বললেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি একজন রোজাদারকে একটি খেজুর অথবা এক ঢোক পানি অথবা এক চুমুক পানিমিশ্রিত দুধ দিয়েও ইফতার করায়, তবে আল্লাহ তাকেও এই প্রতিদান দিবেন। আর যে ব্যক্তি রোজাদারকে পানি পান করাবে, তাঁকে আল্লাহ আমার হাওয থেকে পানি পান করাবেন, এ পানি পান করার পর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে তৃষ্ণার্ত হবে না। যে ব্যক্তি এ মাসে তার ক্রীতদাসের (অধীনস্ত কর্মচারীর) উপর কাজকে হালকা বা সহজ করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন এবং তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন।
এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে রয়েছে রয়েছে রহমত, দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে মাগফিরাত এবং শেষ ভাগে রয়েছে জাহান্নাম হতে নাজাত। সুতরাং এ মাসে তোমরা চারটি কাজ বেশি করে করো। এর মধ্যে দুটি দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন যা থেকে তোমরা কেউই অমুখাপেক্ষী নও।
যে দুটি কাজ দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে, তা হলো—(১) এ বলে সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং (২) তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে।
যে দুটো কাজ থেকে তোমরা অমুখাপেক্ষী নও, তা হলো—(১) তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে এবং (২) জাহান্নামের আগুন থেকে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে’।”
[বি. দ্র.: শব্দের সামান্য পরিবর্তনে হাদীসটি রয়েছে সাহীহ ইবনু খুযাইমাহ’য় (হা/১৮৮৭)। এই হাদীসটির সনদ দ্ব‘ঈফ। ইমাম আবূ হাতিম (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীসটিকে ‘মুনকার’ বলেছেন। (সিলসিলাহ দ্ব‘ঈফাহ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ২৬৪) ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীসটিকে ‘দ্ব‘ঈফ’ এবং ‘মুনকার’ বলেছেন। (সিলসিলাহ দ্ব‘ঈফাহ; হা/৮৭১; দ্ব‘ঈফুত তারগীব ওয়াত তারহীব; হা/৫৮৯) ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)’র নেতৃত্বাধীন সৌদি আরবের ফাতওয়া প্রদানকারী পার্মানেন্ট কমিটি হাদীসটিকে দ্ব‘ঈফ বলেছেন। (ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমাহ; খণ্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ৮৪-৮৬; ফাতওয়া নং: ৪১৪৫)
কিন্তু ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) যে বিষয়টির স্বপক্ষে হাদীস থেকে দলিল গ্রহণ করতে চেয়েছেন, সেটা হলো—নাবী ﷺ কর্তৃক সাহাবীদেরকে এই মাসের ব্যাপারে সুসংবাদ জানানো। এর স্বপক্ষে সাহীহ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে। (ইবনু মাজাহ, হা/১৬৪৪; সাহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯৯৯-১০০০) একারণে শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ)’র ইস্তিদলাল তথা দলিলগ্রহণ সঠিক। আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত। - অনুবাদক।]”
শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ)’র ফাতওয়া এখানেই শেষ হয়েছে।
·তথ্যসূত্র:
http://alfawzan.af.org.sa/ar/node/7452
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

Post a Comment

0 Comments