- ▌সৌদিতে সিনেমাহল ও নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রসঙ্গে কিছু কথা!
- .প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, নিশ্চয়ই বিশ্বস্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, ১৯৮০ সাল থেকে সৌদি আরবে বন্ধ থাকা সিনেমাহলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি সরকার! শিগগিরই সিনেমার লাইসেন্স দিবে উল্লেখ করে সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শুরু থেকেই বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া হবে। এর ফলে ৩৫ বছর পর আবারো দেশটিতে সিনেমা প্রদর্শন করা হবে, তবে যাতে কোন প্রকার অশ্লীলতা ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেও কতৃপক্ষ কে নজরদারি করতে বলা হয়েছে’! তাছাড়া ২০১৮ সাল থেকে নারীদেরকে দেওয়া হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স!
- সুত্র : [ আরব নিউজ/সৌদি গেজেট ]
- .
- পর-সমাচার এইযে, উপরিউক্ত নিউজটা প্রকাশিত হওয়ার পরে শুধু সৌদি বিদ্বেষীরাই নন বরং দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত কিছু দ্বীনী ভাইয়েরাও জানা অজানা ভুল পদ্ধতিতে সমালোচনা করছেন যা কাম্য ছিলো না!
- প্রথমত,আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে কয়েকটা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব। [ ওয়া বিল্লাহীত তাওফীক্ব]
- .
- ❒ এক,
- অতীত ইতিহাস সাক্ষী যে, সৌদি আরবের সিনেমাহল গুলো ১৯৮০ সালের আগেও ওপেন ছিল! এমনকি বাদশাহ ফয়সাল রাহিমাহুল্লাহ' [ বিশ্বমহলে যার সাহসিকতার দৃষ্টান্ত আজও সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে ]
- উনার আমলেও সেগুলো চালু ছিল! পরবর্তী বাদশাহ খালিদ রাহিমাহুল্লাহ'র সময়কাল থেকে বাদশাহ আব্দুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ'র সময়কাল পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঠক মহল নিশ্চয়ই জানেন বাদশাহ ফায়সাল রাহিমাহুল্লাহ কতটা জনপ্রিয় নেতা ছিলেন!
- এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে ঐসময়ে কি সাউদিতে ইসলামী শরিয়াহ কায়েম ছিলনা? নাকি সিনেমাহল থাকার কারনে তারা দ্বীন থেকে সরে গিয়েছে?
- .
- সকলের জ্ঞাতার্থে আমরা একথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, সৌদী সরকারের যেকোন ভুল সিদ্বান্ত দেখলে আমাদের অন্তর ব্যাথিত হয় কিন্ত খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনি কেন এত খুশিতে তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলেন? আপনাদেরকে বলছি, বিশেষ করে আপনাকেও বলছি: সৌদীর সামান্য কিছু ভুলত্রুটি এত ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করার রহস্যটা কি ? আর সৌদীর বিরুদ্ধে বলতে পেরে আপনি এত বেশি তৃপ্তিই বা পান কেন? আপনার আমার তো উচিৎ ছিল লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে সমালোচনা করা এবং তা হবে আত্মসমালোচনারই নামান্তর!
- .
- হে প্রিয় ভাই! আপনার বুঝা উচিত এখন সাহাবায়ে কেরামের জামানা নয়! অতএব মুসলিম শাসকদের দ্বারা কিছু অপ্রিতিকর কাজ ঘটবে এটাই তো স্বাভাবিক! রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎবাণীও কিন্তু সেদিকেই ইংগিত করে!
- তাছাড়া সিনেমাহল বা থিয়েটার বলতে আমরা যা মনে করি বহির্বিশ্বে কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। আসলে আমরা বিদ্বেষের ছোট-সংকীর্ণ ঘরে থাকতে থাকতে ঐটাকেই জগৎ ভেবে নিয়েছি। ওর বাইরেও যে কিছু থাকতে পারে তা কখনো ভাবতেই পারি না আবার কখনো কখনো ভাবতে চাইও না।
- .
- ❒ দুই,
- নারীরা ড্রাইভিং করতে পারবে কিনা এ প্রসঙ্গে কোরআন, হাদিসে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। এ বিষয়টি নিয়ে উলামাগন দুইভাগে বিভক্ত! ইমাম ইবনু বায রাহিমাহুল্লাহ'র মতে মহিলাদের ড্রাইভিং করা নাজায়েজ আবার ইমাম আল আলবানী রাহিমাহুল্লাহ'র মতে জায়েজ। তিনি (ইমাম আলবানী) প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন যে " যদি রাসূলের যুগে নারীরা বাহন হিসেবে ঘোড়া/ঊট ব্যবহার করতে পারে তাহলে এযুগের নারীগন কেন গাড়ি ড্রাইভ করতে পারবে না"?
- যদি ড্রাইভিং বিষয়ক উভয়পক্ষের উলামাদের ফাতওয়াগুলোকে সামনে রাখেন তাহলে দেখবেন, ইমাম আল আলবানী [ রাহিমাহুল্লাহ'র] ফাতওয়াকে কেউই দালিলিক খন্ডন করতে পারেন নি! শুধুমাত্র প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে বিপক্ষের উলামাগন বলেছেন যে" মহিলাদের ড্রাইভিং এর অনুমতি দিলে ফিতনার দ্বার উন্মুক্ত হবে"!
- .
- এখন প্রশ্ন থেকে যায়, যেই ফিতনার ভয়ে মহিলাদের ড্রাইভিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি, অধো কি সেই ফিতনা থেকে মহিলারা পুরোপুরি মুক্ত থাকতে পেরেছেন! ???
- .
- নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটি কথা বলি :
- আমি আট বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে থাকার ও ড্রাইভিং করার সুবাদে এমন কিছু ড্রাইভারের সম্পর্কে জানি যারা চরিত্রবান হয়েও এক সময় কফিলের স্ত্রী, মেয়ে,বোনের ফিতনায় পড়ে শেষ পর্যন্ত জেনায় লিপ্ত হয়েছেন! কেউ কেউ অবৈধ মেলামেশার ফলে পেগন্যান্সি এড়াতে ভয়ে দেশে পালিয়ে গেছেন! আবার কেউবা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন প্রলোভনে এসব ফিতনায় জড়িয়ে যাচ্ছেন! কারোও বা দেহের খায়েশ মিঠাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন!
- তাছাড়া মাশা আল্লাহ আরব নারীদের যেরকম রূপলাবন্য তাতে আপনি নিজেও পারসোনাল ড্রাইভার হিসেবে জব করে নফসকে ধরে রাখতে হিমশিম খাবেন! রাতে পাহাড়ে ঘুরাঘুরি, মার্কেটে যাওয়া, সি'বিচ গমন সহ লং ড্রাইভে কি ফিতনার আশংকা নেই?
- মোদ্দা কথা হল, যেসব নারীদের চরিত্রদোষ রয়েছে তারা নিজে ড্রাইভিং করলেই কি, আর না করলেই কি , যদি হাতে গাড়ি নাও থাকে তাতেও তাদের বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়না দেহের খায়েশ মিঠাতে! সুতরাং হাতে গাড়ি থাকলেই যে ফিতনায় পড়ে যাবেন তা পুরোপুরি সঠিক নয়!
- আবার দেশের প্রেক্ষাপট দেখলে তো আপনি নিজেই আপনার স্ত্রী, বোনকে গাড়ি কিনে দিবেন [ যদি সামার্থ থাকে ] ! শহরের পাব্লিক বাসগুলোতে মেয়েদের স্তনসহ এমন কোন অংশ বাকি রাখেনা হেলপার ও বখাটেরা! বাধ্য হয়ে নারীরা তা নিরবে সয়ে যায়! এক্ষেত্রে সে কোথায় নিরাপদ? অন্যের গাড়ীতে নাকি নিজের গাড়ীতে?
- সবচেয়ে বড় কথা হল, পক্ষের উলামাগণ তো কেউই ঢালাওভবে ড্রাইভিং হালাল বলেননি বরং শর্ত জুড়ে দিয়েছে এবং তারা এটাও বলেছেন যে, নিজেদের এলাকায় ও নিজের ব্যক্তিগত কাজে (যেমন বাচ্চাকাচ্চা মাদরাসায় নিয়ে যাওয়া, মার্কেটে যাওয়া, চাকুরীস্থলে যাওয়া ইত্যাদি) মহিলাদের ড্রাইভিং করা জায়েজ!
- .
- ❒ তিন,
- সর্বপ্রথম একথা সুস্পট জেনে রাখুন যে, সালাফী উলামাগন কখনোই মিউজিক'কে হালাল বা জায়েজ ফাতওয়া দেন নি, এমনকি মৌখিকভাবে নুন্যতম সার্পোটও করেন নি! সালাফী উলামারা সুস্পট ভাষায় বলেছেন এগুলো হারাম এবং সিনেমা রি-ওপেনের সরকারী সিদ্বান্তের প্রতিবাদের পাশাপাশি অনতিবিলম্বে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন!
- মদিনায় মসজিদে নববীর শিক্ষক প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আব্দুল মুহসিন আব্বাস (হাফিয্বাহুল্লাহ ) সিনেমা হল খোলার নিন্দা জানিয়ে তাঁর নিজস্ব ওয়েব সাইটে বিবৃতি দিয়েছেন! উক্ত বিবৃতিতে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও শাইখ আব্দুর রহমান আল-বার্রাক (হাফিয্বাহুল্লাহ) এবং সৌদি কিবারুল উলামাদের মধ্যমণি আল্লামাহ আব্দুল আজিজ আলুস শাইখ হাফিয্বাহুল্লাহ সহ একাধিক আলিমেদ্বীন সিনেমাহল রি-ওপেন করার রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এর কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন!
- .
- আমরা আবারও বলছি, আমাদেরকে একথা ভুলে গেলে চলবেনা যে, এই মিউজিক বা দুই একটি কনসার্ট ২০১৮ সালে বাদশা সালমান দ্বারা শুরু হয়নি বরং অতীতের অধিকাংশ বাদশার আমলেও হয়েছিল! তারপরেও আমাদের তখনকার উলামাগন সেটাকে জায়েজ বলেন নি বরং এসকল মুনকার কাজের শরিয়াহ মোতাবেক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন!
- .
- সুতরাং আজকে যারা এই ইস্যু নিয়ে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত রয়েছেন এবং সৌদি শাসককে তাকফ্বীর ও সৌদির উলামায়ে কেরামের গায়ে কাঁদা লেপন করছেন, তাদের অধিকাংশই বিদাতী, ইখওয়ানী এবং চরমপন্থী খারেজী আক্বীদার লোক!
- এই লোকগুলি একদিকে বাদশাহ ফয়সাল রাহিমাহুল্লাহ'র ভুরি ভুরি প্রশংসা করেন, অথচ কখনোই এই ইস্যু নিয়ে বাদশাহ ফায়সাল রাহিমাহুল্লাহ'র সমালোচনা শুনবেন না! পক্ষান্তরে, বাদশাহ আব্দুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ'র আমলে এসব প্রায় বন্ধ থাকে! কিন্তু তারপরেও এরা বুশ,আব্দুল্লাহ'র ছবি দিয়ে কত প্রোপাগান্ডা চালায়! কেন এই ডাবল স্টান্ডার্ড?
- আপনি কি মনে করেন এরা এইসব মুনকারের জন্যই কেবল সৌদি সরকারের বিরোধীতা করছে? মোটেও না! বরং এদের আসল উদ্দেশ্য হল সৌদিকে সিরিয়া বানানো! পুরো মুসলিম উম্মাহকে সৌদি বিদ্বেষী বানাতে পারলেই তাদের উদ্দেশ্য সফল! তার পরপরই শুরু হবে শাসক পতনের তাণ্ডবলীলা!
- .
- ❒ চার,
- প্রথমত্ব,
- ইসলামী ইতিহাস ভিত্তিক নাটক বা মুভিতে সাধারণত দু'দলে ভাগ করে অভিনয় করানো হয়৷ একপক্ষ মুসলিম, অপরপক্ষ কাফির৷ কাফিরদের ভূমিকায় যে দল থাকে, তারা হয়ত বাস্তবেই কাফির হবে, নতুবা মুসলিম হবে৷ কাফির হোক বা মুসলিম; অভিনয়ে যখন তারা মুসলিম বাহিনীর প্রতিপক্ষের ভূমিকায় আসবে, তখন তারা পুরোদস্তুর আবু জাহল, আবু লাহাব বা অন্য কাফির যারা মুসলমানদের জাত-শত্রুর ভূমিকায় আবির্ভূত হবে৷
- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামকে ইচ্ছেমতো কটুক্তি করবে, গালাগাল করবে, যা মারাত্মক কুফুরী কাজ৷ অভিনয়ের স্বার্থেই হোক, ইচ্ছাকৃত বা আন্তরিকভাবেই না হোক; ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম চরিত্রের অধিকারী মহান ব্যক্তিত্বদের ব্যাপারে কটু কথা বের হওয়াই বদ-বখতির কারণ৷
- .
- দ্ব্ব্বিতীয়ত,
- যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা সাহাবায়ে কেরামের ভূমিকায় অভিনয় করে, তারা যদি মুসলিমও হয়, কিন্তু তাদের মাঝে তাকওয়া, পরহেযগারী প্রশ্নবিদ্ধ! এমতাবস্থায় তাদের কাছ থেকে যদি এমন আচরণ সংঘটিত হয় বা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, যা নাবী-রাসূল বা সাহাবায়ে কেরামের শানের সম্পূর্ণ বিপরীত৷ তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানানও অসঙ্গতিপূর্ণ৷ এহেন পরিস্থিতিতে দর্শকদের মধ্যে তাঁদের ব্যাপারে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয় বা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে! যার দায়ভার সম্পূর্ণই মুভি নির্মাতা এবং এর প্রচারে সংশ্লিষ্ট সবার উপর বর্তাবে! তাই ইসলামীক মুভি হোক আর নন ইসলামীক ই হোক তাতে সুফলের চাইতে কুফল ই বেশি! তাই আমরাও শরয়ী বাউন্ডারী ক্রস না করেই সুন্নাহর প্রতিবিধান অনুযায়ী এসব "মুনকার" কাজের বিরোধীতা করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি!
- .
- আমাদের বিবেচনায়:
- শুধু সৌদি সরকারই নয় বরং দুনিয়ার কোন সরকার বা রাষ্ট্র বা বাদশাহ কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয়, বরঞ্চ গুনাহর উর্ধ্বেও নয়। তবে আমরা শাসকের কিছু মুনকার কাজের বিরোধীতা করতে গিয়ে সীমালংগন করিনা!কেননা এটা সালাফদের মানহাজ বহির্ভূত!
- .
- সর্বশেষ, শাসকদের প্রকাশ্য সমালোচনার ক্ষেত্রে ইমাম উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ'র সেই বিখ্যাত ফাতওয়ার শেষ অংশটুকু দিয়েই ইতি টানছি! তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, "শাসকের প্রকাশ্য সমালোচনা কেবল তখনই করা যাবে যখন এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের বিশেষ কোন উপকার বা কল্যাণ সাধিত হবে।
- আর যদি দেখা যায় যে, শাসনকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ বা সমালোচনায় কোন সুফল বয়ে আনবে না, এর দ্বারা মন্দ-অসৎ কর্ম বন্ধ করা যাবে না কিংবা এর স্থলে ভালো ও সৎকর্ম প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, মোটকথা এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের কোন উপকার বা কল্যাণ সাধিত হবে না, তাহলে এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে প্রতিবাদ-সমালোচনা না করে কিংবা তাকে (শাসক-কে) প্রত্যাখ্যান না করে বরং গোপনে (একান্তে) সুদপদেশ প্রদান করতে হবে। তাই আমাদের উচিত এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হাদীছ অনুযায়ী ‘আমাল করা। যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন -
- مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْصَحَ لِذِي سُلْطَانٍ فَلا يُبْدِهِ عَلانِيَةً ، وَلَكِنْ يَأْخُذُ بِيَدِهِ فَيَخْلُوا بِه.১১
- যদি কেউ শাসনকর্তাকে সদুপদেশ দিতে চায় তাহলে সে যেন প্রকাশ্যে তা না করে বরং গোপনে তাকে সদুপদেশ প্রদান করে।
- .❒ সংকলন :
- আপনাদের দ্বীনীভাই,
- আখতার বিন আমীর।
- প্রচারেঃ-সৌদি আরব-The Land Of Tawheed🇸🇦❤
- শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
0 Comments